উপেন্দ্রনাথ ও ইউরিয়া ষ্টিবামাইন – সুমিত্রা চৌধুরী
১৯২১ থেকেই এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল। বিশেষ করে ব্যাপক রোগাক্রান্ত অঞ্চল- চা বাগানের কুলি বা গরিব রোগীদের ওপর। ১৯২২-এর অক্টোবরে ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে উপেন্দ্রনাথের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হল। রিপোর্টে তিনি লিখিতভাবে জানালেন আটটি কালাজ্বরের রোগীকে এই ওষুধ প্রয়োগে সুস্থ করা হয়েছে। কিন্তু সুকুমারের চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করলেন না। কেন? আসলে নেটিভ ডাক্তারের আবিষ্কৃত এই ওষুধের ব্যবহারের ওপর ইংরাজ সরকার ছাড়পত্র দেননি। বিশেষ করে কলকাতার ইংরাজ ডাক্তাররা। একটি অমূল্য প্রাণের বাঁচার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল।