প্রথম পাতা » Tanmoy Bhattacharjee
বাংলায় প্রাথমিক পুথির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনটি হল বিজয়রাম সেনের লেখা ‘তীর্থমঙ্গল’, যা রক্ষিত আছে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এ। বাংলাভাষার প্রথম সার্থক ভ্রমণকাব্য এটি। এ-পুথি উল্লেখের কারণ হল,
উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে চলে আসার পরও সেই দেশ-পরিচয়টুকু ছাড়তে পারেননি তাঁরা, বরং আঁকড়ে ধরেছিলেন আরও। একই দেশের তথা জেলার মানুষদের একত্রবাসের প্রবণতা দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন কলোনিতে।
স্থান চিহ্নিত করা গেলেও, ভিটের উপযুক্ত ফাঁকা জমি আজ আর বিশেষ অবশিষ্ট নেই, আশেপাশে উঠে গেছে বাড়ি। পুকুর-সংলগ্ন উঁচু পাঁচিলটি করঞ্জাই ভবনের, যা নির্মিত হয় ১৯৭৩
কিন্তু অনেকের কাছে যা গুরুত্বহীন, ব্যক্তিভেদে তা-ই ব্যঞ্জনাবাহী হয়ে ওঠে। এই স্মৃতি-মন্দিরের হদিশও, সে-কারণেই নথিভুক্ত করে রাখা প্রয়োজন। চাঁদ সওদাগর কিংবা ধনপতি সওদাগরের মতো চরিত্রগুলি মঙ্গলকাব্যের
পাটনায় যত মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত বাঙালি ছিল, তাদের বাংলার সঙ্গে কিন্তু হিন্দিও মিশে গিয়েছিল। ‘শোনো’-টা ‘শুনো জি’— এরকম। অনেকদিন যাইনি, কিন্তু টেলিফোনে কথা হলে বুঝতে পারি,
বইটিকে আপাতভাবে বোঝার জন্য এটুকু পরিচিতি প্রয়োজন। প্রকাশের ৬০ বছরে দাঁড়িয়ে, সে-বই আরেকবার পড়তে-পড়তে একটি তত্ত্বের কাছে ফিরে যাওয়া গেল। তত্ত্বটি অসার, ফলে বাতিল হয়েছে সময়ের
আবেগ ও দক্ষতার মিশ্রণে তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছিল একটা প্রজন্মের ভাষ্য। দীক্ষিত পাঠক তাতে গভীরতা হয়তো পাবেন না, কিন্তু কবিতাবিমুখ কাউকে কবিতার দিকে টেনে আনতে হেলাল
দেশভাগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে বিভিন্ন মোটিফ। শুধু সমকালে নয়, সময়সরণি বেয়ে তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে পরবর্তী দশকগুলিতেও। তেমনই একটি মোটিফ— ‘পাসপোর্ট’ নিয়ে এই আলোচনা, যা
Notifications