জাদু
একটা কি চাঁদ উঠেছে না বৃষ্টিতে ভিজেছে অর্জুন গাছ
সেই অর্জুন গাছে বসেছে পায়রা
লাল পা, সাদা পা, নীল ঘুম?
ও জাদুবাজ তামাড়িয়া, সিল্ক গরদ আর টায়রা
একটা কি সূর্য্য উঠেছে না আগুনের ব্লুম?
(Little Magazine)
তুমি সেই
কী ঠাণ্ডা ঘরের মেঝে, কী সুন্দর পরিষ্কার ছাদ
আনা দু’আনার মালা ফুটিয়ে তুলেছে চারপাশ।
সারাদিন কাজ করো, সারাদিন তুমি ভালো থাকো।
যখন ফুলেল ঢালো, যখন সাবানে হাত ধোও
ঠুংরীগুলি ঠুং ঠাং করো
উড়িয়ে তাড়িয়ে দাও পাখী
টানানো তারের থেকে, জানালার লোহামুঠি থেকে
বেজে ওঠে লাল চুড়ি, জ্বলে ওঠে এক কলা চাঁদ
চুলের গুমটির মধ্যে,
মেহেদী ফুলের মত নখগুলি কাটো ধীরে ধীরে
ধীরে ধীরে কথা বল, মৃদু শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণে গান করো
হাজার তারিফগুলো, তামাম তারিফ ঝরে যায়।
নতুনের কোন দুঃখ নেই
নতুন কোথায় থাকে, নতুনের কোন দুঃখ নেই?
মানুষ যেমন করে কুসুম পাতার ঠোঙা বাঁধে
সে ভাবেই বাঁধো তুমি মেঘ থেকে জল নামানো পাতা?
তুমি সেই পাতা যার আকার ভরেছে চূয়াগন্ধ
সেই অপরূপা মার চুড়ি বাজে আর চোখ হাসে?
কখনও বাসনা হয়—মেয়ে হলে ব্রোচ দেব তাকে
কখনও সুবর্ণগুল দিয়ে খোঁজে মোমের আরক
রাঙা ঠোঁট, মাজা দাঁত, নবনিযুক্ত ডুরে শাড়ী
সম্পূর্ণ পশমে রাখো পা
স্তরে স্তরে নির্জনতা তোমার চিবুক বিন্দু
হাতে ধরে থাকে
নাকি কোন প্রকৃত উন্মাদ
ঋতু ভাঙা কোয়া কুরে খায়
প্রিয় তারপলিন ছেঁড়ে
কামড়ে ধরে বীজের পাহাড়
তার দুঃখ অবেলায়, তার দুঃখ সমস্ত পল্লীতে।
নতুন কোথায় থাকে, নতুনের কোন দুঃখ নেই?
পিছু ডাক
ওই দেখো ময়মনসিং-এর ছেলে চ’লে যাচ্ছে
গরম বালি যেন টেনে নিচ্ছে অষ্টবক্র জল
ওর হেরে যাবার স্টাইল—ওর হারিকেনের মুখ এখন ময়লা
উত্তরে হেলে আলো দিচ্ছে দক্ষিণে।
যে নদীর পরে নদী সাঁতরে যায় সে যে হারেনা এ জীবনে
এ আগুনে পোড়েনা দুধ ফুল
তোমার জন্য এই কথাই আমি লিখছি এখন।
ঘুরিয়ে পড়ো তোমার পায়ের পাতা
আমগাছ জামগাছ টপকে ফিরে আসছে পাথর
ফিরে আসছে নৌকোডুবির নৌকো।
শিলবাটা নারকেলের গন্ধ উঠছে
পাকা লিচুর গড়ানো রসের গন্ধ আটকে আছে বেলকাঁটায়
বেলকাঁটায় আটকে আছে
খোকন একটি বাতাবী ফল
ফিকা রঙের জামা
নেমে যাচ্ছে, মাসকলাইয়ের ক্ষেতে, কেমন একটা ডাক
পোষা বাদাম গাছটা ডাকছে।
এই জন্ম
নতুন দেশলাইয়ের প্রথম কাঠির মত জীবন
একবার বুক সমান আলোয় জাতীয় সঙ্গীতের মত
আমরা চলো যাই—জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে
“Never say die” যেভাবে গেয়েছিল এক ফিরিঙ্গী।
কেন যে ছোট বকুলপুরের গণেশ দেশলাই হারিয়ে ফেলে
আমরা সুখী দেখতে চেয়েছিলাম মাণিকবাবুর কুসুম
আমরা সীমান্তের রেলগাড়ী, বাংলা মৌচাকের ছায়া
খুঁজতে খুঁজতে পেয়েছিলাম ভাঙা নিশ্চিন্দিপুর।
আমরা অনন্ত নক্ষত্রবীথি দেখেছিলাম, হার্টক্রেন
রিল্কে ছড়ানো সুদূর প্রসারী পড়ার ঘর
আমরা একটা ব্রীজ ভাঙার শব্দে শুনেছিলাম
মৃত্যুঃ মামৃতং গময়ঃ, মৃত্যুঃ মামৃতং গময়ঃ
আমরা চিৎকার ক’রে বলেছিলাম, হাউ ইজ দ্যাট
আধুলী প্রমাণ পৃথিবী এবার হেড না টেল?
কি জানি—বন্যরা কি আজো বলে সুন্দর
ধর্মে আছে বানিয়া, কর্মে অবিনশ্বর ডাক্তার?
সামনে জংলা দেশ—ওগো, আমাদের জীপ সারিয়ে দাও
আমাদের আবার স্নান ও মধ্যাহ্নভোজন দাও
নতুন দেশলাইয়ের প্রথম কাঠির মত জীবন।
(বানান অপরিবর্তিত)
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।