





রবি ও নরেন
রবীন্দ্রনাথ তখন নিতান্তই ছয় বছর বয়সী এক বালকমাত্র। উনপঞ্চাশ বছর যাঁর বয়স, যিনি ব্রাহ্মধর্মের পুরোধা, সেই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে এসেছিলেন উনিশ বছরের ছোট তিরিশের যুবা কালীসাধক গদাধর চট্টোপাধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথ তখন নিতান্তই ছয় বছর বয়সী এক বালকমাত্র। উনপঞ্চাশ বছর যাঁর বয়স, যিনি ব্রাহ্মধর্মের পুরোধা, সেই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের কাছে এসেছিলেন উনিশ বছরের ছোট তিরিশের যুবা কালীসাধক গদাধর চট্টোপাধ্যায়।
ক্লাস থ্রি-তে ওঠার পর আমার পার্কে যাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। নির্দেশনামার বিশ্লেষণে মায়ের কোনও আগ্রহ ছিল না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে খুব মিল। শুনলাম, বড় হয়ে গেছ, আর খেলতে যেতে হবে না।
একটি মানুষের মধ্যেই যে আঙুরভাব এবং শেয়ালভাব অবস্থান করতে পারে, নিজের মনের উন্মোচনের মাধ্যমে, এই কবি, সেই অবধারিত সত্যবার্তা তুলে ধরেছেন। এ-লেখা পড়ে বিস্ময়ে আবিষ্ট হয়েছি বললে কম বলা হয়। দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের আগামী কবিতাগুচ্ছের জন্য আমার সাগ্রহ অপেক্ষার কথা জানিয়ে আজকের মতো এই লেখা সাঙ্গ করলাম।
এক অক্লান্ত সুরস্রষ্টা, এক সাঙ্গীতিক কিংবদন্তী, যাঁকে আপামর ভারতবাসী একডাকে চেনেন সলিল চৌধুরী নামে, সেই সুরসাধককে নিয়ে কলম ধরলেন এ কালের বিশিষ্ট সঙ্গীতরসিক ও গবেষক স্বপন সোম।
পরনের কাপড়ের খুঁটেই গলা মুখের ঘাম মোছা, বাচ্চাদের ভিজে মুখ বা হাতের তেলো মুছিয়ে দেওয়া এবং অভিমানে লুকিয়ে চোখ মোছাও। কড়ার তরকারিতে হাত ধোওয়া জল দিয়ে সে হাতও নিজের আঁচলেই মুছতেন। ডান হাতের পাঁচ আঙুলের কাজ সারা মানেই, পরনের কাপড়ে হাতখানি ডলে নেওয়া। হেঁশেলের পোশাক নিয়ে কলম ধরলেন মন্দার মুখোপাধ্য়ায়।
ইন্দিরাদেবীর ‘ভ্রমণস্মৃতি’ থেকে এও জানা যায়, যে রবিকাকার সঙ্গে হাজারিবাগ-সহ মুসৌরি, গাজিপুর, দার্জিলিং, তিনধারিয়া প্রভৃতি নানা জায়গায় ইন্দিরা গিয়েছিলেন। দু’জনের সম্পর্কের ভিত্ ছোট থেকে গড়ে উঠেছিল। কলকাতায় থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজের নানা উৎসবে ইন্দিরা পিয়ানো বাজানোর জন্য যেতেন।
ক্লাস থ্রি-তে উঠে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা জমা দিতে গেলাম। ভাগ্যিস সঙ্গে ক্লাসের এক বন্ধু ছিল। ক্লাসটিচার ভুরু কুচকে বললেন, তোমার নিজের লেখা? না, মা-বাবা লিখে দিয়েছেন? আমার কান লাল হয়ে উঠেছে। এমন অপমানজনক প্রশ্ন কেউ করতে পারে আমাকে? বন্ধু বলল, না দিদিমণি, ওর খাতা আছে, ও কবিতা লেখে। … শৈশবের কলকাতা ফিরে দেখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
নম্র, মিতভাষী, শান্ত সাংবাদিক মানুষটি যে আচমকাই ঘর পরিবার তুচ্ছ করে জড়িয়ে পড়বেন সক্রিয় সশস্ত্র রাজনৈতিক আন্দোলনে, বোঝা যায়নি একেবারেই। সত্তরের দশকের এক অখ্যাত নায়কের কাহিনি আলপনা ঘোষের কলমে।
৫ ডিসেম্বর ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখে তাঁর সঙ্গে কাকা রবীন্দ্রনাথের স্নেহোচ্ছল সখ্যের গল্প শোনালেন পীতম সেনগুপ্ত তাঁর কবি-সমীপে কলামে।
কবিতার খাতাটা এমনভাবে বুকের কাছে ধরা থাকত যে, বড় ছোট যে কেউ জানতে চাইবে, ওটা কী? তখন আমি বিজ্ঞের মতো বলব, জানো আমি কবিতা লিখি এতে। আর এটাও বলতে ভুলব না যে বড় হয়ে আমি লেখক হব।… শৈশবেই চোখে লেগে গিয়েছিল ভবিষ্যতের নেশা। কলমে অনিতা অগ্নিহোত্রী।
নবীনার কবিতায় আচ্ছন্ন প্রবীণ কবি। তাঁর আন্তরিক সফরনামা বাংলালাইভের পাতায়।
প্রবাসে নির্বান্ধব শুষ্ক ও অবসন্ন জীবনের মধ্যে যখন নিরবচ্ছিন্ন একাকীত্ব যখন জগদীশচন্দ্রকে গ্রাস করত, তখন আলো বলতে রবি’র আলোই তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলত। তার মধ্যে দিয়েই আশার আলোর সন্ধান পেতেন। সেই বন্ধুত্ব নিয়ে লিখলেন পীতম সেনগুপ্ত।
দক্ষিণ কলকাতায় নানা বাসা বদল করতে করতে, কর্নফিল্ড রোড, চন্দ্রমণ্ডল লেন, অনিল রায় রোড ঘুরে বাবা-মা যখন হাজরা রোডের তিনতলার বাসায় এসে পৌঁছলেন, তখন কি জানি, এই বাড়িই হবে আমাদের আগামী দু’দশকের ঠিকানা? — লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
দুই ভাষার সাহিত্যের দুই দিকপাল – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জর্জ বার্নার্ড শ। তাঁদের মধ্যে কি আদৌ কোনও যোগাযোগ ছিল? খবর রাখতেন পরস্পরের লেখার? কতখানি ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর সমীহ? খুঁজে দেখলেন পীতম সেনগুপ্ত।
রান্নাঘরের আসবাব বদলে গেল ঘরে ঘরে গ্যাস এসে যাওয়ায়। আর প্রায় একই সঙ্গে শুরু হল ফ্ল্যাটবাড়ির রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে রান্না। আর মিটসেফ বদলে হৈ হৈ করে এসে গেল ফ্রিজ এবং কুঁজো কলসির বদলে, ওয়াটার ফিল্টার। সিঙ্ক বলে একটি জিনিস হল, কলের জলে বাসন ধোয়ার জন্যে।
সেই ষাটের দশক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ক্লাস। পড়াতে আসছেন ডাকসাইটে অধ্যাপকেরা। পড়তে আসছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকেই তখন সাংবাদিক। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ আলপনা ঘোষের কলমে।
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Contact us: