প্রথম পাতা » Amrita Bhattacharya » Page 2
মানুষের রান্নাঘর এসব ভেবে দেখে না বোধহয়। ভেবে দেখার সময় কোথায় তার! অথচ ভাবলে সে টের পেতো, ঊষার গন্ধ লেগে আছে ওর বঁটিতে, আঙুলে। সে গন্ধ
একেকদিন মাঝ রাতে ঘুম ভাঙলে দেখি শ্রাবণের চাঁদ মেঘ মাখছে অকাতরে। মাটির পৃথিবী জেগে উঠছে বনজ গুল্মের আশ্বাসে। ভুঁই আমলার পাতারা কী স্পষ্ট, কী সুন্দর! কলপাড়ে
কিন্তু গাছগাছালির সেসব সঞ্চয়ী শখ বেমানান। তারা তাই মেঘের জলে লীনতাপটুকু ধুয়ে ফেলতে চায় কেবল। আমি তাই হাওয়া অপিসের দেরাজখানা বন্ধ করে রান্নাঘরের পাশটিতে গিয়ে বসি।
এমন নরম নরম পুঁই ডগা দিয়ে মানুষেরা এমন গুমসুমি গরমের দিনে খসটার চচ্চড়ি রাঁধে। নতুন তেঁতুলের গন্ধে কই মাছ রাঁধে। আমার ঠাকুমা বলতেন, চওড়া না হলে
মাহাজারা বিবি’র সঙ্গে আমার তাই আপনাদের আলাপ করিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। এমন কত কত মাহাজারা বিবি যে কত কত যাপিত জীবনে অভ্যস্ত! তারা ফুড কালার চেনেন
ডমিনিক যখন বেশ ছোট, তখন থেকেই বাবা-মায়ের কৃষিজীবনকে ও কাছ থেকে দেখবার সুযোগ পেয়েছে। মা, ঠাকুমার রান্নার মধ্য দিয়ে ওর এই বেড়ে ওঠা। ফরাসি রেস্তোরাঁগুলোর রান্নাঘরে
কে বলেছে এই শাল মহুলের জঙ্গলে পৃথিবীর ডাক পৌঁছয়নি! সেই পৃথিবী বলছে সুরুলির রান্না ভারী সাধারণ, ভারী পুরনো। ওসব রান্নার এবার ফুরিয়ে আসার পালা। এসব জানে
আমেরিকা কেন, পৃথিবীর কোনও প্রান্তেই কোনও মাস্টার-শ্যেফ প্রতিযোগিতায় কুয়াশার ওপারে দাঁড়িয়ে, এমন করে কেউ চাল, ডাল আর আনাজপাতির আলপনা আঁকেনি। রান্নার মুন্সিয়ানায় ও পেরেছে সবাইকে অবাক
Notifications