আসুন একজনের চোখ ধার করি। আজ থেকে অনেকদিন আগে– ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর– যে মানুষটা একা একা কিংবা আর পাঁচজনকে নিয়ে রূপবাণী সিনেমাতে গেছিলেন, তাঁর চোখ। রূপবাণী না হয়ে সিনেমার নাম অরুণা হতে পারে, ভারতী হতে পারে। তবে এই তিনটের একটা হতে হবে। কারণ ওইদিন কলকাতার ওই তিনটে সিনেমা হলে রিলিজ করেছিল ‘দৃষ্টি’। শুরু হয়ে গেছে ছবি। দেখতে দেখতে নতুন নায়িকাকে মনে ধরেছিল সেই মানুষটার।
ইন্টারভ্যালের সময় হলের মধ্যে ফিরি করা হচ্ছিল ‘দৃষ্টি’র বুকলেট। গানের বই। একটা কিনেছিলেন তিনি। দেখেছিলেন ফিল্ম বুকলেটের নীচে লেখা ‘পারিজাত পিকচার্সের নিবেদন’, তারও তলায় ‘জনতা রিলিজ’। ছোট অক্ষরে। ওই ফিল্ম বুকলেটের বাদবাকি জুড়ে কচি কলাপাতা-রঙা সবুজে সেই ছায়াছবির নাম। ‘দৃষ্টি’। আর সেই নামের মাঝবরাবর চৌকো করে কাগজ কেটে এক জোড়া চোখ। বড় মায়াময়, বড় আদুরে সেই চোখজোড়া। কাব্যি করে যাকে ‘ডাগর আঁখি’ বলতে সাধ যায়।
আমাদের কল্পলোকের এই বাসিন্দা ওই দুই চোখ দেখেছেন এর আগের এক ঘণ্টা ধরে। কার চোখ? কার চোখ? ভেবে ছটফট করেছেন। এ চোখ তাঁর চেনা ঠেকছে। অথচ ততটা চেনা নয়। মনে হয় যেন দেখেছিলেন ক’মাস আগে। বীণা সিনেমায় ‘পথের পাঁচালী’ দেখারও আগে। নামটা মনে পড়ছে না।

বুকলেটের পাতা উলটোতেই ডান দিকের পাতা জুড়ে তাঁকেই দেখা গেল। কে ইনি? ঠাহর হল না। তখন বাঁ দিকের পাতায় চোখ আটকাতে সাবিত্রী, মলিনা, রেণুকা, অপর্ণা, রেবা, নির্মল, পাহাড়ি, ছবি, কমলের আগে একটা নাম প্রকট হল। সে নাম এ ছায়াছবির নায়িকার।
কাবেরী বসু।
তক্ষুনি ধাঁ করে পড়ে গেল কোথায় দেখেছেন আগে। ওই জোড়া চোখ কোথায় দেখেছেন আগে। দেখেছেন ‘রাইকমল’-এ। তারাশঙ্করের গল্প নিয়ে সুবোধ মিত্রর ছবি ‘রাইকমল’, সেখানে। সেটাই কাবেরী বসুর প্রথম ছায়াছবি। রসকলি পরে রসের বচনে সকলের মন ভরিয়েছিলেন তিনি। প্রাণ জুড়িয়েছিলেন ‘বৃন্দাবনবিলাসিনী রাই আমাদের’ গানে। একদিকে উত্তমকুমার, অন্যদিকে নীতীশ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে দিব্যি চলেছিলেন। মালা জপতে জপতে জয়দেব-কেঁদুলি থেকে নবদ্বীপের পথে।

এবারে সেই অজানা দর্শকের হাত ছেড়ে দিতে পারি আমরা। মনে রেখে দিতে পারি তাঁর দেখাটাকে। যে দেখা একজন রূপমুগ্ধের কাছে একজন নায়িকাকে পরমা করে তোলে, সেই দেখা। এভাবেই ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি কাবেরী বসুকে আবিষ্কার করেছিল কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বহু নায়িকার ভিড়ে না-হারানো এক জোড়া আয়ত চক্ষু। জলের মতো সাবলীল অভিনয়। সহজিয়া চাউনি। সহজিয়া কথন। সহজিয়া চলন। কোথাও কোনও আয়াস নেই। আধিক্য নেই। আকাঙ্ক্ষা নেই। অথচ তাঁর দিকে চোখ পড়লে চোখ ফেরানো যায় না। তাঁর কথা কানে এলে কেবল শুনতে ইচ্ছে করে।

তাই ‘রাইকমল’, ‘দৃষ্টি’, ‘পরাধীন’, ‘অসমাপ্ত’, ‘শঙ্করনারায়ণ ব্যাঙ্ক’, ‘শ্যামলী’, ‘দেবী মালিনী’, ‘মধুমালতী’– পরপর ন’খানা ছায়াছবিতে তিনিই নায়িকা। দেড় বছরের মধ্যে বেরোনো ন’খানা ছায়াছবি। তার মধ্যে নীরেন লাহিড়ির পরিচালনাতেই তিনটে। অজয় করের ‘শ্যামলী’– যেটা আসলে চার বছর আগে স্টার থিয়েটারে উত্তম-সাবিত্রীকে জুটি বানিয়ে খুব নাম করেছে, তার ফিল্ম ভার্শান – তাতে বোবা মেয়ে সেজে অবাক করেছেন উনি।
কাবেরী।
তারপর নবমী নিশি ফুরাল। কাবেরী নদীজলের বালিকা উধাও হয়ে গেলেন রুপোলি পর্দা থেকে। বালিকাই তো! তখনও আঠেরো হননি তিনি। অনেক দিন গেল। তেরো বছর। কাবেরী ফিরলেন সেলুয়েডে। নিজেকে আমূল বদলে। সত্যজিৎ রায়ের বিশেষ অনুরোধে, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’তে।

তারপরও ধরি মাছ না ছুঁই পানি করে সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। ততদিনে ভক্তিমূলক সংগীতবহুল ছায়াছবির স্রোত উল্টে গেছে। ঐতিহাসিক, পৌরাণিক কোনও ছায়াছবিই আর তৈরি হচ্ছে না। ১৯৪৭-এর পরের দশ বছরের অপাপবিদ্ধ প্রেমের উচ্চারণ কবেই দিশা হারিয়েছে। তৈরি হচ্ছে সমাজবাস্তবতার নানা পরত। তাতেও দিব্যি মানিয়ে গেলেন কাবেরী। ‘যে যেখানে দাঁড়িয়ে’। ‘আমি সে ও সখা’। ‘নগর দর্পণে’। তারপর একদিন জানা গেল চলে গেছেন তিনি। চিরতরে। মাত্র উনচল্লিশ বছর বয়সে!

প্রথমে দু’বছর। মাঝে এক বছর। শেষে আরও এক। স্রেফ চার বছর কাজ করে বাংলা সিনেমায় চিরকেলে দাগ কেটে যাওয়া এমন নায়িকার ফিল্মোগ্রাফির আট আনা ছায়াছবি আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সেই ‘দৃষ্টি’ ফিরে দেখার কোনও সুযোগ রাখিনি আমরা। রয়ে গেছে ‘রাইকমল’, ‘শ্যামলী’ আর শেষ দিককার চারটে ছায়াছবি। এদেরও সবকটার রিল টিঁকে নেই। ইউটিউব-ই সই! তবে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র কাবেরীকে যে দেখেছে, সে বুঝেছে কাবেরী কত মরমী, কত মধুর আর কত রহস্যময়।
মনে পড়ে? এখানে তিনি জয়া। জয়া ত্রিপাঠী। বছর তিরিশের বিধবা। একটা আলগা শ্রী আছে চেহারায়। যাকে বলে লাবণ্য। তার জন্যে খুব যে যত্ন আছে এমন মনে হয় না। বছর পাঁচেকের ছেলে আছে। আপনভোলা শ্বশুরমশাই সদাশিব আর রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী ননদ অপর্ণাকে নিয়ে ভবানীপুর-বালিগঞ্জ এলাকায় বাস। পালামৌ ফরেস্টে এসেছেন চেঞ্জে। কতকটা শ্বশুরমশায়ের মন রাখতে। এখানেও অভ্যেসে জং ধরেনি। পারফেক্ট হোমমেকার। ঘর-বার দুইই সামলাচ্ছেন। হেঁশেল দেখেশুনে উল বুনে চলেছেন। ছেলের আবদার রাখছেন। শ্বশুরমশায়ের সেবা করছেন। ননদ আপনমনে আপন কোণে কী করছে, সেদিকে নজর দিচ্ছেন বটে, তবে সে নজর নিছক গুণগ্রাহীর। আসলে মানুষটা খুবই অতিথিপরায়ণ। ভাব জমাতে দড়। আগল খুলে আলাপ করতে পারেন। আড্ডা দেন দেদার। চড়িভাতি তাঁর কাছে জলভাত। তাঁর চোখের তারায়, গলার আওয়াজে, সাদা জমির ওপর কলকা করা শাড়ির ভাঁজে, কোনও জড়তা নেই। যাকে বলে ইনহিবিশন– তার ধার ধারেন না জয়া।

‘অরণ্যের দিনরাত্রি’তে তাঁকে আমরা প্রথম দেখছি ননদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে। খেলার আনন্দে যতটা নয়, ঢের বেশি সময় কাটানোর জন্যে। মিড শটে। একটু বাদে ক্যামেরা ক্লোজ়ে এলে দেখছি, চোখে রোদ পড়ছে বলে অসুবিধে হচ্ছে তাঁর। তবু খেলা চলছিল। এমন সময় দূরে চার যুবককে দেখা যেতে অপর্ণা বলেন– ‘বউদি তোমার পেছনে দেখ, বাঁদিকে।’ জয়া দেখলেন। এক পলক। তারপর অপর্ণার দিকে ফিরে কাঁধ ঝাঁকালেন। যাকে বলে শ্রাগ করা। বডি ল্যাঙ্গুয়েজের ওই একটি বিভঙ্গে আগেকার কাবেরী আর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র কাবেরীর আশমান-জমিন ফারাক ঘটে গেল।
এখানে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র ক্রিটিক্যাল অ্যাপ্রিসিয়েশন করা হচ্ছে না। ফলে কোনও অনুপুঙ্খে আমরা যাব না। শুধু মাঝে মাঝে চোখ মেলে বুঝে নিতে চাইব কীভাবে জয়াকে গড়ছেন কাবেরী। কোন জয়াকে গড়ছেন? মনে হয় এই জয়াকে আমরা চিনি। শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গিয়ে বা দ্বারোন্দার হোমস্টে থেকে হঠাৎ বেরিয়ে সোনাঝুরির হাটে তাঁকে আমরা দেখেছি। পুঁতির গয়না, ডোকরার গয়না, বীজের গয়না কিনতে ভিড় করতে দেখেছি। কিংবা মাহেশের রথের মেলায় নাগরদোলায় চরকি খেতে দেখেছি।
এত কাছের তিনি। এত আটপৌরে। যিনি ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আসুন না – আমাদের রোজই সুবিধে’ বলে ডাক পাঠালে সেই ডাক ফেরানো যায় না। দৈবাৎ সেই ডাক ফেরালেও যিনি কিছুই মনে নেন না। যিনি ‘এই রিনি আয় না খেলি’ বলে সবাইকে জুটিয়ে মেমোরি গেম খেলতে বসেন। খেলা শুরু হতেই ‘আমি বলি?’ শুধিয়ে নিয়েই ঝপ করে ‘রবীন্দ্রনাথ’ বলে দেন। এক রাউন্ড ঘুরতে ঘুরতে যিনি ভুলের ফাঁদে পড়েন এবং এক হাত লম্বা জিভ কেটে ‘ইস, ছি ছি ছি ছি’ বলে আপশোস করেন। বালিশে হেলান দিয়ে আরাম করেন। আমরাও আরাম পাই। তাঁর কোনও আচরণের মধ্যে কপটতা থাকে না। চারপাশের সবাই যেখানে ঢাকঢাক গুড়গুড় করে চলেন, মুখের ওপর একের পর এক মুখোশ এঁটে চলেন, জয়া-রূপী কাবেরীকে দেখে মনে হয় তিনি যেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা বলে চলেছেন। বলতে বলতে নিজের বৃত্ত রচনা করছেন। সেই বৃত্ত সদাশিবের ব্রাহ্মসমাজ, অপর্ণার প্রেসিডেন্সি-জেভিয়ার্সের বৃত্ত থেকে আলাদা। অথচ আলাদা নয়। যে কোনও জায়গায় তাঁকে পাওয়া যায়। ভৈরবী সাদরা ভেঙে অতুলপ্রসাদী গানের শ্রোতা হিসেবে তিনি মানানসই। বিসমিল্লাহ-বিলায়েত-শামতাপ্রসাদের বাজনা বা বিটলসের পপসংয়েও। অবলীলায়।

জয়ার ভেতরে যে এক বিষাদপ্রতিমা মাথা নিচু করে বসে আছে, এক আগ্নেয়গিরি উদ্গীরণের জন্যে উশখুশ করছে সেটা টের পেতে পেতে আমাদের দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। ওই ফরেস্ট কটেজের বৈঠকখানায়, আলোতে ছায়াতে শোবার ঘরের দরজার পরদা সরিয়ে যে কাবেরী আমাদের চোখের সামনে ধরা দেন সেই কাবেরী যেন সহসা জলপ্রপাত হয়ে আছড়ে পড়তে চাইছেন। একে ট্রান্সফরমেশন বলব, না মেটামরফোসিস– জানি না। বুঝি ভোজবাজি বা ভানুমতীর খেল বলাই উচিত হবে। নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গও বলা চলে। কারণ তা এত প্রাকৃত, এত ভারতীয়, এত মধ্যবিত্ত, এত বাঙালি।
‘এলেনই যখন একটু বসে যান না বাবা’ বলে সঞ্জয়কে (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) কটেজে টেনে এনেছেন সবে। কফি জুড়োতে না জুড়োতে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে ভেতরে গেছেন। ফিরলেন একেবারে অন্য চেহারায়। সত্যজিৎ তো কোন ছার, বাংলা ছায়াছবির একশো-সোয়াশো বছরের ইতিহাসে বৈধব্য-তাড়িত-যৌন-উপবাসের এমন দৃশ্যায়ন নেই। ওই একটা সিকোয়েন্স যেন আদিশূরের আমল থেকে চলে আসা নিষ্পেশনের অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স।
মেলা থেকে কেনা ওসব গয়না সাওঁতালদের গায়ে ছাড়া মানানসই নয় বলেছিলেন যে সঞ্জয়, তাঁর রুচিকে ঠাট্টা করতে করতে এ দৃশ্যের অবতারণা। আমরা হাঁ হয়ে যাই তাঁকে দেখে। আলোতে ছায়াতে জয়া-বেশী কাবেরীকে চেনা যায় না। লালরঙের শাড়ির ওপর আলগোছে ফেলা গয়না– এই সধবার সাজ এত অকস্মাৎ, যে সঞ্জয়ের, সঞ্জয়ের মতো মধ্যবিত্ত বাঙালি আমাদের, একেবারে বিহ্বল করে দেয়। আমরা তোতলাতে থাকি। যখন জানি যে জয়া-বেশী কাবেরীর স্বামী বিলেতের মাটিতে সম্ভবত অন্য কারও সঙ্গে প্রণয় সম্পর্কে জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, তখন আমাদের মাথা বোঁ করে ঘুরে যায়। আর আমাদের এই অপ্রস্তুত দশায় ফেলে তিনি শুধোন – ‘আপনার নার্ভাস লাগছে?’

তিনটে কথা। ‘আপনার নার্ভাস লাগছে?’ জ্যামুক্ত তিরের মতো তিনটে শব্দ যে কীভাবে আমাদের অবদমনের আঁধার গলিঘুঁজিতে মশাল জ্বালিয়ে দেয়, তা যিনি যতবার ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দেখেছেন, তিনি তত নিবিড়ভাবে অনুভব করেছেন। এই জিজ্ঞাসা যেন সোজা এসে বেঁধে আমাদের সতর্ক নাগরিক অস্তিত্বের মর্মমূলে। ফালাফালা করে দেয় আমাদের কবচকুণ্ডল। অনুশীলিত সংস্কারলব্ধ পুরুষার্থ। তাতেও শেষ হয় না সেই পীড়ন। আগুন এগিয়ে আসে। নৈবেদ্য হতে চায়। বুকের আঁচল খসিয়ে ধুকপুকুনি শোনাতে চায়। দেবালয়ের প্রদীপ হতে চায়। পাপপুণ্যের দুনিয়াদারির খোলস ঘুচিয়ে, হাজার হাজার বছরের পুরুষতন্ত্রের ইতিহাসের পাতা পুড়িয়ে দিয়ে হবা চায় তার আদমকে।
কিন্তু কোথায় আদম? সে তো ‘আগুনের পরশমণি’কে চিরকাল শোকসঙ্গীত হিসেবেই জেনেছে! তার ভেতরের বাসনাকে বোঝেনি। শঙ্খিনী পদ্মিনী হস্তিনীর শান্তায়নের ঠিকানা সে জানবে কী করে? হতাশ হয়ে চলে যাবার আগে জয়া-বেশী কাবেরী বিদ্রূপের মতো ছুঁড়ে দিয়ে যান– ‘হল তো… কফি খাওয়া?’ তারপর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র সবাইকে আমরা দেখি। তাঁকে আর দেখি না।
শিবের ওপর সমুদ্রের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ার পর কাবেরী কি আর জয়া থাকেন? নাকি জয়াই কাবেরী হয়ে ওঠেন? মাঝের বাহান্ন বছরে এ জিজ্ঞাসার উত্তর মেলেনি। মিলবেও না। শুধু জেগে থাকবে এক অনুভব যাকে ‘কাবেরী নদীর ওপর শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত’ নাম দিয়ে বৃথাই কালহরণ করছি আমরা।
*ছবি সৌজন্য: লেখক এবং Big Talk, Facebook, Wikimedia
অংশুমান ভৌমিকের জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। ছেলেবেলা কাটিয়েছেন মামারবাড়ি নবদ্বীপে। গত চার দশক কলকাতার বাসিন্দা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরিজির এমএ হলেও বাবার 'দেশ' বরিশাল আর মায়ের 'দেশ' নদিয়ার মধ্যে দোদুল্যমান তাঁর অস্তিত্ব। পেশায় শিক্ষক, নেশায় কালচারাল কমেন্টেটর। বাংলা ও ইংরেজিতে লেখালেখি করছেন দু'দশকের বেশি। দেশবিদেশ থেকে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বারো। 'দ্য টেলিগ্রাফ' ও কৃত্তিবাস-এর নাট্যসমালোচক হিসেবে ইদানীং থিতু।
One Response
যেসব বিরল অভিনেত্রীরা কম কথা বলে চোখ এবং মুখের এক্সপ্রেসন দিয়ে অভিনয়কে এক উচ্চমাত্রায় নিয়ে গেছেন উনি তাঁদের একজন।
বড় অকালে চলে গেছেন। বঞ্চিত হয়েছে অগুনতি সিনেমা প্রেমী দর্শক। লেখাটা প্রিয় অভিনেত্রীর প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধাঞ্জলি।