মা একটা প্রশ্ন করেছে।
“রুকু তোমার আগে (ছোটবেলায়) বেড়াতে যেতে অসুবিধা কেন হতো? কাঁদতে কেন?
উঃ রুকু সব কিছুতেই প্যাটার্ন পছন্দ করে।
খাঁচার মুরগি গুলো চুপচাপ থাকে। ধরতে গেলেই ছটফট।গম খাওয়ার প্যাটার্ন চেঞ্জ।
রুকুর বুদ্ধি আছে। তাই উত্তেজনা আছে।
Autisim রুকুকে রুবিক কিউবে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
রঙ মিলিয়ে চলাফেরা।
ঘিচিমিচি উত্তেজনা। সব কিছু রুকু শিখছে,তারমধ্যেই।
রুকুর কান্না, হাসিফাসি, সব প্যাটার্ন ফলো করতে help করে।

মায়ের প্রিয় বাগানবিলাস গাছের মিছিল”—-গরমে লাল,
রুকুও আছে গাছের নিচে। ক্ষয়ে যাওয়া রঙ পেন্সিল খুব ঘষে ঘষে, শেষে কাপড়ের ন্যাকড়া আর দশ আঙুল দিয়ে ঘষে এঁকেছি। আকাশ টা আরো ঘিছিমিছি হলে চলতো, but রঙ শেষ।

সমুদ্রে উল্কাপাত”—–
গ্যালাক্সি থেকে সমুদ্র দুম, ম, ম ——
রঙ, তুলি, দশ আঙুল লেগেছে।
আমি রুকু বিনায়ক। সবাই বলে আমি বুদ্ধু। ভোঁদাই। মা আমাকে গাধা বলে না মুনা বলে।পাপা বলে পুচাই। আমার দুটো হাত, দশটা হাতের আঙুল,দুটো চোখ আছে,যা দিয়ে আমি ছবি আঁকা। পাপা মা বলে আমার অটিজম আছে। অটিজম কি আমি জানিনা। তবে আমি একটু কেমন যেন। আমার গাড়ির চাকা, টেবিল ফ্যান, ছোট ছোট রবারের পুতুল ,রং,তুলি পেন্সিল ভাল লাগে।আমি লাফাতে ভালোবাসি। এ দেয়াল থেকে ও দেয়াল। সব দেয়ালে হাতের চাপ,সব দেয়ালে সর্দি,নাকের পোঁটা লাগে। মা বলে যাতা। আর মোছে।।