Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

সিংহাসনে বসে নিজেই গৌড় নগরী লুণ্ঠন করেছিলেন হোসেন শাহ

গৌতম বসুমল্লিক

ডিসেম্বর ১, ২০২৩

Alauddin Husain Shah and army robbery in Gour
Alauddin Husain Shah and army robbery in Gour
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বাংলার রাজপাট: সপ্তম পর্ব

আগের পর্ব পড়তে: [] [] [] [৪] [] []

অত্যাচারী সুলতান মুজঃফর শাহকে এক গৃহযুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করে বাংলার সিংহাসন দখল করেন তাঁরই এক উজির হোসেন শাহ (Alauddin Husain Shah)। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম উল্লেখযোগ্য সুলতান ছিলেন। তাঁর জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মক্কা বা তুর্কিস্তানের কোথাও তাঁর জন্ম বলে কেউ কেউ উল্লেখ করলেও ধরে নেওয়া হয়, রংপুর জেলার চাঁদপুর গ্রামে হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী হোসেন কাজির কাছে শিক্ষা লাভের পর স্থানীয় রাজকার্যে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে গৌড়ের সুলতানের অধীনে প্রশাসনিক কাজে দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং শেষ পর্যন্ত উজিরের পদে নিয়োজিত হন।

সুলতান মুজঃফর শাহ ছিলেন খুবই অত্যাচারী শাসক। তাঁর অপশাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য হোসেন শাহ গৌড়ের অন্যান্য আমির-ওমরাহদের সঙ্গে পরামর্শ করে সুলতানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। অবস্থা বেগতিক বুঝে সুলতান মুজঃফর শাহ হাজার তিরিশেক সৈন্য-সহ গৌড় দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করলেন। হাজী মহম্মদ কান্দাহারির বর্ণনা উদ্ধৃত করে রজনীকান্ত চক্রবর্তী লিখেছেন যে মুজঃফর শাহ ও হোসেন শাহর বিবাদে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার হিন্দু ও মুসলমান প্রজার মৃত্যু হয়েছিল। মুজঃফর শাহর মৃত্যু নিয়েও ইতিহাসবিদেরা একমত নন। কেউ কেউ লিখেছেন, মুজঃফর শাহ দুর্গ থেকে বেরিয়ে এসে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হন আবার কেউ কেউ লিখেছেন, হোসেন শাহ তেরো জন অনুচর নিয়ে দুর্গের ভিতরে প্রবেশ করে মুজঃফরকে হত্যা করেন। রুকনুউদ্দিন বারবাক শাহ গৌড়ের সেনাদলে আবিসিনীয় ক্রীতদাস অর্থাৎ হাবসিদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর তারা গৌড়ের উপরে দৌরাত্ম্য চালায়। মুজঃফর শাহর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে গৌড়ে হাবসি আধিপত্য শেষ হয়।

Ravage of Hossain shah army
হাবশি সেনাদের গৌড় নগরী লুণ্ঠন

হোসেন শাহ’র সিংহাসন আরোহন এবং তৎপরবর্তী কালের গৌড় নগরী লুণ্ঠন নিয়ে কিছু পরস্পর-বিরোধী ব্যাখ্যা রয়েছে। মুজঃফর শাহ মারা যাওয়ার পর হোসেনের সেনারাই গৌড় নগরী লুণ্ঠন আরম্ভ করে।  কেউ কেউ বলেছেন, সেই সময়ে গৌড়ে প্রচুর বিত্তশালী হিন্দুর বসবাস ছিল। তাদের ধনসম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার জন্যেই নাকি লুঠপাট করা হয়েছিল। আবার গোলাম হোসেন সালিম তাঁর ‘রিয়াজউস সালাতিন’ গ্রন্থে লিখেছেন, মুজঃফর শাহর মৃত্যুর পর, গৌড়ের আমির-ওমরাহরা নতুন সুলতান নির্বাচনের জন্য এক সভায় মিলিত হয়ে হোসেন শাহকে জিজ্ঞাসা করেন যে তাঁরা যদি হোসেনকে  সুলতান হিলেবে মেনে নেন তাহলে তিনি তাঁদের প্রতি কী ব্যবহার করবেন? হোসেন শাহ তখন আমির-ওমরাহদের বলেন যে তিনি সুলতান হলে, গৌড় নগরীর উপরিস্থলে যত সম্পদ আছে সমস্ত আমিরদের দিয়ে দেবেন আর নগরীর মাটির তলায় থাকা গুপ্ত সম্পদ তিনি নিজে রাখবেন। আমির-ওমরাহরা এই কথা শুনে খুশি হয়ে তাঁকেই সুলতান পদে মনোনীত করলেন। 

পরের দিন তিনি আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নাম নিয়ে গৌড়ের সুলতান পদে বসলেন আর সৈন্যদের হুকুম দিলেন গৌড় নগরী লুণ্ঠন করতে। বেশ কয়েক দিন অবাধে লুণ্ঠন চলবার পর হোসেন শাহ লুঠপাট বন্ধের নির্দেশ দিলেও সৈন্যরা তাতে কান দিল না দেখে তিনি প্রায় বারো হাজার লুণ্ঠনকারীকে হত্যা করিয়ে তাদের লুঠ করা সামগ্রী আত্মসাৎ করেন।

Coin_of_Alauddin_Husain_Shah
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রচলিত মুদ্রা

হোসেন শাহের ওই আচরণ খুবই আশ্চর্যজনক বলে মনে হলেও গোলাম হোসেন সালিমের মতো আরও অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন যে হোসেন শাহ তাঁর পূর্ববর্তী আমল থেকে চলে আসা হাবশি সেনা-নির্ভর শাসনব্যবস্থা থেকে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব খর্ব করতে ওই কূটনৈতিক চাল ব্যবহার করেছিলেন। কারণ তার পরেও তাঁর সেনাদলে থেকে যাওয়া হাবশিদের তিনি রাজ্য থেকে নির্বাসিত করেন, পাশাপাশি সিংহাসনে বসবার পূর্বে আমির-ওমরাহদের মধ্যে সম্পদ বণ্টন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেন।

আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নিজে আফগান বংশজাত বলে সুলতানি সিংহাসনে বসে নিজস্ব জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের প্রশাসনের উচ্চপদে নিযুক্ত করলেও তাঁর প্রশাসনে বেশ কয়েকজন হিন্দু অতি উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সনাতন গোস্বামী ও তাঁর ভাই রূপ গোস্বামী, গোপীনাথ বসু প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

Sanatana Goswami
সনাতন গোস্বামী

সনাতন ও রূপ গোস্বামীর পূর্বজীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, বা যেটুকু জানা যায় তাও পরস্পর-বিরোধী তথ্যে ভরা। বিভিন্ন বৈষ্ণবগ্রন্থ ও চৈতন্য-জীবনী অবলম্বনে বলা হয়ে থাকে, সনাতন ও রূপের পূর্বনাম ছিল যথাক্রমে অমর ও সন্তোষ। শ্রীজীব গোস্বামীর দেওয়া সূত্র অনুসারে, তাঁদের পূর্বপুরুষ বাংলায় আসেন তৎকালীন কর্নাট প্রদেশ অর্থাৎ এখনকার কর্নাটক রাজ্য থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলায় ইসলাম শাসনের আগে যে সেন বংশ রাজত্ব করত, তারাও এসেছিল সাবেক কর্নাট প্রদেশ থেকে। তবে ঠিক কোন সময়কালে তাঁরা বাংলায় আসেন তা স্পষ্ট নয়। জানা যায়, দুই সৎ ভাইয়ের বিবাদের ফলে বড় ভাই শিখরভূমি অর্থাৎ এখনকার পঞ্চকোট অঞ্চলে আসেন। তাঁর এক উত্তরপুরুষ পদ্মনাভ রাজা দনুজমর্দনের আমন্ত্রণে বঙ্গদেশের নবহট্টতে (নৈহাটি?) আসেন এবং তাঁদের কয়েক পুরুষ পর ওই পরিবারের কুমারদেব নবগ্রাম ত্যাগ করে বাকলা চন্দ্রদ্বীপে চলে যান। তিনি বিবাহ করেন গৌড় নগরীর নিকটবর্তী মোরগ্রাম বা মোরগাঁয়ের পাশের মাধাইপুর গ্রামের হরিনারায়ণ বিশারদের কন্যা রেবতীদেবীকে। কুমারদেবের পাঁচ পুত্রের তৃতীয় হলেন অমর তথা সনাতন গোস্বামী এবং চতুর্থ সন্তোষ তথা রূপ গোস্বামী এবং কনিষ্ঠ পুত্র অনুপমের পুত্র হলেন শ্রীজীব গোস্বামী। 

সুলতান ফিরোজ শাহর তৈরি মিনার-এর সূত্রে সুলতানের এক সেনা মোরগাঁয়ে আসে এবং সেখানেই সনাতনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সনাতনের পরামর্শে সে মোরগাঁ থেকে সুদক্ষ রাজমিস্ত্রি নিয়ে রাজধানীতে ফিরে সনাতনের কথা সুলতানকে জানায়। সুলতান ফিরোজ শাহ তার পর সনাতন ও রূপ গোস্বামীকে গৌড়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে উচ্চ সরকারি পদে নিয়োগ করেন। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, ফিরোজ শা মিনারের নির্মাণকালের (১৪৮৯ সাধারণাব্দ) শেষেই সনাতন ও রূপ গোস্বামী বাংলার সুলতানি প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সুলতান হোসেন শাহের আমলেও তাঁরা উজির পদে বহাল থেকেছিলেন। কিন্তু গৌড়ে চৈতন্যের আগমন সব হিসেব দিল পালটে। কী ছিল সেই পরিবর্তন, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব পরবর্তী পর্বে।

Baro Sona Maszid
গৌড় নগরীর সব থেকে বড় প্রার্থনাস্থল ‘বড় সোনা মসজিদ’ নির্মাণ শুরু হয় হোসেন শাহের আমলে

আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আরেক উল্লেখযোগ্য হিন্দু কর্মচারী হলেন গোপীনাথ বসু, যিনি অবশ্য হোসেনের দেওয়া ‘পুরন্দর খাঁ’ উপাধিতেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তবে গোপীনাথ বসু সনাতন ও রূপের মতো প্রথম প্রজন্মের রাজকর্মচারী ছিলেন না। রজনীকান্ত চক্রবর্তী গৌড়ের ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন,‘‘পুরন্দরের পিতামহ মহীপতি বসুর সুবুদ্ধি খাঁ, পিতা ঈশানচন্দ্রের শ্রীমন্ত রায়, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা গোবিন্দ বসুর গন্ধর্ব খাঁ, কনিষ্ঠ ভ্রাতা প্রাণবল্লভ বসুর সুন্দরবর খাঁ উপাধি ছিল। ইহাতে বোধ হয়, পূর্ব্ব হইতেই এই বংশের সহ রাজসংস্রব ছিল। দক্ষিণ রাঢীয় কায়স্থ কুলীনগণ আক্‌না, বাগান্ডা, বালী, বরিশা, মাহীনগর ও টেকা এই ছয় সমাজভুক্ত ছিলেন।’’ বিশ্বকোষ প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ বসুর ‘কায়স্থ পত্রিকা’য় লেখা ‘পুরন্দর খাঁ ও মাহীনগর সমাজ’ নিবন্ধ অনুসরণ করে সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর অসমাপ্ত রচনাবলিতে নিজের বংশের পরিচায় দিতে গিয়ে লিখেছেন—        

‘‘মহিপতির দশ ছেলের মধ্যে চতুর্থ ঈশান খাঁ-ই বিখ্যাত। রাজদরবারে মহিপতির স্থান ঈশান খাঁ-ই দখল করেছিলেন। ঈশান খাঁর তিন ছেলে— তিনজনই রাজার কাছ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন। মধ্যম ছেলে গোপীনাথ অসাধারণ বীর ও ক্ষমতাশালী ছিলেন। তাঁকে তৎকালীন সুলতান হোসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯) অর্থসচিব ও নৌসেনাধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন এবং পুরন্দর খাঁ উপাধি দেন। এ ছাড়া পুরস্কার স্বরূপ তাঁকে মহিনগরের কাছে একটি জায়গির দেন— পুরন্দর খাঁর নাম অনুসারে এখন ঐ জায়গার নাম পুরন্দরপুর। পুরন্দরপুরে ‘খাঁ পুকুর’ নামে এক মাইল দীর্ঘ একটি পুষ্করিণীর ভগ্নাবশেষ এখনো আছে। মহিনগরের কাছে মালঞ্চ নামে যে গ্রামটি আছে সেটি পুরন্দরের বাগানের উপর গড়ে উঠেছিল। সে সময়ে হুগলি নদী মহিনগরের খুব কাছ দিয়ে বয়ে যেত। শোনা যায় পুরন্দর নাকি নৌকায় হুগলি দিয়ে বাঙলার তৎকালীন রাজধানী গৌড়ে যাতায়াত করতেন। তাঁরই চেষ্টায় একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে উঠেছিল। সমাজসংস্কারক হিসেবেও পুরন্দরের দান কম নয়। তাঁর আমলের আগে বল্লাল্লী রীতি অনুসারে কায়স্থদের দুটি বিভাগ কুলীন (ঘোষ, বোস, মিত্র) ও মৌলিকের (দত্ত, দে, রায় ইত্যাদি) মধ্যে বিবাহ চলত না। পুরন্দর নতুন নিয়ম করলেন যে কুলীন পরিবারের শ‍ুধু জ্যেষ্ঠ সন্তানকেই কুলীন পরিবারে বিয়ে করতে হবে, আর সকলে মৌলিক পরিবারে বিয়ে করতে পারবে। এই রীতি আজ পর্যন্ত চলে আসছে। এর ফলে অতিরিক্ত অন্তর্বিবাহের কুফল থেকে কায়স্থরা রক্ষা পেয়েছে। সাহিত্যিক হিসেবেও পুরন্দরের নাম আছে। তিনি অনেক বৈষ্ণব পদাবলী রচনা করেছিলেন।’’

Pillar_Baro Sona Maszid
বড় সোনা মসজিদের স্তম্ভ

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, পুরন্দর অর্থাৎ গোপীনাথ বসু এবং সুন্দরবর বসু অর্থাৎ প্রাণবল্লভ বসু দু’জনেই খাঁ ছাড়াও ‘মালিক’ তথা ‘মল্লিক’ উপাধি পেয়েছিলেন সুলতানি দরবার থেকে। গোটা বঙ্গদেশে যত ‘বসুমল্লিক’ পদবিধারী দেখা যায়, তারা গোপীনাথ বসু বা সুন্দরবর বসুর উত্তরপুরুষ। বলা হয়ে থাকে, বর্তমান দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাহীনগরের নিকটবর্তী ‘মল্লিকপুর’ নামটা হয়েছে এই মল্লিক উপাধিধারীদের বাসস্থান থেকেই।

গ্রন্থঋণ:
১। রজনীকান্ত চক্রবর্তী, গৌড়ের ইতিহাস, দে‘জ পাবলিশিং কলকাতা ৭০০০৭৩
২। কমল বসাক, শ্রীশ্রীরামকেলিধাম রূপ-সনাতন ও মালদহের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজ, উৎসারিত আলো প্রকাশনী, মালদহ ব‌ুক ফ্রেন্ড, মালদহ
৩। সনাতন গোস্বামী, শ্রীশ্রীকৃষ্ণলীলাস্তবঃ, শ্রীনবদ্বীপ হরিবোল কুটীর, নবদ্বীপ
৪। দেবেন্দ্রচন্দ্র বসুমল্লিক, বংশ-গৌরব [পটলডাঙা বসুমল্লিক বংশের ইতিহাস (গৌতম বসুমল্লিক সম্পাদিত)], বসুমল্লিক পরিবার প্রকাশিত, কলকাতা
৫। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙ্গালার ইতিহাস (অখণ্ড সংস্করণ), দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৬। নীহাররঞ্জন রায়, বাঙ্গালীর ইতিহাস: আদি পর্ব, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা
৭। কেদারনাথ গুপ্ত, গৌরবময় গৌড়বঙ্গ, সোপান, কলকাতা
৮। অনিরুদ্ধ রায়, মধ্যযুগের ভারতীয় শহর, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা
৯। প্রদ্যোৎ ঘোষ, মালদহ জেলার ইতিহাস: প্রথম পর্ব, পুস্তক বিপণি, কলকাতা
১০। সুভাষচন্দ্র বসু, সমগ্র রচনাবলী (প্রথম খণ্ড / সুমন চট্টোপাধ্যায় ও সুগত বসু সম্পাদিত), ফার্মা কেএলএম প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা
১১। Creighton Henry, The Ruins of Gour described and represented in eighteen views; with a topographical map, Londan
১২। John Henry Ravenshaw, Gaur its Ruins and Inscriptions, C. Kegan Paul & Co. London.
১৩। Khan Sahib M. Abid Ali Khan, Memoirs of Gour and Pandua, Bengal Secretariat Book depot, Calcutta.
১৪। The Riyazu-S-Salatin: A History of Bengal, Ghulam Husain Salim, Asiatic Society, Calcutta
(মূল বইটা ফার্সি ভাষায় লেখা। ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন Maulavi Abdus Salam)

 


*ছবি সৌজন্য:  লেখক, Wikipedia, Facebook

*পরবর্তী অংশ প্রকাশ পাবে ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

Author GAUTAM BASUMULLICK

গৌতম বসুমল্লিকের জন্ম ১৯৬৪ সালে, কলকাতায়। আজন্ম কলকাতাবাসী এই সাংবাদিকের গ্রামে গ্রামে ঘুরে-বেড়ানো আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চার সুবাদে। মূলত কলকাতার ইতিহাস নিয়ে কাজ করলেও, এখনও বাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান ইতিহাস, স্থাপত্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ [UGC, Human Resource Development Centre (HRDC)]-র আমন্ত্রিত অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন দীর্ঘকাল। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো’।

Picture of গৌতম বসুমল্লিক

গৌতম বসুমল্লিক

গৌতম বসুমল্লিকের জন্ম ১৯৬৪ সালে, কলকাতায়। আজন্ম কলকাতাবাসী এই সাংবাদিকের গ্রামে গ্রামে ঘুরে-বেড়ানো আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চার সুবাদে। মূলত কলকাতার ইতিহাস নিয়ে কাজ করলেও, এখনও বাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান ইতিহাস, স্থাপত্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ [UGC, Human Resource Development Centre (HRDC)]-র আমন্ত্রিত অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন দীর্ঘকাল। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো’।
Picture of গৌতম বসুমল্লিক

গৌতম বসুমল্লিক

গৌতম বসুমল্লিকের জন্ম ১৯৬৪ সালে, কলকাতায়। আজন্ম কলকাতাবাসী এই সাংবাদিকের গ্রামে গ্রামে ঘুরে-বেড়ানো আঞ্চলিক ইতিহাস-চর্চার সুবাদে। মূলত কলকাতার ইতিহাস নিয়ে কাজ করলেও, এখনও বাংলার বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান ইতিহাস, স্থাপত্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ [UGC, Human Resource Development Centre (HRDC)]-র আমন্ত্রিত অতিথি শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন দীর্ঘকাল। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজো’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস