‘দত্তবাবু পুকুরে জাল ফেলিয়া সাতষট্টিটা তেলাপিয়া মাছ ধরিলেন। মাছ ছোটো দেখে জেলেকে বলিলেন, ‘ন‘টা মাছ ফেলিয়া দাও।’ বাকি মাছের তিনের ছয় শতাংশ পাঠাইলেন বাজারে। দুই–এর সোয়া আট শতাংশ দেওয়া হইল ভাত–মাছের হোটেল। একের চার অংশ পাঠানো হইল প্রতিবেশী গৃহে। বাকিটা দত্তবাবু নিজের রান্নাঘরে পাঠাইলেন। দত্তবাবু দুপুরে নিজে খাইলেন দুইটি মাছ। একটি ঝালে, একটি ঝোলে। তাহা হইলে গৃহের অন্য সদস্যরা কয়টি মাছ খাইয়াছে? মনে রাখিতে হইবে, গৃহে সদস্য সংখ্যা সাত। দত্তবাবুর এক নাতির জ্বর হইয়াছে হলিয়ে সে ভাত না খাইয়া কাঁথা মুড়ি দিইয়া শুইয়া আছে। আর পুকুরে জাল ফেলা হইয়াছিল, মাসের প্রথম রবিবার।’
পাটিগণিত। ঝামেলার কিছু নয়। তবে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আছে। সেগুলো সরিয়ে অঙ্কটাকে সামলাতে হবে। আমি সামলাতে চেষ্টা করছি। গোবিন্দকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। গোবিন্দ বুঝতে চাইছে না। আমার নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা। না, নাকের জলে নয়, মাছের ঝোলে চোখের জলে অবস্থা।
আমি গোবিন্দর প্রাইভেট টিউটর। পেটের দুই–এর আট ভাগ চালানোর জন্য খানকতক টিউশন করি। বাকিটা চলে অড জবস্ করে এবং ধার দেনায়। এরপরেও যে ভাগটুকু পরে থাকে সেটা থাকি নির্বিকার। জীবনের একটা অংশকে সবসময়েই নির্বিকার রাখতে হয়। এতে চিত্তের শুদ্ধি হয়। যেকটা বাড়িতে টিউশন করি তার মধ্যে দুটো বাড়িতে ‘হলে হবে’ সিস্টেম। অর্থাৎ যে মাসে মাইনে ‘দেবে দেবে’, যে মাসে ‘দেবে না দেবে না’ পদ্ধতি। এই দুই একটি বাড়ি অতি ধনী, অন্যটি দরিদ্র। আমাকে অনেকে বকাবকি করেছে।
‘এর মানে কী সাগর? গরিব বাড়ি প্রাইভেট টিউটরের মাইনে দিতে পারে না মানা যায়। ধনী বাড়ি কেন পারবে না? তুমি এটা মানছো কেন?’
আমি বলেছি,‘বিষয়টাকে একটা ইক্যুলিব্রিয়ামে আনবার চেষ্টা করেছি। ভারসাম্যে। যেখানে ধনী এবং দরিদ্র সমান। এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট বলতে পারও।’
‘নিজে বেগাড় খেটে এক্সপেরিমেন্ট করছো? তোমার মাথা কি পুরো গেছে সাগর?’
আমি হেসে বলেছি,‘যে কোনও বড় পরীক্ষা বেগাড় খাটনির মধ্যে দিয়ে শুরু করতে হয়। ফল মিলতে পারে আবার নাও পারে এবং বড় পরীক্ষা যারা করে তাদের সবসময়েই পাগল বলা হয়।’
গত এক বছর ধরে আমার এক্সপেরিমেন্ট চলছে। এখম পর্যন্ত যা ফলাফল পেয়েছি তাতে দেখতে পাচ্ছি, যে বাড়ির টাকা–পয়সা নেই তারা আমার বেতন না দেওয়ার ব্যাপারে মোটেও কুণ্ঠিত নয়। বরং এক ধরনের ধমকধামক আছে। ছাত্রীর বাবা মুদির দোকানে কাজ করে। নাম ‘শিবুদা’। দেখা হলেই বলে,‘আর আসতে হবে না সাগরভাই।’
আমি বলি, ‘কেন গো শিবুদা? মেয়ে তো ভালই লেখাপড়া করছে।’
শিবুদা বলে,‘ধ্যুস। আমার মেয়ের লেখাপড়া করে কী হবে? মোটের ওপর একটা ছেলে পেলেই বিয়ে দিয়ে দেব।’
আমি বলি,‘সে তো অনেক দেরি আছে। এখন তো মোটে ক্লাস সেভেন। ততদিন লেখাপড়া চালিয়ে যাক। বিয়ের বয়স হলে বিয়ে করবে।’
শিবুদা জোরে জোরে মাথা নেড়ে বলল,‘নানা, সাগরভাই, তোমাকে আর আসতে হবে না।’
আমি বলি,‘কেন আমি এলে তোমার সমস্যা কী? মেয়ের কি আমার কাছে পড়তে ভাল লাগছে না্?’
শিবুদা বলে,‘ওইটাই তো মুশকিল। মেয়ের তোমাকে অতি পছন্দ। বলে, সাগরদার জন্যই যেটুকু যা শিখতে পারছি। এইটা আমার চিন্তা। মেয়ে যদি তোমার কাছে আরও শিখতে চায়? এই ভাবে চললে তো মেয়ে স্কুল কলেজ সব পাশ করে যাবে একদিন। কী সর্বনাশ হবে!’
আমি অবাক হয়ে বলি,‘সর্বনাশের কী আছে? ভালই তো হবে। তোমার মেয়ের মাথা পরিষ্কার। খুব বুদ্ধি। এত অভাবের মধ্যে থেকেও তার নিষ্ঠা দেখবার মতো। ঘরের সব কাজ করেও লেখাপড়া চালাচ্ছে।’
শিবুদা তেড়েফঁুড়ে উঠে বলে, ‘মেয়েকে বলেছি বুদ্ধি তুই নিজের ঘটে রাখ। বাইরে বের করবি তো ঠ্যাঙ ভেঙে দেব। গরিবের ঘরে বিদ্যেদিগ্গজ মেয়ে নিয়ে তো বিরাট বিপদে পড়ব। লেখাপড়া জানা মেয়ের বিয়ে হবে না। না না লেখাপড়া এখানেই স্টপ। তোমারে টাকাপয়সাও তে কিছু দিতে পারি না সাগর। তিন মাস আগে সেই কবে দুশো না তিনশো টাকা দিয়েছিলাম। তোমারও তো টাকা পয়সা লাগে। লাগে না? বিনিপয়সায় তুমিই বা আসো কেন? আর আসবে না।’
আমি হেসে বলি,‘আমার ছাত্রীর ভাল রেজাল্ট দেখবার জন্য আসি। আমি আসব শিবুদা, তুমি বারণ করলেও আসব।’
শিবুদা ধমকের ঢঙে বলে,‘সে তোমার যা খুশি করো। তোমার ছাত্রীকে তুমি বিদ্যের হাঁড়ি বানাও গে। আমি পারলে তোমার বেতন দেব না পারলে দেব না। ব্যস্।’
কী চমৎকার না? এই ধমকের মধ্যেও কত ভালবাসা আছে!
অথচ ধনী বাড়িতে বেতন না দিয়ে এমন হাত কচলায় যে গা রি রি করে।
‘দাদা, আপানার মাইনেটা এমাসেও দিতে পারলাম না। কী যে লজ্জা, কী যে দুঃখ! কী ঘটেছে আপনি শুনলে দুঃখ পাবেন। দাদারে দু–দুটো শেয়ারে একেবারে বিরাট ধাক্কা খেলাম। শেঠজী আমাকে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে দিল। তার ওপর একটা গোডাউনে পুলিসের রেড হয়ে গেল। নিজের দুঃখের কথা অন্যকে বলতে চাই না।’
আমি বিরক্ত হয়ে বলি,‘ঠিক আছে গোপীবাবু। যখন অবস্থা সামলাতে পারবেন, তখন না হয় দেবেন।’
গোপীবাবু কুণ্ঠায় মাটিতে মিশে যেতে যেতে বলেন,‘ছেলে পড়ানোর সামান্য কটা টাকাও আপনাকে ঠিক মতো সময়ে দিতে পারি না, এর থেকে লজ্জার কী আছে?’
আমি বলি,‘আপানাকে লজ্জা পেতে হবে না। এখন যান ছেলেকে পড়াতে দিন।’
এই হচ্ছে ভারসাম্যের পরীক্ষা। বেশ মজার পরীক্ষা নয়?
এখন যে বাড়িতে পড়াতে এসেছি সেখান থেকে নিয়মিত বেতন পাই। ক্লাস এইটের ছাত্র গোবিন্দর মাথায় বুদ্ধি আছে, কিন্তু লেখাপড়া করবার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ তার মা। ছেলের বিদ্যাচর্চা নিয়ে তিনি এত অধীর যে ছেলে সহ্যের চরমসীমায় পৌছেছে। এই মহিলার পাগলামি এমন জায়গায়ে পৌছেছে যে তিনি মাঝারাতে ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে এনার্জি ড্রিঙ্ক ধরনের হাবিজাবি কিছু খাওয়াতে যান। কোন বিজ্ঞাপনে তিনি দেখেছেন, এই ধরনের জিনিস ঘুমের মধ্যে খাওয়ালে নাকি বু্দ্ধি বাড়ে। কত বড় বোকা হলে এই জাতীয় মিথ্যে বিশ্বাস করা যায়?
মাঝে মাঝেই তিনি এসে আমাকে বলেন,‘মাস্টারমশাই ছেলে ঠিকমতো পড়ছে তো?’
আমি বলি,‘অবশ্যই পড়ছে। অনুগ্রহ করে আপনি সারাক্ষণ ছেলের পড়া নিয়ে টেনশন করবেন না।’
মহিলা কাঁদো কাঁদো মুখে বলেন,‘আমি কি আর সাধে টেনশন করি? রাতে ঘুমোতে পারি না।’
আমি অবাক হয়ে বলি,‘কেন ঘুমোতে পারেন না!’
‘ছেলের ভবিষ্যৎ ভেবে।’
আমি বলি,‘ক্লাস এইটেই ভবিষ্যৎ ভাবছেন!’
মহিউলা বলেন,‘সেকী! ভাবব না? ছেলের বদলি যদি বাইরে হয়।’
আমি আরও অবাক হয়ে বলি,‘কীসের বদলি? ওদের স্কুলে ট্রান্সফার করে দেয় নাকি?’
মহিলা বলে,‘আহা স্কুলে ট্রান্সফার কেন করবে? ওর হাসপাতালে সুপার যদি গ্রামে পাঠিয়ে দেয়? কী হবে তখন?’
আমি চোখ কপালে তুলে বলি,‘ক্লাস এইটেই ডাক্তার হয়ে গেছে! শুধু হয়ে গেছে না এখন থেকেই তার বদলি নিয়ে ভাবছেন!’
মহি বলে, ‘বলেন কি! ভাবব না? তখন সময় পাব? আমার ছেলে তো ডাক্তার হবেই। না হলে ইঞ্জিনিয়র। সেও তো বদলির চাকরি। কী হবে মাস্টারমশাই? গোবিন্দ একা থাকবে কী করে?’
আমি বললাম, ‘কী করে বুঝলেন আপানর ছেলে ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়রই হবে?’
মহিলা বলল,‘আমার যে তাই ইচ্ছে।’
আমি মুচকি হেসে বললাম, ‘আপনার ইচ্ছেই সব হওয়া যায়। গোবিন্দ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়রের থেকে আরও ভালও কিছুও তো হতে পারে।’
গোবিন্দর মা অবাক হয়ে বলল,‘ওমা! ডাক্তার ইঞ্জিনিয়রের থেকে আরও ভাল কিছু আছে নাকি?’
আমি নিচু গলায় বললাম,‘না নেই। অন্তত ক্লাস এইটে পড়বার সময় তো নেই।’
এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। হায়রে শিক্ষা!
যাই হোক, গোবিন্দদের বাড়িতে বেতন একেবারে নিয়ম মেনে। মোটে লেট হয় না। ঠিক সময়ে খামে মুড়ে চলে আসে। তবে এদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার বালাই নেই। এক কাপ চা আর দুটো বিস্কুটেই মাস্টারমশাই আপ্যায়ন শেষ। বেশিরভার দিন বিস্কুটও থাকে না। গোবিন্দকে পড়াতে আমি সাধারণত সন্ধেবেলা আসি। আজ এসেছি সকালে। সৃজনী বিয়ের নেমন্তন্ন করে চলে যাওয়ার পর। এক পেট খিদে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। পকেটে পয়সা নেই। তাই কঠিন প্রতিজ্ঞা করে বসেছি। যতই খিদে পাক আজ আমি না খেয়ে থাকব। আমাদের দেশের বহু মানুষই তো না খেয়ে থাকে। আমি একদিন পারব না? অনেকটা সেই কারণেই গোবিন্দকে পড়াতে চলে আসা। আর যাই হোক এবাড়িতে খাওয়াদাওয়ার পাট নেই।
কিন্তু একী ঘটল!
তেলাপিয়া পাটিগণিত সামলাতে সামলাতে দেখি গোবিন্দর মা প্লেট ভর্তি লুচি নিয়ে ঢুকলেন। গন্ধেই আমার ভিতরটা চনমন করে উঠল। গরম লুচি, সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে আলুর সাদা তরকারি। আহ্! খিদে তো কোন ছাড়,ভরা পেটেও খান দশেক খেয়ে নেওয়া যায়। আমি নিজেকে আটকালাম।
‘মাপ্ করবেন, আজ আমি খাব না।’
গোবিন্দর মা একজন সহজ মহিলা। তার সব ভাবনা চিন্তাই গোবিন্দকে ঘিরে। আঁতকে উঠে বলল,‘কেন! গোবিন্দ লেখাপড়ায় কোনও গোলমাল করছে?’
উল্টো দিকে বসা গোবিন্দ তাল মিলিয়ে, এক গাল হেসে বলল,‘হ্যাঁ, মা। মাস্টারমশাই এখন অনশন করবেন। আমি আগে তেলাপিয়া পাটিগণিত বুঝব তারপর উনি খাবেন।’
আমি তাড়াতাড়ি বললাম,‘না না। সেসব কিছু নয়। আজ আমার পেট ভর্তি।’
খাবার না পেয়ে ভুখা থাকা এক কথা, কিন্তু খাবার সামনে রেখে না খাওয়া যে কত কঠিন হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। না, হাড়ে হাড়ে নয়, পেটে পেটে।
ঘটনা আরও ঘটল।
গোবিন্দর বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দেখি গোবিন্দর বাবা অফিসে যাবে বলে গাড়িতে উঠছে। আমাকে দেখে তড়িঘড়ি পকেট থেকে একটা খাম বের করে এগিয়ে ধরল।
‘এটা কী?’
‘বেতন।’
আমি অবাক হয়ে বললাম,‘এখন কীসের বেতন? মাস শেষ হতে তো এক সপ্তাহ দেরি।’
‘আমি অফিসের কাজে লম্বা ট্যুরে যাচ্ছি মাস্টারমশাই। শুধু এমাসের বেতন নয়, আগামী মাসেরটাও অ্যাডভান্স দিয়ে রাখলাম। নিন ধরুন।’
একেই বলে সাগরের কপাল। খালি পেটে এবং খালি পকেট বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। পথে জুটে গেল লুচি এবং টাকা। দুটোর একটাও আজ পাওয়ার কথা। সেকথা ভেবেই প্রলোভনের পর প্রলোভন। লুচি জয় করেছি। টাকা কী ভাবে জয় করব? খাম পকেটে নিয়ে হাঁটছি। ভাল ভাল খাবারের দোকান পেরিয়ে যাচ্ছি এক এক করে। ইচ্ছে করলে যে কোনও একটা দোকানে ঢুকে পড়কতে পারি। কেক পেস্ট্রি মোমো, পিৎসা, রসগোল্লা সন্দেশ, কচুরি সিঙ্গারা যা খুশি কিনে খেতে পারি। আমাকে সবাই হাতছানি দিচ্ছে। নাকি পেটছানি?
‘আয় আয় সাগর চলে আয়। দরজা ঠেলে ঢুকে পড়। না খেয়ে থাকবার গাধামি ছেড়ে দে। তোর পকেট পয়সা, তোর হাতের সামনে খাবার তুই কেন না খেয়ে থাকবি?’
আমি হাঁটার স্পিড বাড়িয়ে দিলাম। পকেটের টাকা এখনই খরচ করে ফেলতে হবে। পেট খিদেতে যেরকম চুঁই চুঁই করছে তাতে যে কোনও সময় পদস্খলন হয়ে যেতে পারে। দরজা খুলে খাবার দোকানে ঢুকে পড়তে পারি। আমার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে। কিন্তু কোথায় দুমাসের বেতন খরচ করব? খাম খুলে বের করে উড়িয়ে দেব? সাগর টাকা ওড়াচ্ছে দৃশ্যটা কেমন হবে? ভাবতে উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। রেবাকে ধরলাম মন ফোনে।
‘হ্যালো রেবা, কেমন আছো?’
রেবা একটু চুপ কর রইল। আমার ফোন পেলে প্রথমটায় সে সবসময়েই একটু চুপ করে থাকে। তারপর গাঢ় স্বরে বলল,‘ভাল আছি। তুমি কেমন আছো সাগর?’
আমি উচ্ছ্বসিত গলায় বললাম,‘খুব ভাল। আমি এখন কোথায় আছি বলো তো রেবা?’
রেবা বলল,‘তোমার ভাঙা তক্তাপোষে।’
আমি হেসে বললাম,‘হল না। আমি এখন মা উড়ালপুলের ওপর।’
রেবা অবাক হয়ে বলল,‘ওখানে তুমি কী করছো?’
আমি বললাম,‘টাকা ওড়াচ্ছি। অনেক টাকা। আমার দু’মাসের টিউশনের বেতন।’
রেবা আবার একটু চুপ করে থেকে বলল,‘খেপামি করো না।’
আমি বললাম, ‘বিশ্বাস কর রেবা। আমি লোভ থেকে মু্ক্ত হতে টাকার ডানায় ভর করে উড়ে যেতে চাই।’
রেবা একটু হাসল। বলল,‘তোমাকে লোভে ফেলবে সেই সাধ্য কার আছে সাগর? সামান্য টাকার সেই ক্ষমতা নেই। তুমি পাগলামি বন্ধ কর। আমি এখন ছাড়ছি।’
মনফোন কেটে দিয়ে আমি আবার হাঁটা শুরু করলাম। আমার ওপর আজও রেবার কি গভীর বিশ্বাস! একেই কি সত্যিকারের প্রেম বলে? কে জানে।
চলবে…
গত পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-21/
২০ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-20/
১৯ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-19/
১৮ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-18/
১৭ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-17/
১৬ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-16/
১৫ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-15/
১৪ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-14/
১৩পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-13/
১২ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-12/
১১ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-11/
১০ পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-10/
৯ম পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-9/
৮ম পর্বের লিংক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-8/
৭ম পর্বের লিঙ্ক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-7/
৬ পর্বের লিঙ্ক – https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-gupta-part-6/
৩য় পর্বের লিঙ্ক –https://banglalive.com/sagar-i-love-you-bengali-novel-by-prachet-guptapart-3/
২য় পর্বের লিঙ্ক – https://banglalive.com/novel-by-prachet-gupta-2/
প্রথম পর্বের লিংক – https://banglalive.com/novel-by-prachet-gupta/