কৌরব ২১, জামশেদপুর বিশেষাঙ্ক
বর্তমান সংখ্যার যাবতীয় লেখা, চিঠি ছাড়া, জামশেদপুরের নাগরিকদের। যাঁরা গত নির্বাচনে এখানেই ভোট দিয়েছেন। বিকেলের ট্রেনে আসা শোয়ানো বরফে বাসি মাছ ধূর্ত মেছোর থেকে ৯০০ গ্রাম ১ কিলো ভেবে ১৬/১৭ টাকা দরে কেনেন। কারখানে ভুলতে পারেন না। যতদূর চোখ যায় ব্লাস্ট ফার্নেসের আগুন, চিমনী, গেরুয়া কালো মেশানো নোংরা ধোঁয়া সিংভূমের জংলী আকাশে ছড়িয়ে পড়ে, দিনরাত। চারিদিকে অনেক কারখানার হুঁশিয়ারী। ভোলা যায় না। (Little Magazine)
গন্ধক, কার্বন, কাস্ট আয়রণের ধূলো, ভারী বাতাস। উঁচু শেডের মধ্যে যেখানে কোনদিন আলো ঢোকেনা, বাতাস। শরীরে লোহার প্যাচ পড়ে। ভোলা যায় না।
গত সত্তর পঁচাত্তর বছর ধরে এখানে কতো আমোদগেড়ে দু-চারদিন শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্য করেছেন। এই তিনটি শব্দ প্রায়শঃই একসঙ্গে এধারে উচ্চারিত হয়। কত পত্রপত্রিকা দুটো একটা সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে খতম। আমাদের কাগজও দুটো একটা সংখ্যা হয়ে গেছে। একেবারে চম্পট দেবার আগে একটা সংখ্যা করা গেল, যেখানে জামশেদপুরময় হয়ে থাক কাগজ। তবু খুব দুঃখের সঙ্গে জানি বাংলা ভাষায় কোন কলকারখানার মানুষ কবি-সাহিত্যিক নেই। কারণ, এ এক সোনার পাথরবাটির মতই অসম্ভব কল্পনা। ফলে আমরাও লোহা কার্বনের প্যাচ নিয়ে একদা হয়ে যাবো। লড়াই শব্দটি বহু ব্যবহারে, নোংরা মানুষের থুথু গয়েরে অশ্লীল বিবর্ণ অর্থে পাল্টে গেছে। আরও অনেক কবি-সাহিত্যিক জামশেদপুরে আছেন। অনেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই, বহু সাধ্য-সাধনাতেও কারও কারও লেখা পাওয়া গেলনা।
আমরা কখনও গ্রাহক তৈরী করিনি।
এইই আজকের একচাক্লা জামশেদপুর। সত্য মিথ্যা আদিপাপ। আপনাদের মতামত আমাদের বরাবর তৈরী হতে সাহায্য করেছে। শুভেচ্ছা।
নমস্কার। ১১-৭-৭৮। জামশেদপুর ৯।।
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।