(Shimla)
বড় রাস্তা ছেড়ে একটু পাহাড়ি পথে হাঁটলেই কিছু দূর অন্তর চোখে পড়বে এক দৃশ্য! একদল ঘোড়া ধীরে ধীরে উঠছে পাহাড়ে। টুংটাং শব্দ হচ্ছে মাঝে মাঝেই। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা যায়, ঘোড়াগুলোর অনেকের গলায় ঘুঙুর। সমতলে গরু বা ছাগলদের গলায় যেমন বাঁধা থাকে। (Shimla)
আর সেই পাহাড়ে ওঠার সময় ঘুঙুরগুলোই আওয়াজ করছে। যাচ্ছি পাহাড় দিয়ে, অথচ মনে হচ্ছে সমতলের কোনও ক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি। আর আওয়াজ হচ্ছে চারদিকে ঘুরে বেড়ানো গরুদের জন্য।(Shimla)
আরও পড়ুন: ভেজ বনাম নন ভেজ ফুডের রাজনীতি
এই রাস্তাটাকেই আগে বলত ইন্দো টিবেটান রোড। লর্ড ডালহৌসির মাথা থেকে বেরিয়েছিল ভাবনাটা। কতদিন আগে, ১৮৫০ সালের ঘটনা। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর থেকে শুরু হয়ে লুধিয়ানা-চন্ডীগড় হয়ে রাস্তাটা শিমলা ছুঁয়ে চলে গেছে তিব্বত সীমান্তে। শিপকি লা নামে একটা জায়গায়। এখন সেটা জাতীয় সড়ক ৫ নম্বর। সেনাদের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। (Shimla)
সিমলা পেরোলেই সবুজ পাইনের বন একটা জায়গায়। ঢেউ খেলানো পাহাড় চলে গিয়েছে কত দূরে। ওখানে দেখা যাবে প্রচুর লোক উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে সেলফি তুলছে। ওটাই আসলে শিমলার বিখ্যাত গ্রীন ভ্যালি।
তার উপরে একটু এগোলে চোখে পড়ে, অনেক লোকে রাস্তার ধারে একজোড়া ইয়াক নিয়ে বসে মাঝে মাঝেই। সাজানো শান্ত ইয়াক। তার ওপরে চড়ে ছবি তুলতে চান অনেকে। ওটাই স্থানীয়দের জনপ্রিয় ব্যবসা। এইরকম ইয়াকদের নিয়েও এ বছর নীতু সিং আর কপিল শর্মার একটি ছবির গানের শুটিং হল এখানে। জাতীয় সড়কের পাশে ইয়াকদের দেখা পাওয়া মানে কুফরি এসে গিয়েছে প্রায়। (Shimla)

কুফরি শহরটা এলে মূল জাতীয় সড়ক চলে গেল ফাগুর দিকে। ডানদিকে একটা পাহাড়ে উঠে গিয়েছে ছোট রাস্তা। এই রাস্তাটাই চলে গিয়েছে একেবারে উপরে, সেখানে কুফরি পার্ক। সেখানেই দেখা হবে অজস্র ঘোড়ার সঙ্গে। ডানদিকে ঘোড়া, বাঁদিকে ঘোড়া। উপরে ঘোড়া, নীচে ঘোড়া। রাস্তার ধারে নানা গর্ত, সেখানেও ঘোড়ারা দাঁড়িয়ে। রাস্তার ধারে একটু নেমে গিয়েছে পথ, সেখানেও ঘোড়ার দল। ঘরে ঘরে ঘোড়া। (Shimla)
কাশ্মীরের পহলগাম বা গুলমার্গেও এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকে ঘোড়ার দল। তবে সংখ্যায় এতটা নয়। এই ঘোড়া চড়েই আরও একটু উপরে উঠে যেতে হবে পর্যটকদের। বিশ্বের অন্যতম উঁচু অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সেখানে। আছে চিড়িয়াখানা। সেখানে চারদিকে পাহাড়, কোথায় ধাপে ধাপে উঠে গিয়েছে ধান ক্ষেতের পাহাড়ি টিলা। এখন সেগুলো হলদেটে, মরা ঘাস ভরা। শীতের সময় বরফ সাদা থাকবে, বর্ষার সময় সবুজ। (Shimla)
“দার্জিলিং ম্যালেও ইদানীং যে ঘোড়াগুলো দেখা যায় বাচ্চাদের ঘোরানোর জন্য, সেগুলো সাদা স্বাস্থ্যবান। আগের মতো ম্যালের গায়ে আস্তাবল উঠে গিয়েছে।”
সিমলায় ম্যাল রোডের উপরে শহরের সেরা প্রতীক ক্রাইস্টচার্চ গির্জার গায়ে দাঁড়িয়ে থাকে গোটা কুড়ি ঘোড়া। বাচ্চাদের চড়াবে বলে। অধিকাংশই সাদা ধবধবে, স্বাস্থ্যবান। দেখলে শ্রদ্ধা হবে। কুফরির এই ঘোড়াগুলো কিন্তু সেরকম তেজি নয়। ছোটখাটো, অত্যন্ত দুর্বল। গর্তের মধ্যে পরপর দাঁড়িয়ে থাকে নিঃশব্দে। মাথা নিচু। কোনও আওয়াজ নেই। রাস্তায় মাঝে মাঝেই লাল রং-এর বসার আসন ছড়িয়ে রয়েছে এখানে ওখানে। ওগুলো ঘোড়ার পিঠের ওপর লাগানো থাকে। তার ওপর বসে পর্যটকরা। (Shimla)
দার্জিলিং ম্যালেও ইদানীং যে ঘোড়াগুলো দেখা যায় বাচ্চাদের ঘোরানোর জন্য, সেগুলো সাদা স্বাস্থ্যবান। আগের মতো ম্যালের গায়ে আস্তাবল উঠে গিয়েছে। কিন্তু সেখানেও এমন দুর্বল ছোটখাটো ঘোড়া দেখা যায় না। কুফরির অশ্ববাহিনীকে দেখলে বেশ কষ্টই লাগে। (Shimla)

এই দলবদ্ধ ঘোড়াগুলোই যাত্রীদের নিয়ে যায় আরও একটু উপরে। কিছু দূর অন্তরই ঘোড়ার স্ট্যান্ড। ঘোড়ার মালিকেরা ডাকাডাকি করে পর্যটকদের। অনেক সময় সেটা টানাটানির পর্যায়ে চলে যায়। (Shimla)
এই ঘোড়াগুলো কোথায় থাকে? রাস্তা লাগোয়া ছোট্ট দোকানে ঢুকেছিলাম কফি খেতে। সেখানেই তরুণ মালিককে প্রশ্ন করি। সেখানেই শুনলাম, চারপাশের পাহাড়ি গ্রামে ঘোড়াগুলো থাকে। কিছু ঘোড়া অত্যন্ত দুর্বল। বোঝাই যাচ্ছে, আর কাজ করতে পারে না। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে রাস্তার ধারে। এদেরকে কি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে? তরুণটির নাম ভুলে গিয়েছি! পদবী মনে হচ্ছে সিং। পাঞ্জাবি নয়, হিমাচলিই। বেশ আন্তরিক গলায় শোনাল, ‘না, এদের আসলে মালিকরাই খেতে পড়তে দেয়, যত্ন করে। এরা তো অনেকদিন ব্যবসা দিয়েছে মালিককে। সন্তানের মতো হয়ে গিয়েছে। এদেরকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।’ (Shimla)
আরও পড়ুন: খেলার ভারতে মহিলা কর্ত্রী কোথায়?
ভাল লাগল কথাটা শুনে। মনে পড়ল, রেসের মাঠে ঘোড়াগুলো হঠাৎ আহত হলে ওদেরকে মেরে ফেলাই রেওয়াজ। কলকাতা ময়দানে অনেক ঘোড়াকে ঘুরতে দেখা যায় রেড রোড বা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। তাদের দেখার কেউ নেই আর। অত্যন্ত অসহায়। অনেকে রেসকোর্সের স্টেবলে থাকত রাজার হালে। এখন সেখান থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। (Shimla)
কুফরির এই এলাকাতেই হিন্দি ছবির কিছু স্মরণীয় গানের শুটিং হয়েছে। প্রথমেই মনে পড়বে ‘আপ কি কসম’ ছবিতে বরফের মাঝে রাজেশ খান্না-মমতাজের লিপে কিশোর-লতার স্মরণীয় গান, ‘করভাতে বদলতে রহে সারি রাত হাম’। ছবির গান ৫১ বছর পরেও অম্লান জনপ্রিয়তা। (Shimla)

বা ধরা যাক বিধু বিনোদ চোপরার ১৯৪২ এ লাভ স্টোরির কথা। সেখানে মনীষা কৈরালা-কবিতা কৃষ্ণমূর্তির যুগলবন্দির ‘প্যায়ার হুয়া চুপকে সে’ গানের শুটিং হয়েছিল এই কুফরির আবহে। মনীষার পিছনে ছিল পাহাড়ের পর পাহাড়ের স্তর। (Shimla)
শিমলায় বরফ পড়ার আগেই সাধারণত বরফ পড়ে কুফরিতে। প্রচুর পর্যটক সেখানে যান। এখান থেকে দেখা যায় দূরের লাহুল স্পিতি বা উত্তরাখণ্ডের বরফাবৃত পাহাড়। তাই আলাদা গুরুত্ব রয়েই গিয়েছে এই গ্রামের। শিমলায় এলে ম্যাল রোডের পরই আসতে হবে এই গ্রামে। (Shimla)
“কুফরিতে আরও বড় সমস্যা, ঘোড়া নিয়ে তো উঠলেন। সেই সময় পাশে আর কেউ থাকে না। অত্যন্ত সরু জায়গার মধ্যে দিয়ে ঘোড়ারা ওঠানামা করে। অনেক যাত্রী আতঙ্কে চেঁচামেচি করেন। পড়ে যান। তাঁদের সাহায্য করার জন্য কেউ থাকে না।”
কুফরির আঁকাবাঁকা রাস্তায় অনেক তরুণ তরুণীর সঙ্গে কথা হল, যাঁরা ঘোড়াদের নিয়ে মোটেই উদ্বেলিত নন। বরং ক্ষুব্ধ। তাঁদের ক্ষোভের প্রকাশ মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন কুফরির ঘোড়া মালিকদের নিয়ে। এঁরা ওখানে এমন দাদাগিরি করছেন, অন্য যান বাহন উঠতে দেন না। ঘোড়া ছাড়া কুফরির ওপর যেতে পারেন না কেউ। ঘোড়ারা সরু রাস্তা নষ্ট করে রেখে দেয়। সেখান দিয়ে ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারেন না। শিমলায় যেমন গাড়ি মালিকরা উবর, ওলাকে শহরে কাজ করতেই দেবে না। তাদের রোজগার নষ্ট হয়ে যাবে বলে। (Shimla)
কুফরিতে আরও বড় সমস্যা, ঘোড়া নিয়ে তো উঠলেন। সেই সময় পাশে আর কেউ থাকে না। অত্যন্ত সরু জায়গার মধ্যে দিয়ে ঘোড়ারা ওঠানামা করে। অনেক যাত্রী আতঙ্কে চেঁচামেচি করেন। পড়ে যান। তাঁদের সাহায্য করার জন্য কেউ থাকে না। সামনের অসামান্য প্রকৃতি তখন অর্থহীন হয়ে পড়ে। তা উপভোগ করার জন্য আর মন থাকে না। ঘোড়ার মলে ভর্তি হয়ে থাকে সেখানকার সমস্ত রাস্তা। (Shimla)

ঘোড়াদের জন্যই কি কুফরি-মাহাসু শৃঙ্গে যাওয়ার পথে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে বছর দুই আগে বেশ কিছু পরিবেশপ্রেমী দ্বারস্থ হয়েছিল জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের। (Shimla)
মাস খানেক আগে নয়াদিল্লির জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেক দিন ২৯৩ টি ঘোড়া এবং ২২৩২ পর্যটকের বেশি কেউ যেতে পারবেন না ওই পথে। পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। এই নির্দেশ শুনে দেখে এলাম কুফরির ঘোড়াওয়ালারা গজরাচ্ছেন নিজের মতো করে। (Shimla)
“বলা হয়েছিল, ৮ থেকে ১০ স্কোয়ার কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে কুফরিতে ৭০০ থেকে ৮০০ ঘোড়া ঘোরাঘুরি করে একসঙ্গে। যার ফলে প্রচুর গাছের শিকড় নষ্ট হচ্ছে। মারা যাচ্ছে অনেক গাছ। নষ্ট হচ্ছে তরকারির ক্ষেত। পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া।”
আদালতে আবেদনে যা বলা হয়েছিল, তা সত্যিই ভয়ঙ্কর। বলা হয়েছিল, ৮ থেকে ১০ স্কোয়ার কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে কুফরিতে ৭০০ থেকে ৮০০ ঘোড়া ঘোরাঘুরি করে একসঙ্গে। যার ফলে প্রচুর গাছের শিকড় নষ্ট হচ্ছে। মারা যাচ্ছে অনেক গাছ। নষ্ট হচ্ছে তরকারির ক্ষেত। পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া। নষ্ট হচ্ছে পানীয় জল। বরফ পড়ছে আগের তুলনায় কম। ভাবুন, এর চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কী হতে পারে! ওখানে তবু লোকে জাতীয় গ্রিন প্যানেলের দ্বারস্থ হয়েছেন। আমাদের পাহাড় বা ডুয়ার্সে তো কেউ এমন করেননি! (Shimla)

এর আগে জাতীয় গ্রিন প্যানেলের নির্দেশে হিমাচল সরকার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল। সেখানে জানা যায়, প্রতি বছরে ওই এলাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ টন ঘোড়ার মল তৈরি হয়। তাতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। একটা সময় এই অঞ্চল থেকেই সিমলায় পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন ব্রিটিশরা। তা এখন ভেঙে পড়ার মুখে। ঘোড়াদের বর্জ্য থেকে নাইট্রোজেন, কার্বন ও ফসফরাস নষ্ট করে দিচ্ছে পানীয় জলের উত্সধারাকে। (Shimla)
ঘোড়ারাই কি ঘোড়াদের গ্রামে যত নষ্টের মূলে? কুফরিতে শুনলাম, ঘোড়ার হিসেবেই রয়েছে গোলমাল। রাজ্য সরকার যখন ঘোড়াদের হিসেব নিতে শুরু করল, তখন সেখানে দেখা গিয়েছিল ঘোড়ার সংখ্যা ১০৯১। মালিকের সংখ্যা ৪৯৬। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ঘোড়া সব। সবচেয়ে বেশি ঘোড়া ছিল দারভোগ পঞ্চায়েতের, ১৬০। তারপর মাজহার (১৫১), কুফরি (১৩৬), দেহনা (৮৮), মাখরল (৮৪), চিওগ (৫২), নালা (৪৬), বানি (৪২)। ২০০ কিলোমিটার দূরের মান্ডি থেকেও একটা ঘোড়া আসে। (Shimla)
ওই তালিকাই বুঝিয়ে দিয়ে যায়, কুফরির আশপাশের গ্রামে কত ঘোড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে। শুধু একটি ঘোড়ার ওপর নির্ভর করে চলে কত পরিবারের জীবন। এখন ট্রাইবুনালের কথা মেনে ঘোড়ার সমস্যা কমাতে যাওয়াও বিপজ্জনক। কুফরির এক ঘোড়ার মালিক বলছিলেন, ‘আমি ১৯৮০ সাল থেকে কাজ করছি এখানে। গাছ নষ্ট হচ্ছে বলে ঘোড়াদের দোষ দেওয়া ঠিক নয়। গাছ তো অনেকে কেটে নিয়ে চলে যায় অন্য স্থানীয় মানুষ। ঘোড়াওয়ালারা কী করবে?’ (Shimla)
কুফরির প্রধান অঞ্চলে কয়েকবার ঘোরাঘুরি করলে এই উত্তেজনার ছবি টের পাওয়া যাবে না। শান্ত চারদিক। এখন সবুজ কিছুটা কম। দূরের পাহাড় বেশ রুক্ষ। বরফ নামার অপেক্ষায় প্রকৃতি।
ঘোড়াদের নিয়ে ঘটনার এমন ঘোর ঘনঘটা ভারতের কোনও পাহাড়ি পর্যটন শহরে হয়েছে বলে শুনিনি। (Shimla)
ছবি ঋণ: লেখক
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
বিশিষ্ট সাংবাদিক। এই সময় সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সম্পাদক। আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে কভার করেছেন একাধিক বিশ্বকাপ ফুটবল ও অলিম্পিক গেমস। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, খেলা, গান, সিনেমা, ভ্রমণ, খাবারদাবার, মুক্তগদ্য— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।
