বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব যে এই শরৎকালেই হয়, তার একটা বিশেষ যুক্তি আছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নানা লেখায়, কবিতায়, নাটকে, প্রবন্ধে, গানে সে কথা বলেছেন। যেমন, তাঁর ‘শারদোৎসব’ নাটক। সেই নাটকের মধ্যে দিয়ে তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন, প্রকৃতি নীরবে এবং নিরন্তর তার নিজের ভিতরে নিজের সম্পদ সৃষ্টি করে চলে, তার পর সেই সঞ্চয়ের ঝাঁপি সে খুলে দেয় বিশ্বপৃথিবীর জন্য, জগতের সেই আনন্দযজ্ঞে সবার নিমন্ত্রণ। শরতের প্রকৃতি জুড়ে, তার সূর্য-উজ্জ্বল নীল আকাশে, জলে ভরে ওঠা নদী-পুকুর-খাল-বিলে, আকাশতলে মেশা হরিৎক্ষেত্রে, সর্বত্র নতুন প্রাণের সাড়া। এরই নাম শারদোৎসব।
এবারের শারদোৎসব আমাদের কাছে অন্য অর্থেও নতুনের উৎসব। দেবীপক্ষের সূচনার পূর্বলগ্নে আমাদের এই বাংলালাইভ ডটকমও নিজেকে, চারপাশের প্রকৃতি এবং মানুষজনের মতোই নবসজ্জায় সাজিয়ে তুলতে চেয়েছে। একে আবির্ভাব বা পুনর্জন্ম বলে অনাবশ্যক অতিনাটকীয়তা অনুশীলনের কোনও প্রয়োজন নেই। পুজোয় আমরা নববস্ত্র পরিধান করি এবং সেই সজ্জার প্রেরণায় মনে মনেও নতুন হয়ে উঠতে চাই, এই নবায়নও অনেকটা তেমনই।
কেমন হবে আমাদের নতুন সাজ, কী ভাবে নিজেদের সমৃদ্ধ এবং মনোজ্ঞ করে তুলতে চাই আমরা, তার বিশদ বিবরণ এখন অনুক্ত থাকাই বিধেয়, পুজোর সাজ যেমন ক্রমশ উন্মোচনীয় বলেই তার এতটা বিশেষ আকর্ষণ। আপাতত কেবল এইটুকু বলার যে, আমরা গতানুগতিক পথে চলতে চাই না। ‘দশজনে পারে যাহা’, তা নিশ্চয়ই আমরাও পারি, কিন্তু দশজনের থেকে আলাদা কী করতে পারি এবং কী ভাবেই বা, সেটা আমাদের কাছে খুব বড় প্রশ্ন। আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব।
কিন্তু, অবশ্যই, সেই সন্ধানের পথে একটি ধ্রুবতারা আমাদের প্রতিনিয়ত দিশা দেখাবে। তার নাম বাঙালিয়ানা। সঙ্কীর্ণ, ঘরকুনো, পরশ্রীকাতর বাঙালিয়ানা নয়, বৃহৎ, আদিগন্ত, বিশ্বায়িত বাঙালিয়ানা। ঘরে ও বাইরে, কাছে ও দূরে, দেশে ও বিদেশে সমস্ত বাঙালির কাছে এবং অন্য নানা পরিচিতির আগ্রহী মানুষের কাছেও, সেই পথ ধরেই পৌঁছতে চাই আমরা। পৌঁছতে চাই নানান তথ্য আর মতামত নিয়ে। কেবল আমাদের মতামত জানানো নয়, তার চেয়েও অনেক বড় কাজ বলে মনে করি বহু মানুষের বহু মতের মধ্যে সেতুবন্ধন।
প্রার্থনা করি, সকলের শুভকামনা আর সহযোগিতা।
সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় হাসিখুশি, এমনকী যখন সেই মোড-এ থাকেন না, নিজেকে ঠেলে হিঁচড়ে হিহিহোহো’তেই ল্যান্ড করানোর চেষ্টা করেন। জাপটে ভালবাসেন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সিরিয়াল, গান, রাস্তায় নেড়িবাচ্চার লটরপটর কান। পড়াশোনার সময় ফিল্ড করেছেন, হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভেঙেছেন, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়েছেন, এক বার পাহাড় থেকে অনেকটা হড়কে পড়ে মুচ্ছো গেছিলেন, উঠে দেখেন, কবর! এক বার ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অঙ্গ হিসেবে চিন গেছিলেন, রাত্তির দুটোয় সাংহাইয়ের রাস্তায় হারিয়ে গিয়েও কাঁদেননি। ফিউজ সারাতে পারেন, পাখার কার্বন বদলাতে পারেন, কাগজের চোঙ পাকিয়ে গাড়িতে পেট্রল ঢালতে পারেন, চিনেবাদাম ছুড়ে দিয়ে মুখে নিপুণ লুফতে পারেন। ব্যাডমিন্টন খেলার ইচ্ছে খুব, কিন্তু জায়গা ও র্যাকেট নেই। অরোরা বোরিয়ালিস যারা দেখেছে, তাদের একাগ্র ভাবে হিংসে করেন। দেশের বাড়িটা উনি বড় হওয়ার পর ছোট হয়ে গেছে বলে, আর আমির খান এক বার কার্টুন এঁকে দিয়েছিলেন— সে কাগজ হারিয়ে গেছে বলে, জেনুইন কষ্ট পান। এক বার ঈগলের রাজকীয় উড়ান আগাগোড়া খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন।
2 Responses
শুভ উদ্যোগ আর Bio সূত্রে পরিচিতিটা একশ তে দু’শ….?
সুন্দর সম্পাদকীয় । শারদীয়ার শুভেচ্ছা বাংলালাইভের টিম কে।