মূল কবিতাটি (Poetry) ‘হো’ ভাষার কবি সুশ্রীরাণী তামসোম-এর লেখা। ‘নদী’ শিরোনামে কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করেন কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়। অনুবাদ পত্রিকা ও ভাষা সংসদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘সোনালী ঘোষাল সারস্বত সম্মান’ (২০২৩)-এ সম্মানিত করা হচ্ছে শ্রী মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজীবনের সাহিত্যসাধনার জন্য তিনি জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন এবছর।
এ নদী পাহাড় ভেঙ্গে সমুদ্র সঙ্গমে ছুটে যায়
দুরন্ত কল্লোলে গিয়ে কুলু কুলু সঙ্গীত মেশায়।
এ নদী গিয়েছে জেনে অসীমের অনন্ত ঠিকানা-
সীমিত সীমানা ছেড়ে প্রসারিত করে তার তরঙ্গের ডানা।
দুরন্ত প্রবাহ তার ভাঙ্গে মাঠ – কালের শাসন
মুক্তির পিপাসা তাকে শক্তি দেয় ছিঁড়িতে বাঁধন।
মুক্তি শুধু মুক্তি ডাকে – অনন্তের বুকে করে স্নান
প্রাণ ভরে শুনতে থাকে ভয়ঙ্কর সমুদ্রের গান।
*বানান অপরিবর্তিত
ছবি সৌজন্য: Max pixel
মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের ২৪ কার্তিক পুরুলিয়ার শিয়ালডাঙ্গা গ্রামে। ছাত্রবয়স থেকেই লেখালিখির সূত্রপাত। ১৯৫৫ সালে সাপ্তাহিক সংগঠন পত্রিকায় প্রথম কবিতা
মুদ্রিত হয়। লিখেছেন মৌচাক, শিশুসাথী, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, বসুমতী,
পরিচয়, সত্যযুগ, নন্দন, গনশক্তি , সন্দেশ, শুকতারা, অনুষ্টুপ, কিশোর ভারতী, কৃত্তিবাস সহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পত্রপত্রিকায়। ৫৪ বছর ধরে সম্পাদনা করে চলেছেন 'কেতকী' পত্রিকা।
সম্পাদনা করেছেন আরও বেশ কিছু পত্রিকা।
পেয়েছেন অজস্র সম্মান। তাঁকে নিয়ে বিশেষ সম্মাননা সংখ্যা করেছে একাধিক পত্রিকা।
One Response
paresh54mondal@gmail.com