

ছোটগল্প: জোড়াতালি
সুদেষ্ণা আর তমালের দাম্পত্যের বয়স দশ। কিন্তু এরমধ্যেই সেটা পাতা খসা ন্যাড়া গাছের মতো নিষ্প্রাণ, অসাড়। তার উপর এল লকডাউন। সারাক্ষণ পাশাপাশি থাকা। সবুজ পাতা কি গজাবে জোড়াতালির এই সম্পর্কে? লিখছেন অন্বেষা দত্ত।
সুদেষ্ণা আর তমালের দাম্পত্যের বয়স দশ। কিন্তু এরমধ্যেই সেটা পাতা খসা ন্যাড়া গাছের মতো নিষ্প্রাণ, অসাড়। তার উপর এল লকডাউন। সারাক্ষণ পাশাপাশি থাকা। সবুজ পাতা কি গজাবে জোড়াতালির এই সম্পর্কে? লিখছেন অন্বেষা দত্ত।
বীথিকা -সমরেন্দ্রর যৌবনে এই সকল অঞ্চলে প্রান্তরের আয়তন ধু ধু বিশেষণে বিভূষিত হইত, ‘বীরপুরুষ’ পঠনকালে বালক বালিকার এ’মত প্রান্তর স্মরণে আসিত অবশ্যম্ভাবী।
বাড়িতে মা-ও তার অসুখের সময় খুব যত্ন করে, কিন্তু সঙ্গে বকুনিও চলে। এখানে বকুনি নেই, শুধু আদরটাই আছে। শাশুড়ি-মায়ের আঁচল ধরে শুয়ে থাকল কলি।
বিয়ে করে মুম্বই প্রবাসী অমৃতার সঙ্গে দেখা হয় প্রাক্তন প্রেমিক, নাট্যকার শাম্বর সঙ্গে। তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দেখে ফেলেন অমৃতার শাশুড়ি। তারপর কী হয়? শাশুড়ি-বৌমার গল্প মানেই গতে বাঁধা সম্পর্কের বুনন নয়, লিখলেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাগে অভিমানে মাথা খারাপ হয়ে গেল অমৃতার। ও হাত বাড়িয়ে শাম্বর কলারটা ধরে বলল, আমি কার জন্য উন্মত্ত হয়েছি শাম্ব? কার জন্য?
স্বস্তিকা কী বলবে কথা খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে শুনতে ভাল লাগছিল। কত বছর পর আবার মায়ের গলা। একটু বেশিই কি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে ও? খেয়ে দেয়ে মা পৌঁছে দিয়ে এল ঘরে। কুঞ্জকাকা সুন্দর করে পরিষ্কার করে ধূপ জ্বালিয়ে রেখেছে। বিকেলে দেখা হবে স্বস্তিকার বন্ধুদের সঙ্গে… তারপর? লিখছেন সৈকত ঘোষ।
তিনদিন পর দাদার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ফেরেনি। বাড়ির মেন গেটে তালা দেবার দায়িত্ব আমার। বিছানায় উপুড় হয়ে হিমু সমগ্র পড়ছিলাম। বৌদির উপহার। জন্মদিনে। ‘আর আসবে না, তালাটা দিয়ে দাও।’ আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই দোতলায় চলে গেল বৌদি। দাদা কি তাহলে আর ফিরল না? অভিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প। …
সুচারু আর বরুণার নিটোল সংসারবৃত্ত থেকে আচমকাই ছিটকে গিয়েছিল সুচারু। অস্থির রাজনীতির ঘূর্ণির মধ্যে গা ভাসিয়ে অনেক দূরের পথে সরে গিয়েছিল সে। সে ঘূর্ণি একদিন থেমে গেল। সময়ের পলি পড়ে থিতিয়ে এল উত্তেজনা। সুচারুর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হল। কিন্তু পারল কী? লিখলেন স্নিগ্ধা সেন।
সুচারু আর বরুণার নিটোল সংসারবৃত্ত থেকে আচমকাই ছিটকে গিয়েছিল সুচারু। অস্থির রাজনীতির ঘূর্ণির মধ্যে গা ভাসিয়ে অনেক দূরের পথে সরে গিয়েছিল সে। সে ঘূর্ণি একদিন থেমে গেল। সময়ের পলি পড়ে থিতিয়ে এল উত্তেজনা। সুচারুর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হল। কিন্তু পারল কী? লিখলেন স্নিগ্ধা সেন।
সুচারু আর বরুণার নিটোল সংসারবৃত্ত থেকে আচমকাই ছিটকে গিয়েছিল সুচারু। অস্থির রাজনীতির ঘূর্ণির মধ্যে গা ভাসিয়ে অনেক দূরের পথে সরে গিয়েছিল সে। সে ঘূর্ণি একদিন থেমে গেল। সময়ের পলি পড়ে থিতিয়ে এল উত্তেজনা। সুচারুর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হল। কিন্তু পারল কী? লিখলেন স্নিগ্ধা সেন।
সুচারু আর বরুণার নিটোল সংসারবৃত্ত থেকে আচমকাই ছিটকে গিয়েছিল সুচারু। অস্থির রাজনীতির ঘূর্ণির মধ্যে গা ভাসিয়ে অনেক দূরের পথে সরে গিয়েছিল সে। সে ঘূর্ণি একদিন থেমে গেল। সময়ের পলি পড়ে থিতিয়ে এল উত্তেজনা। সুচারুর ঘরে ফিরতে ইচ্ছে হল। কিন্তু পারল কী? লিখলেন স্নিগ্ধা সেন।
অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে বর হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েটাকে পড়শির ঘরে রেখে একমাসের দুধের ছেলে কোলে নিয়ে হাসপাতালে বসে থাকে অসহায় রুমকি। অনেক টাকা লাগবে বরের অপারেশন করাতে। কোথায় পাবে টাকা? ঋভু চট্টোপাধ্যায়ের গল্প….
মাধববাবু আমেরিকায় ছেলেমেয়ের কাছে এসে রয়েছেন বছর দশেক হল। বরাবর পুজোর নাটকে প্রম্পটারের ভূমিকা তাঁর বাঁধা। কিন্তু এ বারে ঘটল অন্যরকম। লিখছেন আনন্দ সেন।
বিখ্যাত কবির স্ত্রী অদিতি এখন একা। প্রয়াত হয়েছেন কবি। একাকিনী স্ত্রীর দিন কাটে স্মৃতি আঁকড়ে। শুধু নিজের পা-দু’টিকে নিয়েই বড় উদ্বিগ্ন, বড় ব্য়তিব্যস্ত হয়ে থাকেন তিনি। কেন? কাবেরী রায়চৌধুরীর ছোটগল্প…
অমলা শোবার ঘরের খাটে থেবড়ে বসেছেন। পাও তুলেছেন। হাতের ব্যাগ, কাঁধের ঝোলা, পানের ডিবে খাটের ওপরেই ছড়িয়েছেন। লাল পাড় শাড়ির সঙ্গে রঙ মিলিয়ে লাল জামা। তাকে দেখাচ্ছে ভারী সু্ন্দর। স্নান করে এসেছেন। চুলগুলো এখনও ভেজা ভেজা।
ডাক্তারির আসল কথা কি বইতে লেখা থাকে? না। আসল রহস্য লুকিয়ে আছে মড়া কাটায়। আর সে কথা দিনু স্যারের চেয়ে বেশি ভালো করে আর কে জানে? কে এই দিনু স্যার? এ নামে তো কোনও শিক্ষক নেই মেডিকেল কলেজে!
We use cookies to ensure that we give you the best experience on our website. If you continue to use this site we will assume that you are happy with it.
Ok