প্রথম পাতা » উপন্যাস » Page 14
দেহভেদ নিরূপনের গূঢ় তত্ত্ব নিয়ে মহাবিতর্কসভা বসেছে মালিহাটিতে। তার মধ্যেই এক অস্বস্তিতে ভুগছেন আহসান খাঁ। সেবন্তী ঘোষের ধারাবাহিক উপন্যাস।
অজগরের মতো পা জড়িয়ে ধরছে লতাপাতা, খচমচ করে ছুঁচো বা কিছু একটা পালিয়ে গেল অন্ধকারে, কিন্তু থামলে চলবে না। একটার পর একটা কক্ষ পেরিয়ে উঠে চলল
রাগলেখা গাঢ় স্বরে বলে, এসব শেষ হয়ে গেলে, চল আমরা অন্য কোথাও চলে যাই। তোমার তো সন্তান নেই যে তার টান ছাড়তে পারবে না।
একটা বড় নিমগাছের ছায়া ভেঙে ছড়িয়ে আছে সমগ্র স্থাপত্যের ওপর, হাওয়াতে সরে সরে যাচ্ছে বারেবারে। তিরতির করে কাঁপছে বেতবন, আর আওয়াজ হচ্ছে সি সি।
সেবন্তী ঘোষ তাঁর ঐতিহাসিক উপন্যাসে লিখছেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের উত্থানের কাহিনি। আজ চতুর্থ পর্ব।
'প-পয়সা নেই তো ফেলে ক্কেন দি-দিলি? দ্দিনরাত আমার প-পয়সায় খাবি, আমার ব্যা-ব্যাটে খেলবি, আমার সান-সানগ্লা-গ্লাস পরবি, আর আমাকে ভা-ভাগ দিবি না! শু-শুওর কোথা-কার !'
এখনও শাসকের ধর্মই সংখ্যালঘু। তবে শিষ্ট সমাজের যা ব্যবহার, ভবিষ্যতে যে কী হবে ভাবতেই শিউরে উঠলেন পরম বৈষ্ণব!
ছোট থেকে ওই ভয়টা পুষতে পুষতে বড় হয়ে উঠেছি। ভয় লাগে যে এক্ষুনি কেউ আমাকে ঠেলে ফেলে দেবে ছাদ থেকে, বা পুকুরের তলায় টেনে নিয়ে যাবে।
Notifications