জাম গাছের উৎপত্তি ভারতেই | এরপর ধীরে ধীরে এই গাছ ছাড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে | এই গাছের ফলের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম যেমন ব্ল্যাক প্লাম‚ জাম্বুল‚ জাম্বোলান‚ জাম্বাস‚ মালাবার প্লাম‚ রজামান‚ নেরেডু‚ কালা জামুন‚ নাভাল‚ জামালি‚ জাভা প্লাম ইত্যাদি | এই ফল জুন আর জুলাই মাসে পাওয়া যায় | আজকে রইলো এই ফল খাওয়ার উপকারিতা |
১) রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে : জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে | আর আয়রন থাকার ফলে রক্তে হেমোগ্লোবিন বেড়ে যায় ফলে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে | যারা রক্তল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য জাম খুবই ভালো |
২) চোখ ও ত্বকের জন্য ভালো : এতে ভিটামিন A আর C আছে | এছাড়াও এতে থাকে বিভিন্ন মিনারেল যা আমাদের চোখ এবং ত্বকের জন্য খুব উপকারী |
৩) হজমে সাহায্য করে : জাম খেলে পেট ঠান্ডা হয় ফলে দ্রুত হজম হয় | তাই যাদের অম্বলের সমস্যা আছে তারা বেশি করে জাম খেলে উপকার পাবেন |
৪) ত্বক ফ্রেশ রাখে : অ্যাসট্রিনজেন্ট প্রপার্টি থাকার ফলে জাম ত্বক অয়েল ফ্রি রাখে | এছাড়াও অ্যাকনে আর কালো ছোপ দূর হয় |
৫) ইনফেকশনের হাত থেকেও রক্ষা করে : জামে উপস্থিত অক্সিলিক অ্যাসিড‚ গ্যালিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড‚ ট্যানিন‚ বেটুলিক অ্যাসিড ইনফেকশন দূরে রাখে | এছাড়াও জাম অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালও |
৬) দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখে : আগেই বলেছি এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি আছে‚ এর সাহায্যে দাঁত এবং মাড়ি ভালো থাকে | এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূরে রাখতেও সাহায্য করে |
৭) সিজনল ডিজিজ থেকে রক্ষা করে : জামে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন C থাকে ফলে শরীর ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয় | ফলে শরীরকে কমন সিজানাল ডিজিজ এর হাত থেকে রক্ষা করে |
৮) হার্ট ভালো রাখে : জামের মধ্যে উপস্থিত পটাসিয়াম হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে | একই সঙ্গে উচ্চ রক্ত চাপ কমায় ফলে কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ দূরে রাখে |
৯) শরীরে free radical তৈরি হতে দেয় না : জামের উপস্থিত anthocyanins যার থেকে জামের গাঢ বেগুনি রং আসে তা এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরে free radical তৈরি হতে দেয় না | এর ফলে বিভিন্ন ইনফেকশন এবং প্রি ম্যাচিওর এজিং হতে দেয় না |
১০) রক্তে চিনির মাত্র নিয়ন্ত্রণ করে : যাদের ডায়বেটিস হয়েছে তাদের জন্য জাম খুব ভালো | এতে অ্যান্টি ডায়েবেটিক প্রপার্টি আছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমায় |
এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে | এছাড়াও অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া বা বারবার মূত্রত্যাগ যা ডায়বেটিসের লক্ষণ এগুলো ও নিয়ন্ত্রণে রাখে | শুধু ফল নয়‚ এই গাছের পাতা‚ ডাল‚ ফলের বিচি সব কিছু দিয়েই ডায়েবেটিসের ট্রিটমেন্ট করা হয় |