
দিনের পরে দিন: সংবাদজগতের উত্তমকুমার
প্রবাদপ্রতীম সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তকে নিয়ে এক অন্তরঙ্গ স্মৃতিকথামালা বুনেছেন লেখক আলপনা ঘোষ।
প্রবাদপ্রতীম সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তকে নিয়ে এক অন্তরঙ্গ স্মৃতিকথামালা বুনেছেন লেখক আলপনা ঘোষ।
ক্লাস থ্রি-তে ওঠার পর আমার পার্কে যাওয়া হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। নির্দেশনামার বিশ্লেষণে মায়ের কোনও আগ্রহ ছিল না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে খুব মিল। শুনলাম, বড় হয়ে গেছ, আর খেলতে যেতে হবে না।
ক্লাস থ্রি-তে উঠে স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা জমা দিতে গেলাম। ভাগ্যিস সঙ্গে ক্লাসের এক বন্ধু ছিল। ক্লাসটিচার ভুরু কুচকে বললেন, তোমার নিজের লেখা? না, মা-বাবা লিখে দিয়েছেন? আমার কান লাল হয়ে উঠেছে। এমন অপমানজনক প্রশ্ন কেউ করতে পারে আমাকে? বন্ধু বলল, না দিদিমণি, ওর খাতা আছে, ও কবিতা লেখে। … শৈশবের কলকাতা ফিরে দেখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
কবিতার খাতাটা এমনভাবে বুকের কাছে ধরা থাকত যে, বড় ছোট যে কেউ জানতে চাইবে, ওটা কী? তখন আমি বিজ্ঞের মতো বলব, জানো আমি কবিতা লিখি এতে। আর এটাও বলতে ভুলব না যে বড় হয়ে আমি লেখক হব।… শৈশবেই চোখে লেগে গিয়েছিল ভবিষ্যতের নেশা। কলমে অনিতা অগ্নিহোত্রী।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘এবার চলো বিপ্রতীপে’ কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদের শিল্প নির্দেশনার গুরুদায়িত্ব পড়েছিল লেখকের কাঁধে। তিনি তখন ওই প্রকাশনায় কর্মরত। কী ভাবে তৈরি হল সেই প্রচ্ছদ… গল্প শোনালেন নির্মলেন্দু মণ্ডল।
দক্ষিণ কলকাতায় নানা বাসা বদল করতে করতে, কর্নফিল্ড রোড, চন্দ্রমণ্ডল লেন, অনিল রায় রোড ঘুরে বাবা-মা যখন হাজরা রোডের তিনতলার বাসায় এসে পৌঁছলেন, তখন কি জানি, এই বাড়িই হবে আমাদের আগামী দু’দশকের ঠিকানা? — লিখছেন অনিতা অগ্নিহোত্রী।
সেই ষাটের দশক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ক্লাস। পড়াতে আসছেন ডাকসাইটে অধ্যাপকেরা। পড়তে আসছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকেই তখন সাংবাদিক। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ আলপনা ঘোষের কলমে।
বুদ্ধদেব গুহ শোনালেন তাঁর শিশুবেলার পুজোর স্মৃতি। উত্তর বাংলাদেশের পাহাড়িয়া জেলা রংপুরে কেমন ছিল তাঁর সেসব দিন?
সেকেলে পুজো। তার স্বাদগন্ধই আলাদা। বাড়ির পুজো হোক বা বারোয়ারি, সর্বত্র আনন্দ আর আন্তরিকতার এক আশ্চর্য মিলমিশ। সঙ্গে নস্টালজিয়ার ডাক। পুজোর কথকতা বর্ণনে আলপনা ঘোষ।
২০ অক্টোবর অতুলপ্রসাদ সেনের জন্মদিনে পীতম সেনগুপ্ত লিখলেন কবির কলমে তাঁর অনুজপ্রতিম এই সখাটির কথা।
বয়সের তফাতকে হার মানিয়েছিলেন ভালোবাসার জেদের কাছে। অসমবয়সী দুটি মানুষ ঘর বেঁধেছিলেন তারুণ্য়ে। কিন্তু বার্ধক্যে সেই স্মৃতিই যদি মুছে যেতে থাকে? ডিমেনশিয়া নামক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে ক্রমেই অচেনা হয়ে থাকা পাশের মানুষটির সেই দুরূহ সময়ে কী ভাবে জীবনের আলোকবৃত্তকে ধরে রেখেছেন নিজের কাছটিতে? এমন অসংখ্য অজস্র স্মৃতিহারা মানুষ আর তাঁদের পরিজনেদের যন্ত্রণার সমব্যথী হলেন আলপনা ঘোষ। …
হেমাঙ্গ বিশ্বাস। স্বয়ং এক ইতিহাস। অসমের ভূমিপুত্র এই কালজয়ী গায়ক-সুরকার-গীতিকার বাংলার মাটি থেকে তুলে আনতেন তাঁর মেলোডি, তাঁর গায়কী, তাঁর যাপন। তাঁকে নিয়ে কলম ধরলেন পুত্র মৈনাক বিশ্বাস।….
গুরুর জন্মতিথিতে শিষ্যার চিরবিদায়, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। সুচিত্রা মিত্রের জন্মদিনে পূর্বা দামের প্রয়াণ এমনই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী করে দিল তাঁর অগণিত ভক্তকে। তাঁকে নিয়ে একান্ত স্মৃতিচারণে স্বপন সোম।
যে সময় মহিলা সাংবাদিক দেখা প্রায় ভূত দেখবার শামিল ছিল, সেই সময় চুটিয়ে কালান্তর কাগজে কাজ করেছেন আলপনা ঘোষ। পরে অসুস্থতার কারণে তাতে ছেদ পড়লেও স্মৃতির মণিকোঠায় চির উজ্জ্বল সেইসব দিন।
আগুনঝরা সত্তরের দশক। একদিকে নকশালবাড়ি আন্দোলন, অন্যদিকে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ। দুই আবহে ফুটছে বাংলা। হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী, অনিল আচার্য সকলে কাজ করছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। সেই উত্তাল সময়ের চালচিত্র মৈনাক বিশ্বাসের কলমে। …
যে কালে মেয়ে রিপোর্টার দেখা প্রায় ভূত বা ভগবান দেখার শামিল ছিল, সেই কালে (ষাটের দশকে) জেদ করে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়ে দৈনিক বসুমতী কাগজে রিপোর্টারি করতে আসেন আলপনা ঘোষ। কর্মজীবনের শুরুর দিনের সেই উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের পথে ফের হাঁটলেন তিনি।…
© Copyright 2019-20 | Celcius Technologies Pvt. Ltd. All Rights Reserved
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Unauthorized copying or representation of any content, photograph, illustration or artwork from any section of this site is strictly prohibited.
Contact us: