












এ পুজোর (Annakut Puja) পিছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। বৃন্দাবনবাসীরা ৫৬ রকম পদের ভোগ দিয়ে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রের পুজো করতো। কৃষ্ণ একবার বৃন্দাবনবাসীদের ইন্দ্রপূজা করতে নিষেধ করেন। এতে দেবতা ইন্দ্র রেগে গিয়ে বৃন্দাবনের উপরে মুষলধারে বর্ষণ করেন।(Annakut Puja)
বৃন্দাবনবাসীদের ওই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বতকে বৃন্দাবনের উপরে ছাতার মতো ধরেন। ইন্দ্র পরাজিত হন। তার পর থেকে কৃষ্ণের নির্দেশে বৃন্দাবনবাসী কার্তিক মাসে অমাবস্যার পরদিন ‘গিরি গোবর্ধন’-এর পুজো আরম্ভ করে। সেই পুজোই অন্নকূট উৎসব (Annakut Puja)। কলকাতার অনেক মন্দির ও পরিবারে অন্নকূট উৎসব হয়। (Annakut Puja)
ওই দিন বিভিন্ন মন্দিরের পাশাপাশি উত্তর কলকাতার দু’টি মন্দিরেও পালিত হয় অন্নকূট উৎসব। এই পুজোয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ নিবেদন করা হয়। ‘অন্নকূট’ – অন্ন মানে ভাত আর কূট মানে পর্বত। অন্নের পর্বতের ওপর বিরাজ করেন শ্রীকৃষ্ণ।
আরও দেখুন: ফটো স্টোরি: চালচিত্র
বাগবাজারের কড়ুই পরিবারের প্রতিষ্ঠিত নব বৃন্দাবন মন্দিরের অন্নকূট উৎসব। সেখানে তিনশো রকমেরও বেশি ভোগ নিবেদন করা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। বিশেষ এই দিনে মন্দিরে ভিড় করেন অসংখ্য ভক্ত।
রবীন্দ্র সরণিতে রয়েছে রাধা মদনমোহন মন্দির। ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গোকুলচন্দ্র মিত্র। কলকাতায় লবণ ব্যবসা করে শহরের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন গোকুলচন্দ্র। তাঁর অচল বিশ্বাস ছিল মদনমোহনের উপর। বিশ্বাস করতেন, বিষ্ণুপুর থেকে আনা মদনমোহনের বিগ্ৰহই তাঁর ভাগ্য খুলে দিয়েছে।
প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত এই ঠাকুরবাড়িতে রয়েছে একটি চাঁদনি আকৃতির নাটমন্দির। শহরে এই ধরনের নাটমন্দির প্রায় নেই বললেই চলে। নাটমন্দিরে রয়েছে একটি বিরাট হলঘর যেখানে অধিষ্ঠিত মদনমোহন, রাধিকা ও তার দুই সখী।
বৈষ্ণবদের জন্যে খুবই পবিত্র এই ঠাকুরবাড়ি, অন্নকূট উৎসবের সময় মদনমোহন ও রাধিকার অন্নভোগ ছোঁড়া হয় ভক্তদের দিকে। এই সময় ভিড় জমে যায় ঠাকুরবাড়ির সামনে।
এই বছর অন্নকূট উৎসব ২রা নভেম্বর পালিত হবে।
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।
One Response
Excellent rendition. Thanks for the historical background and the detailed information