বইয়ের নাম: বসন্ত চৌধুরী কিংবদন্তি নায়ক, আভিজাত্য আর ঐতিহ্য সচেতন বাঙালি
সম্পাদনা: শুভাপ্রসন্ন ও মৌ রায়চৌধুরী
প্রকাশক: আজকাল
মূল্য: ১২০০ টাকা
বাংলার চিত্রতারকাদের স্মৃতিকথা লেখার প্রচলন বহুদিনের। অহীন্দ্র চৌধুরীর ‘নিজেরে হারায়ে খুঁজি’, কাননদেবীর ‘সবারে আমি নমি’ থেকে উত্তমকুমারের ‘আমার আমি’, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘আত্মপরিচয়’ হয়ে কিছুদিন আগে প্রকাশিত সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের ‘সত্যি সাবিত্রী’ আর লিলি চক্রবর্তীর ‘আমি লিলি।’ সদ্য হাতে আসা ‘বসন্ত চৌধুরী: কিংবদন্তি নায়ক, আভিজাত্য আর ঐতিহ্য সচেতন বাঙালি’ বইটি সে দিক থেকে আলাদা। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা বসন্ত চৌধুরীর (১৯২৮-২০০০) দুটি লেখা ছাড়া, বাকি বইটি তাঁর সহশিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীদের স্মৃতিকথার সংকলন হিসাবেই পড়া যেতে পারে। সেখানে বসন্তর অভিনয় প্রতিভার পাশাপাশি, তাঁর আভিজাত্য, সংস্কৃতিমনস্কতা, ইতিহাস সচেতনতার উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে।
বসন্ত চৌধুরীর দুটি লেখার মধ্যে একটি ইংরেজিতে। এটি অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা কেন্দ্র থেকে কথিকা হিসাবে প্রচারিত হয়। বইয়ে যদিও এর দিন বা সাল উল্লিখিত হয়নি, কিন্তু এটি থেকে তাঁর অভিনয় ভাবনার আভাস পাওয়া যায়। একদিকে, সিনেমা ও মঞ্চের অভিনেতাদের প্রশিক্ষণের জন্য তিনি সরকারকে উদ্যোগী হতে বলছেন, অন্য দিকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আদলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অভিনয় সংক্রান্ত পাঠক্রমের জন্যও জোর সওয়াল করছেন।
বাংলা লেখাটির বিষয় চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে। বসন্তর মতে, সিনেমায় ‘পারফরম্যান্স’এর থেকে ‘বিহেভিয়ার’এর গুরুত্ব বেশি কারণ এই শিল্পমাধ্যমে বাস্তবকে শুধু ধরলেই হয় না, তার অন্তরে যেতে হয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, চলচ্চিত্রের মহিমা অক্ষুণ্ণ রাখতে দর্শকদেরও সচেতন ও দায়িত্ববান হওয়া প্রয়োজন।

সাত দশক আগে, ‘মহাপ্রস্থানের পথে’র নবাগত নায়ককে দেখেই পছন্দ হয়েছিল বাংলা সাহিত্যের অগ্রপথিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। সুন্দর, অভিজাত ও ব্যক্তিত্ববান মানুষটি বহু নায়কের ভিড়েও যে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন, সেটাই শীর্ষেন্দুর কাছে তৃপ্তির।
সহশিল্পীদের স্মৃতিচারণ বড়ই সংক্ষিপ্ত। মন ভরে না। অন্তত তিনটি ছবি, ‘বসন্ত-বাহার, শশীবাবুর সংসার, শ্রেয়সী’তে বসন্তর নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে আকৃষ্ট করেছিল তাঁর ‘ভগবানদত্ত কণ্ঠস্বর।’ ‘শঙ্খবেলা’ ও ‘দিবারাত্রির কাব্য’র নায়িকা মাধবী মুখোপাধ্যায়ের ভাল লেগেছিল বসন্তর সাহেবিয়ানা ও সৌজন্যবোধ। রঞ্জিত মল্লিক যখন অভিনেতা হননি তখনই তাঁর মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেয় রাজা রামমোহনের ভূমিকায় বসন্ত চৌধুরীর অভিনয়। ‘দেবীচৌধুরানি’ ছবিতে মহানায়িকার পাশাপাশি বসন্ত চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করা এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: হ্যারি বেলাফন্টের গান
পাঁচ দশকের অভিনয় জীবনে বসন্ত দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন সিনেমা, মঞ্চ, যাত্রা, বেতার, এমনকী টিভি ধারাবাহিকেও। অসংখ্য বেতার নাটকের নির্দেশক জগন্নাথ বসু যেমন মনে করেন কণ্ঠস্বরের গভীরতা ও মিষ্টতায় বসন্ত কাজী সব্যসাচীর থেকেও এগিয়ে। অথচ জগন্নাথেরই নির্দেশনায় ‘বিকল্প’ নাটকে এক ছাত্রীর বাবার চরিত্রের জন্য বসন্তকে তাঁর রাজকীয় কণ্ঠস্বর অনেকটাই বদলে ফেলতে হয়েছিল।
বসন্ত চৌধুরীর দুটি লেখার মধ্যে একটি ইংরেজিতে। এটি অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা কেন্দ্র থেকে কথিকা হিসাবে প্রচারিত হয়। বইয়ে যদিও এর দিন বা সাল উল্লিখিত হয়নি, কিন্তু এটি থেকে তাঁর অভিনয় ভাবনার আভাস পাওয়া যায়। একদিকে, সিনেমা ও মঞ্চের অভিনেতাদের প্রশিক্ষণের জন্য তিনি সরকারকে উদ্যোগী হতে বলছেন, অন্য দিকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আদলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অভিনয় সংক্রান্ত পাঠক্রমের জন্যও জোর সওয়াল করছেন।
ইন্দিরা বিশ্বাসের কাছ থেকে জানতে পারছি, আগরতলা কেন্দ্রে বেতার নাটক চালু করার আগে যে দশদিনের কর্মশালা হয় তার দায়িত্বে ছিলেন ‘সুধাকণ্ঠ’ বসন্ত চৌধুরী ও বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৭ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত বসন্ত অভিনীত বেতার নাটকের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ইন্দিরার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে।
এই সংকলনের অন্যতম সম্পাদক, শিল্পী শুভাপ্রসন্নের কাছে বসন্ত চৌধুরী সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম। পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, হেরিটেজ নিয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল দেখার মতো। ভারতের বিভিন্ন যুগের শিল্পকলা সম্পর্কেও তাঁর ধারণা ছিল স্পষ্ট । এর পাশাপাশি, পার্ক হোটেলের কর্ণধার সুরেন্দ্র ও শিরিন পলের বাড়িতে ব্রেকফাস্টে এবং কলকাতায় বিভিন্ন কনসুলেটের পার্টিতে বসন্তর উজ্জ্বল উপস্থিতির এক চমৎকার ছবি এঁকেছেন শুভাপ্রসন্ন।
অন্য দিকে, আর এক শিল্পী অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন চর্চাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে তাঁকে সব সময় উৎসাহ দিতেন বসন্ত।

‘আভিজাত্য আর ঐতিহ্য সচেতন বাঙালি’ বসন্ত চৌধুরীর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ ও প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকারের। হেমেন বড়ুয়া ও রাধাপ্রসাদ (আরপি) গুপ্তের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল বসন্ত চৌধুরীর। সেই আড্ডাচক্রে মাঝে মাঝে শামিল হতেন গৌতমও। সেখানে আনন্দ, রসিকতার পাশাপাশি নিজেকে ঋদ্ধ করারও সুযোগ পাওয়া যেত। গৌতমের কথায়, ‘বসন্তদা পণ্ডিত হলেও নিজেকে কখনও জাহির করতেন না।’ সেই বসন্তই, তাঁর সংগ্রহে থাকা ১০০টি গণেশ মূর্তি দান করেন ভারতীয় জাদুঘরকে। এর পাশাপাশি, তাঁর কাশ্মিরী ও পারশিয়ান শাল এবং দুষ্প্রাপ্য মুদ্রার সংগ্রহও ছিল ঈর্ষণীয়।
জহর সরকারের কাছে বসন্ত ছিলেন প্রতিভা ও পাণ্ডিত্যের এক আশ্চর্য ঝরনাতলা। অত্যন্ত মনোগ্রাহী ইংরেজি লেখাটিতে জহর জানাচ্ছেন, ভগবানদত্ত ব্যারিটোন ভয়েসে বসন্ত অনায়াসে কথা বলতেন বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিতে। আরপি গুপ্তের সঙ্গে বসন্ত চৌধুরী, নিখিল সরকার ও সুভো ঠাকুরের আড্ডায় কয়েক বার থাকার সৌভাগ্য হয় জহরের। শুধু কী তাই? তরুণ বয়সে, রেডিওয় একটি অনুষ্ঠান করার আগে উচ্চারণ ও উপস্থাপনার পাঠ নিতে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন বসন্তর কাছেই। এর বহু পরে, আটের দশকে, নট্ট কোম্পানির যাত্রা নায়ক বসন্তকে অতিথি হিসাবে পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন বর্ধমানের তৎকালীন জেলাশাসক জহর সরকার।
সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বসন্ত চৌধুরী বাঙালি আভিজাত্যের থেকে যাওয়া অস্তরাগ। রঞ্জন, তাঁর অননুকরণীয় ভাষায় তুলে ধরেছেন বসন্তর স্টাইল স্টেটমেন্ট। ব্রায়ার পাইপ, জামদানি শাল, চুনট করা ধুতি, গিলে করা পাঞ্জাবি। ওয়াইনে চুমুক, সেটাও অনন্য। এমন অসামান্য রসবোধ, আভিজাত্য আর ইন্টেলেক্ট, আর কি কখনও হবে? রঞ্জন যথার্থই বলেছেন, বাঙালির আর দ্বিতীয় কোনও বসন্ত চৌধুরী নেই।
আর এক সাংবাদিক মনোজিৎ মিত্রের কাছে অভিনেতার থেকেও বেশি পছন্দের ছিলেন জীবনরসিক, জ্ঞানপিপাসু আর আড্ডাবাজ মানুষটি, যিনি ছিলেন তাঁর প্রতিবেশীও।

চিত্র সমালোচক নির্মল ধর সরস বর্ণনা দিয়েছেন বসন্তের সঙ্গে আলাপের দিনটির। কী ভাবে বাংলা ছবির ‘ফার্স্ট লেডি’ কাননদেবীর বাড়ি খুঁজতে এসে নজরে পড়ে যান বাংলা ছবির ‘থার্ড পার্সন’ বসন্ত চৌধুরীর। নির্মল যখন রটারডাম চলচ্চিত্র উৎসবে যান, তখন বসন্তই তাঁকে বলেছিলেন পাশেই আমস্টারডামের ভ্যান গঘ মিউজিয়াম মিস না করতে। আর নিজের বেলায় বলতেন, ‘আমি অচল ইতিহাস আর অচল মুদ্রা খুঁজে বেড়াই।’
বসন্তের দুই বন্ধু সুশান্ত সান্যাল ও বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ রোমন্থন করেছেন আটপৌরে স্মৃতি। সেখানে কলকাতার শেরিফ বা নন্দনের চেয়ারম্যান, কেউই নেই। বিকাশ সিংহের চোখে কখনও বসন্ত ধুতি-পাঞ্জাবি পরেই ওয়ালৎজ নাচছেন আবার কখনও ক্যালকাটা ক্লাবে ‘নতুন বৌঠান’ নাটকে একক অভিনয় করে জিতে নিচ্ছেন সব করতালি।
গোটা বইয়ে সব থেকে মনোগ্রাহী রচনা সুশান্ত সান্যালের। বসন্ত তাঁর কাছে বেটু বা বড়বাবু। আর বসন্তর কাছে তিনি বেণু। শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত দু’জনের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। তাঁর কাছ থেকে জানতে পারি, নাগপুরে নিজের বাড়ি নয়, শ্যামবাজারে মামার বাড়ি থেকেই বসন্ত অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা পান। তিনি স্পষ্ট বলেই দিয়েছিলেন, ‘চাকরি আমার পোষাবে না।’ ছেলেবেলায় নাগপুরের গণপতি উৎসব দেখেই বসন্তর গণেশ মূর্তির প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। বন্ধুর বিপদের সময় শ্যুটিং ছেড়ে এসে দাঁড়িয়েছেন তাঁর পাশে।
জহর সরকারের কাছে বসন্ত ছিলেন প্রতিভা ও পাণ্ডিত্যের এক আশ্চর্য ঝরনাতলা। অত্যন্ত মনোগ্রাহী ইংরেজি লেখাটিতে জহর জানাচ্ছেন, ভগবানদত্ত ব্যারিটোন ভয়েসে বসন্ত অনায়াসে কথা বলতেন বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিতে। আরপি গুপ্তের সঙ্গে বসন্ত চৌধুরী, নিখিল সরকার ও সুভো ঠাকুরের আড্ডায় কয়েক বার থাকার সৌভাগ্য হয় জহরের। শুধু কী তাই? তরুণ বয়সে, রেডিওয় একটি অনুষ্ঠান করার আগে উচ্চারণ ও উপস্থাপনার পাঠ নিতে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন বসন্তর কাছেই।
বসন্ত চৌধুরী অভিনীত বহু ছবির পোস্টার এবং তাঁর কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মহাপ্রস্থানের পথে’, ‘বসন্ত বাহার’, ‘যদুভট্ট’, ‘রাজা রামমোহন’, ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’। রয়েছে দুটি মূল্যবান সংযোজন, সঞ্জিত চৌধুরীর করা বসন্ত চৌধুরীর চলচ্চিত্রপঞ্জি এবং বসন্ত চৌধুরীর মৃত্যুর পর সৃঞ্জয় ও অমিতাভ চৌধুরীর লেখা প্রেস বিজ্ঞপ্তি। আর্ট পেপারে ঝকঝকে ছাপা বইটিতে শুভাপ্রসন্নের প্রচ্ছদ ফিরিয়ে আনবেই খ্যাতির মধ্যগগনে থাকা বসন্তর স্মৃতি।
তবু কিছু আক্ষেপ রয়ে গেল। এত সুন্দর বই অথচ কোনও সূচিপত্র নেই। কুড়ি নম্বর পৃষ্ঠায় বসন্ত-মাধবী-অঞ্জনা ভৌমিকের লবি স্টিলে লেখা ‘অনুষ্টুপ ছন্দ।’ হওয়ার কথা ‘দিবারাত্রির কাব্য।’ নির্মল ধরের লেখায় একাধিক মুদ্রণ প্রমাদ ও তথ্যগত ভুল। ‘মহাপ্রস্থানের পথে’র পরিচালক কার্তিক চট্টোপাধ্যায়, দেবকী বসু নন। টালিগঞ্জ ছেড়ে স্টুডিওপাড়া চলে গিয়েছে বালিগঞ্জে। অভিনয় নিয়ে বসন্তর ইংরেজি লেখায় কয়েকটি অক্ষর বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছে। ইন্দিরা বিশ্বাসের লেখায় ‘তপতী’ নাটকের সাল ভুলক্রমে ছাপা হয়েছে ১৯৩৮। হবে ১৯৫৮। জহর সরকারের লেখায় ‘অন্তর্জলি যাত্রা’র নায়িকার নাম দেওয়া হয়েছে শম্পা ঘোষাল। হবে শম্পা ঘোষ। চলচ্চিত্রপঞ্জিতে ‘হিরের আংটি’ বাদ পড়া বিস্ময়কর। আশা রাখি, পরবর্তী সংস্করণে প্রকাশক এই ভুলগুলি সংশোধন করে নেবেন।
ছবি সৌজন্য: সঞ্জিত চৌধুরী
দু’দশক ইংরেজি সংবাদপত্রের কর্তার টেবিলে কাটিয়ে কলমচির শখ হল বাংলায় লেখালেখি করার। তাঁকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কয়েকজন ডাকসাইটে সাংবাদিক। লেখার বাইরে সময় কাটে বই পড়ে, গান শুনে, সিনেমা দেখে। রবীন্দ্রসঙ্গীতটাও নেহাত মন্দ গান না।