









(Calabash Gourd) মহারাষ্ট্রের মিরাজ-এর (পাণ্ডলপুর) সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্রের জন্য লাউ চাষ করে চলেছে, হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ার রসিদপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশপুর গ্রাম। যাকে অনেকেই লাউগ্রাম বলেই জানেন।
দামোদর বাঁধের পূর্বদিক বরাবর একটি ঢালাই রাস্তা নিচের দিকে নেমে গেছে। ওই রাস্তা ধরে কিছুটা গেলেই শ্যামসুন্দর বাড়ুই-এর বাড়ি। গ্রামের সকলেই তাঁকে একডাকে চেনেন। সারা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় নানান সাইজের অসংখ্য লাউয়ের খোল (তুম্বা)।
শ্যামসুন্দর বাড়ুই-এর বাবা স্বর্গীয় রণজিৎ বাড়ুই-এর আমল থেকেই লাউ চাষ শুরু। এখান থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি ভিন রাজ্যের নানান শহরেও পৌঁছে যায় লাউ। এই লাউ থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় বাদ্যযন্ত্র। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে এই বাদ্যযন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। (Calabash Gourd)
কৃষকরা প্রথমে আশ্বিন মাসে জমিতে বীজ ছড়ায়। তারপর তা থেকে গাছ হয়। আর সেই গাছেই ফলে বড় সাইজের লাউ। লাউ পেকে ওঠা থেকে তার খোলাকে শুকনো করে বাদ্যযন্ত্রের উপযোগী করে তোলা, এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে প্রায় ৬-৭ মাস সময় লাগে।
চৈত্র মাসে লাউ তোলা হয়। লাউ তোলার এক সপ্তাহ পর মুখ কেটে লাউয়ের বীজ ও শাঁস অংশ আলাদা করে নিতে হয়। ৫-৭ দিন পরে জলে ফেলা হয় লাউয়ের খোল। জলে ৭ দিন থাকার পর তা তুলে নিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে শুকনো জায়গায় রাখতে হয়। শুকনো করে ওই লাউ খোল সেতার, তানপুরা, বীনা ও সুরবাহার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। (Calabash Gourd)
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।