Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

শতবর্ষে চিদানন্দ

দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

নভেম্বর ২০, ২০২১

chidananda dasgupta
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

চিদানন্দ দাশগুপ্তের শতবর্ষ। ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলন, চলচ্চিত্র নিয়ে সিরিয়াস চর্চা তথা তথ্যচিত্র বা চলচ্চিত্র হাতেকলমে বানানো- বাঙালি সংস্কৃতির রেনেসাঁসের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম। এবং তাঁর নামের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সত্যজিৎ রায়, কমলকুমার মজুমদার, রাধাপ্রসাদ গুপ্তদের নামও- যাঁদের প্রত্যেকের জন্যেই আজ ইতিহাসে পাকা আসন নির্ধারিত। ১৯৪৭ সালে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি স্থাপন করেন চিদানন্দবাবু। সিনেমাও যে শিল্পের অনিবার্য মাধ্যম, ভালো সিনেমা দেখার রুচিও যে তৈরি করতে হয়, সে লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে আধুনিকতার সপক্ষে একরকম লড়াই-ই জারি রাখেন এই যুবকরা। আমেরিকান ছবি বা ভারতীয় ছবি নিয়েই কেবল চর্চা না, তাঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপীয় ছবি ঘিরেও বাঙালির চর্চা বাড়ানো এবং তাকে ঘিরে জনরুচি গড়ে তোলা।

তিরিশ-চল্লিশের দশকের কলকাতায় চিদানন্দ দাশগুপ্ত বা সত্যজিৎ রায়দের আন্তর্জাতিক জলহাওয়ায় ছিল যেমন বুদ্ধদেব বসুর কবিতাপত্রিকা, তেমনই ছিল আইপিটিএ-র সংগ্রামী শিল্পীদের দ্রুত পদচারণা। আসলে, ইতিহাসে এভাবেই এক একটা যুগ আগে, যখন জনরুচির সুতোটাকে হাতে ধরে উঁচুতে তুলে দেন কিছু বিরল ব্যক্তিত্ব। চিদানন্দবাবু তাঁদেরই একজন, যাঁরা চেয়েছিলেন বাঙালি আধুনিক হয়ে উঠুক অন্তর থেকে, ভালো সিনেমা তথা সমাজকে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক বোধ ও মননের চোখ দিয়ে দেখতে শিখুক। ধারাবাহিক বই লেখা, সিনেমা নিয়ে আলোচনা তথা ছবি বানানোর মধ্যে দিয়ে এই প্রত্যক্ষ অ্যাক্টিভিজম জারি রেখেছিলেন তাঁরা আজীবন। তাই আজ শতবর্ষে দাঁড়িয়ে ফিরে দেখতে ইচ্ছে করে তাঁদের ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির সেই শুরুর দিনগুলো। আবারও…

কেমন ছিল ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের গোড়ার সময়টা? ‘চিত্রভাষ পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতিপ্রকাশ মিত্রকে একটি সাক্ষাৎকারে চিদানন্দবাবু জানাচ্ছেন, ফিল্ম সোসাইটির শুরুর দিকে জনা পঞ্চাশের বেশি সদস্য ছিল না। প্রথম দিকের কমিটিতে ছিলেন অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশযুগ্ম সম্পাদক ছিলেন চিদানন্দবাবু স্বয়ং এবং সত্যজিৎ রায়। সহযোগী সম্পাদক হিরণকুমার সান্যাল। এছাড়া, কমিটিতে আর দুজন ছিলেন- কুমার পূর্ণেন্দু নারায়ণ এবং মনোজ মজুমদার। তাঁদের প্রথম ঠিকানা ছিল, ২৮ পন্ডিতিয়া প্লেস। চিদানন্দবাবুর শ্বশুরবাড়ি। তেতলার দুটো ছোট ঘর ছিল- সেখানেই অ্যাসবেসটসের চালা দেওয়া একটা ঘরে মিটিং হত। আর ছবি দেখানো হত সত্যজিতের মামাবাড়ির পিছনের বারান্দায়। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের অদূরে ত্রিকোণ পার্কের কাছেই ছিল এই ঠিকানা। প্রথম যে ছবি তাঁরা দেখান, তা ছিল ওয়ালৎজ় কম্পোজ়ার জোহান স্ত্রসের উপর নির্মিত একটি ছবি। ছবিটি মূলতঃ সত্যজিতের সংগীতপ্রিয়তার কারণেই দেখানো হয়। পরবর্তীতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সেই সূত্রেই দেশে বিশেষ আলোচিত ডকুমেন্টারি, ফ্ল্যাহার্টির ছবি ইত্যাদি দেখানো হত।

ফিল্ম সোসাইটির আগে সত্যজিৎ বা চিদানন্দরা প্রত্যেকেই কম-বেশি স্টেটসম্যান কাগজে ছবি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সকলেই রীতিমতো পড়াশোনা করতেন ছবি নিয়ে। চিদানন্দবাবু জ্যোতিপ্রকাশ মিত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রজার ম্যানভিলের ফিল্মবইটিই হোক বা স্টেটসম্যানে সিনেমা নিয়ে লেখায় সাংবাদিক ফিলিপ ব্রসল্যান্ডের উৎসাহ, বা পরিচয়পত্রিকায় ধারাবাহিক সিনেমা নিয়ে লেখালেখি- এই সবকিছু নিয়েই নানাভাবে বেড়ে উঠেছিল তাঁদের সিনেমাচর্চা। সত্যজিৎ তো তাঁর শান্তিনিকেতনের স্মৃতিচারণে লিখেইছিলেন, কলকাতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালপর্বে সিটিজেন কেনদেখতে না পাওয়া তাঁর অন্যতম দুঃখ হয়ে থেকে গেছে আজীবন। চিদানন্দ দশগুপ্তও তাঁর কথায় জানান, মূলত দুধরনের লোক উৎসাহভরে এই আন্দোলনে সামিল হতেন। একদল ছিলেন, যাঁরা ছবি বানাতে চেয়ে শেখার জন্য আসতেনআর আর একদল, আসতেন যাঁরা নাটক, সাহিত্য বা চিত্রকলার লোক। 

তবে, তাঁদের এ পর্যায়ের আন্দোলনে ছেদ পড়ে ১৯৫২ সালে এবং তার মূল কারণ সত্যজিতের পেশাগত ব্যস্ততায় ইংল্যান্ডে গিয়ে বাইসাইকেল থিফদেখা ও পরবর্তীতে তার গভীর প্রভাবে পথের পাঁচালি বানাতে চলে যাওয়া। তবে তাতে সামগ্রিকভাবে সিনেমার উত্তরণের একটা দিশা মিলেছে বলে মনে করতেন চিদানন্দবাবু। জানান, যদি পথের পাঁচালি-র এই সাফল্য না আসত, তবে সত্যজিৎকে ফিরে আসতে হত আবার ডি জে কিমারের চাকরিতে। চিদানন্দবাবু নিজেও এক সময়ে ডি জে কিমারে কাজ করেছেন। তবে, ‘পথের পাঁচালি সাফল্য না পেলে আসলে পিছিয়ে পড়ত বাংলা ফিল্ম সোসাইটির আন্দোলনটাই, সে কথা স্বীকার করেন তিনি।

কেমন ছিল ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের গোড়ার সময়টা? ‘চিত্রভাষ পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতিপ্রকাশ মিত্রকে একটি সাক্ষাৎকারে চিদানন্দবাবু জানাচ্ছেন, ফিল্ম সোসাইটির শুরুর দিকে জনা পঞ্চাশের বেশি সদস্য ছিল না। প্রথম দিকের কমিটিতে ছিলেন অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশযুগ্ম সম্পাদক ছিলেন চিদানন্দবাবু স্বয়ং এবং সত্যজিৎ রায়। সহযোগী সম্পাদক হিরণকুমার সান্যাল। এছাড়া, কমিটিতে আর দুজন ছিলেন- কুমার পূর্ণেন্দু নারায়ণ এবং মনোজ মজুমদার। তাঁদের প্রথম ঠিকানা ছিল, ২৮ পন্ডিতিয়া প্লেস।

পরবর্তীকালে একাধিক তথ্যচিত্র বানিয়েছেন এবং সিনেমা নিয়ে বইও লিখেছেন চিদানন্দবাবু। কীভাবে উত্তরকালে সিনেমা আলোচনা হওয়া দরকার, সে বিষয়ে বারবার হাজির থেকেছেন নানা সেমিনারে। তাঁর ডকুছবিগুলির মধ্যে পোট্রেট অফ আ সিটি‘, ‘ড্যান্স অফ শিভা‘, ‘অ্যাক্রস দ্য রিভার‘, ‘মনসুনবা ফিচার ছবির মধ্যে আমোদিনী‘– শতবর্ষেও নানা আলোচনায় ফিরে ফিরে আসছে। চিদানন্দ দাশগুপ্তের পরিবার ও মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে নবীন চলচ্চিত্রকারদের কাজ নিয়ে একাধিক প্রদর্শনী, বই প্রকাশ ও আলোচনার আয়োজনও করা হয়েছে।

চিদানন্দবাবুকে নিয়ে এ লেখার সূত্রেই কথা বলছিলাম এ শহরের নানা সিনেমা তাত্ত্বিক তথা পরিচালকের সঙ্গে। সকলের কথাতেই ঘুরে ফিরে এলো, সিনেমা নিয়ে যে নবজাগরণের লড়াই চিদানন্দবাবুরা শুরু করেছিলেন, সেই ফিল্ম ক্লাবের লড়াইয়ের আজকের দৈন্যদশার কথা। পঞ্চাশের দশকে চিদানন্দ-সত্যজিতের হাতে গড়ে ওঠা ফিল্মক্লাব কালচার পরবর্তীতে দিকে দিকে সদর-মফসসলের সিনে-ক্লাবের মধ্যে দিয়ে একটা প্রোগ্রেসিভ সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে ষাট-সত্তর দশকে। আজও যে হাতেগোনা শিল্পীরা সিনেমা নিয়ে বাণিজ্যের এলাকা পেরিয়ে শিল্পে উত্তরণের লড়াইয়ে সামিল, তাঁদের সকলেরই আদি ঠিকানা এই সব সিনে-ক্লাব। ধারাবাহিকভাবে নীরবে তাঁরা প্রকাশ করে গেছেন সিনেমা পত্রিকা তথা লিটল ম্যাগাজিন। সিনে সেন্ট্রাল থেকে নর্থ ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির মুখপত্র চিত্রভাষ বা চিত্রবীক্ষণ হয়ে উত্তরপাড়া সিনে ক্লাব– কত বিকল্প ধারার কাগজের নাম উঠে আসে এ প্রসঙ্গে। কিন্তু আজ এই বিকল্প সংস্কৃতির চেহারা সত্যিই ভীষণ গরিব। বদলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এসে গিয়েছে। কিন্তু সেখানে যথেচ্ছ সিনেমা আলোচনার মান কি সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের ছবি ঘিরে সেকালের গনগনে চর্চার ধারেকাছেও আসে?

এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক, লেখক ও সংস্কৃতির ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানালেন, চিদানন্দবাবুদের আগে বাঙালির কাছে সিনেমা ছিল তাচ্ছিল্যর বিষয়। স্বয়ং রবি ঠাকুরও সিনেমার গুরুত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। যদিও ১৯২৫ থেকে ৩০ সালের মধ্যে তিনি সিনেমা নিয়ে চিন্তিত হন। সে অর্থে রবি ঠাকুরই ভারতের প্রথম চলচ্চিত্রতাত্ত্বিক। বিষ্ণু দে বা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতাতেও এই তাচ্ছিল্য ধরা পড়েছে। সঞ্জয়বাবু বললেন, সিনেমা তো আমার ভাষায় অনভিজাতদের জন্য অপেরাছিলতাকে ঘিরে তাঁদের সতর্ক আলোচনা তথা একটা ইমেজকে কীভাবে দেখতে হয় তা চিদানন্দবাবু ও তাঁর গুণী বন্ধুরা বাঙালিকে শিখিয়েছে। তাঁরা না থাকলে ইভান দ্য টেরিবলকীভাবে দেখতে হয়, আলোছায়া কীভাবে বুঝতে হয়- তা আমরা এত গভীরে বুঝতাম না। ওঁরা প্রত্যেকেই বিজ্ঞাপনে কাজ করায়, ইমেজ নিয়ে নানা পরীক্ষা করে বিপণনধর্মী ছবির প্রচারের ভাবনা ভাবতে পেরেছেন। তাঁর বই নয় ছবিবইটি পড়লে বোঝা যায় আজকের চলচ্চিত্র আলোচনার থেকে তা কতটা এগিয়ে! কত স্বচ্ছ, স্পষ্টভাবে তিনি বলছেন, কাহিনি হলেই শিল্প নয়। সাহিত্য আর সিনেমার কথকতা আলাদা। বইনা, ছবি‘– প্রথম তাঁরাই তো বোঝালেন, বোঝালেন সিনেমাও শিল্প। প্রেমাঙ্কুর আতর্থী বা হেমেন্দ্রকুমার রায়ের পরবর্তী সিনেমা আলোচনায় নাগরিক পরিশীলন কোন পর্যায় যেতে পারে তা আমোদিনীর শেষ মুহূর্তে পাসোলিনির ছবি থেকে নেওয়া জায়গাটা দেখলেই বোঝা যায়। পোর্ট্রেট অফ দ্য সিটি‘-তে যে কলকাতা তিনি দেখান, সেখানে বারীন সাহার ক্যামেরায় আমরা দেখি, এ শহরের অপরূপ বাজার, যা রাজারহাট-এসকেলেটর-শপিংমল না।

নানা সিনে-ক্লাবের সঙ্গে চর্চায় জড়িয়ে থাকা তথা সিনেমা বানানো সবেতেই সক্রিয় থেকেছেন পরিচালক শেখর দাশ। জানালেন, ‘অল্প বয়স থেকেই সিনেমা নিয়ে চিদানন্দবাবুর লেখাগুলি পড়েছি। তাঁর বিলেতফেরতবা অন্যান্য ছবিগুলিও দেখেও ভালো লেগেছে। চিদানন্দবাবুর বই সিইং ইজ বিলিভিং‘-এর লেখার সংকলন পড়লে তাঁকে প্রাথমিকভাবে একজন শিক্ষক বলেই মনে হয়। সিনেমা দেখতে শেখা বা লেখা বা পড়ানো কাজগুলোও ছবি বানানোর মতোই সমান জরুরি। সিনেমায় এন টি রামারাওয়ের মতো ব্যক্তিত্বকে লার্জার দ্যান লাইফ হিসেবে দেখছি বা হরিশচন্দ্র দেখে আমরা দেখলাম ঈশ্বর ঘুরে বড়াচ্ছেন চোখের সামনে- এই যে ফেনোমেনাটা সিনেমার, এটাকে চিদানন্দবাবু ধরছেন ওঁর লেখায়। ভালো বা খারাপ ছবিকে তিনি পপুলারআর আনপপুলারসিনেমা হিসেবে বলছেন। সিনেমা যে শুধু লেখা বা ছবি না, তার একটা ইতিহাস-সমাজতত্ত্বের দিক রয়েছে, তা তিনি বারবার বলছেন। আশি সালে তিনি একবার বলেছিলেন, সিনেমা আলোচনাকে ছাড়িয়ে গেছে সিরিয়াস সিনেমা। সত্যজিৎ বা ঋত্বিকের সিনেমায় যে ভারতীয়ত্ব, তা নিয়েও তিনি বলছেন। তবে আজ যেন ওঁদের সঙ্গে আমাদের অ্যাক্টিভিজমের একটা ফারাক ধরা পড়ছে। সিনেমা নিয়ে আমাদের মুভমেন্টটাকে আজ আরও জোরদার করা দরকার।

 

অধ্যাপক, সিনেমাতাত্ত্বিক তথা পরিচালক মৈনাক বিশ্বাস অবশ্য জানালেন, ‘১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র প্রথম পর্যায়‘  নামের প্রথম সংকলন প্রকাশ করে ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি। ১৯৫৯ সালে তাঁদের দ্বিতীয় সংকলন প্রকাশিত হয়। এই প্রকাশনাগুলিতে মূলত বিশ্ব সিনেমার সাপেক্ষে ভারতীয় সিনেমার আলোচনা করছেন তাঁরা। গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় নিয়েই সাধারণভাবে আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় শিল্প ছবি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করছেন। এভাবে একটা রুচি নির্মিত হচ্ছে ক্রমশ। দর্শকও তৈরি হচ্ছে এভাবে। ৫৪ সালে জাতীয় পুরস্কার প্রদান শুরু হচ্ছে। সেখানেও এই সিরিয়াস ছবির মননের একটা প্রতিফলন ঘটছে। তাছাড়া, প্রথমদিকে জাতীয় পুরস্কারের মনোনয়নে সিরিয়াস ছবিকেই গুরুত্ব দেওয়ার দিকে ঝোঁক ছিল। আজ এই জায়গাটা অনেকটাই বদলেছে। তবে সে সময়ে চিদানন্দবাবুদের কাজ সরাসরি রুচি তৈরি করেছে। ফিল্ম স্টাডিজের সঙ্গে যদিও ফিল্ম সোসাইটির রাস্তা পরবর্তীতে কিছুটা আলাদা হয়ে গেছে, তবু ওঁর পেন্টেড ফেস বা টকিং অ্যাবাউট ফিল্মস’-এর লেখা আমরা পড়ি। বিলেত ফেরত বা পোর্ট্রেট অফ আ সিটি ছবিগুলি দেখতে খুবই ভালো লাগবে আজও।

সিনেমাচর্চায় আজকের দৈন্যের কথা মেনে নিলেন সিনে সোসাইটি আন্দোলন তথা সিনেমা পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িয়ে থাকা শিবাদিত্য দাশগুপ্তও। তাঁর মতে, চিদানন্দবাবুর জন্মশতবর্ষে এই দৈন্য থেকে ধারাবাহিক চর্চার মধ্যে দিয়ে আবার ফেরা যাক চিদানন্দবাবুদেরই স্বপ্নে অর্থাৎ সিনেমাকে ঘিরেই উজ্জ্বল আগামীর দিকে…

Author Debarshi Bandyopdhyay

পেশা মূলত, লেখা-সাংবাদিকতা। তা ছাড়াও, গান লেখেন-ছবি বানান। শখ, মানুষ দেখা। শেল্ফ থেকে পুরনো বই খুঁজে বের করা। কলকাতার রাস্তা ধরে বিকেলে ঘুরে বেড়ানো।

Picture of দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

পেশা মূলত, লেখা-সাংবাদিকতা। তা ছাড়াও, গান লেখেন-ছবি বানান। শখ, মানুষ দেখা। শেল্ফ থেকে পুরনো বই খুঁজে বের করা। কলকাতার রাস্তা ধরে বিকেলে ঘুরে বেড়ানো।
Picture of দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

পেশা মূলত, লেখা-সাংবাদিকতা। তা ছাড়াও, গান লেখেন-ছবি বানান। শখ, মানুষ দেখা। শেল্ফ থেকে পুরনো বই খুঁজে বের করা। কলকাতার রাস্তা ধরে বিকেলে ঘুরে বেড়ানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com