Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি ও সমকালীন বিশ্ব

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

Kingshuk Banerjee_Kalamkari_Donald Trump_4.12.2024_SC
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

ওভাল অফিসে ফিরছেন ডোনাল্ড জন ট্রাম্প! (Donald Trump)
ওই ঘরের মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেহগনি কাঠের টেবিলে, ফের চেয়ারে বসবেন তিনি। ওখানে বসেই আগামী চার বছর বিশ্ব আর্থ-রাজনীতির দাবার চাল চালবেন। তাই বছর আটাত্তরের এই একাধারে ধনকুবের ব্যবসায়ী, একসময়ের টিভি তারকা তথা মাভেরিক রাজনীতিবিদের এই সব চাল কী হতে চলেছে তা জানতে বিশ্ববাসী যে চূড়ান্ত আগ্রহী তা বলাই বাহুল্য। কারণ আগামী চার বছর কেমন যাবে তা হোয়াইট হাউসের ওই মানুষটার উপরও অনেকাংশে নির্ভর করবে। (Donald Trump)

কেমন হতে পারে অনাগত দিনগুলি? আগের দফার ট্রাম্প জমানা থেকে কিছুটা আন্দাজ লাগানো যেতে পারে। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথম দফার ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ব্রিটিশ ফরেন অফিসের পলিটিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন রিচার্ড মুর। পরিহাস করে মুর বলছেন, অর্ধেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন ট্রাম্পের টুইটের ফলে। সকালবেলা সভয়ে টুইটার খুলতেন ইষ্টনাম জপতে জপতে। কী জানি আবার কী লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতটাই গড়পরতা কূটনীতির বাইরে হাঁটেন ট্রাম্প। (Donald Trump)

আরও পড়ুন: কেন থমকে গেল কমলার হোয়াইট হাউজ অভিযান

বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ‘খামখেয়ালীপনায়’ ভরা বিদেশনীতিই ট্রাম্পের বৈশিষ্ট যা মোটামুটিভাবে আইসোলেশনিস্ট বা নন ইন্টারভেশনশনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী এবং শুল্ক যু্দ্ধের উপর দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাম্প শিবিরের দাবি, সরল সোজাসাপটা এই নীতিই মার্কিন আমজনতার পছন্দ আর তার জোরেই তিনি ফের ক্ষমতার মসনদে।
একটু বিশদে বলা যাক। (Donald Trump)

আইসোলেশনিস্ট বা নন ইন্টারভেশনশনিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী হল দরকার না পড়লে বা মার্কিন স্বার্থ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হলে ওয়াশিংটন সে দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে নাক গলাবে না। ইতিহাস বলে, ২৪৮ বছরের মার্কিন সংসদীয় গণতন্ত্রের চলার পথে অন্য দেশে শ’চারেক সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে ওয়াশিংটন।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে শেষ ৭৯ বছরে হয়েছে প্রায় শ’দুয়েক। এই শতাব্দীতে এখনও পর্যন্ত শ’খানেক। অর্থাৎ একদা জর্জ ওয়াশিংটনের বড় মুখ করে বলা সেই নীতি পটোম্যাক নদীতে কবেই ভেসে গিয়েছে। (Donald Trump)

ট্রাম্প শিবিরের দাবি, সরল সোজাসাপটা এই নীতিই মার্কিন আমজনতার পছন্দ আর তার জোরেই তিনি ফের ক্ষমতার মসনদে।

কিন্তু ট্রাম্প কেন এই নীতি নিলেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে চুলচেরা রাজনীতি কাজ করছে। মনে রাখতে হবে ট্রাম্প যখন ২০১৬ সালে হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার দৌড়ে নামলেন তখন তাঁর প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন বারাক ওবামা জমানার দুঁদে বিদেশসচিব হিলারী রডহ্যাম ক্লিন্টন, যিনি কিনা লিবিয়া থেকে সিরিয়াতে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সঙ্গে জড়িয়ে। হিলারির বিপরীত রাজনৈতিক ভাস্য তৈরি করা তখন ট্রাম্পের পক্ষে একান্ত জরুরি। তাই যা কিছু ডেমোক্র্যাটদের চিন্তাভাবনা তার উল্টো পথে হাঁটলেন ট্রাম্প। যেমন ডেমোক্র্যাটরা মনে করে অভিবাসীরা ‘আমেরিকান ড্রিম’ পূরণ করার পথে মার্কিন মুলুকের সর্বাঙ্গীন উন্নতিতে বড়সড় অবদান রাখছেন। পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অভিবাসীদের ‘ছারপোকা’ বলেছেন ট্রাম্প। আর যদি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিমতো বেআইনিভাবে আমেরিকায় থেকে যাওয়া মানুষদের ধড়পাকড় শুরু হয় তো কয়েক লক্ষ অভিবাসীর মার্কিনমুলুক থেকে পাঠ ওঠা নিশ্চিত। (Donald Trump)

আরও পড়ুন: ডিপফেক-মানবসভ্যতার মারিয়ানা ট্রেঞ্চ?

ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা করতে বিদেশনীতিকেও বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। এতকাল ধরে ৩২ দেশের মূলত ইউরোপীয় সামরিক জোট ন্যাটো (নর্থ আমেরিকা ট্রিটি অর্গানাইজেশন)কে দল নির্বেশেষে সমর্থন দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। এবার সেখানেও ট্রাম্পের বিপরীত ভাষ্য। যে জোটকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্থানে হামলা চালিয়েছে, সেই ন্যাটো সহ সব সামরিক জোট থেকে বেরোতে চাইছেন ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি মার্কিন করদাতাদের পয়সা অনর্থক নষ্ট হচ্ছে ন্যাটোর সঙ্গে থেকে। তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে ট্রাম্প বলেইছিলেন, “ন্যাটোকে থোড়াই কেয়ার করি।” অবশ্য ন্যাটো সামরিক জোট নিয়ে ট্রাম্পের অসূয়া নতুন কিছু ছিল না। প্রার্থী হওয়ার অনেক আগেই তিনি লিখেছিলেন, “ইউরোপীয় বিবাদে জড়িয়ে মার্কিন সেনার প্রাণহানি অর্থহীন। ইউরোপ থেকে সরে এলে বরং আমেরিকার কোটি কোটি ডলার বাঁচবে।” ২০১৮ তে ন্যাটোর শীর্ষবৈঠকে এই জোট ছাড়ার ব্যাপারে ট্রাম্প মুখও খোলেন। (Donald Trump)

Kingshuk Banerjee_Kalamkari_Donald Trump_4.12.2024_SC

এই কথার স্বপক্ষে ট্রাম্প শিবির কিছু পরিসংখ্যানও তুলে ধরছে। যেমন সাম্প্রতিককালে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫ লক্ষ কোটি ডলার খরচ হয়েছে বিভিন্ন দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে গিয়ে। হাজার সাতেক সেনার প্রাণহানি হয়েছে বিদেশের সামরিক অভিযান গুলোতে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে এটা দেখাও গিয়েছে মার্কিন ভোটাররা বিদেশে ওয়াশিংটনের সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকে তেমন গুরুত্ব দেন না। তাঁদের কাছে বরং দেশে শেষ শয্যায় শায়িত মার্কিন সেনার দেহ ফেরত আসাটা অনেক বেশি হৃদয়বিদারক। তাই ট্রাম্প যখন বলছেন বিদেশের মাটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার কথা, বলছেন বিদেশে থাকা সেনা দেশে ফেরত আনার কথা, তখন স্বাভাবিকভাবেই জনসমর্থন তাঁর দিকে গিয়েছে। (Donald Trump)

পোলিশ ঐতিহাসিক ও সাংবাদিক অ্যানি এলিজাবেথ অ্যাপেলবামের মতে, হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্প যে আগের দফায় ন্যাটো ছাড়েননি তার মূলে রয়েছে তাঁরই ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস, বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ জন কেলির আপত্তি। তাঁরাই ট্রাম্পকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সে যাত্রায় ওয়াশিংটনের ন্যাটো ত্যাগ ঠেকিয়ে রাখেন। তাই অ্যাপেলবামের শঙ্কা, এবার তো এই চারমূর্তির কেউই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে নেই। এবার ঠেকাবে কে? কারণ অ্যাপেলবামের মতে, যারা এবার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলে, তাঁরা হয় বিদেশনীতির গুরুত্ব বোঝেন না বা বুঝতে চান না। (Donald Trump)

অগস্ট আন্দোলন কিংবা মধ্যবিত্তের এগিয়ে আসার গল্প

তাই এবার যদি ট্রাম্প মসনদে বসে সত্যি সত্যিই ন্যাটো ছাড়েন তো কী হবে? অ্যাপেলবাম যে ছবিটা এঁকেছেন তা অনেকটা এরকম। যে মুহূর্তে ট্রাম্প ন্যাটো ছাড়ার ঘোষণা করবেন সেই সময় থেকেই এই সামরিক জোটের মৃত্যুঘণ্টা বেজে যাবে। কারণ আমেরিকা হল এই জোটের জিওনকাঠি। বস্তুত একমাত্র মার্কিন সামরিক শক্তির ভয়ই ভ্লাদিমির পুতিনকে পূর্ব ইউরোপে আগ্রাসন করা থেকে বিরত রেখেছে। মার্কিন ছত্রছায়া না থাকলে পূর্ব ইউরোপকে ফের ‘লৌহ চাদরে’ মোড়ার জন্য পুতিন উদ্দত হলে তা ঠেকানোর কেউ থাকবে না। ইতিমধ্যেই ‘পুতিন ডকট্রিন’ অনুসারে বেলারাশ ও ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে ‘রাশ’ জাতির বাস ছিল। অর্থ্যাৎ বেলারাশ ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে পুতিন স্বীকারই করেন না। ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে এই তত্ত্ব প্রকাশও করেন পুতিন যা ‘পুতিন ডকট্রিন’ নামে পরিচিত। (Donald Trump)

অর্থ্যাৎ ট্রাম্পের ন্যাটো ত্যাগের ফল হতে পারে রুশ-চিন সামরিক শক্তিকে শুধু ইউক্রেন নয়, পুরো ইউরোপকে মোকাবিলা করতে হবে। আর এর ফল হতে পারে সুদূর প্রসারি। পদার্থবিদ্যায় নিয়মমতোই ক্ষমতারও কেন্দ্র কখনও শূন্য থাকে না। আমেরিকা ন্যাটো থেকে সরলে ইউরোপীয় দেশগুলি প্রথমেই নিজ নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের সেনা আর বাইরে তো পাঠাবেই না, উল্টে রুশ-চিন অক্ষ শক্তির সঙ্গে একটা কাজ চালানোর মতো সমঝোতা করবে। অর্থাৎ ন্যাটো সমঝোতা দানিয়ূবের জলে ভাসিয়ে পশ্চিম ইউরোপ মস্কোর দিকে ঢলবে। অন্যভাবে যে কাজ স্টালিন পারেননি তা পুতিন করে ফেলতে পারেন। (Donald Trump)

মার্কিন ছত্রছায়া না থাকলে পূর্ব ইউরোপকে ফের ‘লৌহ চাদরে’ মোড়ার জন্য পুতিন উদ্দত হলে তা ঠেকানোর কেউ থাকবে না।

আর এরই আরেক প্রভাব গিয়ে পড়বে ইউক্রেনের উপর। ট্রাম্প যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডোমির জেলেনস্কিকে মোটেই পছন্দ করেন না একথা মোটামুটি সবার জানা। জেলেনস্কির মার্কিন সফরকে ব্যঙ্গ করে ট্রাম্প বলেওছেন যে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত দক্ষ মার্কেটিং-এ। যতবার ওয়াশিংটনে আসেন, ততবারই কোটি কোটি ডলার সাহায্য নিয়ে যান।  ইউক্রেনকে চূড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের প্রশ্ন কেন আমেরিকাই শুধু সাহায্য দেবে? কেন ফ্রান্স, জার্মানি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? এইসব মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে ট্রাম্প জমানায় কিভের অস্ত্র সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। আর ইউরোপ তো আগেই অস্ত্র সরবরাহ করার সময় নানান অজুহাতে দেরি করত। এরপর ক্রমে অস্ত্র দেওয়াই বন্ধ হবে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের কিভে রুশ পতাকা ওড়ানোর বাসনা পূরণ হলে সেটা আশ্চর্য্যের কিছু হবে না। (Donald Trump)

এরই আরেক প্রভাব গিয়ে পড়বে ইউক্রেনের উপর। ট্রাম্প যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডোমির জেলেনস্কিকে মোটেই পছন্দ করেন না একথা মোটামুটি সবার জানা।

প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্য মার্কিন মদতপুষ্ঠ সামরিক ও আর্থিক জোটগুলোতেও। ওয়াশিংটন আর সিরিয়াস নয় বুঝতে পেরে জোটের অন্য সদস্য দেশগুলো চিনের সঙ্গে সমঝোতা করবে। অন্যভাবে বললে শি জিন পিঙে বিশ্বে রাজ করার বাসনা সাকার হতে শুরু করবে। (Donald Trump)

অর্থনীতিবিদদের মতে, আধুনিক বিশ্বে রাজনীতি ও অর্থনীতি হাত ধরাধরি করে চলে। তাই রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব কমতে শুরু করলে ধীরে ধীরে অর্থনীতির উপরও প্রভাব পড়বে। বহুজাতিক মার্কিন সংস্থাগুলো এক এক করে বিদেশের বাজার চিনা, কোরীয়, ভারতীয় সংস্থাগুলোর কাছে হারাবে। মার্কিন রফতানি তার উর্দ্ধগতি খোয়াবে। ফলে বিদেশের বাজার হারানো বহুজাতিক সংস্থা থেকে রফতানি নির্ভর দেশীয় সংস্থা সবারই ব্যালান্স শিটে লোকসানের লাল দাগ পড়বে। যার অবশম্ভাবী ফল হল কর্মী সংকোচন। মার্কিন মুলুকে হুহু করে বেকারত্ব বাড়বে। অর্থ্যাৎ শুল্ক বাড়িয়ে বিদেশি পণ্য না ঢুকতে দিয়ে অসুখ সারার বদলে অর্থনীতিকে আরও জীর্ণ করে দেবে। (Donald Trump)

আরও পড়ুন: ফেসবুকের অক্সিজেন ও কলকাতার জেগে ওঠা

অর্থনীতিবিদদের মতে, এইসবই যে আগামী চার বছরের ট্রাম্প জমানায় হবে তা নয়। কিন্তু যদি এই প্রক্রিয়া এই চার বছরে শুরু হয়ে যায়, তবে পরে এর অভিমুখ বদল করা দূরুহ হবে।
তবে সবকিছু এত সরলভাবে নাও হতে পারে। মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক ওয়াশিংটনের হাডসন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো নাদিয়া স্কাদলোর মতে, ২০২০ তে যে বিশ্বকে ট্রাম্প ছেড়ে গিয়েছিলেন, এখন তার আর্থ রাজনৈতিক পরিবেশই পাল্টে গিয়েছে। চার বছর আগের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে চললে এখন আর কাজ হবে না। রাশিয়া যুদ্ধে নেমে পড়েছে। ইরানও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের রণদামামা বাজাচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিং ক্রমশ তার সামরিক শক্তির আস্ফালন করছে। একের পর এক নৌমহড়া করে তাইওয়ান দখলের হুমকি জারি রেখেছে চিন। নাদিয়া স্কাদলোর কথায়, “এই সব সংঘর্ষ আসলে বৃহত্তর যুদ্ধের অশনিসঙ্কেত।” (Donald Trump)

আরেক রিপাবলিকান বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ও ব্রায়েনের মতে, ইউরোপ যদি ইউক্রেনকে সাহায্য জারি রাখে, তাহলে জেলেনস্কির জন্য ট্রাম্পের দরজাও খোলা থাকবে। শুধু তাই নয় এ নিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন ট্রাম্প। রুশরাও ট্রাম্পের খামখেয়ালি রাজনৈতিক স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত। তাই চট করে তাঁকে চটাতে সাহস করবে না। (Donald Trump)

রুশরাও ট্রাম্পের খামখেয়ালি রাজনৈতিক স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত। তাই চট করে তাঁকে চটাতে সাহস করবে না।

কেমন এই ট্রাম্পের খামখেয়ালিপনা? গোটা দুয়েক উদাহরণ দেওয়া যাক। দুম করে একদিন বলে বসলেন, “তাইওয়ান থেকে আমরা কিছু পাই না।” ওদিকে চিনে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি মার্কিন বাজারে ঢুকতে হলে তাঁর আমলে ২০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক লাগবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে এও বলেছেন তাইওয়ান নিয়ে শি জিন পিঙকে তার সামরিক হুমকি দিতে হবে না কারণ ট্রাম্পের কথায়, “শি জিন পিঙ রেসপেক্টস মি অ্যান্ড নোজ আই অ্যাম ক্রেজি।” (Donald Trump)

একইভাবে পঞ্চমুখে পুতিনের প্রশংসা করার পর ট্রাম্পের কথায় তিনি রুশ রাষ্ট্রনায়ককে বলেছে, “ভ্লাদিমির তুমি যদি ইউক্রেনের পিছনে লাগ, আমি এমন আঘাত করব যা তোমার কল্পনার বাইরে। মস্কোর ভিতরে আঘাত করব।”
(Donald Trump)

প্রথম দফায় বিদেশনীতির সাফল্য বলতে ট্রাম্পের ঝুলিতে ওই এক সবেধন নীলমণি।
ট্রাম্প বলে থাকেন তাঁর আমলে বিশ্বে বড় কোনও যুদ্ধ হয়নি।

তবে পশ্চিম এশিয়া ট্রাম্পের জন্য চিন্তার কারণ হতেই পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন কার্যত চাপে পড়ে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও এর স্থায়িত্ব নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে। তাই যে মুহুর্তে বৃহত্তর ইজরায়েল নিয়ে তেল আভিভ এগোবে সেই মুহূর্তে পশ্চিম এশিয়া ফের অশান্ত হবে। আর এবার যুদ্ধ বাধলে ইরানী বৈরিতার দরুণ পুরো পশ্চিম এশিয়াতে ছড়াবে। (Donald Trump)

২০২০ সালে আরব দুনিয়ার সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য বাহরিন ও সংযুক্ত আরব আমীরশাহির সঙ্গে ইজরায়েলের শান্তি চুক্তি করান ট্রাম্প যা আব্রাহাম চুক্তি নামে খ্যাত। প্রথম দফায় বিদেশনীতির সাফল্য বলতে ট্রাম্পের ঝুলিতে ওই এক সবেধন নীলমণি।
ট্রাম্প বলে থাকেন তাঁর আমলে বিশ্বে বড় কোনও যুদ্ধ হয়নি। এবার কিন্তু যুদ্ধের কালো মেঘ ক্রমশ ঘিরে ধরছে।ট্রাম্প কি পারবেন তা দূর করতে? (Donald Trump)

kingshuk banerjee

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে

Picture of কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে
Picture of কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়

মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com