১
একটা প্রচণ্ড ঝড়রাত
বাইরে
একটা প্রচন্ড ঝড়রাত
ভেতরে
বারবার
আছড়ে পড়ছে
একটা ঘরের
চৌকাঠে
ভেতরে
এবং বাইরে…
শন…শন…শন…
২
ঝড়রাতের পর
টলটলে বর্ষার গায়ে
ফুটে আছে সাত রং
হালকা ভেজা শহর
এবং আপনার হিরণ্ময়
নিঃস্তব্ধতা
একটা আকুল স্বর
চৌকাঠের পাশে
বৃষ্টি দানায় ঝরছে
নিশ্চুপ…
টুপ…টুপ…টুপ…
৩
চরাচর ভেসে যাওয়া
জ্যোৎস্নায় কাকে খোঁজে?
গতঝড়বৃষ্টির মৃদু ঝমঝম!
চৌকাঠের বাইরে
পাখির বাসাটা মাটিতে পড়ে
ছড়ানো ছিটানো
আধভাঙা ডিম,অফোটা কুসুম
একটা না দেখার ভেতর,
একটানা বেজে যাচ্ছে
স্থির যন্ত্রণার স্থায়ীটুকু
গুন …গুন …গুন…
৪
দূরে বেজে যায় বাঁশি
কেউ সুর বাঁধে,
দীর্ঘ ভেসে ওঠে ছায়া
বলে,হাত ধরো
গীত গাই ধারাস্নানের
জেগে উঠি পুনরায়
শুদ্ধ ভালবাসার
জলকেলিতে
হঠাৎ চৌকাঠে আছড়ে পরে
এক শেকল
একটানা বেজে যায়
ঝন.. ঝন.. ঝন..
৫
ঝড় ও মৃত্যুস্নানের মাঝে
একপশলা আলো
এত আকুল হয়ে বাজে
যেন বিদ্যুৎ
স্পৃষ্ট করার আগে
স্মিত হাসে
যেন শান্তির আহ্বান
শুশ্রষার প্রলেপ
প্রশ্ন করি,’তুমি কে?’
সে বলে , ‘কেন চিনতে পার না !
আমি তো আজনবি নই সমর্পিতা !
যেন অসীম অনন্ত …
ভেসে আসে একটা মন্দ্রস্বর
শ…শ…শ…
আমি চৌকাঠ পেরোই…
ছবি সৌজন্যে Pxhere
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ও মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার শেষে কিছুদিনের শিক্ষকতা-জীবন। তারপরেই প্রবাসে পাড়ি। গত বাইশ বছর যাবৎ ঠিকানা নিউ জার্সি। পেশায় মন্তেসরি শিক্ষিকা। ২০০৮ সাল থেকে ছদ্মনামে ব্লগ লেখা শুরু। ২০১০ থেকে অন্য নিষাদ, প্রেরণা, সৌকর্য্য, ক্ষেপচুরিয়াস, প্যাপিরাস, মধ্যবর্তী, রেওয়া, কেতকী, উত্তর ভাষা-সহ বহু বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও শারদীয়াতে নিজের নামে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লেখা চলতে থাকে।
 
								 
								 
								 
											 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								 
								