(Indrani Mukherjee)
হিমাচল প্রদেশের কুলুর এক বাগান, ভরে আছে ফুলে। সেখানে লতা মঙ্গেশকরের গলায় কেউ গাইছে ‘বহারো মেরা জীবন ভি সঁওয়ারো, কোই আয়ে কহো সে, য়ুঁ পুকারো’। প্রতিধ্বনি হচ্ছে সেই গানের।
কখনও সেই নায়িকা ফুলের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন হাঁটতে হাঁটতে, কখনও ঘাসের ওপর শুয়ে পড়ছেন গাইতে গাইতে। আর সেই নায়িকাকে খোঁজার জন্য ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিস্মিত তরুণ নায়ক। তিনি রাজেশ খান্না। (Indrani Mukherjee)
এই রাজেশ খান্না তখন একেবারে নতুন। নাম থেকে যতীন খান্না ব্যাপারটা বাদ গিয়েছে সবে। লোকে তখনও জানে না, তাঁর বাবা-মা হিসেবে যাঁরা তাঁকে বড় করেছেন, তাঁরা কেউ তাঁর আসল বাবা-মা নন। বরং আসল বাবা-মায়ের আত্মীয়।
মুম্বইয়ে শুটিংয়ের সময় তখন প্রতিদিন ভোর রাতে রাজেশকে ঘুম থেকে তুলে দেন পরিচালক চেতন আনন্দ। তিনি চান রাজেশের চোখে মুখে যেন ক্লান্তির ছাপ থাকে। চরিত্রটি এমনই দাবি করছে নতুন নায়কের কাছে। (Indrani Mukherjee)
আরও পড়ুন: ঘোড়াদের গ্রামে ঘটনার ঘোর ঘনঘটা
রাজেশের তুলনায় একটু সিনিয়র তাঁর প্রথম ছবির নায়িকা। রাজেশ বেশ বাড়তি সম্মান দিয়ে কাজ করছেন তাঁর সঙ্গে। ছবির নাম ‘আখরি খত’। সে ছবি আবার অস্কারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা প্রথম ছবি। (Indrani Mukherjee)
গল্পটা এরকম— কুলুর এক পাহাড়ি গ্রামে প্রেম হয়েছিল দুই তরুণ তরুণীর। তরুণীকে ফেলে রেখে তরুণ চলে আসে মুম্বইয়ে। তরুণী তারপর আবিষ্কার করে সে অন্তঃসত্ত্বা। ছেলে জন্মালে সে মুম্বইয়ে তাকে নিয়ে আসে প্রেমিকের কাছে। প্রেমিককে খুঁজে পেয়েও সে পায় না। একটি চিঠি লিখে রেখে আসে তরুণের বাড়ির দরজায়। (Indrani Mukherjee)

আজকের মোবাইলের যুগে হলে এই ধরনের গল্প, আর সিনেমা হত না। শুধু ‘আখরি খত’ বলছি কেন, বাংলায় উত্তম কুমারের সুপারহিট ‘ছদ্মবেশী’, ‘দেয়া নেয়া’, ‘রাজকুমারী’, ‘ধন্যি মেয়ে’ কোনও সিনেমাই আর হত না। মোবাইল, প্রচার মাধ্যমের দৌলতে কোনও কিছুই অজানা, অদেখা থাকত না। গল্পের রহস্য, মোচড় মাঠে মারা যেত। আমূল পালটাতে হত চিত্রনাট্য। (Indrani Mukherjee)
‘আখরি খত’ ছবিতে নায়িকার আর নায়কের সঙ্গে দেখা হয়নি। বাংলা ফিল্মের ভক্তরা অনেকেই জানেন না, ছবির নায়িকা এক বাঙালি। এবং তিনি এখনও বেঁচে। নাম ইন্দ্রানী মুখার্জি। প্রথম দিকে তাঁকে দেখে অনেকে তুলনা টানত মীনা কুমারীর সঙ্গে। চেহারা, অভিনয়— দু’দিক থেকেই। (Indrani Mukherjee)
রাজ কাপুর তাঁকে নিয়মিত শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেন, ‘কিছু লোক আছে এই সুন্দর ইনডাস্ট্রি ছেড়ে চলে যেতে চায়। কেন চায়, কে জানে!’
রাজেশ খান্নার প্রথম নায়িকার সঙ্গে আবার জড়িয়ে রয়েছে ঋত্বিক ঘটকের এক অসমাপ্ত ছবির নাম। খত্বিকের সেই ছবির নাম ‘বগলার বঙ্গদর্শন’। সেখানে ঋত্বিক নিয়েছিলেন ইন্দ্রাণীকে। শেষ পর্যন্ত ছবিটি হয়নি। সেটা অবশ্য ষাটের দশকের গল্প। (Indrani Mukherjee)
একেবারে ফর্মে থাকতে থাকতেই ইন্দ্রাণী মুম্বই ছেড়ে চলে যান নাসিকে। সিনেমা পুরোপুরি ছেড়ে। পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী কিষাণলাল থান্নাকে বিয়ে করে। প্রেমের বিয়ে। ইন্দ্রাণীর একটাই স্বপ্ন ছিল, চার সন্তানকে মানুষ করবেন তখন। (Indrani Mukherjee)

এখন যখন চারদিকে চর্চা, সন্তান পালন না কেরিয়র— কোনটাকে বেছে নেওয়া উচিত, তখন প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ইন্দ্রাণীর সিদ্ধান্ত বলিউডে আলোচনায় আসে এখনও। সে সময় তিনি নায়িকার রোল পাচ্ছেন না হয়তো, কিন্তু ক্যারেকটার রোলে প্রতিষ্ঠিত। তখনই তাঁর আবার এক নতুন জায়গায় চলে যাওয়া। সালটা ১৯৮৪। ইন্দ্রাণীর জন্ম ও কৈশোর এলাহাবাদে। বাবা ছিলেন ওখানকার নামী ডাক্তার। (Indrani Mukherjee)
১৯৮১ সালে মনমোহন দেশাইয়ের ছবি নসীব একদিক দিয়ে মাইলস্টোন হিন্দি সিনেমায়। অমিতাভ বচ্চন গাইছেন সুপারহিট গান— ‘জন জনি জনার্দন’। সেই গানের দৃশ্যে ক্যামিও অ্যাপিয়ারেন্স ছিল একঝাঁক মেগাস্টারের। রাজ কাপুর, রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র, শাম্মি কাপুর, রনধীর কাপুর, রাকেশ রোশন, শর্মিলা ঠাকুর, ওয়াহিদা রহমান, মালা সিনহা। এই তারকাদের মধ্যে ছিলেন ইন্দ্রাণীও। এই গানের টেক হয়েছিল এক সপ্তাহ ধরে, আর কে স্টুডিওতে। রাজ কাপুরের তত্ত্বাবধানে। এই সময়ই ইন্দ্রাণী বলে দিয়েছেন, তিনি আর মুম্বইয়ে থাকছেন না। রাজ কাপুর তাঁকে নিয়মিত শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেন, ‘কিছু লোক আছে এই সুন্দর ইনডাস্ট্রি ছেড়ে চলে যেতে চায়। কেন চায়, কে জানে!’ রাজ চাইতেন না, ইন্দ্রাণী মুম্বই ছেড়ে নাসিকের মতো ছোট শহরে চলে যান। (Indrani Mukherjee)
আরও পড়ুন: ভেজ বনাম নন ভেজ ফুডের রাজনীতি
ইন্দ্রাণীকে তো এ-কথা বলতেন প্রায় সবাই। বহু আলোচিত সিনেমায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। ‘উসনে কহা থা’, ‘ধরমবীর’, ‘পরভরিশ’, ‘দেশ পরদেশ’, ‘হকিকত’, ‘ধরমপুত্র’ প্রতিটি ছবি সুপারহিট। (Indrani Mukherjee)
‘উসন কহা থা’র প্রযোজক ছিলেন কিংবদন্তি বিমল রায়। পরিচালক মণি ভট্টাচার্য হলেও ছবি আদতে বিমলবাবুরই। শিল্পী নির্বাচন তাঁরই। সুরকার সলিল চৌধুরী। কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেখে এলাহাবাদে জন্মানো প্রবাসী বাঙালি ইন্দ্রাণী গিয়েছেন স্ত্রিন টেস্ট দিতে। তাঁর বয়স তখন ১৫। তিনিই শেষ প্রতিযোগী। বিমলবাবু তাঁকে বলেছিলেন, যুদ্ধ করতে যাওয়া এক সেনার হাতে একটা রাখি বেঁধে দিতে। ইন্দ্রাণী সেটা পরাতে গিয়ে এমন কাঁদলেন, কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে পড়ে গেলেন, সবাই হাততালি দিয়ে উঠল চারপাশে। বিমলবাবু কিছু বললেন না। শুধু এক সপ্তাহ পরে টেলিগ্রাম গেল, অডিশনে তিনি পাস। এলাহাবাদে বড় হওয়ার জন্য হিন্দি বলতেন দারুণ। এটাও ইন্দ্রাণীর স্বপক্ষে ছিল। (Indrani Mukherjee)
মনমোহন দেশাই, চেতন আনন্দ, যশ চোপড়া, সত্যেন বসুরা তাঁর এই সহজাত অভিনয় প্রতিভার জন্যই পছন্দ করতেন খুব। বারবার নিয়েছেন তাঁদের ছবিতে। কখনও নাকি তাঁকে অভিনয় করার জন্য কোনও নির্দেশ দিতে হত না। মনমোহনের লাকি ম্যাসকট ছিলেন তিনি। চেতন আনন্দেরও। (Indrani Mukherjee)
“পরবর্তীতে ইন্দ্রাণী হিন্দি ছবির পাশাপাশি কিছু মারাঠি এবং ভোজপুরী ছবিও করেছিলেন। তার আগে দিলীপ কুমারের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার গল্পটা শোনানো যেতে পারে।”
রাজেশ খান্নার প্রথম নায়িকার প্রথম নায়ক আবার শশী কাপুর। সেই ছবিতে শশীর আবার প্রথম নায়ক হওয়া। এতদিন শিশু অভিনেতার ভূমিকায় থাকতেন। সেই ছবিটি ছিল যশ চোপড়ার সুদীর্ঘ বর্ণময় পরিচালক জীবনের দ্বিতীয় ছবি। ধর্মপুত্র। ওই ছবি জাতীয় পুরস্কার পেল। এবং ইন্দ্রাণী অতি পরিচিত নাম হয়ে গেলেন মুম্বইয়ে। প্রথম দুটো ছবিতেই বিমল রায়, বি আর চোপড়া-যশ চোপড়ার সঙ্গে কাজ করে সফল— লোকপ্রিয় হবেন নাই বা কেন! (Indrani Mukherjee)
শশী কাপুর তাঁর প্রথম নায়ক হিসেবে ‘ধর্মপুত্র’ ছবিতে ইন্দ্রাণীকে ঘিরে গাইছেন, ‘ভুল সকতা হ্যায় ভালা কৌন’। আজ দেখলে অবাক লাগে। এক বাঙালি নায়িকা বিআর চোপড়া-যশ চোপড়ার ছবিতে এত বড় স্বীকৃতি পেয়েছেন! আমরা বাঙালিরা কি তাঁকে এত স্বীকৃতি দিয়েছি কোনওদিন? আমাদের কলকাতার সিনেমাবোদ্ধারা মুম্বইয়ে সফল হওয়ার জন্য শর্মিলা-জয়া-রাখি-মৌসুমীদের যত স্বীকৃতি দিয়েছি, ইন্দ্রাণীকে তো কিছুই দিইনি। বাংলা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ মানুষও জানেন না, তাঁর কথা। (Indrani Mukherjee)
‘উসনে কহা থা’, ‘ধর্মপুত্র’— দু’টোই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সিনেমা। ইন্দ্রাণী ওই আমলের আর একটি যুদ্ধের হিট ছবি ‘হকিকত’-এও অভিনয় করেছেন। যাঁর পরিচালক চেতন আনন্দ। দু’বছরের মধ্যে চেতনই তাঁকে রাজেশ খান্নার প্রথম ছবিতে নায়িকা করেন। আগেই বলছিলাম, ওই ‘আখরি খত’ ছবি সেবার দেশের হয়ে অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। ভারতীয় সিনেমায় বিমল রায়, গুরু দত্তদের মতো একটা অন্য ভূমিকা রয়েছে চেতন আনন্দের। ইন্দ্রাণী ছিলেন তাঁর প্রিয় নায়িকা। (Indrani Mukherjee)

পরবর্তীতে ইন্দ্রাণী হিন্দি ছবির পাশাপাশি কিছু মারাঠি এবং ভোজপুরী ছবিও করেছিলেন। তার আগে দিলীপ কুমারের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার গল্পটা শোনানো যেতে পারে। একটা ছবিতে দিলীপ কুমারের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করার প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছে। দিলীপ কুমার তাঁকে দেখে বলেছিলেন, ‘ও মাই গড! তু তো বাচ্চি হ্যায়।’
ইন্দ্রাণী পাল্টা বলেন, ‘সুযোগ দিয়ে দেখুন, পারি কিনা।’ তিনি তখন দিলীপ কুমার বলতে পাগল! শেষ পর্যন্ত সেই ছবি আর হয়নি। (Indrani Mukherjee)
সেদিন ধর্মেন্দ্র চলে যাওয়ার পর তাঁর অনেক পুরোনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। এক জায়গায় দেখি, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে ইন্দ্রাণীর অনেক ছবি। এক ছবিতে তিনি নায়িকা ধর্মেন্দ্রর। ‘শাদি’ ছবিতে দু’জনের বিয়ের দৃশ্য। আর একটি ‘ধরমবীর’ ছবির দৃশ্য। সেখানে ইন্দ্রাণী ধর্মেন্দ্রর মা। ছেলেকে খাওয়াচ্ছেন। ছবিটি সুপারহিট। ইন্দ্রাণীর অভিনয় খুব প্রশংসা পেয়েছিল। তৃতীয় ছবিতে একটি অনু্ষ্ঠানে ইন্দ্রাণী ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে। (Indrani Mukherjee)
আরও পড়ুন: খেলার ভারতে মহিলা কর্ত্রী কোথায়?
ধর্মেন্দ্র ছিলেন তাঁর ভাল বন্ধু। প্রথম জীবনে ধরমের তখন দরকার একটা ভাড়াবাড়ি। ইন্দ্রাণী তাঁকে খুঁজে দিয়েছিলেন সেই বাড়ি। এরপর ধর্মেন্দ্র বাড়ি বানালেন মুম্বইয়ে। সেখানে ইন্দ্রাণী গিয়েছেন। ধর্মেন্দ্রর মা নিজে গেটে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন ইন্দ্রাণীকে। (Indrani Mukherjee)
অমিতাভ-রেখার আইকনিক মিস্টার নটবরলাল ছবিতেও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে ছিলেন ইন্দ্রাণী। বচ্চনের নসিব ছবিতে যেমন ছিলেন, আগেই ছিলেন। লিখতে গিয়ে মনে পড়ে, সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর হিট ছবি ‘নৌনিহাল’-এর কথা। সঞ্জীবকুমার নায়ক, ইন্দ্রাণী নায়িকা। সঞ্জীব ইন্দ্রাণীর চুল হাতে নিয়ে রফির গলায় গান শুরু করলেন, ‘তুমহারি জুলফ কে সায়ে ম্যায় শাম কর লুঙ্গা।’ সেই গানও ছিল সে সময় সুপারহিট। (Indrani Mukherjee)
ইন্দ্রাণীর সঙ্গে লতার গানের যুগলবন্দি, অনেকগুলিই হিন্দি সিনেমার গানের সেরা প্রতিনিধি হয়ে থাকবে। ‘হকিকত’ ছবিতে ‘আয়ি আব কে সাল দিওয়ালি’
দেব আনন্দের সঙ্গে ইন্দ্রাণীকে রেখে ‘দেশ পরদেশ’ ছবিতে একটি গান ছিল। পারিবারিক গ্রন্থির গান। কিশোরকুমারের ‘নজরানা কিসিসে ভেজা প্যায়ার কা।’ ওই গান এখনও চলে। (Indrani Mukherjee)
ছবির নাম ‘মেরা লাল’। ইন্দ্রাণীর লিপে লতার মায়াবী ‘বাদল রোয়া, নয়না রোয়ে, সাজন রোয়া, ও না মিলে’ গানটিও ছিল সুপারহিট। এক মানসিক অবসাদগ্রস্ত তরুণীর ভূমিকায় ইন্দ্রাণীর অভিব্যক্তি ছিল অসামান্য। ওই ছবিতেই লতার গলায় ‘পায়েল কি ঝঙ্কার’ গানে ইন্দ্রাণী একেবারে আলাদা ভূমিকায়। হাসিখুশি, চনমনে তরুণী তখন। এক ছবিতে দুটি বিখ্যাত লতাসঙ্গীতে তাঁর অভিনয়ের বিস্তার তুলে ধরে। (Indrani Mukherjee)

ইন্দ্রাণীর সঙ্গে লতার গানের যুগলবন্দি, অনেকগুলিই হিন্দি সিনেমার গানের সেরা প্রতিনিধি হয়ে থাকবে। ‘হকিকত’ ছবিতে ‘আয়ি আব কে সাল দিওয়ালি’ গানে এক সেনা পরিবারের দীপাবলির যন্ত্রণা কী অসামান্য তুলে ধরা হয়েছিল! (Indrani Mukherjee)
ওভাবে অভিনয় ও গানের মধ্যে দিয়ে অনেক ভারতীয়ের জীবনে থেকে যাবেন ইন্দ্রাণী। বাংলা, বাঙালি যতই উপেক্ষা করুক তাঁকে।
নাসিকে থাকেন তো। একবার সে শহরের পঞ্চান্ন উর্ধ্বদের গানের প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইন্দ্রাণীকে। একটা সময় সব প্রতিযোগী উঠে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে একটা গান ধরলেন। সেই অমর গান হচ্ছিল ‘বহারো মেরা জীবন ভি সঁওয়ারো, কোই আয়ে কহো সে, য়ুঁ পুকারো’। মঞ্চে বিশাল স্ক্রিন জুড়ে তখন ইন্দ্রাণীর মুখ। সঙ্গে রাজেশ খান্না। (Indrani Mukherjee)
এমন মুহূর্তর জন্যই হয়তো সবার বেঁচে থাকা। এমন মুহূর্তর জন্যই মনে হয়, জীবনে কিছু না কিছু করেছি। সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে থাকতে ইন্দ্রাণীরও মাঝে মাঝে এরকম মনে হয় নিশ্চয়ই।
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
বিশিষ্ট সাংবাদিক। এই সময় সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পাদক ও ক্রীড়া সম্পাদক। উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সম্পাদক। আনন্দবাজার পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে কভার করেছেন একাধিক বিশ্বকাপ ফুটবল ও অলিম্পিক গেমস। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, খেলা, গান, সিনেমা, ভ্রমণ, খাবারদাবার, মুক্তগদ্য— বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।
