(Amir Khan)
এই তো বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যা নামছে। এখনই হয়তো মারওয়া রাগ গাওয়ার সময়। দুটো সময় যখন মিশে যায়, তখনই মারওয়া কণ্ঠে ধরার মুহূর্ত আসে। (Amir Khan)
ওস্তাদ আমির খান, আপনি মারোয়া গাইতে খুব ভালবাসতেন না? আপনার গলার মেঘমন্দ্র আওয়াজে মুগ্ধ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়রা একটা সময় অনুগামী হয়ে উঠেছিলেন আপনার। যেখানে আপনি তখন, সেখানে তরুণ কবির দল। (Amir Khan)
আরও পড়ুন: গান যখন পথের, পথ যখন গানের
দু’দিন আগে পার্ক সার্কাসের গোবরায় আপনার সমাধিস্থলের সামনে দাঁড়িয়ে ওই মারোয়া রাগের কথাই মনে হল! আপনার গলায় যে রাগ শুনলে মনে হত, এ পৃথিবীতে আমি আর নেই, আছি অন্য জগতে! শুধু মারোয়া কেন, সন্ধ্যের কোনও রাগ— ইমন, বাগেশ্রী, তিলক কামোদ, পিলু, ভীমপলশ্রী।
শান্ত থাকার কথা। অথচ কেমন ভীষণ অস্থির-অস্থির লাগে ওখানে দাঁড়িয়ে। (Amir Khan)
খান সাহেব, আপনি এভাবে কবরখানার এক কোণে পড়ে রয়েছেন কেন, এমন অনাদরে? কলকাতাকে ভালবেসে চিরকালের জন্য শেষ শয্যা নিয়েছেন এ শহরে! চিরকালের জন্য থেকেই গেলেন তিলোত্তমার মাটিতে। আমরা কি সেই প্রাপ্য সম্মান আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি? অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেল আপনার মৃত্যুর, একান্ন বছর। (Amir Khan)

ভাঙাচোরা কবর। রংহীন। সিমেন্ট কালো হয়ে এসেছে শ্যাওলায়। মাঝখানে উর্দু, ডানদিকে ইংরেজি, বাঁ দিকে বাংলা— তিন ভাষাতেই লেখা তাঁর নাম। বাংলায় লেখা— ওস্তাদ আমির খান। খাঁ নয়। উর্দুর অংশটা অনেকটা যেন মুছে গিয়েছে। কবরের ওপরে একটা বড় বাদাম গাছ। লাল কিছু পাতা পড়ে কবরের উপর। শুকিয়ে এসেছে আরও কিছু পাতা। গায়ের ওপর আরও কিছু অনামীদের কবর। পিছন দিকটা জঙ্গল। সামনেটাও অপরিষ্কার। যদিও একটা রাস্তা রয়েছে লাগোয়া। (Amir Khan)
গোবরা কবরস্থানের অন্য প্রান্তে দেখে এলাম সেতার কিংবদন্তি এনায়েত খান এবং তাঁর পুত্র বিলায়েত খানের সমাধি শ্বেতপাথরে বাঁধানো। চারপাশের জঙ্গল ও ভাঙাচোরা মাটির কবরের মাঝে দুটো সমাধিকে অন্যরকম দেখাচ্ছে। কয়েক ফুট দূরেই মুজফফর আহমেদ কাকাবাবুর সমাধিস্থলে উড়ছে লাল পতাকা, কাস্তে হাতুড়ি। কবরের রং লাল। তার ওপরে পাথরেরই অনেক বই। লাল রেলিংয়ে সাদা কাস্তে হাতুড়ি। এই কবরখানায় সবচেয়ে সাজানো গোছানো সমাধি। (Amir Khan)
“এই সমাধি দেখতে কেউ আসে না? উত্তর পেলাম, ‘বহু আগে লন্ডন-নিউইয়র্ক-প্যারিস থেকে অনেকে আসতেন। এখন আর কেউ আসে না!’ স্থানীয় মানুষও কেউ যায় না!”
এইসব দেখার পর আমির খানের সমাধির সামনে দাঁড়ালে চোখ জলে ভরে ওঠে। হয়তো প্রথমবার সাজানো হয়েছিল সেই সমাধি। তারপর আর কিছুই হয়নি। একটি গেটের মুখেই ডান দিকে সমাধি তাঁর। তবে সেই গেট তো তালা বন্ধ বহুদিন ধরে। প্রধান গেট থেকে এখানে আসতে অনেকটাই সময় লাগে। এখন এমন জায়গায় তাঁর সমাধি যে, গোরস্থানের কোনও কর্মী সেখানে না নিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। (Amir Khan)
এনায়েত-বিলায়েতের পরিবারের শেষ শয্যা থেকে কি ইচ্ছে করেই আমির এত দূরে থেকে গিয়েছেন? এক মর্মান্তিক যোগাযোগ ছিল দুই পরিবারে। আমির বিয়ে করেছিলেন বিলায়েতের বোন জিনাতকে। দুই পরিবারের সম্পর্ক ছিল দারুণ। একটি পুরোনো ছবিও দেখি, সেখানে বিলায়েত সেতার বাজাচ্ছেন, তবলা বাজাচ্ছেন আমির। আমির-জিনাতের এক মেয়েও ছিল। জিনাতকে তালাক দিয়ে ওস্তাদ বিয়ে করেন মুন্নি বাইকে। তারপর আগ্রার ঠুংরি গায়িকা মুস্তারি বেগমের মেয়ে রাইসা বেগমকে। রাইসার ছেলেই অভিনেতা শাহবাজ খান। একসময় চন্দ্রকান্তা, সোর্ড অফ টিপু সুলতান, দ্য গ্রেট মারাঠার মতো টিভি সিরিয়ালের দৌলতে লোকে যাঁকে চিনত। (Amir Khan)

যে লোকটি ওস্তাদের সমাধির কাছে নিয়ে গেল, সে বলল তাঁর অভিনেতা পুত্রের নাম! শাহবাজ খান! তাঁদেরও কি কিছু করণীয় নেই এখানে? স্থানীয় ভদ্রলোক ষাট বছর ধরে আছেন কবরখানায়। বলছিলেন, বাগুইহাটির দিকে আমির খানের এক ছাত্র থাকতেন। তিনি নিয়মিত আসতেন সমাধিতে। সমাধি পরিষ্কারের জন্য কিছু টাকা দিয়ে যেতেন। তিনিও আর আসেন না। হয়তো পৃথিবীতেই নেই। (Amir Khan)
এই সমাধি দেখতে কেউ আসে না? উত্তর পেলাম, ‘বহু আগে লন্ডন-নিউইয়র্ক-প্যারিস থেকে অনেকে আসতেন। এখন আর কেউ আসে না!’ স্থানীয় মানুষও কেউ যায় না! তাহলে কি এভাবেই পড়ে থাকবে তাঁর সমাধি? এই প্রশ্নটা ভাবায় আর মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে তাঁর গাওয়া অজস্র রাগ! সেতারিয়া নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় একবার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন আমির খানের। সেই পুরোনো অডিও সাক্ষাৎকারে শোনা যায়, আমির তাঁর পছন্দের অনেক রাগের কথা বলে চলেছেন অনর্গল। (Amir Khan)
“আমির খান? উচ্চাঙ্গ সংগীতের বহু সমালোচক যাঁকে সর্বকালের সেরা গায়ক হিসেবে এগিয়ে রাখেন বড়ে গোলাম আলী খানের তুলনায়, তিনি এত অনাদরে পড়ে কেন? এই প্রশ্নটা বারবার ভাবায়!”
আরও খারাপ লাগল কোথায় জানেন? গোবরা তিন নম্বর কবরস্থানে ঢোকার মুখে বাঁদিকে একটি বড় ব্যানার লাগানো। সেখানে দেখতে পাবেন কারা কারা এখানে অন্তিম শয়ানে। এনায়েত খান, বিলায়েত খান, মুজাফফর আহমেদ, ডেন্টাল কলেজের আর আহমেদ, খেলোয়াড় জিয়াউর রহমান— অনেকের নামই রয়েছে সেখানে। এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বাংলার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গসন্তান হুসেন শহীদ সুরাওয়ার্দির নামও লেখা। যদিও সুরাওয়ার্দির সমাধি এখানে নেই। পিছন দিকে রয়েছে তাঁর পরিবারের অনেকের কবর। গিয়ে দেখলাম, জায়গাটা এত জঙ্গল, স্পষ্ট করে বোঝার উপায় নেই কারা ওখানে শুয়ে। তবে শুনলাম সুরাবুদ্দিন পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল এই জায়গাটা। (Amir Khan)
আমির খান? উচ্চাঙ্গ সংগীতের বহু সমালোচক যাঁকে সর্বকালের সেরা গায়ক হিসেবে এগিয়ে রাখেন বড়ে গোলাম আলী খানের তুলনায়, তিনি এত অনাদরে পড়ে কেন? এই প্রশ্নটা বারবার ভাবায়! যাঁরা গোরস্থান চালান, তাঁরা হয়তো আমির খানের মহিমাই বোঝেন না! কিন্তু কলকাতার সংগীতপ্রেমীদের কি আর কিছু করণীয় নেই? বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর অভিনেতা সন্তান শাহবাজেরও বাবার স্মৃতি সংরক্ষণে তেমন বাড়তি উদ্যোগ নেই। (Amir Khan)

আমির খান, ‘খেয়ালের সম্রাট’, তাঁর জীবনেরও এক বিশাল অংশ রয়ে গিয়েছে এক ধাঁধা ও রহস্যের চক্রে। অভিনেতা আমির খানের মতোই তাঁর তিনটি বিয়ে। তবে অভিনেতা আমিরের স্ত্রীদের সম্পর্ক যেমন ভাল, গায়ক আমিরের ক্ষেত্রে তা ছিল না। বিলায়েতের বোনকে বিয়ে করার পর তাঁদের এক মেয়ে হয়। নাম ফরিদা। তারপরেই ডিভোর্স। তৃতীয় বিয়েটা করেছিলেন ডিভোর্স না করেই। দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি বেগম সম্পর্কটা মেনে নেবেন ভেবেছিলেন। মানেননি, মুন্নি বেগম ওই বিয়ের পর উধাও হয়ে যান। অনেকেই বলেন, মুন্নি আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁর সমাধি কোথায়, তার কোনও তথ্য খুঁজে পাইনি এখনও। (Amir Khan)
কুমিল্লার ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় জন্মেছিলেন সরোদ সম্রাট আলি আকবর খান। আমির খানের মতোই তিনটি বিয়ে তাঁরও। তবে কলকাতায় শিকড় থাকলেও তাঁর সমাধি আমেরিকার সান রাফায়েলে। ব্রাক্ষ্মণবেড়িয়ারই ছেলে আলাউদ্দিন খানের সমাধি মাইহারে, তাঁর শেষ আশ্রয়ে। বড়ে গুলাম আলি খান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জন্মালেও থাকতেন কলকাতায়। শেষ জীবনে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন হায়দরাবাদে। তাঁর সমাধি সেখানকার দায়রা মীর মমিন কবরখানায়। (Amir Khan)
“আমির চিরকালের বোহেমিয়ান, বিদ্রোহী। সমাধিতেও তা রয়ে গেলেন।”
এনায়েত খান অবশ্য আগ্রার কাছে এটোয়া থেকে কলকাতায় ঘরবাড়ি করেন। সমাধিও এখানেই। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জন্মানো বিলায়েত মুম্বইয়ে প্রয়াত হলেও বলে গিয়েছিলেন, তাঁকে যেন বাবার পাশে সমাধিস্থ করা হয়। বিলায়েত মারা যান ২০০৪ সালের ১৩ মার্চ। ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি ফ্লিকারে এরিক পার্কার নামে এক বিদেশি বিলায়েতের সমাধির ছবি পোস্ট করেন। তা বেড়া দিয়ে ঘেরা। তখনও পাকা সমাধি তৈরির ছাড়পত্র পাননি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা সেতারিয়ার পরিবার। আরও পরে সেই অনুমতি পাওয়া যায়। (Amir Khan)
বিদেশি ভদ্রলোক আক্ষেপ করেছেন, ‘কলকাতায় এক মুসলিম ক্যাব ড্রাইভারকে নিয়েও ওই কবরখানা খুঁজে পাওয়া কঠিন। অথচ ওইখানে সমাহিত বিলায়েতের বিখ্যাত বাপ ঠাকুরদা। এবং স্বয়ং আমির খান।’ এখানেই আরও একটা আক্ষেপ থেকে যায়। কলকাতাতেই বড় হয়ে ওঠা আর এক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী রাশিদ খানের মৃত্যু এ শহরে হলেও তাঁর সমাধি এখানে হল না। নিয়ে যাওয়া হল তাঁর জন্মভূমি বদাউনে। অথচ প্রথমে কথা ছিল, টালিগঞ্জের গোরস্থানে সমাধিস্থ করা হবে। (Amir Khan)

তবে আমির খান কিন্তু কলকাতাতেই থেকে গেলেন। কেউ বলেননি, তাঁর দেহ পিতৃভূমি ইন্দোরে বা জন্মভূমি পাঞ্জাবের কলনৌরে নিয়ে যেতে হবে। তখনও তো জানতেন না, তাঁর বিখ্যাত শ্যালক একদিন ওখানেই শেষ আশ্রয় নেবেন। আমির চিরকালের বোহেমিয়ান, বিদ্রোহী। সমাধিতেও তা রয়ে গেলেন। (Amir Khan)
তাঁর সঙ্গে বড়ে গুলামের তুলনা করতে গিয়ে কুদরতি রংবেরঙ্গিতে লিখেছিলেন কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ‘বড়ে গুলাম আলি খানের স্টাইল ছিল বহির্মুখী, ক্রাউডপুলার। আমির খানের স্টাইল অন্তর্মুখী, দরবারি মেজাজ। আমির খান মনে করতেন, খেয়াল কম্পোজিশনে কবিতা খুব জরুরি।’ (Amir Khan)
“আজ সেই বিদ্রোহী কেমন নিশ্চিন্তে শুয়ে রয়েছেন এক কোণে। এতটা উপেক্ষিত, যে বারবার লিখেও তৃপ্তি হয় না। মনে হয় আরও লিখি, আরও লিখি।”
তাঁর মলিন, রংহীন সমাধির ওপর পড়ছে শুকনো বাদাম পাতা। কিছু সবুজ। জনশূন্য চারদিক। পাখি ডাকে। মেঘ রাগে আমিরের একটি বিখ্যাত তারানায় বলা হয়েছিল, ‘মেঘ এখন বৃষ্টির বার্তা আনছে। উঠোনে একটি বাগানে একটি বুলবুল হাজির। বসন্তও এসেছে। রয়েছে সুরা। আর আমার প্রিয়তম দাঁড়িয়ে রয়েছে উঠোনে।’ কবিতাই তো! এটা কবিতা না হলে, কোনটা কবিতা? (Amir Khan)

পার্ক সার্কাসে মল্লিকবাজার খ্রিস্টানদের কবরখানা যত পরিষ্কার, গোবরার এই গোরেগোরিবান কবরখানা অত পরিষ্কার নয়। ৪৫ বিঘা জমির মধ্যে, পুকুর ভর্তি কচুরিপানা। বহু কবর কাঁচা অবস্থায় পড়ে। শুধু কাপড় দিয়ে ঢাকা।
আমির এত মেজাজি ছিলেন, দেখতে পেলে কী করতেন? যৌবনে মধ্যপ্রদেশের রাজা চক্রধর সিংয়ের দরবারে কাজ করতেন। রাজ প্রতিনিধি হয়ে গান গাইতে গিয়েছেন মির্জাপুরে সংগীত সম্মেলনে। উদ্যোক্তারা বলেছিলেন ঠুংরি গাইতে। আমির ঠুংরি গাইতে নারাজ। তাঁকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই স্টেজ থেকে তুলে দেওয়া হয়। আজ সেই বিদ্রোহী কেমন নিশ্চিন্তে শুয়ে রয়েছেন এক কোণে। এতটা উপেক্ষিত, যে বারবার লিখেও তৃপ্তি হয় না। মনে হয় আরও লিখি, আরও লিখি। (Amir Khan)
আরও পড়ুন: ডাক-হরকরার চিঠি: আজও রহস্যের মাঝে চিরবিপ্লবীর দুই বিদেশিনী স্ত্রী
গোরস্থানে ঢোকার মূল গেটে চেয়ার-টেবিল পেতে তিনটি লোক। টেবিলের ওপর প্লাস্টিকের মধ্যে অনেক রজনীগন্ধার মালা। বেশ কিছু লোক আসছেন। আত্মীয়দের কবরে দেওয়ার জন্য সেই ফুলের মালা দিয়ে যাচ্ছে। ‘কাকাবাবু’ মুজফফর আমেদের জন্মদিন গেল ক’দিন আগে, ৫ অগস্ট। তাঁর লাল সমাধি ফুলে ফুলে ভরে আছে। কবরের ওপর কাঠটগর গাছটি থেকেও ফুল কবরের ওপর পড়ছে ক্রমাগত। (Amir Khan)
হে কলকাতাবাসী, তোমরা কেউ একবার আমির খানের বিবর্ণ সমাধিতেও কিছু ফুল দিয়ে এসো! রজনীগন্ধার সুবাস সেখানে মারোয়া রাগের সঙ্গে মিশে যাক অনন্তে। (Amir Khan)
ছবি সৌজন্য- লেখক
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
লেখক উত্তরবঙ্গের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রাক্তন কার্যকরী সম্পাদক। এর আগে এই সময় সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদকও। অতীতে যুক্ত ছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে। আনন্দবাজার পত্রিকায় বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘদিন। বাঙালির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলের যোগসূত্র ঘটানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা তাঁর। পাঁচটি ফুটবল বিশ্বকাপ, তিনটি অলিম্পিক, একটি ইউরো কাপ ফুটবল, দুটি হকি বিশ্বকাপ, একটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-সহ অসংখ্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কভার করলেও প্রথমদিন থেকে লিখে থাকেন নানা বিষয়ে। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সংস্কৃতি, গানবাজনা, সিনেমা, খাবার, ভ্রমণ। এখন বলতে গেলে লেখার দুনিয়ায় খেলা বাদে সর্বত্র বিচরণ।