(Mountains)
টানা একঘেয়ে বৃষ্টির পর একটু বিরতি। কালিম্পঙের দেওরালি গ্রামে একটা চা-দোকানে বসে আছি। যাব রংপো। তার আগে বিপিন আর রাজু বলল, দেওরালিতে একটু বসে যাই। চা-টা খাওয়া হবে। বৃষ্টিও ধরুক। তিস্তার অবস্থা ভাল নয়। রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। সেবক রোড কিংবা তিস্তা ভ্যালি রোড জুড়ে নানা জায়গায় ধস। গাড়ি নিয়ে সামান্য এগোতেও ভয় করে। বৃষ্টি সত্যিই ধরল। (Mountains)
চায়ে চুমুক দিতে-দিতে হঠাৎ চোখে পড়ল, আকাশ ফুঁড়ে একটা অদ্ভুত আলো নেমে আসছে। মেঘ ছিঁড়ে একাধিক অভিসারী আলোর রেখা। ঠিক এই আলোই দেখেছিলাম তুঙ্গনাথের ওপরে চন্দ্রশিলা থেকে। অসিতদা বলেছিল, এটা ক্রেপিউসকুলার রে। ‘রে অব হোপ’ যেন। প্রকৃতি আলোর রেখা পাঠিয়ে যেন আশ্বাস দিচ্ছে, এবারে সব দুর্যোগ থেমে যাবে। বিপিন তা দেখে বলেই উঠল, আর বৃষ্টি হবে না। (Mountains)
বিপিন, রাজু দুজনেই স্থানীয় মানুষ। আবহাওয়া নিয়ে স্থানীয়রা কিছু বললে কেমন অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, অব্যর্থ। সঙ্গে এই আলো দেখে সেই বিশ্বাস আরও গেঁথে গেল। বললাম, চলো ওঠা যাক তাহলে। (Mountains)
বিপিনের কথা সত্যিই মিলে গেল। সেদিন আর বৃষ্টি নেই। আমরা রংপো ঘুরে, আশপাশের আরও কয়েকটা গ্রামে কথাবার্তা বলে নেমে এলাম শিলিগুড়ি। খানিক মনঃক্ষুণ্ণ হয়েই। সেবক-রংপো প্রায় ৪৫ কিমি ব্রডগেজ রেলপথ বসবে, ফোর লেন চওড়া হবে রাস্তা। তার জন্য বিপুল জমি লাগবে, একশো একর জঙ্গল সাফ হবে। পাহাড় ফুটো করে চোদ্দটা টানেল হবে। একটা নবীন, ভঙ্গুর পর্বতশ্রেণি জুড়ে এমন কাজকম্ম হলে পাহাড়, বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতির ভারসাম্য যে কী পরিমাণে নষ্ট হবে আন্দাজ করা কঠিন নয়। (Mountains)
স্থানীয়রা অনেকেই এর বিরোধিতা করেছিলেন শুরুতে। আদালতে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু সেসব বেশিদিন টেকেনি। বাবুরা গ্রামবাসীদের কাউকে-কাউকে বোঝান, ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা নেহাত মন্দ নয়। তাছাড়া, উন্নয়ন হলে রোজগার বাড়বে। ট্যুরিস্ট আসবে। গাড়ি বাড়লে রাস্তার পাশে দোকান দেওয়া যাবে। (Mountains)
“আর এর মাস দেড়েক পরেই হঠাৎ করে সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে তিস্তায় হড়পা বান এল। ভয়াবহ বান। কত মানুষ যে সেই বানের জলে ভেসে গেলেন, ইয়ত্তা নেই।”
আরও নানা প্রলোভনের টোপ ছিল। সঙ্গে যা হয়, খানিক ভয়-টয়ও দেখানো হয়েছিল। অতএব, প্রতিরোধ ক্রমে ঝিমিয়ে পড়ল। প্রোজেক্টের কাজও শুরু হল পুরোদমে। আমরা সেদিন গিয়ে দেখলাম, গ্রামগুলোতে অদ্ভুত পরিস্থিতি। অনেকে সবটা নিয়ে হতাশ। অনেকে সহজে মুখ খুলতে চান না। কেউ-কেউ আবার নিজের অবস্থান নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। কাঁচা টাকার অদৃশ্য গন্ধও ইতিউতি ভেসে বেড়াচ্ছে। (Mountains)
কিংবা হয়তো আমারই মনের ভুল। লোকসাম নামের এক তরুণ যেমন আমাদের দেখেই বলে উঠল, ‘আরে, যা হচ্ছে, সব সার্ভে করেই হচ্ছে। আমাদের দু-পয়সা রোজগার হলে কী ক্ষতি আপনাদের?’ আরেকজনও বললেন, ‘এতদিন পরে আমরা সবাই একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি…’ ভালই বয়স তাঁর। ষাট তো হবেই। (Mountains)

আশার আলো। ‘রে অব হোপ’। আশা আর লোভ কতখানি দূরবর্তী শব্দ? যে-মানুষগুলো এতদিন পাহাড়-নিসর্গ-গ্রাম লাগোয়া বন আঁকড়ে বাঁচলেন, যাঁদের দেখে একটা অমিত ভোগের জীবনকে প্রশ্ন করার তাগিদ জন্মাল, তারাই এই উন্নয়নী কর্মযজ্ঞে ‘আশার আলো’ খুঁজে পান! হাতে কিছু পয়সা আসবে, একটু বিলাসের জীবন হবে। তাছাড়া ট্যুরিস্ট এলে ভবিষ্যতেও রোজগার স্থায়ী খাতে বইবে। এই ‘সামান্য’ চাওয়ায় কতখানি স্খলন? আমি শহুরে মানুষ, আমার অধিকারই বা কী এই নিয়ে সমালোচনার তত্ত্ব নামানোর! (Mountains)
অতএব, সবটা দেখে-শুনে-বুঝে আমরা নেমে এলাম। পরেরদিন থেকে ফের বৃষ্টি। কলকাতায় ফেরার পরেও মাঝেমধ্যে খবর পাচ্ছিলাম, জলপাইগুড়ির আশপাশে তিস্তা নানা গ্রামের মাটি খেয়ে নিচ্ছে। আর এর মাস দেড়েক পরেই হঠাৎ করে সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে তিস্তায় হড়পা বান এল। ভয়াবহ বান। কত মানুষ যে সেই বানের জলে ভেসে গেলেন, ইয়ত্তা নেই। সেই ধ্বংসলীলা থিতিয়ে আসার পর, ডিসেম্বরে ওই একই রাস্তা ধরে যেতে-যেতে দেখি রাস্তার দু-পাশ জুড়ে শুধু ক্ষতচিহ্ন। (Mountains)
“আজও, তিস্তার পাড় বরাবর ঘোরাফেরা করলে সেই বিপর্যয়ের গল্পগুলো ভনভন করে। স্থানীয়রা নানাকিছু বলেন। অনেকে আজও ক্ষতিপূরণ পাননি। পুরনো রংপো গ্রামটা আর নেই।”
সেই দেওরালি বা সামান্য দূরে মেলি গ্রামের ঘরে-ঘরে ফাটল। পাহাড়ে ফাটল। অন্যান্য গ্রামে অনেকেরই ঘর-বাস্তু ভেসে গেছে। কারও পরিজনদের খোঁজ নেই। ক্ষতিপূরণের টাকা আসেনি। কাগজপত্র ভেসে যাওয়ায় সবটাই অতল অন্ধকারে। (Mountains)
আর পুরনো রংপো গ্রামে বসে যে-বয়স্ক মানুষটি উন্নয়ন ঘিরে আশার আলো দেখতে পাওয়ার কথা বলেছিলেন আমাদের, সেই গোটা রংপো গ্রামটাই ভেসে গেছে। গ্রামবাসীরা আপাতত ঘর-ছাড়া। সবাই। (Mountains)
আজও, তিস্তার পাড় বরাবর ঘোরাফেরা করলে সেই বিপর্যয়ের গল্পগুলো ভনভন করে। স্থানীয়রা নানাকিছু বলেন। অনেকে আজও ক্ষতিপূরণ পাননি। পুরনো রংপো গ্রামটা আর নেই। সে তো অনেক গ্রামই আর নেই। তিস্তার চর ঘেঁষা লালটং আর চমুকডাঙিও ভেসে গেল। গ্রামবাসীরা শহরের নতুন বস্তিতে পুনর্বাসন পেলেন। কিন্তু তাতে কি আসল গল্পটা বদলে গেছে? পাহাড়-বন কাটার প্রকল্প বন্ধ হয়েছে? তিস্তার বুকে বাঁধ দেওয়া আটকেছে? (Mountains)
আরও পড়ুন: স্থানান্তর: তরাই, বন, পাহাড়, নিসর্গ: ‘অথবা এমনই ইতিহাস’
কতজন প্রশ্ন করছেন, এভাবে আর কতদিন? সামাজিক পরিসরে একটা সহজ বোঝাপড়া ঘটে গেছে যেন, বিপর্যয় তো আসবেই। বড়-ছোট যেমনই হোক। কিন্তু তাতে উন্নয়নের গল্পটায় যেন আঁচড় না লাগে। উন্নয়ন একটা অমিত শক্তিধর শব্দ। সে অবধ্য, অক্ষয়। ওই যে, রংপোর বয়স্ক মানুষটি বলেছিলেন, ‘আশার আলো’। অতএব, যা-ই ঘটে যাক, ওই আলোটা ধাওয়া করে যেতে হবে। ক্রমাগত। (Mountains)
আশার বিপরীতে নৈরাশ্য। আলোর উল্টোপিঠে অন্ধকার। বোঝার চেষ্টা করি, নৈরাশ্যের অন্ধকার ঠিক কেমন? এই যে, পাহাড় জুড়ে ঢালাও পর্যটক, এর প্রয়োজনে ক্রমাগত বেড়ে চলা হোটেল-রিসর্ট-প্রোমোটিং, এগুলো আলো! অথচ, এই আলোর ভাগশেষে নদীর চরিত্র বদলে যায়, নদীর পার দখল হয়ে যায়, হাজার-হাজার গাছ কাটা পড়ে, বন সাফ হয়, ধসপ্রবণ পাহাড় জুড়ে নানা নির্মাণ চলে। সবই আলোর স্বার্থে। উন্নয়নের স্বার্থে। সাধারণ মানুষের উপার্জন বৃদ্ধির স্বার্থে। (Mountains)

এই আলোর চাকা বন্ধ হলেই অন্ধকার। উন্নয়ন থমকে গেলে নৈরাশ্য। সহজ অঙ্ক। আর এই মাঝের না-মেলা অঙ্কগুলো? তিস্তার বান, পাহাড় জুড়ে ধস, একের পর এক বিপর্যয়? (Mountains)
খবরে দেখলাম, সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে পাহাড়-ডুয়ার্স বিপর্যস্ত। দুধিয়া সেতু ভেঙে পড়েছে। নানা জায়গায় ধস। অনেকে মৃত। মিরিকের এক বাসিন্দা বলছেন, এমন বিপর্যয় তিনি আগে দেখেননি। প্রায় হাহাকার করে বলছিলেন, এখন পিক সিজন, পাহাড়ে এত ট্যুরিস্ট… (Mountains)
“স্থানীয় মানুষদের হোম-স্টে, ছোটখাটো খাবারের দোকান বা ‘ট্যুরিস্টরা এলে বেঁচে থাকব’ নামক ইচ্ছেটায় হয়তো এত বড় বিপর্যয়ের ভূত লুকিয়ে থাকে না। লুকিয়ে থাকে ‘উন্নয়নের আলো’ বিষয়টাকে অমিত ধ্বংসাত্মক করে তোলার পিছনে।”
ট্যুরিস্ট মানে আলো। অথচ, বছর দশেক আগেই মিরিক, দুধিয়া, সুখিয়াপোখরি পর্যন্ত ভয়াবহ ধসে প্রায় চল্লিশ জন মারা গেছিলেন। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল বিপুল। মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই খবর শোনা ইস্তক চেনা দু-তিনজনকে ফোন করেই যাচ্ছি। পাওয়া যাচ্ছে না। এমন বিপর্যয়ের স্মৃতিও দশ বছরে আবছা হয়ে আসে। প্রকৃতি কামড় দিলেও সেই দাগের ব্যথা মিলিয়ে আসে। (Mountains)
জীবন সামনে মুখ করে দৌড়য়। আলোর পথযাত্রী, থামা চলবে না। সামান্য দু-দণ্ড দাঁড়িয়ে বোঝা চলবে না, কেন এমন হচ্ছে! দাঁড়ালেই বিপদ। দাঁড়ালেই উন্নয়ন ধাক্কা খাবে। রোজগার ধাক্কা খাবে। সে এক অন্ধকারের গল্প। আমরা তো তিমিরবিনাশী হতে চাই, তাই না? (Mountains)
অতএব, বিপর্যয়ের পরেরদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসে রৌদ্রকরোজ্জ্বল কাঞ্চনজঙ্ঘা। দার্জিলিং থেকে ট্যুরিস্টরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আলোকোজ্জ্বল পাহাড়ের ছবি। বিখ্যাত কেক-পেস্ট্রির দোকানের সামনে আলো ঝলমলে ‘হোপ’। আশার আলো। আলোকদ্যুতিময় নিজস্বী। পাহাড় ছন্দে ফিরেছে। সব ঠিক আছে। (Mountains)
তিস্তাপাড়ের এক দোকানি আমাদের বলেছিলেন, ‘বাড়িঘর গেছে। ক্ষতিপূরণ পাইনি। জানি, আজ নাহোক কাল ফের সব যাবে। কিন্তু আপনারা আসবেন। ট্যুরিস্টও আসবে। বন্ধ কিছুই হবে না।’
তলিয়ে ভাবলে স্থানীয় মানুষদের এই নির্বিচার আশাবাদকে খুব একটা দোষ অবশ্য দেওয়া যায় না। তাঁদের রুটি-রুজি, রোজগার, জীবিকা, বেঁচে থাকা এই ‘আশা’র আলোর ওপর, এই নির্মিত সত্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই নির্মাণটা করছে যারা, যারা ক্রমাগত এই আকাঙক্ষা চাপিয়ে দিচ্ছে সামাজিক মনের বাস্তুতন্ত্রে, তারপর ক্রমাগত অতিকায় করে তুলছে, যারা উন্নয়নের আলো, আশার আলোর মতো মিথ্যাগুলোকে সত্যি বলে চালিয়ে দিচ্ছে, তাদের ওপর আলো ফেলবে কে? (Mountains)
স্থানীয় মানুষদের হোম-স্টে, ছোটখাটো খাবারের দোকান বা ‘ট্যুরিস্টরা এলে বেঁচে থাকব’ নামক ইচ্ছেটায় হয়তো এত বড় বিপর্যয়ের ভূত লুকিয়ে থাকে না। লুকিয়ে থাকে ‘উন্নয়নের আলো’ বিষয়টাকে অমিত ধ্বংসাত্মক করে তোলার পিছনে। সেখানে উন্নয়নের মানে দাঁড়ায় নদীকে মেরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, ক্রমবৃদ্ধিশীল নগর, প্রকৃতি-ধ্বংসকারী শিল্পতালুক। এবং এমন একটি গল্প তৈরি করা হয় যে, এগুলোই অগ্রগতি, এগুলো ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। (Mountains)

উন্নয়নের আলো, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নানাবিধ আলো, ঝিকিমিকি আলো, চকচকে আলো, সাদামাটা জীবনের, প্রকৃতিলীন সাধারণ যাপনটাকে যেন আরও অন্ধকারাচ্ছন করে তোলে। যেন মনে হয় এই বেঁচে থাকা বিকট, এই বেঁচে থাকা আসলে নৈরাশ্যে বুঁদ হয়ে থাকা। (Mountains)
কখনও কখনও আলোকে তাই অশালীন লাগে। মনে হয়, আলো সর্বগ্রাসী। মনে হয়, সভ্যতার একটা বড় পর্বজুড়ে আলোর চরিত্র আসলে খাদকের। তরাইয়ের বুনোঝোপ পুড়িয়ে দেওয়া আগুনের বীভৎস আলো, বনের ভিতর আলো, পাহাড়ের গায়ে অকাতরে আলো, নদীর বুকে দৈত্যাকার ড্যামের আলো। আলোই আলোর ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলে। সব অন্ধকার, সব নৈঃশব্দ্য দখল করতে হবে আলো দিয়ে। যা পুঁজি উৎপাদনের কাঁচামাল নয়, যা দখলের বস্তু নয়, তাকেও দখল করবে আলো। সেই আলো চোখ ঝলসে দেবে। পাখিদের অন্ধ করে দেবে। আলো নিসর্গকে খেয়ে ফেলবে। তারপর সেই ধংসের গল্পগুলোও ঢেকে যাবে উজ্জ্বল, রংচঙে আলোয়। (Mountains)
আরও পড়ুন: স্বদেশে উদ্বাস্তু- দ্বিতীয় পর্ব
তিস্তাপাড়ের এক দোকানি আমাদের বলেছিলেন, ‘বাড়িঘর গেছে। ক্ষতিপূরণ পাইনি। জানি, আজ নাহোক কাল ফের সব যাবে। কিন্তু আপনারা আসবেন। ট্যুরিস্টও আসবে। বন্ধ কিছুই হবে না।’ (Mountains)
‘বন্ধ কিছুই হবে না’। মনে হয়, এর চাইতে ধ্রুবসত্য আর কিচ্ছু নেই। বাসববাবু ফিজিক্স পড়াতে গিয়ে বলেছিলেন, আলো এসে পড়ছে বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। আলো না থাকলে দৃষ্টি নেই, দেখা নেই, বস্তু নেই। এই সব দেখাও তাই আলো দিয়ে দেখা। আলো জুড়ে-জুড়ে বাঁচা। আলো দিয়েই ঢেকে রাখা অবশ্যম্ভাবী আশঙ্কার অন্ধকার। এই আলো আছে বলেই আমরা বুঝতে পারছি না, ভবিষ্যতের গর্ভ জুড়ে অন্ধকারের গল্পগুলো আরো জমাট হচ্ছে, গোকুলে বাড়ছে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, আলো আসলে ভ্রম। মনে হয়, আলোর চেয়ে বেশি মিথ্যা আর কেউ বলে না। (Mountains)
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
অনিতেশ চক্রবর্তী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র। গবেষক। পড়ানো ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ। অত:পর আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলিতভাবে নিজস্ব সংস্থা। ভালোবাসেন তথ্যচিত্র বানাতে। বনগ্রাম ও বনাধিকার নিয়ে কাজের সূত্রে উত্তরবঙ্গ তথা ভারতের নানা বনাঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সম্পাদনা করেছেন একাধিক পত্রিকা ও মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক দুটি বই। কবিতার বইও আছে একটি।