প্রথম পাতা » Old Kolkata and its stories
কলকাতার কাছে আরও একবার দেশের রাজধানী হয়ে ওঠার সুযোগ এসেছিল ১৯৪৭ সালে, যখন দেশভাগের সময় নেতাজীর দাদা শরৎচন্দ্র বসু, পরাধীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহ্রাওয়ার্দী আর
যতই পুজো-পাঠ করুন তাঁরা আর সনাতন ধর্মের যত বড়ই ধ্বজাধারী হয়ে থাকুন, রক্ষিতা আর বাইজির ব্যাপারে তাঁরা ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। তাই বাবুদের মুসলমান উপপত্নী থাকলে কোনও
ইংরেজদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরে খ্রিস্টমাসের ঘটা আর সমারোহ বেড়েই চলল। সকাল শুরু হত গভর্নরের দেওয়া এলাহি প্রাতরাশের সাথে। দিন গড়ালে ডিনার বল্ আর অবশেষে
ডসন নামে এক সাহেব তার মশালচি টিটুর নামে অভিযোগ আনে মোমবাতি চুরির— তাই টিটুর কপালে দশ ঘা বেত জুটেছিল। সেজ নামে এক সাহেব তার ভৃত্য খোদাবক্সের
সাহেবের সাময়িক বাসস্থান, খিদমদ্গার, দর্জি, খানসামা থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নিত সরকাররা— সবার মাইনে অবধি ঠিক করে দিত, কিন্তু নিজে কোনও মাইনে নিত না,
নর্থ পার্কস্ট্রিট গোরস্থানের জায়গায় গড়ে উঠেছে অ্যাসেম্বলি অফ গড চার্চ হাসপাতাল। এই গোরস্থানের সমস্ত কবর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও একটা কবর থেকে গেছে এখনও— রবার্টসন পরিবারের স্মৃতিসৌধ।
তখন মৃতদেহ সৎকারের নির্দিষ্ট ঘাট ছিল না। কলকাতাকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্বে থাকা ডোমেরা অসংখ্য মৃতদেহ প্রতিদিন সংগ্রহ করে শ্মশানের একপাশে জড়ো করত। আর এই মৃতদেহের চামড়ার
কয়েকবছরের মধ্যেই শহর বিভিন্ন অসুখে ছেয়ে গেল। এইবার সাহেবদের টনক নড়ল। ১৭০৪ সালে আদেশ এল, আবর্জনাতে ভরা সব দিঘি আর পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার— আর এই জঞ্জালগুলো
Notifications