অভিরূপ ক্লাস ওয়ানে পড়ে। স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে এবার বাচ্চাদের দিয়ে নাটক করানো হবে। অভিরূপের বড় হয়ে অভিনেতা হওয়ার খুব ইচ্ছে। স্কুলের নাটকে তাই হাতেখড়ি হলে শুরুটা ভালই হয়। তার মা, বাবারও ছেলেকে অভিনেতা হিসেবে দেখার একটা সুপ্ত বাসনা আছে। এখনি ছেলে ছড়াগুলি যেরকম হাত-নেড়ে অভিব্যক্তি দিয়ে বলে, তাতে বোঝাই যায় প্রতিভার কম্তি কিছু নেই। আর হবে নাই বা কেন। তার বাবা, বলাইচন্দ্র পাল, ছোটোবেলায় গ্রামের যাত্রাপালায় লক্ষণ সেজে এমন বাস্তবানুগ অভিনয় করেছিল যে কার্ডবোর্ডের তরোয়ালে ভজা’দার (শাড়ি পরে সুর্পনখা সেজেছিল) নাকটা বিশেষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল। নাটকের পর তাকে দু-হপ্তা নাক ব্যান্ডেজ করে ঘুরতে হয়েছিল। আবার বনবাস শেষে অযোধ্যায় ফিরে যখন মা’কে প্রথম দেখে, হারমোনিয়ামের পর্দা ছাপিয়ে “হে মাতে” বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢিপ করে প্রণাম করতে গিয়েছিল (স্ক্রিপ্টে ছিল না), তখন সুমিত্রা রূপী নিতাই’দা লাফিয়ে উঠেছিল– “ওরে হতভাগা, আস্তে রে, বাবারে আমার পা’টা গেল রে”। দর্শকদের মধ্যে একটা হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল। গ্রামেগঞ্জে আর বাস্তব অভিনয়ের দাম কে আর দেবে! তাই সুযোগ হয়নি বলাইয়ের। (Short Story)
সমস্যা একটাই। নাটকটা ইংরাজিতে হবে। “স্নো হোয়াইট অ্যান্ড সেভেন ডোয়ার্ফস্”। অভি আবার ইংরাজিতে একটু কাঁচা। বিশেষ করে ‘শ’ কে ‘স’ বলে- সামান্য জিভের আড়ষ্টতা আছে। তবু হাইটের জন্য আশা ছিল যদি রাজকুমারের পার্টটা পায়। কিন্তু হল না।
ওদিকে অভির মা চৈতিও কম যায় না। কলেজে একবার রানী লক্ষ্মীবাই সেজেছিল। সে কি তেজোদীপ্ত অভিনয়। সেই গল্প বহুবার সে সবাইকে শুনিয়েছে। অতএব জিনের একটা প্রভাব তো থাকবেই। ক্লাস ওয়ানের হিসেবে, অভির হাইটও বেশ ভাল। গায়ের রঙ একটু চাপা বটে, তবে তাতে আজকাল কী আর এসে যায়।
সমস্যা একটাই। নাটকটা ইংরাজিতে হবে। “স্নো হোয়াইট অ্যান্ড সেভেন ডোয়ার্ফস্”। অভি আবার ইংরাজিতে একটু কাঁচা। বিশেষ করে ‘শ’ কে ‘স’ বলে- সামান্য জিভের আড়ষ্টতা আছে। তবু হাইটের জন্য আশা ছিল যদি রাজকুমারের পার্টটা পায়। কিন্তু হল না। দিল্লী থেকে একটি ছেলে নতুন অ্যাডমিশন নিয়েছিল ক্লাস ওয়ানেই, বেশ লম্বা, ফরসা, সুন্দর দেখতে। প্রিন্স্ তাকেই করা হল। হাইটের কারণে অভির বামন’দের রোল তো পাওয়ারই ছিল না। তারপর একে একে শিকারী, ম্যাজিক আয়না এমনকি খরগোশের রোলটাও যখন হাতছাড়া হয়ে গেল, তখন খুব হতাশ বোধ করেছিল অভি। শেষে বাকি কিছু ছেলেমেয়ের সঙ্গে অভিকে গাছ সাজতে বলা হল। সে লম্বা। হাতে ডালপালা নিয়ে, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, দুলে দুলে হাত নাড়তে হবে। সব গাছ মিলে জঙ্গল আর কী।
সেদিনে বাড়ি এসে খুব ভেঙে পড়েছিল অভি। শেষে নির্বাক গাছের রোল? ম্যাজিক আয়না, খরগোশের তাও কিছু ডায়লগ্ আছে। কিন্তু গাছের তাও নেই। খারাপ লেগেছিল বলাই এবং চৈতিরও। চৈতি তো রাণী লক্ষ্মীবাইয়ের মতো রনং দেহী হয়ে উঠছিল– “সব ষড়যন্ত্র। ঐ টিচারটা আমার অভিকে কেন যে সহ্য করতে পারে না কে যানে”। শেষে বলাই সবাইকে উদ্বুদ্ধ করল। পার্ট যত ছোটো হোক না কেন, কিছুই অকিঞ্চিতকর নয়। “তুই একটা গাছ হয়ে দেখিয়ে দে কতটা বাস্তবসম্মত ভাবে অভিনয় করতে পারিস”। তারপর সত্যজিত রায়ের “পটলবাবু ফিল্মস্টারের” গল্পটা সংক্ষেপে বলে ছেলেকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করল। সেই গল্পে, একটা “আঃ” কতরকম ভাবে বলা যায়, সেটা প্র্যাক্টিস্ করে, কী সুন্দর অভিনয় করেছিল পটলবাবু। অভি তাও ঘাড় কাত করেছিল– “ওর তো তাও একটা ‘আঃ’ ছিল, আমার তো তাও নেই”। এবার চৈতিও ভালো দিকটা দেখাবার চেষ্টা করে– “তাও তো মরা সৈনিকের থেকে ভাল রোল। গাছের তো প্রাণ আছে। তুই দেখিয়ে দে অভি… পরের বার তোকে লিড রোল না দিয়ে পারবে না”।
নিচের ঠোঁটকে উপরের দুটো সামনের দাঁত দিয়ে এমন ভাবে কামড়ে ধরল যেন মনে হল সত্যি একটা খরগোশের মুখ। কিন্তু ঐভাবে ডায়লগ বলা যায় নাকি! তাই কী বলছে, বোঝাই যায় না। শেষে যে টিচার নাটকটা পরিচালনা করছিলেন, তিনি বললেন– “এই ওরকম পাকামো করে কথা বলতে হবে না।
উদ্বুদ্ধ হল অভি। এরপর রোজ সকাল-বিকেল সে বাগানে হাঁটতে লাগল আর গাছপালাদের ভাল করে নিরীক্ষণ করতে লাগল। অল্প হাওয়ায় কতটা দোলে, জোরে হাওয়া দিলে কী রকম একদিকে বেশি হেলে যায় ইত্যাদি। ওদিকে স্কুলের রিহার্সল একদিনও কামাই করেনি।
রোজ রিহার্সলে গিয়ে অভির সবার ডায়লগ মুখস্ত হয়ে গেছে। এই তো সেদিন প্রিন্স স্কুলে আসেনি, অমনি অভি দিব্যি প্রক্সি দিয়ে দিল। শুধু যতবার উচ্চারনে ‘শ’ কে ‘স’ বলতে লাগল, ততবার সবাই হাসিতে ফেটে পড়ল। আরেকদিন খরগোশের পার্ট করছে যে, তার পেট খারাপ। ঠিক স্টেজে ওঠার সময় তাকে বাথরুমে দৌড়তে হল। যথারীতি আবার অভিকেই খরগোশের পার্ট করতে হল। নিচের ঠোঁটকে উপরের দুটো সামনের দাঁত দিয়ে এমন ভাবে কামড়ে ধরল যেন মনে হল সত্যি একটা খরগোশের মুখ। কিন্তু ঐভাবে ডায়লগ বলা যায় নাকি! তাই কী বলছে, বোঝাই যায় না। শেষে যে টিচার নাটকটা পরিচালনা করছিলেন, তিনি বললেন– “এই ওরকম পাকামো করে কথা বলতে হবে না। তুমি সোজাভাবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ডায়লগ বলতে পারলে বল, নইলে পাশে প্রমটার আপাতত বলে দিক”। অগত্যা বাস্তবানুগ অভিনয় আর হল না।
বাড়িতে আয়নার সামনে অভি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সবার অভিনয় প্র্যাক্টিস করে। এমনকি একটা গামছাকে স্কার্টের মতো পরে, স্নো হোয়াইটের রোলটাও করে দেখায়। এই সব করতে গিয়ে পড়ায় অমনোযোগিতার জন্য হাফ ইয়ার্লি পরীক্ষাটা ভাল হল না। তাতে অবিশ্যি তার নিজের বিশেষ খেদ নেই আর মা-বাবাও কিছু বলেনি।
নাটকের এক সপ্তাহ আগে স্কুল থেকে বলে দেওয়া হল, যারা মেন পার্ট করছে, তাদের ড্রেস ডেকরেটরের থেকে ভাড়া করা হবে। তবে যারা গাছ সাজছে, তাদের একটা সবুজ জামা আর খয়েরি রঙের প্যান্ট পরে আসলেই চলবে। সেই শুনে বলাই ছেলের জন্য নতুন জামা, প্যান্ট কিনে আনল তক্ষুনি। একদিন ড্রেস রিহার্সালও হল। অন্য যারা গাছ সেজেছিল, তারা কেউ নতুন জামা কিনে আনেনি। যার কাছে যেমন সবুজ ঘেঁষা জামা ছিল বা কালো প্যান্ট বা খয়েরী পাজামা ছিল, তাই দিয়েই মোটামুটি কাজ চালাল। অভিরূপের অভিনয়ের প্রতি আন্তরিকতার আলাদা করে কেউ তারিফ করল না। সবাই যে স্নো হোয়াইট্ আর প্রিন্সকে নিয়েই ব্যস্ত।
অবশেষে এল সেই অ্যানুয়াল ফাংশনের দিন। দর্শক আসনের জন্য স্কুল থেকে দুটো করে পাস দিয়েছে প্রতি স্টুডেন্টকে। তার বেশি লাগলে কিনতে হবে। বলাই, চৈতি আরো গোটা পাঁচেক কিনল। অভিরূপের প্রথম অভিনয়।
অবশেষে এল সেই অ্যানুয়াল ফাংশনের দিন। দর্শক আসনের জন্য স্কুল থেকে দুটো করে পাস দিয়েছে প্রতি স্টুডেন্টকে। তার বেশি লাগলে কিনতে হবে। বলাই, চৈতি আরো গোটা পাঁচেক কিনল। অভিরূপের প্রথম অভিনয়। অন্তত অভির কাকু, কাকিমা, মাসি, মেসো ও তাদের মেয়ে তিতিরকে একটা করে দিতেই হবে। না হয় গাছই সেজেছে, কিন্তু স্টেজে অনেকক্ষণের উপস্থিতি। এমনকি প্রিন্স ও অন্যান্য সব কুশীলবের থেকে বেশি স্টেজ-টাইম। নাটকের অধিকাংশটাই তো জঙ্গলে। তাই বাকিরা আসছে যাচ্ছে, কিন্তু স্নো হোয়াইট্ আর গাছগুলোতো ওখানেই থাকছে।
যারা গাছ সেজেছিল তাদের স্কুল থেকে বলে দিয়েছিল সবাই যেন একটা ডাল ভেঙে নিয়ে আসে। দু হাতে ডাল ধরে, এক জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে কোমোর থেকে দুলতে হবে আসতে আসতে। বলাই ছেলের জন্য সুন্দর গোলাপের কয়েকটা ডালপালা আনল। তাতে তিন চারটে গোলাপ ফুলও ছিল। অন্যান্য গাছেদের চেয়ে অভিরূপের দিকেই সবাইয়ের চোখ যাবে নিশ্চিত।
ফাংশন শুরু হল। প্রথমে সরস্বতী-বন্দনা। চৈতি-বলাই অধীর আগ্রহে বসে আছে নাটকের জন্য। তারপর শুরু হল স্কুল-সভাপতি, হেডমাস্টারমশাই ও আরো দু-একজন মান্যগন্য ব্যক্তিদের সাদর সম্ভাষণ ও ছোটো বক্তৃতা। একটা টেবিলের উপর সাদা কাপড় বেছানো। তার অন্যদিকে মান্যিগন্যি ব্যক্তিরা বসে আছে। এক এক জন ছাত্রী এসে এক একজন ব্যক্তিকে মালা পরিয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ চৈতি বলাইকে ফিস্ফিস্ করে বলল– “এই শুনছো, সভাপতির সামনে টেবিলে রাখা ঐ ফুলদানীতে ফুলগুলো কেমন চেনা-চেনা লাগছে না”?
তিতির অধৈর্য্য হয়ে উঠছিল– “দাদাভাইকে কখন স্টেজে দেখা যাবে। বলাই হেসে উত্তর দিয়েছিল– ওরে ফাংশনের মেন অ্যাট্রাকশন তো শেষেই থাকবে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ধৈর্য্য ধর, ধৈর্য্য ধর…”
অবশেষে নাটক শুরুর ঘোষণা হল। স্টেজ অন্ধকার হয়ে গেল।
বলাই নাকের উপর ঝুলে পড়া চশমাটাকে পিছনে ঠেলে দিয়ে ভাল করে দেখে বলল– “ওমা, তাইতো… এগুলোতো অভিকে কিনে দেওয়া গোলাপ-ফুলের তোড়া থেকে নেওয়া মনে হচ্ছে… হতভাগা গুলো নতুন ফুল না কিনে, ঐগুলো দিয়েই টেবিলে ফুলদানী সাজাল। এবার অভির হাতে ফুলগুলোর কি আর অত সতেজ ভাব থাকবে। যাক্গে, কী আর করা যাবে”।
এরপর একে একে শুরু হল নাচ, গান, আবৃত্তির অনুষ্ঠান। নাটক সব শেষে। বলাই-চৈতি ও পরিবারের বাকিরা অপেক্ষা করতে লাগল। তিতির অধৈর্য্য হয়ে উঠছিল– “দাদাভাইকে কখন স্টেজে দেখা যাবে। বলাই হেসে উত্তর দিয়েছিল– ওরে ফাংশনের মেন অ্যাট্রাকশন তো শেষেই থাকবে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ধৈর্য্য ধর, ধৈর্য্য ধর…”
অবশেষে নাটক শুরুর ঘোষণা হল। স্টেজ অন্ধকার হয়ে গেল। বলাইরা সবাই নড়েচড়ে বসল। নাটক শুরু হল। প্রথম দু-অঙ্কে অভিরূপের সিন্ নেই। তারপরে প্রায় পুরোটাতেই সে আছে। স্নো হোয়াইট্ এবার জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে। স্টেজের আলো কম করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে গাছপালার হাওয়াতে সরসর করে দোলার আওয়াজ শুরু হয়েছে। কিন্তু গাছ কোথায়? অভি কোথায়। সবাই ইতিউতি খুঁজছে। তিতির তো বলেই ফেলল– “দাদাভাই কোথায়?”
দেখা গেল স্টেজের পেছনে একটা সাদা পর্দা। তার পেছনে সিলুয়েটে কয়েকটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে বোঝা যাচ্ছে। তাদের হাতে ধরা কিছু ডালপালা। তারা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে দুলে যাচ্ছে। তাদের পেছন থেকে লাইট ফেলা হয়েছে, ফলে তাদের সামনে যে সাদা পর্দা তাতে মসীবর্ণ ছায়া-পরিলেখ তৈরি হয়েছে। বেশ জঙ্গলের গাছপালা বলে সত্যি মনে হচ্ছে। কিন্তু কোনটা অভিরূপ আর কোনটা অন্য কেউ তা আর বোঝার উপায় নেই। না বোঝা যাচ্ছে সবুজ জামা আর খয়েরী প্যান্ট। হাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আর যাই থাকুক গোলাপ ফুল বা ডাল কোনওটাই নেই।
সেখানে একটা মরা মানুষের সামান্য পার্ট করেছিল এক ব্যক্তি। পরবর্তী কালে তিনি বিশ্ব বরেণ্য নায়ক হয়েছিলেন– এমনকি অস্কারও জিতেছিলেন। তাঁর নাম– কেভিন কস্টনার।
মন ভেঙে যায় বলাই-চৈতির। শেষে এই! নাটকের সমাপ্তিতে হাত তালিও দিতে পারে না ঠিক করে। আত্মীয়-পরিজনের কাছে লজ্জায় মাথা কাটার জোগাড়। তিতিরকেও শান্ত করা যায় না। দাদাভাইকে স্টেজে না দেখে সে যাবে না। একটু পরে অভিরূপও আসে। হাতে একটা প্যাকেটে কেক ধরা। স্কুল থেকে খেতে দিয়েছে। তারও মুখ কাঁচুমাচু। নিজে থেকেই কৈফিয়ত দেওয়ার মতো বলল– “হঠাৎ করেই পরিচালক স্যার বললেন, পর্দার পেছনে গাছ থাকলে, লাইটের সাহায্যে নাকি দেখতে আরো ভাল লাগবে। তাই…”
চৈতি কথা ঘোরাবার চেষ্টা করে। -“চল, চল অনেক রাত হল। এবার বাড়ি যাই সবাই”।
মেসো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে হালকা করার চেষ্টা করে। – “এটা কিন্তু দারুণ একটা স্টার্ট অভি’বাবু। কেন বলো তো? তাহলে শোনো বলি। আপনিও শুনুন বলাইদা… আশি দশকের একটা বিখ্যাত হলিউড সিনেমা – ‘দ্য বিগ্ চিল’। সেখানে একটা মরা মানুষের সামান্য পার্ট করেছিল এক ব্যক্তি। পরবর্তী কালে তিনি বিশ্ব বরেণ্য নায়ক হয়েছিলেন– এমনকি অস্কারও জিতেছিলেন। তাঁর নাম– কেভিন কস্টনার। আরও উদাহরণ আছে। ১৯৮৮ এর মুভি– ‘কামিং টু আমেরিকা’তে সেলুনে এক কালো অভিনেতাকে শুধু বসে থাকতে দেখা যায়। কোনও ডায়লগ নেই। ইনিও পরে অস্কার পান। নাম– কিউবা গুড উইং জুনিয়র। সুতরাং ভেঙে পড়ো না। এই তো সবে শুরু। চালিয়ে যাও। তোমার হবে”।
অভিরূপের চোখে ঝিলিক খেলে যায়। নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। নতুন আশার আলো দেখা যায়।
‘কুহকী’ তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে লেখক এর আগে প্রকাশ করেছেন 'একলব্য অতঃপর ও অন্যান্য গল্প' বইটি যা পাঠকমহলে যথেষ্ঠ প্রশংসা লাভ করেছে । এছাড়াও দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে অভিযান পাবলিশারের 'থ্রীলার অভিযান' সংখাতেও কুহকীর লেখা স্থান পেয়েছে । নবকল্লোল, আনন্দমেলা ও অন্যান্য পত্রিকাতেও গল্প লিখছেন। কুহকীর জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। আইআইটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পেশা হলেও দেশবিদেশের সিনেমার বিশেষ অনুরাগী। নেশা, সাহিত্যচর্চা ও ছবি আঁকা।
One Response
খুব ই মনোগ্রাহী গল্প।