(Sholay)
১৯৭৩ সালের মার্চ মাস। মুম্বইয়ের খার অঞ্চলে বলিউডের এক বিরাট প্রযোজকের অফিস। তারই এক বারো বাই বারো ঘরে, অনুজ্জ্বল আলোর নীচে ডিভানে বসে চিন্তামগ্ন দুই যুবক। তাঁদেরই মস্তিষ্ক-প্রসূত চার লাইনের এক গল্পসূত্রকে রূপান্তরিত করতে হবে তিন ঘণ্টার এক ছায়াছবিতে। চায়ের জোগান অফুরান, মাঝে মধ্যে আসছে বিয়ারও। খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রবীণ প্রযোজক ও তাঁর নবীন পুত্র, যিনি আবার ছবির পরিচালকও। এক মাস কাটল। অবশেষে, ঠাকুর বনাম গব্বরের টক্কর নিয়ে তৈরি হল ‘শোলে’র চিত্রনাট্য। বিষয়, হলিউডের ওয়েস্টার্ন ধারার আদলে এক ভয়ঙ্কর ডাকাতের হত্যালীলার বদলা নিতে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের অভিযান। প্রযোজক জি পি সিপ্পি, পরিচালক রমেশ সিপ্পি। (Sholay)
আরও পড়ুন: আসলেই শোলে: ঘটনার ঘনঘটা
তিয়াত্তরের মে মাসে ফিল্ম পত্রিকা ‘স্ক্রিন’এ বেরোল ছবির পাতাজোড়া ফার্স্ট লুক। ৩ অক্টোবর শুরু হল শুটিং বেঙ্গালুরুর কাছে। চলল দেড় বছর ধরে। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট ভারতের কয়েকটি অংশে মুক্তি পেল ‘শোলে’। বক্স অফিসে মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি টাকা। (Sholay)

করিৎকর্মা ও পরিশ্রমী ওই দুই যুবকের নাম সালিম খান ও জাভেদ আখতার। দু’জনেই মধ্য প্রদেশের আদি বাসিন্দা। সালিমের ইন্দোর, জাভেদের ভোপাল। দু’চোখে স্বপ্ন নিয়ে, দু’জনে হাজির হয়েছিলেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে। বহু চেষ্টার পরেও সফল অভিনেতা হতে না পারায় সালিম মন দেন চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনায়। বিখ্যাত উর্দু শায়ার, জান নিসার আখতারের পুত্র জাভেদের বলিউডে আবির্ভাব ক্ল্যাপার বয় হিসাবে। পরে তিনিও সালিমের রাস্তা বেছে নেন। প্রাথমিক ভাবে, শোলের চিত্রনাট্যের জন্য সালিম-জাভেদের পারিশ্রমিক ঠিক হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা। পরে বেড়ে হয় ৩ লক্ষ।অথচ ছবির মূল ছ’টি চরিত্র, সঞ্জীবকুমার, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, আমজাদ খান, হেমা মালিনী ও জয়া বচ্চন, কেউই এই অঙ্কের টাকা পাননি। (Sholay)
ছবির প্রাথমিক শিল্পী তালিকায় আমজাদের নাম ছিল না। ছবির ভিলেন গব্বর সিংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ড্যানি দেনজোংপা। কিন্তু একই সময় ফিরোজ খানের ছবি ‘ধর্মাত্মা’র শিডিউল পড়ে যাওয়ায় ড্যানিকে ‘শোলে’ ছেড়ে দিতে হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিখ্যাত চরিত্রাভিনেতা জয়ন্তের পুত্র আমজাদ খানকে খুঁজে এনে দেন সালিম-জাভেদ। অনেক আগেই তাঁরা মঞ্চে আমজাদের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের ভরসার যোগ্য মর্যাদা দিয়ছিলেন আমজাদ। অমন তারকা সমাবেশে হারিয়ে না গিয়ে, নিজের সর্বস্ব পণ করে গব্বর সিংকে ছবির সব থেকে ওজনদার চরিত্র করে তুলেছিলেন তিনি। পরের দু’দশক তিনিই ছিলেন বলিউডের সেরা খলনায়ক। (Sholay)
“এখানেই সালিম-জাভেদ এবং পরিচালক রমেশ সিপ্পির মুন্সিয়ানা। অনুপ্রেরণা একাধিক হলেও তার উপযুক্ত প্রয়োগ ‘শোলে’কে করে তুলেছে অনন্য।”
ভারতীয় প্রেক্ষাপটে এই ছবি নির্মাণ করতে গিয়ে সালিম-জাভেদকে স্বাভাবিকভাবেই রেফারেন্স পয়েন্ট হিসাবে বহু হলিউডি ওয়েস্টার্ন ছবির শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’, ‘গার্ডেন অফ ইভিল’, ‘বুচ ক্যাসিডি অ্যান্ড দ্য সানডান্স কিড’, ‘দ্য সিক্রেট অফ স্যান্টা ভিত্তোরিয়া’, ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন দ্য ওয়েস্ট’, ‘আ টাউন কল্ড হেল’, ‘ফর আ ফিউ ডলার্স মোর’, ‘ওনলি এঞ্জেলস হ্যাভ উইংস’, ‘নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার’। এছাড়াও ছিল প্রবাদপ্রতিম জাপানি চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’। (Sholay)
কয়েকটি দৃশ্যে ভারতীয় ছবিরও প্রভাব স্পষ্ট, যেমন ‘মধুমতী’, ‘গোপী’ ‘হাফ টিকিট’ ও ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ।’ বহু ইউটিউবার ‘শোলে’র আইকনিক দৃশ্যাবলির সঙ্গে এই সব ছবির হুবহু মিল পেয়ে ভারতের সর্বকালের সেরা ব্লকবাস্টার ছবিটিকে ‘কপি-পেস্ট’ বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। অথচ বিবিসি ইন্ডিয়া এক সমীক্ষায় ‘শোলে’কেই বিংশ শতকের ‘ফিল্ম অফ দ্য মিলেনিয়াম’ আখ্যা দেয়। (Sholay)

ঠিক এখানেই সালিম-জাভেদ এবং পরিচালক রমেশ সিপ্পির মুন্সিয়ানা। অনুপ্রেরণা একাধিক হলেও তার উপযুক্ত প্রয়োগ ‘শোলে’কে করে তুলেছে অনন্য। তাই ঠাকুর, গব্বর, জয়, বীরু, বসন্তী, রাধার পাশাপাশি জেলর, হরিরাম, সুর্মা ভোপালি, সাম্ভা, কালিয়া, ইমাম, আহমেদ, মৌসী, রামলালের মতো ছোট চরিত্রগুলিও পেয়েছে অমরত্বের স্বাদ। (Sholay)
“বহু গব্বরবাণী আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। যেমন ‘জো ডর গয়া, সমঝো মর গয়া’, ‘ইয়ে হাত হমকো দে দে ঠাকুর’ বা ‘বহুত করারে হ্যায় রামগড় কি বিটিয়া।’”
পাঁচ লক্ষ টাকা আগাম রয়ালটি দিয়ে ‘শোলে’র মিউজিক রাইটস কিনেছিল পলিডর (পরে মিউজিক ইন্ডিয়া লিমিটেড)। প্রথম দিকে কিছুটা হোঁচট খাওয়ার পর ছবি যখন রমরমিয়ে চলতে শুরু করল, তখন দেখা গেল গানের পাশাপাশি দর্শকদের সংলাপও কণ্ঠস্থ। পলিডর এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেনি। প্রথমে তারা ১৫টি ইপি রেকর্ডে (৪৫ আরপিএম) প্রকাশ করে ছবির সংলাপ। পরে এগুলির এলপি এবং ক্যাসেট ভার্শানও প্রকাশিত হয়। (Sholay)
সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয় গব্বরের সংলাপ। কখনও উচ্চস্বরে, কখনও ঠান্ডা গলায়। কয়েকটি নমুনা পেশ করা যাক। পাহাড়ের উপর জলপাই-রঙা পোশাকে, হাতে বেল্ট নিয়ে গব্বরের অস্থির পদচারণা। তারপরই তিন সাগরেদকে প্রশ্ন, ‘কিতনে আদমি থে?’ অথবা ‘আরে ও সাম্ভা! কিতনে ইনাম রখা হ্যায় সরকার হম পর?’ সাম্ভার উত্তর ‘পুরে পচাস হাজার।’ তারপর সেই অমোঘ, ‘অব তেরা কেয়া হোগা কালিয়া?’ বহু গব্বরবাণী আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। যেমন ‘জো ডর গয়া, সমঝো মর গয়া’, ‘ইয়ে হাত হমকো দে দে ঠাকুর’ বা ‘বহুত করারে হ্যায় রামগড় কি বিটিয়া।’ (Sholay)
“খাস দুশমন গব্বরকে প্রথমবার বাগে পেয়ে ঠাকুর বলদেব সিং বলেছিলেন, ‘ইয়ে হাত নহি, ফাঁসি কা ফন্দা হ্যায়।’”
উত্তর ভারতের অবধী ও খড়িবোলী ভাষার সংমিশ্রণে গব্বরের কথাবার্তা বলিউডের খলনায়কতন্ত্রে এক নতুন অধ্যায় যোগ করে। সেই কারণেই জাভেদ ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিলেন, গব্বরের বাড়ি মেক্সিকো আর উত্তর প্রদেশের মাঝামাঝি কোথাও। (Sholay)
খাস দুশমন গব্বরকে প্রথমবার বাগে পেয়ে ঠাকুর বলদেব সিং বলেছিলেন, ‘ইয়ে হাত নহি, ফাঁসি কা ফন্দা হ্যায়।’
গব্বরকে শায়েস্তা করতে কেন জয়-বীরুর মতো দুই ছিঁচকে চোরের দরকার হল? ঠাকুরের সোজাসাপটা উত্তর, ‘লোহা লোহে কো কাটতা হ্যায়।’ আবার যখন খবর আসে, হীরা নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী গব্বরের জন্য আরও কার্তুজ-বন্দুক এনেছে, তখন ঠাকুর জয়-বীরুকে গব্বর শিবিরে চড়াও হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘লোহা গরম হ্যায়, মার দো হাতৌড়া।’ (Sholay)
আবার এই ঠাকুর সাহাবের নরম মনের পরিচয় পাওয়া যায় যখন তিনি তাঁর বিধবা পুত্রবধূ রাধার সঙ্গে জয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রাধার বাবার সঙ্গে দেখা করেন। (Sholay)
“গব্বরের সাগরেদরা যখন তার পিছু নেয়, তখন বসন্তী তার ঘোড়াকে তাতিয়ে দেয়, ‘চল ধন্নো, আজ তেরি বসন্তী কি ইজ্জত কা সওয়াল হ্যায়।’ শোনা যায় প্রতিদিন শুটিং শেষে হেমা টাঙা চালানোর তালিম নিতেন।”
বীরু, বসন্তী, জেলর, সুর্মা ভোপালি। ‘শোলে’র এই চারটি চরিত্রের অভিনয় চড়া সুরে বাঁধা। বসন্তীকে পেতে বীরু কোনও ছলাকলাই বাদ রাখেনি। তার সেরা উদাহরণ, জলের ট্যাঙ্ক থেকে আত্মহত্যার হুমকি এবং বলা যে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে বসন্তীর মৌসি। তার পরিণতি, ‘পুলিস কামিং, বুড়িয়া ইন জেল চাক্কি পিসিং, চাক্কি পিসিং।’ জাভেদ একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এই দৃশ্যটি তিনি শুটিংস্থল রামানগরম থেকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে লিখেছিলেন। সময়ের এত চাপ ছিল তিনি আর একটু হলেই মুম্বইয়ের প্লেন মিস করছিলেন। এর পাশাপাশি, তিনি ও সালিম মিলে, অপরাধমূলক কাজকর্ম ছেড়ে জয়-বীরুর সমাজের মূলস্রোতে ফেরার আকুলতাকে তুলে ধরেছিলেন বেশ কিছু দৃশ্যে। (Sholay)

শোলের মাত্র ছ’টি দৃশ্যে দেখা যায় হেমা মালিনীকে। তাতেই মারকাটারি অভিনয় ড্রিম গার্লের। মনে করুন জয়-বীরুর সঙ্গে টাঙ্গেওয়ালি বসন্তীর প্রথম দেখার মুহূর্তটি। বকবক করাই যার স্বভাব সে কি না বলে, ‘দেখো মুঝে বেফিজুল বাতেঁ করনে কি আদত তো হ্যায় নহি।’ অথবা গব্বরের সাগরেদরা যখন তার পিছু নেয়, তখন বসন্তী তার ঘোড়াকে তাতিয়ে দেয়, ‘চল ধন্নো, আজ তেরি বসন্তী কি ইজ্জত কা সওয়াল হ্যায়।’ শোনা যায় প্রতিদিন শুটিং শেষে হেমা টাঙা চালানোর তালিম নিতেন। (Sholay)
ছবিতে জয়ের সেরা সিন বসন্তীর মৌসির কাছে বীরুর জন্য ঘটকালি করতে যাওয়া। পাত্রের এক রাশ অপযশ কীর্তন করার পর তার সরল প্রশ্ন, ‘রিশতা পাক্কা সমঝুঁ?’ কী করে ভুলি সেই ‘তেরা নাম কেয়া হ্যায় বসন্তী?’র হালকা ঠাট্টা? (Sholay)
“ভাবতে অবাক লাগে ১৯৭৬ সালের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ‘শোলে’ ১০টি নমিনেশন পেয়েও শুধুমাত্র সেরা এডিটিংয়ের পুরস্কার লাভ করে। ন’টি নমিনেশন পেয়ে সাতটিতে বিজয়ী হয় ‘দিওয়ার’।”
দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব ও মধ্য ভারতে এই ছবির পরিবেশক ছিল রাজশ্রী প্রোডাকশনস। ছবি বড্ড লম্বা হয়ে যাচ্ছে, এই অজুহাত দেখিয়ে ‘আংরেজো কে জমানে কে জেলর’ এবং সুর্মা ভোপালির কাণ্ডকারখানার দৃশ্যগুলি বাদ দেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ জানায় রমেশ সিপ্পিকে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তিনি এই প্রস্তাব মেনে নেন। (Sholay)
অন্যদিকে, কলকাতা, মুম্বই এবং দক্ষিণ ভারতে দর্শকরা পুরো ছবিই দেখেন। রাজশ্রীর এলাকার দর্শকরা যখন এ কথা জানতে পারেন, তখন তাঁরা পুরো ছবি দেখার জন্য দাবি জানাতে থাকেন। সেই অধিকার ফিরে পাওয়া মাত্র তাঁরা আবার হলে ফিরলেন। খামখেয়ালি জেলরের ভূমিকায় আসরানি চার্লি চ্যাপলিন ও জ্যাক লেমনের অভিনয়রীতির চমৎকার মিশেল ঘটিয়েছিলেন। (Sholay)

শোলে কেবলমাত্র ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’এর গল্প নয়। শুধু কৃষিকাজ করে দিন গুজরান হবে না। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ইমাম সাহেব ও তাঁর ছেলে আহমেদ। আহমেদকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও শহরের কারখানায় যেতে হয়। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অসাধারণ দৃষ্টান্ত ইমাম সাহেব নিজেই। ‘ইতনা সন্নাটা কেয়োঁ হ্যায় ভাই?’ বলার পর তিনি জানতে পারেন আহমেদ গব্বরের হাতে খুন হয়েছে এবং তার জন্য গ্রামবাসীরা জয়-বীরুকেই দোষারোপ করছে। এর পরই আসে তাঁর হৃদয় বিদীর্ণ করা সংলাপ, ‘জানতে হো দুনিয়া কা সবসে বড়া বোঝ কেয়া হোতা হ্যায়? বাপ কে কন্ধো পর বেটে কা জানাজা।’ (Sholay)
আরও পড়ুন: আসলেই শোলে: ‘শোলে’-র গান: গানকথার সংলাপ
সালিম-জাভেদের আগেও বলিউডে পল মহেন্দ্র, নবেন্দু ঘোষ, আবরার অলভি, শচীন ভৌমিকের মতো চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ লেখক এসেছেন, কিন্তু তাঁরা কেউই ছবির নায়ক-নায়িকার মতো মর্যাদা বা পারিশ্রমিক পাননি। এখানেই এই জুটির সার্থকতা। দুই দশকের কাছাকাছি সময় তাঁদের ২৪টি ছবির মধ্যে ২২টিই হিট। আটের দশকের শেষ দিকে, ছবি পিছু তাঁদের ফি ছিল ২১ লক্ষ টাকা। (Sholay)
ভাবতে অবাক লাগে ১৯৭৬ সালের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে ‘শোলে’ ১০টি নমিনেশন পেয়েও শুধুমাত্র সেরা এডিটিংয়ের পুরস্কার লাভ করে। ন’টি নমিনেশন পেয়ে সাতটিতে বিজয়ী হয় ‘দিওয়ার’। তার মধ্যে ছিল সেরা গল্প, সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা সংলাপ। তিনটিরই প্রাপক সেই সালিম-জাভেদ। (Sholay)
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ছবি সৌজন্য – আন্তর্জাল
দু’দশক ইংরেজি সংবাদপত্রের কর্তার টেবিলে কাটিয়ে কলমচির শখ হল বাংলায় লেখালেখি করার। তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কয়েকজন ডাকসাইটে সাংবাদিক। লেখার বাইরে সময় কাটে বই পড়ে, গান শুনে, সিনেমা দেখে। রবীন্দ্রসঙ্গীতটাও নেহাত মন্দ গান না।