এভাবেই পেরিয়ে যেতে যেতে
সূর্যাস্ত ফিকে হয় কালজানির অলঙ্ঘ্য শরীরে।
ফেলে আসে নদী তার জমকালো পাথুরে বৈশাখ।
এখানে তারাদের হাঁসফাঁস নেই,
তুখোড় সন্ন্যাস নেই,
নেই কোনও সাহস ভিজিয়ে রাখা ভীষণ বিবাদ।
ভালোবাসা আছে,
বেওয়ারিশ দাগ আছে আদরের,
আর আছে, প্রাণপণ চাষাড়ে বিশ্বাস।
যতটা যত্ন করে কুড়িয়েছি শিমূলের পাতা,
এলোমেলো যতিচিহ্ন,
গালভরা ভিক্ষুকের ঝুলি,
ততখানি যে বৃষ্টি রাখিনি নিজের ভিতর!
বেয়ে যেতে,বয়ে যেতেও বৃষ্টি লাগে কিছু। অথচ,
সে কথা কেউ কখনও বলেনি আমায়।
আজ,
সবুজ গাছের নীচে নামিয়ে রাখলাম
বুকে-হাঁটা অবশিষ্ট অভ্যাস যত।
মায়াহীন কুয়াশার কাছে
থেকে যাক কিছু টুকে রাখা মেঘলা বিকেল।
অবুঝের বীজ ধান। টাটকা আঁধার।
এবারে তবে ঝাঁপ দিতে হবে একাগ্র পাতালে,
নিভে আসা নদীটার কাছে।
সবকটা সফলতম সন্ধ্যা
উড়িয়ে দিতেই পারি একরোখা নবীন চরায়।
আমি জানি,
নিজের ছবির কাছে ঋণ রাখতে নেই।
*ছবি সৌজন্য: Pixabay
অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।