
গল্প শুনতে কে না ভালোবাসে! তার ওপরে সে গল্প যদি হয় নানা উপকরণের ঠাসবুনোটে তৈরি লোককথা, বা লোককাহিনী, তাহলে তো কথাই নেই! লোককথার কোনো লিখিত রূপ হয় না, কোনো নির্দিষ্ট লেখকের নাম জড়িয়ে থাকে না এর সাথে – লোকের মুখে মুখেই এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে এর আনায়াস গতি। আমাদের চারপাশের চেনা বাস্তব জগত আর রূপকথার আদ্যন্ত অলীক দুনিয়া – এই দুইএর মাঝামাঝি কোথাও অবস্থান লোককাহিনীর। তাই লোককথার চরিত্রগুলো আমাদের কাছে রূপকথার তুলনায় অনেক বেশি পরিচিত এবং জীবন্ত। এই কাহিনীর প্রবাহে কোথাও অন্তর্লীন থেকে যায় জীবনকে সঠিক ভাবে চিনে নেওয়ার পাঠ, তাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকারি এক টুকরো নীতিকথার হদিশ। যেহেতু লোক মুখেই এর চলন, তাই গল্পবলিয়ের জীবন দর্শনের খানিকটা ছাপও রয়ে যায় লোককথার মধ্যে। এইভাবেই নানা উপাদানের মিশেলে অনন্য হয়ে ওঠে এক একটি লোককাহিনী আর গোটা গল্পটিকে ঘিরে থাকে এক আশ্চর্য মন কেড়ে নেওয়া মেজাজ। স্বচ্ছ ভাষা আর গল্প বলার সহজ ভঙ্গি এই লোককথাগুলোকে ছোটদের কাছে করে তুলেছে ভারি জনপ্রিয় – এদের মধ্যে কোথায় যেন রয়ে গেছে মন ভাল করে দেওয়ার চাবিকাঠিটি। আজ এই অতিমারীর আবহে যখন হাজারো মন খারাপের উপকরণ পসরা সাজিয়ে বসে আছে আমাদের চারপাশে, তখন এই মন ভালো করার চাবিকাঠিটি আমরা তুলে দিতে চাই ছোটদের হাতে, একটি তিব্বতি লোককথার অডিও-ভিসুয়াল উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। গল্পটির নাম ‘হায়, কবে আসবে শান্তির পাখি!’। সব প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে উঠে ছোট্ট ছেলে ওয়ান জিয়ার লড়াই জিতে যাওয়ার গল্প এটি।
গল্পপাঠ – সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়
ছবি – পারমিতা দাশগুপ্ত
সামগ্রিক বিন্যাস ও আবহসঙ্গীত – অরূপ দাশগুপ্ত
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।
Notifications