আমি বলতে চাই– এবার থামো!
এবার অন্ধকারকে বলো
কক্ষচ্যুত নক্ষত্রের মতো নিভে যেতে
যে অসম্ভব ভারী পাথরটা
তোমার আর আমার বুকের উপর
উদ্ধতভাবে চেপে বসে আছে
তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দাও।
অন্ধকারের নদীকে বলো
তার পথচলা শেষ হয়েছে
অন্ধকার হ্রদকে বলো
মিছিমিছি-ই সে নিরঙ্কুশ শূন্যতার কথা বলছে।
যা যা নিরস্তিত্ত্বের ভিতর পর্যবসিত
তাদের সন্দেহ করো
পাখির ঠোঁটে গান দাও
সে অন্ধকার ভেদ করুক।
এবার থামতে বলো আঁধারকে
যা পাথরের বুকে বন্যা হয়ে উপচে পড়ে
বুকের পাঁজরে পাঁজরে
বিমর্ষতা বিঁধিয়ে দেয়।
এই রাত্রি শেষ না হলে
পাখিদের সমবেত কলধ্বনি
শোনা যাবে না
মৃত্যুকে জাহান্নামে যেতে বলো
প্রজ্জ্বলিত অন্ধকারকে বলো
মৃত নক্ষত্রের মতো
নিভে যেতে।
*ছবি সৌজন্য: Pixabay
সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৬১ সালে কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিধ্যলয়ের ইতিহাসের সাম্মানিক স্নাতক। কবিতা ও সাহিত্য ছাড়াও তাঁর প্রধান আকর্ষণ সঙ্গীত। রয়াল স্কুল অফ মিউজিক, লণ্ডন থেকে বেহালাবাদক হিসেবে গ্রেড ৫, ৬ ও ৭ পাস করেছেন। সাংবাদিকতার সূত্রে অমৃতবাজার পত্রিকার লেখক ছিলেন। তপন সিংহ-এর অন্তর্ধান ছবিতে সহকারি পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত অনিল চট্টোপাধ্যায় বিষয়ক তথ্যচিত্রেও সহকারি হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীকালে একটি স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে চাকুরীজীবি। নিয়মিত লেখালেখি করেন বেশ কিছু প্রথম সারির বাংলা পত্রিকায়। সৌগত চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র।