Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

অপরাজেয় ডাক্তার হৈমবতী সেন

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

আগস্ট ৪, ২০২৩

Feature on Dr Haimabati Sen
Feature on Dr Haimabati Sen
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বছরখানেক আগেও করোনা মহামারী ছিল বিশ্বজুড়েআতঙ্কে বাঁচছিল মানুষকারণ রোগের ওষুধ জানা ছিল নাজানা ছিল না প্রতিষেধক টিকাতবু সেরেছেন বহুজনকরোনাজয়ী হয়ে অভিনন্দিত হয়েছেন সাধারণ মানুষের মাঝেএ প্রসঙ্গেই এমন এক বিস্ময়কন্যার কথা স্মরণে আসে যাঁর গোটা জীবনটাই ছিল করোনা যুদ্ধের মত আশঙ্কায় পরিপূর্ণ! জীবনসাগরে হ্যারিকেনের মাঝে, প্রখর বুদ্ধি সাহসিকতার ভিত্তিতে দাঁড় টেনে একাকী পার করেছেন তিনি একের পর এক প্রতিকূলতাকে! কিন্তু তাইতেই ক্ষান্ত হননিপ্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে ডাক্তাররূপেমানবসেবায় ঢেলেছেন প্রাণজন্মের দীর্ঘ একশ চুয়ান্ন বছর পরেও তবু ক’জন জানে তাঁর কথা! সে যুগের অজস্র গুণীজনের কথা কথিত হয়েছে বারে বারেশুধু নেপথ্যে থেকে গেছেন ডাক্তার হৈমবতী সেন (Haimabati Sen), যাঁর সমগ্র জীবনটাই ছিল অশুভ থেকে শুভর দিকে এগিয়ে যাওয়ার এক নিরন্তর প্রচেষ্টা। 

আরও পড়ুন- নিবন্ধ: ভারতের প্রথমা বাঙালি ডাক্তার

জন্ম হয়েছিল ১৮৬৬ সালে, পূর্ববঙ্গের খুলনার ঘোষ পরিবারেজন্মসূত্রে বাংলার মহারাজ প্রতাপাদিত্যের বংশধর ছিলেন তিনিছিলেন অগাধ সম্পত্তির অধিকারিণীকিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই তিনি অবাঞ্ছিতবিশাল বিত্তবান বাবার প্রথম সন্তানের আগমনলগ্নে প্রচুর হোমযজ্ঞ হয়েছিল প্রাসাদেসবাই চেয়েছিল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী একটি ছেলেএমন সময় হেমের জন্ম হলে আশাহত হন সকলেসবাই হেমের মাকে দুষতে থাকেদুঃখী জননী ঘরে মুখ লুকোনশিশু হেম পড়ে থাকেন একাশুধু বাবা প্রসন্নকুমার ঘোষ খুশি হনতাঁর আদেশে একমাস ঢাক ঢোল সানাইয়ের উৎসব হয় রাজপ্রাসাদেএরপর হৈমবতী ওরফেহেম’-এর ভাই হলে মা তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েনছোট্ট হেমের বাবা স্নেহভরে মেয়ের নাম দেনচুন্নিবাবু’। সকলকে সে নামে ডাকতে বলে জানিয়ে দেন, যেন মেয়ে বলে কেউ তাঁকে অবহেলা না করেছেলেবেলা থেকেই ডাকাবুকো হেম ছেলেদের শার্টপ্যান্ট পরে বাহিরমহলে তাঁর ভাইদের মাঝেই বড় হতে থাকেনঅন্দরের মহিলারা কেউ খবর রাখেন না তাঁর

হৈমবতী_সেন
হৈমবতী সেন

শ্রুতিধর হেম স্কুলে ভাইদের মাঝে থেকে তাদের চেয়ে দ্রুত আয়ত্ত করতে থাকেন পড়াশোনা, শুধুই শুনেএমন সময় এক স্কুল ইন্সপেক্টরের নজরে পড়ে তাঁর এই অসামান্য ক্ষমতাতাঁর আগ্রহে হেমের বাবার অনুমতি নিয়ে আরম্ভ হয় পড়ালেখা, অন্দরমহলের চোখের আড়ালেকিন্তু শীঘ্রই ধরা পড়েন বালিকাবীতশ্রদ্ধ আত্মীয়স্বজনেরা জোর করে তাঁর বিবাহ দেন মাত্র সাড়ে নয় বছরে, এক পঁয়তাল্লিশ বছরের তেজবরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেনিজের চেয়ে পাঁচগুণ বড় মাতাল লম্পট স্বামীর ঘর করতে এসে একরাতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় হেমেরসদ্য বিবাহিতা নাবালিকা নিজের ঘরের বিছানার এক কোণে জবুথবু হয়ে ঘুমাচ্ছিলেনহঠাৎ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়আবিষ্কার করেন তাঁর লম্পট দুশ্চরিত্র স্বামীটিকে এক বেশ্যার সঙ্গে, তাঁরই ঘরেআর্তনাদ করে ওঠেন হেম, তবু সে নিরস্ত হয় নাবেশ্যা নারীটি মানা করলে সে জানায় যে এভাবেই সে তালিম দিতে চায় তার নাবালিকা স্ত্রীকেমূর্ছিতা হয়ে পড়েন হেমজ্ঞান ফিরলে হন মানসিক বিকারগ্রস্তবাপের বাড়ি পাঠানো হয় তাঁকেসেখানে বাবাকে সব বলেও নিস্তার পান নাওঝার ঝাড়ুও পিঠে সইতে হয় তাঁকেইতিমধ্যে কঠিন লিভারের রোগে স্বামীর জীবনাবসান হলে দশ বছর বয়সে বিধবা হন হৈমবতী

বীতশ্রদ্ধ আত্মীয়-স্বজনেরা জোর করে তাঁর বিবাহ দেন মাত্র সাড়ে নয় বছরে, এক পঁয়তাল্লিশ বছরের তেজবরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে। নিজের চেয়ে পাঁচগুণ বড় মাতাল লম্পট স্বামীর ঘর করতে এসে একরাতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় হেমের। সদ্য বিবাহিতা নাবালিকা নিজের ঘরের বিছানার এক কোণে জবুথবু হয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আবিষ্কার করেন তাঁর লম্পট দুশ্চরিত্র স্বামীটিকে এক বেশ্যার সঙ্গে, তাঁরই ঘরে। 

বৈধব্যের সাজে বাপেরবাড়ি ফিরলে জোটে ভৎসনা, গঞ্জনা ধিক্কারযাতনার ভারে জর্জরিত হেম খুঁজতে থাকেন বেরনোর পথঅবশেষে ভাইয়েদের সাহায্যে লুকিয়ে পড়াশোনা আরম্ভ করেনতলব এলে আবার যেতে হয় শ্বশুরবাড়িতেসেখানেও সব কাজ সাঙ্গ করে অভিধান সঙ্গী করে নিজে নিজেই পড়াশোনা চালাতে থাকেনকিন্তু সে স্বস্তিটুকুও বেশিদিন জোটে নাশ্বাশুড়ি মারা গেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িতা হনওদিকে মা বাবারও পর পর জীবনাবসান হয়বাবা হেমের জন্য যথেষ্ট অর্থ রেখে গিয়েছিলেনকিন্তু তার থেকেও পান না এক কানাকড়িভাইয়েরা দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়

Haimabati Sen

কথায় বলে, জীবন গল্পের চেয়েও বেশি রোমাঞ্চকর! বালবিধবা হেমের অভিভাবকহীন একাকী জীবনে যে উত্থানপতনের উথালপাথাল চোখে পড়ে, তা যত রোমহর্ষক, ততই বিস্ময়কর! ছোটবেলায় নিজেকেটম বয়বলে অভিহিত করা হেম কিন্তু সমস্ত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর চলার গতি অব্যাহত রাখেনসব কিছুর মধ্যে জাগিয়ে রাখেন তাঁর আরও উচ্চশিক্ষার জ্ঞান পিপাসাটিকেকলকাতায় ব্রাহ্ম সমাজের অন্তর্গতহোম’- থেকে বিধবারা পড়াশোনা করে, সে খবর পেয়ে রওনা দেন কলকাতার পথেকিন্তু দুর্গামোহন দাস শিবনাথ শাস্ত্রী সেদিনই লন্ডন যাচ্ছেন বলে জোটে না সাহায্য বা আশ্রয়পথ চলতে পাতানো মানুষের সাহায্যেই তাঁর জীবনের গতিঅতঃপর যে সজ্জন ছেলেটির সঙ্গে তিনি এসেছিলেন, বাধ্য হয়ে ফিরতে হয় তারই সঙ্গে ঢাকায়, তার যৌথ পরিবারের বাড়িতেসেখানেও টিকতে পারেন নাপালাতে হয় অন্যখানেএভাবে বেশ কিছু মাস নানা ঘাটে, নানা অপরিচিত অস্বস্তিকর মানুষের মাঝে ঘুরপাক খেতে খেতে অবশেষে আবার এসে পৌঁছন কলকাতায় ব্রাহ্ম সমাজের আশ্রয়েতখন অল্প কিছু মেয়েরা মেডিক্যালে পড়ালেখা করছে দেখে চিকিৎসাবিদ্যা শিখে স্বাধীন জীবন কাটানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন হেমকিন্তু শহরে তিনি একাকিনী থাকবেন কোথায়? অতএব পরিস্থিতির কাছে নতিস্বীকার করতে হয় তাঁকেতাঁদের কথামত পুনর্বিবাহ করেন হেম, ব্রাহ্মধর্মপ্রচারক কুঞ্জবিহারী সেনকেস্বামী ছিলেন বেকার, অতএব বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করে বৃত্তি নিয়ে হেম ভর্তি হন মেডিকেল কলেজেআরম্ভ হয় তাঁর জীবনের আরেক নতুন অধ্যায়

কলকাতায় ব্রাহ্ম সমাজের অন্তর্গত ‘হোম’-এ থেকে বিধবারা পড়াশোনা করে, সে খবর পেয়ে রওনা দেন কলকাতার পথে। কিন্তু দুর্গামোহন দাস ও শিবনাথ শাস্ত্রী সেদিনই লন্ডন যাচ্ছেন বলে জোটে না সাহায্য বা আশ্রয়। পথ চলতে পাতানো মানুষের সাহায্যেই তাঁর জীবনের গতি। অতঃপর যে সজ্জন ছেলেটির সঙ্গে তিনি এসেছিলেন, বাধ্য হয়ে ফিরতে হয় তারই সঙ্গে ঢাকায়, তার যৌথ পরিবারের বাড়িতে। সেখানেও টিকতে পারেন না। পালাতে হয় অন্যখানে। এভাবে বেশ কিছু মাস নানা ঘাটে, নানা অপরিচিত অস্বস্তিকর মানুষের মাঝে ঘুরপাক খেতে খেতে অবশেষে আবার এসে পৌঁছন কলকাতায় ব্রাহ্ম সমাজের আশ্রয়ে। 

শুরু হয় অধ্যয়ন জীবনকিন্তু ঝড়ের ঝাপটা চলতেই থাকেস্বামী আয় করেন না, সংসারে সাহায্যও করেন না। এদিকে একের পর এক সন্তানসন্ততির মা হতে থাকেন হেমনিজের বৃত্তির আয়ে কোনোক্রমে সংসার চালিয়ে, বাড়ির সব কাজ সামলে চলতে থাকে তাঁর পড়াশোনাবহুদিন একাহারে কাটেবহুমাস এক কাপড়ে যেতে হয় কলেজেঅবশেষে কখনও হারনামানা হেম মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণা হনপ্রায় প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর নিয়ে তিনি সমস্ত ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেনএইবার আরম্ভ হয় আরেক অশান্তিঅর্ধেক নম্বরের জন্য গোপালচন্দ্র দত্তকে পিছনে রেখে স্বর্ণপদকের অধিকারিণী হেমকে মেয়ে বলে স্বর্ণপদক দিতে চায় না ছেলেরাচলে ক্লাস বয়কট, হাঙ্গামা, পিকেটিংএমনকি হেমকে মেরে ফেলার হুমকিও বাদ যায় নাক্যাম্পবেল মেডিক্যাল  স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট মেজর সার্জেন জে. বি. গিবনস অবশ্য বেঁকে বসেন হেমকেই দিতে চান তাঁর প্রাপ্য পদকটিঅবশেষে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অবধি কথা গড়ালে তাঁর কথায় মিটিং ডাকা হয়হেম জানান যে তিনি স্বর্ণপদক চান নাতার বদলে নিখরচায় সার্টিফিকেট কোর্সে ঢুকে আরও উচ্চশিক্ষার সুবিধা পেতে চানতাঁর কথামতো পুনঃ বৃত্তি দিয়ে তাঁকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়প্রায় সব বিষয়ে প্রথম স্থানের রৌপ্যপদক নিয়ে পূর্ণ সাফল্যে তিনি মেডিকেলের গণ্ডি পার করেন

Calcutta-Medical-College-and-Hospital
বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করে হেম ভর্তি হন মেডিকেল কলেজে

কিন্তু এত কিছুর পরও যুদ্ধ থামে না হেমের জীবনেএমন রেজাল্ট থাকতেও চাকরি জোটে না কলকাতায়বৃত্তি বন্ধ, অর্থসংকট, পর পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে দিশেহারা হন হৈমবতীএমন সময় হঠাৎ চুঁচুড়ায় গেলে, সেখানকার স্থানীয় মানুষদের আগ্রহে তৈরি লেডি ড্যাফেরিন মহিলা হাসপাতালে চাকরি মেলেশুরু হয় সাহসিনী ডাক্তার হেমের মানবসেবা, তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতেএবার ঘরে-বাইরে একাকিনী নারীকে ঘিরে ধরে নতুন ধাঁচের সামাজিক, কূটনৈতিক যৌন নিগ্রহের ভয়কিন্তু ভয়কে ডরাতে শেখেননি হৈমবতীতাই কিছুই দমাতে পারে না তাঁকেসবকিছুর মাঝে একাগ্রভাবে করে যেতে থাকেন রুগীর সেবাসে সময়ের পর্দানসীন নারীরা হাসপাতালে আসতে অনিচ্ছুক হলে তাদের বাড়ি গিয়ে দেখে আসতেনসম্ভ্রান্তের কাছে অর্থ নিতেনঅভাবীকে দেখতেন বিনি পয়সায়কাজ করে যেতেন ঘড়ির কাঁটার মতননিজের ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে ঘরবার সামলে কখনো অসুস্থ হয়ে পড়লেও হাসপাতালে রুগি দেখা থেকে কেউ তাঁকে বিরত করতে পারত নাএকবার নিজে গর্ভবতী অবস্থায় হাসপাতালের তিন চারটে কঠিন ডেলিভারি কেসে বেশি পরিশ্রম করেছিলেন বলে তাঁর নিজের জঠরে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিলসেই সন্তানটিকে জন্ম দিতে প্রচুর কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি

এমন রেজাল্ট থাকতেও চাকরি জোটে না কলকাতায়বৃত্তি বন্ধ, অর্থসংকট, পর পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে দিশেহারা হন হৈমবতীএমন সময় হঠাৎ চুঁচুড়ায় গেলে, সেখানকার স্থানীয় মানুষদের আগ্রহে তৈরি লেডি ড্যাফেরিন মহিলা হাসপাতালে চাকরি মেলেশুরু হয় সাহসিনী ডাক্তার হেমের মানবসেবা, তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতেএবার ঘরে-বাইরে একাকিনী নারীকে ঘিরে ধরে নতুন ধাঁচের সামাজিক, কূটনৈতিক যৌন নিগ্রহের ভয়

সব জ্বালা মুখ বুজে সয়েছেনএমনকি স্বামীর দুর্ব্যবহার লাথির প্রহারওপরিণত বয়সে, কুঞ্জবিহারীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিধবা হয়ে আরেক নতুন কাজে আত্মনিয়োগ করেন হেমআশ্রয় দিতে থাকেন ওই অঞ্চলের অনাথ অভাগা শিশু, বালক বালিকা বালবিধবাদেরনিজের ঘরে, নিজের কাছেহেমের রাজত্বে ছিল না কোনও দুঃখের ঠাঁইহাসপাতাল চত্বরে বা তার আশেপাশে যে যেখানে যাকে অসহায় পেত, এসে পৌঁছে দিয়ে যেত তাঁর কাছেতারা থাকত তাঁর দেখাশোনায় কিছুদিন, কিছুমাস বছরওঅনেককে পরে তিনি হোমে পাঠিয়েছেন, অনেক বাল্যবিধবা মেয়েদের দিয়েছেন পুনর্বিবাহ, ব্রাহ্মমতেএইভাবে প্রায় তিনশ জনের দেখাশোনা করেছিলেন তিনিদিয়েছিলেন তাদের নতুন জীবন কাজ করতেও বহু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন হেমকিন্তু ভয় কারে কয় সে কথা ছিল না তাঁর জানাছিলেন তিনি চির সংগ্রামী, অগ্রগতির দিশারী!

সাতষট্টি বছর বয়সে, আগস্ট ১৯৩৩ সালে তাঁর জীবনাবসান হয়কথায় বলে, তীব্রবুদ্ধি, মনোবল সাহসিকতার বলে মানুষ সুমেরু লঙ্ঘন করতে পারেনিজ জীবন দিয়ে প্রবাদকে সত্যি করে দেখিয়ে গেছেন সে যুগের কিংবদন্তি মহিলা ডাক্তার হৈমবতী সেন!

 

*তথ্যঋণ- The Memoirs of Dr. Haimabati Sen: From Child Widow to Doctor-Translated by Tapan Raychaudhuri; Edited by Geraldine Forbes, Tapan Raychaudhuri; Introduced by Geraldine Forbes; Roli Books; New Delhi 110048; First Published 2000.

 

 

*ছবি সৌজন্য: Wikipedia, Wikimedia Commons

Chirasree Banerjee

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট।
পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।

Picture of চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট। পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।
Picture of চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট। পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।

3 Responses

  1. প্রণাম জানাই ডক্টর সেনকে 🙏 এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কেউ যে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন ভাবা যায় না। ধন্যবাদ চিরশ্রী দি, এমন একটা মানুষের কীর্তি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য।

  2. খুব ভাল প্রসঙ্গ ও লেখা। সেই সময়ের কাদম্বিনী গাঙ্গুলির নামটিই পরিচিত। কিন্তু পাশাপাশি হৈমবতী সেন, আনন্দীবাই যোশী, রুকমাবাই রাউথ এরকম বেশ কজন স্রোতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। তাদের একজনের কথা অনেকে জানলেন।
    শ্রেয়সী তার লেখায় এই সময়টাকে ধরবে, সকলের কথা শোনাবে, এই আশায় রইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com