আমার অক্ষর জ্ঞান ওডিআ হরফে, ওডিআ ভাষায়। সেই পাঠশালা বেলায় যেসব কবিতা পড়তাম পাঠ্যবইয়ের পাতায়, তার একটির দুটো পঙক্তি আজও বিড়বিড় করি, অবশ্যই ওডিআতে। এখানে ওই লাইন দু’টির অনুবাদ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
‘ছোট হতে কোনও লজ্জাই নেই,
যদি বড়ো হতে পারি
ফুটে ওঠা ফুল একবারই ফোটে,
ফোটে তো ফুলের কলি।’
কবিতার নাম ‘ছোট বড়ো’। কবি, কুন্তলা কুমারী সাবত, ওডিআ কাব্য সাহিত্যে প্রথমা বলে গণ্য।
একে নারী তায় কবি! সবকালে, সব জায়গায়, সব সময় নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে, নিজেদের উচ্চারণ লিপিবদ্ধ করতে তাঁদের চূড়ান্ত লড়াই করতে হয়েছে। একদিকে বাইরের জগতের সঙ্গে, অন্যদিকে অন্দরমহলে এবং কখনও কখনও নিজের মনের সঙ্গেও। তবু থেকে গেছে তাঁদের স্বর আর সেই স্বরের রিড্ ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছড়িয়ে গেছে আরও স্বর, কাব্যের ভাষায়, সাহিত্যের অঙ্গনে।
চির-অসূর্যম্পশ্যা নারী যখন সবে সূর্যের এক চিলতে রশ্মির স্পর্শ পেয়েছে, ঘরে বসে বসেই যখন তারা জেজেমা (ঠাকুমা), আই-দের (দিদিমা) কাছে ভাগবত-পুরাণ শুনছে, ওডিআ সাহিত্যের সেই মধ্যযুগে, শ্রীচৈতন্যদেবের সমসাময়িক বৃন্দাবতী দাসী সৃষ্টি করে চলেছেন ভক্তিরসের গান। অথচ আমাদের সমাজ তার কোনও প্রমাণই ধরে রাখেনি। ফলে দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও ওডিআ সাহিত্যজগতে প্রথম মহিলা কবির অভিধাটি থেকে বঞ্চিতই রইলেন বৃন্দাবতী। এ প্রসঙ্গেই মনে পড়ল চন্দ্রাবতীর কথাও। বাংলা কাব্য-সাহিত্যের প্রথম নারী কবি তিনি, জন্ম আনুমানিক ১৫৫০ সালে, অথচ সে গৌরবের আসন তিনি পেলেন কোথায়?

সময় এগিয়েছে। সমাজও তার অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। সাহিত্যের সময়কালে যাকে আধুনিক যুগ বলা হয়, সেই সময় ওডিআ সাহিত্যে ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখছি একটি নাম। ড. কুন্তলা কুমারী সাবত। কুন্তলা কুমারী একই সঙ্গে ওডিশার প্রথম মহিলা ডাক্তার, স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজ সংস্কারক, সম্পাদক এবং প্রথম মহিলা কবি। বিশ শতকের তিনের দশকে ওডিশার সারস্বত জগতে কুন্তলা কুমারী এক উদাত্ত উচ্চারণ।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিণী এই বিদূষী জন্মেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বস্তার জেলার জগদ্দলপুরে (বর্তমানে ছত্তিশগড়ের অন্তর্গত), ১৯০০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ডাঃ ডানিয়েল সাবত ও মা মনিকা সাবত ছিলেন পুরীর দান্ডমুকুন্দপুরের আদি বাসিন্দা। তবে কোনও কারণে তাঁরা বস্তারে চলে যান এবং খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। ডানিয়েল ছিলেন ডাক্তার। মেয়ের জন্মের কিছুদিন পর তাঁরা বর্মায় চলে যান এবং ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। কিন্তু ডানিয়েল পুনর্বার বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলে মায়ের সঙ্গে ওডিশার খুর্দায় ফিরে আসেন কুন্তলা। কটকের রাভেনশ বালিকা বিদ্যালয়ে (Ravenshaw Girls’ High School) পাঠ শেষ করে শ্রীরামচন্দ্র ভঞ্জদেও মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়া শুরু করেন। ১৯২১ সালে এল.এম.পি. ডিগ্রি পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
সেই সময়ে ওডিশায় নারী শিক্ষার তেমন প্রচলন ছিল না। নানা অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার তখনও চেপে বসেছিল অন্দরমহলে। শুধুমাত্র মায়ের অদম্য ইচ্ছের জোরে কুন্তলা কুমারীর শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। ডাক্তারি পড়া শেষ করে সরকারি চাকরিতে যোগ না-দিয়ে নিজে স্বাধীনভাবে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ডাঃ কৈলাসচন্দ্র রাওয়ের তত্ত্বাবধানে কটকে নিজস্ব চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী পরিষেবায় নিযুক্ত হন।
১৯২১ থেকে ১৯২৮– এই সাত বছর তিনি কটকে ডাক্তারি করেন। ওই সময়েই ডাঃ রাওয়ের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁকে নিয়ে একাধিক কবিতা লেখেন কুন্তলা। পরে ডাঃ রাওয়ের সহায়তাতেই ‘তারা প্রতি’ শীর্ষক কবিতা ওডিআ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর পরপরই ‘শেফালী প্রতি’ ,’কমলের প্রতি’ শীর্ষক কবিতাগুলি পরপর বেরতে শুরু করে। ‘শেফালী প্রতি’ কবিতাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়।

বাবা খ্রিস্টান হওয়া সত্ত্বেও কুন্তলা ‘নব বিধান’-এর সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এইসময় তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘অঞ্জলি’ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। গোপালচন্দ্র প্রহরাজ এবং পল্লিকবি নন্দকিশোর বলের মতো তদানীন্তন ওডিআ সাহিত্যের প্রাণপুরুষদের কাছ থেকে অনেক প্রশংসাবাক্য পেয়েছিলেন কুন্তলা। ১৯২৫ সালে পুরীর মহিলা বন্ধু সমিতির দ্বারা ‘উৎকল ভারতী’ সম্মান পান তিনি। এই সময়েই কটকের একটি প্রসূতি সেবাকেন্দ্রে চিকিৎসক হিসেবেও যোগ দেন।
কুন্তলা কুমারী একই সঙ্গে ওডিশার প্রথম মহিলা ডাক্তার, স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজ সংস্কারক, সম্পাদক এবং প্রথম মহিলা কবি। বিশ শতকের তিনের দশকে ওডিশার সারস্বত জগতে কুন্তলা কুমারী এক উদাত্ত উচ্চারণ
কিন্তু এতদসত্ত্বেও কুন্তলা ও কৈলাস রাওয়ের বিবাহে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম। কুন্তলার বাবা খ্রিস্টান ছিলেন। তাই মেয়ে ব্রাহ্ম হওয়া সত্ত্বেও বিবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। ১৯২৮ সালে ভগ্নহৃদয় কুন্তলা দিল্লি চলে যান। সেখানে ডাক্তারি শুরু করেন। পরে আর্যধর্ম গ্রহণ করে ব্রহ্মচারী কৃষ্ণপ্রসাদ দাসকে বিয়ে করেন। দিল্লির কাছে মেরঠে ‘নিখিল ভারত আর্য মহিলা সম্মিলনী’র প্রেসিডেন্টও হন। বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পান তাদের সমাবর্তন ভাষণে অংশগ্রহণ করার জন্য।
এরই পাশাপাশি চলছিল তাঁর অবিরল সাহিত্যসৃষ্টি। একদিকে হরবিলাস সারদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেয়েদের উন্নতির জন্য একাধিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে চলেছিলেন কুন্তলা, তেমনই সেইসব বিষয় নিয়ে কালজয়ী কবিতাও লিখে চলেছিলেন। কবিতায় উঠে আসছিল জাতিভেদ, পর্দাপ্রথা, বাল্যবিবাহ এবং লিঙ্গবৈষম্যের মতো স্পর্শকাতর বিষয়। লেখা চলছিল অসংখ্য দেশাত্মবোধক কবিতা। লিখছিলেন উপন্যাসও। তাঁর কয়েকটি কালজয়ী উপন্যাস হল ভ্রান্তি, নঅতুণ্ডি, কালিবৌ, রঘু অর্জিত, চিত্রপট প্রভৃতি।
এই সময় কুন্তলা প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনেও। গান্ধীর মতাদর্শে দিক্ষীত কুন্তলা মনে করতেন স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। সেই উদ্দেশেই সংগ্রাম করে গিয়েছেন তিনি। হিন্দি সাহিত্যের লেখিকা হিসেবেও কুন্তলা জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন। সম্পাদনা করেন মহাবীর, জীবন, ও নারী ভারতী-র মতো হিন্দি সাহিত্য পত্রিকা। ওডিআ ভাষার উন্নতির জন্য দিল্লিতে ‘ভারতী তপোবন সংঘ’ নামে এক সমিতিও গঠন করেন। ১৯৩০ সালে ‘অল ইন্ডিয়া আর্যন ইয়ুথ লিগ’-এর সভাপতি নির্বাচিত হন। হিন্দি প্রচারিনী সভা তাঁকে ‘ভারত কবিনেত্রী’ উপাধি দেয়।
তাঁর কালজয়ী সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে অঞ্জলি, উচ্ছ্বাস, অর্চনা, স্ফুলিঙ্গ, প্রেম চিন্তামণি, গড়জাত কৃষক, শেফালির প্রতি ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ। বহুচর্চিত উপন্যাস: ভ্রান্তি, কালি বহু, রঘু অরক্ষিত, পরশমণি, চিত্রপট। তাঁর অনেক রচনা ইংরেজি ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তিনি নিজেও জানতেন ওডিআ ছাড়াও আরও চারটি ভাষা– বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি এবং বার্মিজ।
একদিকে হরবিলাস সারদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেয়েদের উন্নতির জন্য একাধিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে চলেছিলেন কুন্তলা, তেমনই সেইসব বিষয় নিয়ে কালজয়ী কবিতাও লিখে চলেছিলেন। কবিতায় উঠে আসছিল জাতিভেদ, পর্দাপ্রথা, বাল্যবিবাহ এবং লিঙ্গবৈষম্যের মতো স্পর্শকাতর বিষয়।
জীবন থেকে জীবনে তাঁর গতি, ভূমি থেকে ভূমায় তাঁর দৃষ্টি। গভীর আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব ছিলেন কুন্তলা কুমারী। ডাক্তারি তাঁর পেশা হলেও নেশা ছিল সাহিত্য সাধনা। শিল্পের জন্য শিল্প নয়, জীবনের জন্য শিল্পে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন আমৃত্যু। ঐ সময়ে সমাজ চালিত হত কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের দ্বারা। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি পেয়েছিলেন তাঁর মায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতা এবং দুর্জয় সাহস। পরবর্তীকালে মেয়েদের নানাবিধ সমস্যা দূর করে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।
সেই যুগে দাঁড়িয়েও মেয়েদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা চিন্তা করেছেন, তাঁদের স্বাধীনতা নিয়ে ভেবেছেন। কিন্তু এর জন্য তাঁকে কিছু খেসারত দিতে হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও, আজকের ওডিআ কবিরা কেমন আছেন, কী ভাবছেন, সে বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়েছে আমার।
কথা বলছিলাম একটি কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ অসীমা সাহুর সঙ্গে। অসীমা বললেন, সময় অনেক বদলে গিয়েছে, একথা ঠিক। এখন কোনও বাড়িতে পরপর কন্যাসন্তান হলেও সেসব নিয়ে কেউ তুলকালাম করেন না। মেয়েরা বাইরে বেরিয়ে সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তথাপি কোনও মহিলা কবি যদি নিজের মনের কথাটি তাঁর লেখায় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন, এখনও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলে। প্রেমের কবিতা লিখলে পাঠক এমনকি সাহিত্যমহলের সহযাত্রীরাও তার মধ্যে কবির চরিত্রের প্রতিফলন দেখতে পান।
যদি কেউ পারিবারিক অত্যাচার বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখেন, তাঁকে বিভিন্নভাবে কলুষিত করার চেষ্টা চলতে থাকে। কথাগুলো খুবই সত্যি। কিছুদিন আগে আমি দেখেছিলাম আমার এক ওডিআ কবি বন্ধু শুভশ্রী শুভস্মিতা, সীতার প্রতি অন্যায়ের প্রসঙ্গ ধরে বর্তমান সমাজের চিত্র তুলে ধরেছিলেন একটি কবিতায়। ফেসবুকে সেটি পোস্ট করার পর বিতর্ক এবং কুৎসার ঝড় বয়ে গেছিল কয়েকদিন ধরে। শুধু শুভশ্রী নন, তাঁর কন্যাটিও আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠল।
তবু, আমি লক্ষ্য করেছি, এই মুহূর্তে ওডিআ সাহিত্যের জগতে নারী কবিদের অসামান্য অবদান। সমাজ জীবনের সবকিছু নিয়ে তাঁরা কলমে সরব হয়েছেন, মূর্ত অথবা বিমূর্ত উচ্চারণে। এমনই একজন কবি মমতা দাশ, অসামান্য উচ্চারণ তাঁর। সাহিত্যকৃতির জন্য ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি সম্মান।
ড.অসীমা সাহু, ড.ঈপ্সিতা ষড়ঙ্গী, পারমিতা ষড়ঙ্গী, ডাঃ.কনকমঞ্জরী পট্টনায়ক, বিয়তপ্রজ্ঞা ত্রিপাঠী, ডাঃ. প্রীতিপদ্মা পণ্ডা, ইন্দিরা দাশ, সুনন্দা মহাপাত্র, জয়ন্তী বিশ্বাল বেহুরিয়া, চিন্ময়ী বারিক, বনস্মিতা পণ্ডা, বন্দিতা দাশ, ভাস্বতী বসু, লিপিকা দাস, মমতাময়ী চৌধুরী, মানময়ী দাশরথ, প্রতিভা খিলার, রাজলক্ষ্মী ত্রিপাঠী, পূরবী শতপথী, সংঘমিত্রা রায়গুরু, সংযুক্তা মহান্তি, মনোরমা সাহু এবং আরও অনেকে ওডিআ কাব্যজগতকে সমৃদ্ধ করে তুলছেন।
শুরু করেছিলাম কুন্তলা কুমারী সাবত অর্থাৎ প্রথম ওডিআ নারী কবিকে দিয়ে। ১৯৩৮ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। সীমিত জীবনকালে আর্থিক অনটন, প্রতারণা ও উপেক্ষা এসবই দেখতে হয়েছে তাঁকে। তবুও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এই কবি একের পর এক রচনা করে গেছেন অসংখ্য কবিতা, যা তাঁর আত্মপ্রকাশের শক্তিশালী মাধ্যম। কুন্তলা কুমারীর কবিতায় মুগ্ধ কবি গোদাবরীশ মিশ্র লিখেছিলেন, “আপনি উৎকলের আকাশে একটি তারা হয়ে না থেকে ধূমকেতু হয়ে থাকুন।”

কুন্তলা কুমারীর জীবন এক বিস্ময়। মেঘমেদুর আকাশে বিদ্যুতের মতো তাঁর আবির্ভাব এবং মুহূর্তেই চারদিক আলোকিত করে নির্বাপণ। তাঁর মৃত্যুর পর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে কবি সচ্চিদানন্দ রাউতরায় লিখেছিলেন–
“নয় সে মাত্র এক নারী
শুধু মাতা, শুধু এক কবি
জাতীয় সমরে সে সৈনিক
তুলেছে ভৈরবী।
প্রথমে ধরেছে অসি
পরে সে ধরেছে লেখনী
তাই তার প্রতিটি গানে
কেঁপে ওঠে
দেশের ধমনী।”
(অনুবাদ: শ্যামলী সেনগুপ্ত)
ঋণ স্বীকার : ড.অসীমা সাহু
কবি ও অনুবাদক শ্যামলী সেনগুপ্তের জন্ম, বেড়ে ওঠা ওড়িশার কটকে। এখন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দুটি-- 'ঘুঘুসই পর্যটন' এবং 'পতত্রী ও প্রাণপুরুষ।' দু'টি অনুবাদ সংকলন প্রকাশিতব্য।
One Response
ভালো লাগলো। নানা তথ্য জানতে পারলাম।