১.
মার্থা ও তোমার সঙ্গম দেখে মনে পড়ল
বহুদিন অভুক্ত আমি
ভাত খাই না আজকাল
মাজাকি ক্লান্তি ভেবে শরীর ছোঁয় না প্রেমিক
পাট-পাতা অভিশাপ বুকে ক্ষরণ হয়ে যায়
স্বেদ, স্বেদবারি, ব্ল্যাকহোল
প্রেতের শহর (Poetry)
২.
আত্মহত্যা বলতে কী জেনেছ তুমি?
ভালোবাসার বিনিময়ে দড়ি ও মোম
তাকিয়ে আছি ঠায়
তোমার গালের কাটা দাগে জিভ বোলাচ্ছি
চেরনোবিলের লোভে
সাপিনী নই, সামান্য ডাইমেনশন যোগে
প্রফেট আমি, যুদ্ধ-পরবর্তী ইভ
৩.
এতদূর হেঁটে এসে বুঝেছি—বেঁচে যাওয়া
এক গেলাস বিলাসিতা
পিঠের অপরস্রোতে নাবিকের ভুল
নিজেকে না-চেনার অজুহাতে বাড়ি ছেড়েছি ও’বেলা
খসে যাওয়া উল্কির মতো
এখন এ মুক্তি আমাকে দেবে হলুদ রেনকোট
অজানা জ্বর, ভার্টিকাল কুঠুরি
৪.
জন্ম নিচ্ছি সন্তানের জঠরে—গুঁড়ো-গুঁড়ো হয়ে
মিলিয়ে যাচ্ছে পাথরকুচি গাছ
গুহায় হারিয়ে যাওয়া গতজন্মের
কুকুরীর করোটি ও সোফা
এসব ফিরবে না জেনেও
আমার কবিতাতেই রাখাল আসছে বারবার
একটি পোকার কামড়ে খসে গেছে
শীত ও স্তনের ইমেজারি—আমার নীলাভ চোখের স্তন
বাঘ-পালানো গল্প থেকে
কত দূরত্ব তোমার ঠোঁটের?

অলংকরণ- আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আত্রেয়ী চক্রবর্তী
আত্রেয়ী চক্রবর্তী। জন্ম ১৯৯২, হাওড়ায়। কবি, ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ করলেও, মূলত লেখালেখি করেন বাংলা ভাষায়। প্রকাশিত কবিতার বই - আফজলকে লেখা চিঠি