
পরোটা
সে পরোটা গুনতে বসল। অনেক। প্রশান্ত খেলেও বাড়ির জন্য আনতে পারবে। রাতে তারা গোল হয়ে বসে সেই পরোটা খেল। তবু কি ফুরোয়?
সে পরোটা গুনতে বসল। অনেক। প্রশান্ত খেলেও বাড়ির জন্য আনতে পারবে। রাতে তারা গোল হয়ে বসে সেই পরোটা খেল। তবু কি ফুরোয়?
অবাক লাগে কতরকম শিল্প মাধ্যমে তাঁর অনায়াস পদচারণা! আজ অণুবীক্ষণেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো শিল্পী, মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।
যতক্ষণ না গন্তব্যের গান বেজেছে ততক্ষণ তিনি তাঁর কবিতার ষড়জটি ধরে রেখেছেন৷ মহাপৃথিবীর সব কিছু— এই সন্ধ্যা, রামধনু, আত্মহারা বেলাশেষ, গভীর আগুনের সমান্তরালে কবি হেঁটে চলেন৷ সদাচার, বিশ্বাস, প্রত্যয় সবকিছু অন্তিম অবধি তিনি আঁকড়ে থেকেছেন৷
সৌমিত্র তখন সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘অপুর সংসার’-এ নায়কের ভূমিকায় অসাধারণ সাফল্যের সুবাদে নতুন নায়ক৷ বাঙালি মধ্যবিত্তদের চোখে তিনি একজন আইকন৷ সবে পা দিয়েছেন তাঁর সাফল্যের প্রথম সিঁড়িতে৷ এই সময় তিনি একটি পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক হতে রাজি হচ্ছেন বন্ধুর অনুরোধে৷
তাঁর হাঁটার মধ্যে একটা নিজস্ব সাবলীল ভঙ্গি ছিল। বহু বছর ধরে মাথায় ওজন নিয়ে হাঁটা অভ্যেস করেছেন। তাঁর সেই স্বাভাবিক চলনকে পাল্টে ফেলেছিলেন ‘অশনি সংকেত’-এ।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত কবিতা ও চিত্রশিল্প
বছরের এই সময়টা কলকাতা হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাদের মতো “পরিযায়ী পাখিদের”। সেমেস্টারের পড়ানো চুকিয়ে, ফাইনাল গ্রেড জমা দিয়েই প্রায় দৌড়ে প্লেনে ওঠা নান্দীকারের নাট্যমেলা ধরার জন্যে! অ্যাকাডেমি-নন্দন চত্বরে চেনা মুখ “আরে, কবে এলে? চল একদিন বসা যাক।” … ঘরে ফেরার গানের সুরে ভাসলেন ডাঃ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আমাদের দেশে চড়ুইভাতি কবে শুরু হয়েছে তার কোনও ইতিহাস পাওয়া যায় না। পরম্পরা এবং পুরাণ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যায়, তবে সে সবের ঐতিহাসিক ভিত্তি বেশ দুর্বল। অনেকে মনে করেন, ইংরেজরা ভারতে আসার পর থেকে যথার্থ অর্থে পিকনিক বা বনভোজন শুরু হয়। আবার কেউ বা বলেন এ ফরাসিদের আবিষ্কার। পিকনিকের গোড়ার কথা জানতে ইতিহাসের পাতা উল্টোলেন শামিম আহমেদ।
১৯৫৫ সালে পোলিও ভ্যাক্সিনের (ইঞ্জেকশন পদ্ধতিতে) আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী যোনাস সল্ক ভ্যাক্সিনের সত্ত্বাধিকার ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে অক্লেশে বলতে পেরেছিলেন –“could you patent the sun”? কিন্তু ২০২০ তে করোনা ভ্যাক্সিনের বেলায় আর সেটি হওয়ার যো নেই। লিখছেন ডাঃ ঋতব্রত মিত্র।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘এবার চলো বিপ্রতীপে’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদের শিল্প নির্দেশনার গুরুদায়িত্ব পড়েছিল লেখকের কাঁধে। তিনি তখন ওই প্রকাশনায় কর্মরত। কী ভাবে তৈরি হল সেই প্রচ্ছদ… গল্প শোনালেন নির্মলেন্দু মণ্ডল।
দুর্গাপুজো মানেই উপভোগের সময়। ভোগ অর্থে রসাস্বাদন। ভোগ অর্থে আনন্দবিলাসের একান্ত আত্মীকরণ। পুজোর এই সময়টাতেই উপভোগের জলে মুখ ডুবিয়ে বাঙালি আকণ্ঠ টেনে নেয় সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, অবসর, বিনোদন। সেই জলেই পা ছোঁয়ালেন হাত ছড়ালেন অদিতি বসু রায়।
জঙ্গলে পাহাড়ে চা-বাগানে বারবার বর্ষণসিক্ত হয়েছেন তিনি। ভিজে জঙ্গলে সামনে থেকে দেখেছেন শঙ্খচূড়ের ফণা। উত্তরবঙ্গ থেকে সেশ্যেলস, বেতলা থেকে শান্তিনিকেতন, ধারাপাতে ভিজতে ভিজতে শ্রাবণের সোঁদা গন্ধে বুক ভরে নিয়েছেন। পাতাভেজা জলসিয়াহি দিয়ে বর্ষার জঙ্গলের স্মৃতিলেখ বুদ্ধদেব গুহর।….
বাদলা করে এলে মনকেমনের উথাল পাহাড় ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে লাফ দিয়ে চলতে চাই। প্রতিটি লাফেই স্মৃতির কাদা, অতল মাখামাখি, রুখু মাটিতে মাতাল করা জলগন্ধ। বর্ষার রোম্যান্স আর নস্টালজিয়ায় ভেজালেন অনিমেষ বৈশ্য।…
যদি অন্ত্যমিল না থাকে দুজন মানুষের দাম্পত্যে, যদি বৃষ্টি না-নেমে সবকিছু স্নিগ্ধই না-হয়ে যায়, তখন তারা থাকবে কেমন করে পরস্পরের সঙ্গে? মাছ আর পাখির মতো? একজন জলে, অন্যজন আকাশে? সেইভাবে এক ছাদের নিচে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাসে ভালোবাসা কি বেঁচে থাকে? সফল দাম্পত্যে ওই তীব্র অধিকারবোধের আকাঙ্ক্ষার থেকেও অনেক বেশি প্রয়োজন নির্ভরতা আর বিশ্বাস। যখন দু’টি মানুষের মনের মধ্যে যোজনবিস্তৃত ব্যবধান আলসেমির রোদ্দুর মেখে শুয়ে থাকে… দীঘল কালো চুলের সর্পিল বেণীটির মতো.. তাকেই বলা যেতে পারে বহুব্যবহারে জীর্ণ দাম্পত্য এবং তখনই কালবৈশাখী ঝড় ওঠে আচমকা।
কোনও কালবৈশাখীই অকালবৈশাখী নয়। কারণ কালবৈশাখীর মধ্যে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে যা নিষ্ঠুর , কিন্তু নিয়তিনির্ধারিত। প্রকৃতির মধ্যে এই সৃষ্টি এবং ধ্বংসের লীলা নিয়ে যে প্রচুর রোমান্টিক এবং আধ্যাত্মিক কাব্য রচিত হয়েছে, তা মনে হয় এখন আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দুর্গার প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার মতো বা জ্বরের মধ্যে পড়ে বাইরে প্রবল ঝড়ের আবহে প্রতি মুহূর্ত সেই অনিশ্চয়তার সঙ্গে দাবা খেলার মতো কালবৈশাখীকে ভিলেন বা অশনির দূত হিসেবে মনে করার পিছনেও সম্ভবত ভুল কিছু নেই।
খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালে মিশরের সম্রাটবর্গ অর্থাৎ ফরাওদের প্রাসাদ, উপাসনাস্থল, মিনার, গম্বুজ, এমনকি পিরামিডের দেয়ালেও একাধিক জায়গায় পাঞ্জা যুদ্ধের চিত্র খোদাই করা রয়েছে। ফারাও রামেসিস দ্য থার্ডের অত্যন্ত প্রিয় ছিল এই পাঞ্জা দ্বৈরথ।
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Contact us: