[ ছবিগুলো ফুল স্ক্রিনে (Full screen mode) দেখুন ]
গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সুযোগ এসেছিল মঙ্গোলিয়া (Mongolia) ভ্রমণের। দেশটি এখনও পর্যটন মানচিত্রে সেভাবে পরিচিত নয়। জনসংখ্যা খুবই কম, এর তিরিশ শতাংশ মানুষ এই আধুনিক যন্ত্রনির্ভর যুগেও যাযাবর বা প্রায় যাযাবর ধাঁচের জীবনযাপন করেন। পশুপালন ও পশুজাত নানা দ্রব্য প্রস্তুত এবং বিক্রি করাই তাদের জীবিকা।
মঙ্গোলিয়ার (Mongolia) একটি অপূর্ব লেক খোভসগল। এখানে দুরাত থাকার সুবাদে একদিন স্পিডবোটে পৌঁছে গেছিলাম প্রায় ২০ কিমি দূরে লেকের অপর প্রান্তে অ্যালেক্সর দ্বীপে৷ সেখানে একাকী এক যাযাবর কয়েকটি বল্গা হরিণ নিয়ে বসবাস করে। তার তাঁবুর ভেতরে হরিণের শুকনো মাংস ঝোলানো রয়েছে। সেটাই আহারের ব্যবস্থা। তাঁবুর মাঝখানে একটি ঢাকা উনুন। ঘর গরম রাখা ও রান্না – দুটি কাজই চলে। হরিণের শিং দিয়ে সে নিঁখুত হাতে নানারকম জিনিসপত্র তৈরি করে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে। এভাবেই জোগাড় হয় মানুষটির জীবনধারণের রসদ। ছবিতে ধরা রইল তার বল্গা হরিণের সংসার।
পেশায় শিক্ষিকা। নেশা ও ভালোবাসা ভ্রমণ, ছবি তোলা, একটুআধটু লেখালেখি।