(Homestay)
জল বিয়োগের জরুরি প্রয়োজনে ক্ষণিকের বিরতি। পথের ধারে প্রায়ান্ধকার ধুপি বনের ফাঁকে, নীল আকাশে মেঘের ভেলার মতো ঘুমন্ত বুদ্ধ ভেসে আছেন। আমরা বিস্মিত ও পুলকিত। গিরি শিখরের যে উন্মুক্তরূপ পেতে এত ঘর্মপাত, এত চরণ ঘর্ষণ, এত চড়াইয়ের সাথে লড়াই করে এলাম, তা এই অখ্যাত পুঁচকে জনপদে এত সুলভে মিলে গেল! এই দর্শন এ যেন নতুন আবিষ্কার। তবে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর গড়ে এখানেই থেকে যেতে পারতাম যদি… কিন্তু… (Homestay)
ঘটনা দুই: মোহনীয় এক নালার ধারে নড়বড়ে কাঠের ঘর, প্রেম রাইদের। নিবিড়
অরণ্যের কোলে অর্গানিক চাষাবাদ। পাখি ও প্রজাপতির ওড়াউড়ি। নালার বুকে পাথরের ফাঁকে ক্যাটফিশ মাছের উৎসব। (Homestay)
আরও পড়ুন: হোমস্টে: এসো আমার ঘরে এসো
-ও প্রেমভাই, এক চিলতে জমি দেবে? এই নালার ধারে বাঁশের সাঁকোর ওপারে গাছের নিচে, পাথরের ঘর সাজিয়ে, নদীর সুরে সুর মিলিয়ে, মৎস্য ধরি রইব সুখে।
-কী যে বলেন স্যার। এটা একটা থাকার জায়গা হল? লোকজন, বাজার-হাট, বিজলী, সিনেমা হল কিছুই তো নেই।
-নেই বলেই তো সুখ ও শান্তি এরা সব স্বস্তিতে আছে এই নদী পাহাড়। এ অরন্যের প্রেমে পড়ে গেছি প্রেম ভাই।
-যদি সত্যিই থাকতে চান তো কেনার কী দরকার। ধরে নিন এই ঘর জমিন সবই আপনার। (Homestay)

তিন নম্বর ব্যাপার: কাছে দূরে নিরন্তর ছুটে বেড়ানো দুরন্ত প্রবীরের এখন দরকার এক কাপ লিকার চা। কিন্তু এই বিজন বিভুই দিকশূন্যপুরে কোথায় পাবেন তা? ওই ঢালটার ওপাশে একটা চালার কোনচে দেখা যাচ্ছে না? সেটা টার্গেট করে সর্পিল পথে সেখানে পৌঁছে বিস্ময়। খাদের উপর ঝুল বারান্দা। নিচে কাছে দূরে এপাশে ওপাশে অনন্ত নীলাভ খাদ যতদূর নজর ঘোরে, ঘন অরণ্য। অনাঘ্রাত সেই অন্দরমহলের বুকে দড়ির মতো জলপ্রপাত। এখানে দাঁড়ালেই অন্তর পবিত্র হয়ে ওঠে। মায়ার ঘোর। অনাহুতদের পেয়ে একলা থাকা মায়া গুরুং দড়ির চৌপায়া পেতে দেয় বারান্দায়। আবেগদীপ্ত প্রবীর বলে, ‘একটা পরিচচ্ছন্ন ওয়াশরুম করে ফেলুন’। মায়াকে বোঝাতে থাকে হোমস্টে হিসেবে চালালে কীভাবে বদলে যেতে পারে স্বামীপরিত্যক্তা এই মায়াদের ভাগ্যলিপি। কিন্তু… (Homestay)
চার নম্বর ব্যাপার: কয়েক বছর পর। প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক বিরক্ত। কেন?
“প্রবীর বাবুদের মতো ভ্ৰমণিকদের পরামর্শে মায়া কল্পনা ও মোহনরা তাদের ঘর-সংসার সাজিয়ে তুলেছিল তাঁদের সাধ্য অনুসারে। অতিথিদের সুবাসে ভরে থাকত তাদের সংসার।”
-বেড়ানোর খরচটা এবার সাধ্যের মাথায় গাট্টা বসাচ্ছে রে। সৌম্য বলে,
-প্যাকেজে ট্যুরের নরম নিশ্চিন্ততা আর পরম আরাম ছেড়ে চাইছিস টা কী?
-কম খরচে শান্ত প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির আরাম।
-শোন, সোনার পাথর বাটিতে আশ মিটিয়ে চুমুক দিতে হোমস্টের সন্ধান কর। ন্যায্য মূল্যে নির্ভেজাল প্রাপ্তি। (Homestay)
তারপর থেকে প্রান্তিক বার বার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে। একা বা সপরিবারে, এবং সঙ্গীসাথিদের সাথে। এভাবেই ক্রমে ক্রমে অনবদ্য আত্মীয়তার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গেল অনাত্মীয় প্রেম রাই, মায়া গুরুং, মোহন ছেত্রী, সন্তোষ রানা, এদের সাথে।

অঘটন এক: বছর দশ পার। আজ প্রান্তিক বেশ হতাশ। ওই সহজ সরল হোমস্টেগুলো যে আর আগের মতো নেই। আন্তরিকতা সারল্য গ্রাম্য আতিথেয়তার বদলে শান্তির নীড়গুলো ক্রমে ক্রমে কেতাদুরস্ত আরাম আর বিলাসের বাড়াবাড়ির দোকানদারিতে তা যেন এক মোড়কসর্বস্ব পণ্য হয়ে উঠল। কেন এমন হল? (Homestay)
প্রবীর বাবুদের মতো ভ্ৰমণিকদের পরামর্শে মায়া কল্পনা ও মোহনরা তাদের ঘর-সংসার সাজিয়ে তুলেছিল তাঁদের সাধ্য অনুসারে। অতিথিদের সুবাসে ভরে থাকত তাদের সংসার। ফোনাফুনি হলেই ওরা পীড়াপীড়ি করত “সাব, এবার প্রচুর ফুল ফুটেছে। চলে আসুন”। নয়তো, “সাব আপনার কল্পনা বহিন স্বপ্নে আপনাকে দেখে কাঁদছিল। কত দিন আসেননি এখানে। গরুর দুধের ঘি বানিয়ে রেখেছে আপনার জন্যে”। (Homestay)
আরও পড়ুন: হোমস্টে: পর্যটনের নয়া ঠিকানা হেরিটেজ হোমস্টে
সেই সব দিনে ইচ্ছে হলেই ছুটি খুঁজে ছুটে যেতেন ভ্রমনপ্রেমীরা। প্রেম, মায়া, কল্পনাদের হাতে টাকা গুঁজে দিতেন জোর করে। ওদের চোখে টপটপ করে জল পড়ত। অন্তর থেকে বলে উঠত, “আবার কবে আসবেন”? কিন্তু আজ আর সেই সব হোমস্টে তেমন করে মন টানে না। কেন? এমন সব পবিত্র ইচ্ছেগুলো উড়ে যাওয়ার কারণ কী?
হ্যাঁ কারণ অনেক আছে। সৎ ভ্রামণিকদের পরামর্শ, পরিকল্পনায় আর সমাজ বন্ধুদের সহযোগিতায় ভুমিজদের পরিশ্রমে ও যৎ সামান্য জমানো অর্থের বিনিময়ে যে স্বপ্নের হোমস্টের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর আর তাদের হাতে থাকল না। স্বপ্ন বিকিয়ে গেল এজেন্টদের কাছে, ট্রাভেল ট্রাউটদের কাছে। কীভাবে? মালিকদের হাতে-গরম দুশ্চিন্তাহীন মোটা আয়। উপরি কেয়ারটেকারের মাহিনা। বয়স বাড়ছে, খাটনিবিহীন আয় মন্দ কী! তাই এখন হোম স্টে হয়ে গেল ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’। প্যাকেজ বুকিং এর ছকে ভূমিজরা আজ নিজভূমে পরবাসী হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে ফেলছে নিজস্বতা। (Homestay)

এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল এক বাণিজ্যসফল এজেন্সির মালিক ঝকঝকে অঙ্কিতার সাথে। “এসবের কারণ তো দাদা বহুমুখী। কিন্তু এক কথায় বলি গ্রাম থেকে ওদের পক্ষে এই প্রোডাক্টের মার্কেটিং সম্ভব ছিল না। তাই আমরা নানাভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে চ্যানেল ও ব্লগারদের দিয়ে হোমস্টেগুলোকে জনপ্রিয় করেছি। তার খরচ আছে। আমার এজেন্সির মার্জিন আছে। সেসব খরচ তো আমি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে তুলে নেব। তাই খরচ তো বাড়বেই। (Homestay)
আরও ভেবে দেখুন, আজ যে গেস্টকে আমি পাঠালাম, তাকে কম খরচের টোপ দিয়ে নিজের পকেটে পুরে নিল হোমস্টের মালিক। আমাদের হাতে গড়া ব্যবসার ক্ষতি। তাই ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও ব্যবসা বাড়াবার জন্য আমরা ওদের থেকে লীজ নিয়ে নিলাম। ওদের দেখিয়ে দিলাম বিনা খাটনিতে কত বেশি আয় করতে পারবে ওরা। আমারও লাভ। লাভ ওদেরও। (Homestay)
“এই পণ্যের সন্ধানীদের একজন প্রদ্যুৎবাবু। প্রমোটারী থেকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। তা থেকে ট্যুরিজম ডেভলপার কাম অপারেটর।”
-কিন্তু তাতে তো গ্রাহকদের দশ টাকার পরিষেবা কিনতে হচ্ছে বিশ টাকায়। আর আন্তরিকতার বদলে জুটছে অবহেলা। পরিষেবাও মার খাচ্ছে। অঙ্কিতা বলে, “দাদাভাই এটাই তো বাজার অর্থনীতির অবধারিত গতিপ্রকৃতি”।
তো বর্তমানের এই হোমস্টের গতিপ্রকৃতি ও সুনিপুণ বুদ্ধিদীপ্ত অর্থনীতি বুঝতে google রিভিউ ঘেঁটে ইউটিউব ভিডিও আর ব্লগ ঘেঁটে হাজির হলাম এক জনপ্রিয় হোমস্টেতে। (Homestay)
জঙ্গলের মধ্যে বেশ জাঁকজমকসহ প্রায় তারকা সুলভ ব্যবস্থাপনা। আলোতে আওয়াজে জঙ্গলের নাভিশ্বাস। এসি ঘর, ডাইনিং। মিনি সুইমিং পুল। মিনি ডিজেতে উৎকট নাচাগানা। বার-বি-কিউ এর আগুন। গেলাসে গেলাসে উল্লাস। গাছের ওপর টাওয়ার, ট্রি হাউস, আর বার-কাউন্টারে অঢেল রোজগারের আয়োজন। (Homestay)

ম্যানেজারকে বলি, এই নির্মল প্রকৃতির মাঝে এসবের কি এতটা দরকার ছিল? তিনি হেসে অকপটে জানালেন,
-পাবলিক যেমন চায় তেমন তো দিতে হবে স্যার। কারেন্ট ট্রেন্ডস।
-কিছু বুঝলাম। আর বুঝলাম না আরও অনেককিছু। (Homestay)
-বেশি কিছু বুঝে লাভ নেই স্যার। এসব নামেই হোমস্টে। ট্যাক্স বাঁচাতে ছলাকলা। আপনারা অনেক কিছু জানতে পারেন না, আমরা জানি। এটা বানাতে কতটা জঙ্গল সাবাড় করতে হয়েছে। পাহাড়ের কোন ঢালে কোন নালায় কতটা আবর্জনা কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সে সবকিছু ঘাঁটতে গেলে বুদ্ধিটাই ঘেঁটে যাবে। (Homestay)
আরও পড়ুন: আলো: আলো: ফেলে আসা দেশের বাড়ি, হস্টেল, মেস জীবনের আলো
-ঠিক বলেছেন। তবে এটা বুঝতে বুদ্ধি লাগে না যে এসব চাহিদার কারণ এক কথায় ভোগ বিলাস। ভোগ বিলাসের বাই প্রোডাক্ট পরিবেশ ও মানুষের দূষণ। আর বাজার অর্থনীতির ফাঁদে ফেলে লোক ঠকানোর কৌশল। ব্যবসার বিনিময়ে মূল্যবৃদ্ধি। মূল্যের জন্যে সমৃদ্ধি। সমৃদ্ধির বাই প্রোডাক্ট মূল্যবোধ আদর্শ নীতি শান্তি এসবের জলাঞ্জলী। যে লোক ঠকানোর চক্কর থেকে মুক্তি পেতে প্রান্তিকরা নির্জন পরিবেশে হোমস্টের প্রেমে পড়েছিল তা আজ বাজার অর্থনীতির একটি পণ্য।
এই পণ্যের সন্ধানীদের একজন প্রদ্যুৎবাবু। প্রমোটারী থেকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। তা থেকে ট্যুরিজম ডেভলপার কাম অপারেটর। ওঁর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনার সারবত্তা হল এই যে, হোমস্টের মালিকরা একসময় বুঝে গেল তাদের ঘরবাড়ি জমি ও সার্ভিসের দাম কতটা। কয়েক বছর লিজের পর অভিজ্ঞতা হতেই তারা এজেন্ট এর খপ্পর থেকে বের হতে চাইলেন। লিজের ভ্যালু বাড়তে থাকল। দাম বাড়তেই থাকল টুর প্যাকেজের। আর পরিষেবার মান হ্রাস পেতে থাকল দিনকে দিন। ভাড়ার ঘরের যেমন হাল হয়। টুরিস্ট দাম দিচ্ছে বেশি পাচ্ছে কম। (Homestay)
মালিক চাইছে লিজ শেষ হলেই তার লাভ। একবার যখন সুনাম হয়ে গেছে তখন নিজেই চালাবেন। লাভ ও লোভ বড় ভয়ঙ্কর চক্র। এ ফাঁদে পড়লে আর পরিত্রাণ নেই।
“হোমস্টের চড়া আলোর পিছনের অন্ধকারে উর্ণনাভের বিতত বিতংস। যে ধুপি বনের ফাঁকে জলবিয়োগের প্রয়োজনে ঘুমন্ত বুদ্ধকে দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম সেই স্থানটি আজ হোমস্টের ঘনবসতিতে পূর্ণ।”
ফিরে যাই ঘটনা নম্বর দুই-এ। যে প্রেম রা একদিন নিষ্কলুষ ভালবাসা দিয়েই বলেছিল, “ধরে নিন এ জমিন ঘর আপকা”। আজ তার জমির দাম ওই পাইনের শীর্ষের চেয়েও উঁচু। আর হবে নাই বা কেন? আশেপাশে অনেক হোমস্টে তৈরি হয়েছে। পুঁজি সর্বস্ব ব্যবসাদারেরা জমি কিনে বা দীর্ঘ লিজ নিয়ে হোমস্টের আদলে হোটেল তুলছে তিন-চার তলা। ‘রুলস ফর ফুলস’ কে বেদবাক্য মেনে। হোটেল ব্যবসার রমরমা দেখে সহজ সরল মোহন, মায়ারা আজ বুঝেছে শহুরে বিত্তবানরা এখানে আসেন পয়সা ওড়াতে। (Homestay)

তারা জানে কাচের মতো নালার জলে এত পলিপ্যাক আর বোতল ভাসে কেন আজ। যে নালার জল আঁজলা ভরে খাওয়া যেত একদিন, আজ আর তা পানের যোগ্য নয়। তাতে বোতলের জলের বিক্রি বেড়েছে। বেড়েছে লাভ। ভালই তো। আরও লাভ চাই। তাই ঘর বাড়াতে বাগান সাজাতে জঙ্গল কেটে জমির সংস্থান। তাঁরা বুঝে গেছে গাছ কেটে সেই কাঠেই ঘর। সেই প্রাকৃতিক ঘর বাড়িই পছন্দ ইট কংক্রিটের বাবুদের। যত ভিড় বাড়ে তত আয়। বাড়ে ব্যস্ততা। তাই আর প্রান্তিকদের সাথে গল্প কথা গান বাজনা সুখ দুঃখের ভাব বিনিময় সম্ভব হয় না স্থানীয়দের। অনেক কাজ। কাজের ছেলে মেয়েদের হুকুমদারি, নাচা গানার ব্যবস্থাপনা, আর নজরকাড়া মেয়েছেলেটার বাড়তি রোজগারের দেখভালও করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে মোহন, মায়ারা। (Homestay)
হোমস্টের চড়া আলোর পিছনের অন্ধকারে উর্ণনাভের বিতত বিতংস। যে ধুপি বনের ফাঁকে জলবিয়োগের প্রয়োজনে ঘুমন্ত বুদ্ধকে দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম সেই স্থানটি আজ হোমস্টের ঘনবসতিতে পূর্ণ। উঁচু ঢিবির ওপরে তৈরি হয়েছে ভিউ পয়েন্ট। আছে টিকিট কাউন্টার।
আরও পড়ুন: হোমস্টে: হোমস্টের উৎস মুখ
ঘটনা দুই এ বর্ণিত সুরেলা নালার সেই গানের কণ্ঠরুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীত হারা। হোমস্টের উন্মত্ত উল্লাসে অমাবস্যার মতো অন্ধকার অরণ্যে আলোর ঝলকানি।
তিন নম্বরের ঘটনার, সেই দিকশূন্যপুরে আজ কর্পোরেট কোম্পানির একাধিপত্য। সাধারণের নাগালের বাইরে তার খরচাপাতি।
প্রকৃতি পরিবেশ যা অকাতরে বিনামূল্যে বিলিবন্টন ব্যবস্থা করে রেখেছে তাকে বিকিয়ে দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে তাকে ধর্ষিত করে দেদার ফুর্তির আয়োজন। (Homestay)
যদিও জানি এটাই সব নয়। অনেকেই লড়াই করে চলেছেন স্বল্প মেয়াদে আর্থিক লাভের থেকে দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির ও সমৃদ্ধির জন্য। কারণ তারা ভালবাসায় বিশ্বাসী তাই। তাই বিশ্বাস রাখতেই হবে ভালবাসার ওপর। আমরা বরং খেয়াল রাখি পায়ের নিচের মাটি পাথরটা নড়ে যাচ্ছে না তো? লোক ঠকানোর চালাকি, প্রকৃতিকে ফাঁকি দেওয়ার কৌশলকে বুদ্ধিমত্তার অহঙ্কারে অলঙ্কৃত করছি না তো? ভড়ং এর মুখোশের আড়ালে মানবিক মুখটা হারিয়ে যাচ্ছে না তো আমাদের? (Homestay)
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ভ্রামণিক, আড্ডাবাজ মানুষ। বেড়াতে ভালোবাসেন, আর ভালবাসেন শব্দে গেঁথে রাখতে সেই ভ্রমণকাহিনি
