(Tintin) কমিকস বাঙালি পাঠকের মনের খুবই কাছের। বিগত শতকের ৫০ এর দশক থেকে আন্তর্জাতিক মানের কমিকসের স্বাদ তাঁরা পেতে শুরু করেন বাংলায়। ক্রমে ইন্দ্রজাল কমিকস আসে অরণ্যদেব, ম্যানড্রেক, ফ্ল্যাশ গর্ডন নিয়ে। সংবাদপত্র ও পত্রপত্রিকার পাতায় গোয়েন্দা রিপ, মডেস্টি ব্লেইজরা তাদের রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চার আর রহস্য কাহিনি দেখাতে থাকে। ভারতের ইতিহাস ও পুরানকে নতুন প্রজন্মের সামনে মেলে ধরার জন্য অমর চিত্র কথা আসে। পাশাপাশি থাকে জনচিত্তজয়ী নারায়ন দেবনাথের হাঁদা ভোদা, নন্টে ফন্টে, বাঁটুল বা ময়ূখ চৌধুরির বিভিন্ন রুদ্ধশাস চিত্রকাহিনি। আর সত্তরের দশকে বেলজিয়ামের বিশ্বখ্যাত টিনটিন কমিকস প্রকাশিত হতে শুরু করলে প্রকৃত অর্থেই পাঠক মহলে সুনামি আসে। প্রকৃত অর্থেই টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চারে মানসসঙ্গী হয় বাংলার ৮ থেকে ৮০ পাঠককূল। তারপর নয় নয় করে পাঁচ দশক অতিক্রান্ত টিনটিনের কাহিনির বাংলা অনুবাদের। এই দীর্ঘসময়ে টিনটিনের জনপ্রিয়তা কমে তো নিই বরং এর গ্রাফ উর্ধ্বগামী। আর বছর চারেক বাদে কমিকস জগতে টিনটিনের পদার্পনের শতবর্ষও পালিত হবে। বিশ্বজুড়ে টিনটিন ও তার শ্রষ্টা অ্যার্জেরও পুণর্মূল্যায়ন করা শুরু হয়েছে। সত্যিই কি অ্যার্জেরই প্রতিফলন ঘটেছে টিনটিনের মধ্যে? অ্যার্জের বিরুদ্ধে নাৎসী জমানার প্রতি যে সহানুভূতিশীল হওয়ার অভিযোগ ওঠে তাই বা কতদূর সত্যি? মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন অ্যার্জে? জর্জ প্রসপার রেমি কেমন করে অ্যার্জে হলেন? সত্যিই কি তাঁর শরীরে ছিল বেলজিয়ামের রাজরক্ত? এইসব হাজারো প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এই লেখায়। (Tintin)
আরও পড়ুন: কেন থমকে গেল কমলার হোয়াইট হাউজ অভিযান
আজ প্রথম পর্ব…
ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখটা ১৯২৯ এর ১০ ডিসেম্বর।
বেলজিয়ামের ল্য ভ্যামসিয়েম সেঁকনা (যার অর্থ বিংশ শতাব্দী) সংবাদপত্রের পাঠকরা চমকে উঠলেন। চমকে ওঠার কারণ একটি বিজ্ঞপ্তি। কি আছে তাতে? কাগজে সংবাদপত্রটির শিশুদের জন্য ক্রোড়পত্র ল্য পিতি ভ্যামসায়েমা (যার অর্থ ছোট বিংশ শতাব্দী) জানাচ্ছে তাদের রিপোর্টার টিনটিনকে (Tintin) তারা সোভিয়েত রাশিয়াতে পাঠাচ্ছে। রাশিয়া নিয়ে তখন সত্যি মিথ্যে হাজারো গুজবে পুরো পশ্চিম ইউরোপ সরগরম। ফলে পাঠককূল রাশিয়ার নাম শুনেই যে নড়ে চড়ে বসবে এটাই তো স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: ডিপফেক-মানবসভ্যতার মারিয়ানা ট্রেঞ্চ?
বিজ্ঞপ্তিটা ছিল এইরকম, “আমরা সবসময়ই পাঠকদের খুশি করতে চাই এবং একেবারেই বিদেশের টাটকা খবর জানাতে চাই। আমাদের কাগজের অন্যতম-প্রধান সাংবাদিক টিনটিন খবর জোগাড়ের উদ্দেশ্যে তাই চলেছে সোভিয়েত রাশিয়ায়। প্রত্যেক সপ্তাহেই আমরা তার বিচিত্র অ্যাডভেঞ্চারের খবরাখবর জানতে পারব।”
এই বিজ্ঞপ্তির পরেই দেখা যাচ্ছে টুপি খুলে টিনটিনকে সম্ভাষন জানিয়ে কাগজের মাঝবয়সী সম্পাদক বলছেন, “তোমার যাত্রা নিরাপদ হোক। সাবধানে থেকো। আমাদের সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ রেখো।” টিনটিন(Tintin) তার পোষ্য সারমেয় কুট্টুসকে বলছে, “দেখো কুট্টুস। সবাইকে বিদায় জানাও।” কুট্টুসকে নিয়ে টিনটিন বার্লিনগামী ট্রেনে চড়ে বসল।

এই পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই খটকা লাগছে। ছিল খবরের কাগজের সাদামাটা বিজ্ঞপ্তি, এর মাঝখানে ছবি এল কোথা থেকে। আদতে এক ধারাবাহিক কমিকস স্ট্রিপ শুরুর প্রথম ভাগ এটি। পথ চলা শুরু হল বিশ্ব কমিকস সাহিত্যের দুই চিরকালীন চরিত্র টিনটিন আর তার সঙ্গী সারমেয় কুট্টুসের। শুরু হল “টিনটিন অ পেস সোভিয়েতস বা টিনটিন(Tintin) ইন দ্য ল্যান্ড অফ সোভিয়েতস, পরবর্তীকালে ২০০২ সালের বাংলা অনুবাদে যা হল ‘সোভিয়েত দেশে টিনটিন’।”
এখানে টিনটিন নিয়ে কয়েকটা কথা বলা যাক।
খুদে সাংবাদিক টিনটিন(Tintin) অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। পশ্চিম এশিয়ার মরুভূমি থেকে লোহিত সাগরে, পেরুর পিরামিড থেকে চিনের অভ্যন্তরে, তিব্বতের বরফের মরুভূমি থেকে ইউরোপের অলিতে গলিতে, এমনকি চাঁদেও গিয়েছে সে। ক্ষুরধার বুদ্ধির সাহায্যে সে বারংবার শত্রুপক্ষের শয়তানি ভেস্তে দিয়েছে। এমনকি তার বুদ্ধির কাছে দেশে বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রও নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার ঘূর্ণাবর্ত: এবার কি ইজরায়েল-তুর্কি সংঘাত?
এখন প্রশ্ন উঠছে অ্যার্জে হঠাৎ টিনটিন চরিত্র সৃষ্টি করলেন করলেন কেন। এর উত্তর জানতে হলে একটু পিছিয়ে যেতে হবে।
১৯০৭ সালের বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের উপকণ্ঠে ইরব্রুকে বাড়ি কিনলেন আলেক্সি রেমি আর তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ। ইরব্রুকের ২৫ নম্বর দেলা রু ক্রাঞ্জ ঠিকানায় ওই বছরের ২২ মে সকাল সাড়ে ৭টায় এলিজাবেথের কোলে এল রেমি দম্পতির প্রথম ছেলে জর্জ প্রস্পার রেমি। পরবর্তীকালে রেমি দম্পতির আর একটি পুত্র সন্তান হয়। তার নাম পল।
ছোটবেলা ও কৈশোরে অ্যার্জের পছন্দ ছিল আঁকা আর বয় স্কাউট হয়ে ঘোরা। দুষ্টুমীতে অধৈর্য্য হয়ে ছোট্ট জর্জকে খাতা পেন্সিল দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হত। মূহুর্তে সব দুষ্টুমী গায়েব। ঘরের এক কোণায় বসে জর্জ এঁকে চলেছে একমনে। বস্তুত যেখানে যা পেয়েছে তাতেই স্কেচ করেছে ছোট জর্জ। তা সে দেওয়াল হোক বা কোনও খাতা। আর তা করতে করতে দক্ষ হয়ে উঠেছে রেখচিত্র অঙ্কনে। অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় তিনি নিজে ঘুরতেন স্কাউট হয়ে। স্কাউটিং-এ দক্ষ ছিলেন বলে অ্যার্জের নাম ছিল কাঠবিড়ালী টহলদার, যা আসলে স্কাউট হিসাবে তাঁর কিশোরবেলার ক্ষিপ্রতা আর অনুসন্ধিৎসাকেই মান্যতা দেয়। পরবর্তীকালে এই দুটো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য টিনটিনের(Tintin) চরিত্রায়নে প্রভূত সাহায্য করে।
অগস্ট আন্দোলন কিংবা মধ্যবিত্তের এগিয়ে আসার গল্প
কিন্তু টিনটিনের(Tintin) আবির্ভাব প্রথমেই হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যখন চলছে তখন ছোট্ট জর্জ ক্রমশ শৈশব ছেড়ে কৈশোরে পা রাখছে। হাতে আসছে ব্রিটিশ কমিকস ‘দ্য রেইনবো’। ছবির মাধ্যমে গল্প বলার এই শৈলি যে ছোট্ট জর্জকে আকর্ষিত করেছিল তা বলাই বাহুল্য। তবে এটাই টিনটিন হওয়ার প্রেরণা তা বললে বোধহয় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তার চেয়ে বরং জর্জ যখন ল্য ভ্যামসিয়েম সেঁকনাতে গ্রাহক সংস্করণ বিভাগে কাজ করছেন তখন কাগজের বিদেশি সংবাদাতা লিয়ন দ্যুঘায়নার (এঁর জর্জের জীবনে বড় প্রভাব ছিল) মেক্সিকোতে খবর জোগাড় করতে গিয়ে হাতে পেলেন একগাদা মার্কিন কমিকস। সদ্য তারুণ্যে পা রাখা জর্জ যে কমিকসের বড় ভক্ত তা লিয়নের অজানা ছিল না। তা হাতে আসা কমিকসগুলো পাঠালেন জর্জের কাছে। ওই সব কমিকসে চরিত্রগুলোর কথোপকথন বাবল দিয়ে দেখানো, চরিত্রের বিভিন্ন মুড বোঝাতে জিজ্ঞাসার চিহ্ন, বিষ্ময়বোধক চিহ্ন জর্জকে প্রভাবিত করল।

আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখযোগ্য। ছোটবেলা থেকে ‘চলমান কাহিনি’ জর্জকে টানত। মা এলিজবেথের ন্যাওটা ছিল ছোট্ট জর্জ। এতটাই যে জর্জ কিন্ডারগার্টেনে যায়নি, গিয়েছিল সোজা স্কুল। এলিজাবেথের আবার সিনেমার নেশা। তাই মায়ের হাত ধরে প্রতি সপ্তাহে সিনেমা দেখতে যাওয়া বাঁধা ছিল ছোট্ট জর্জের। তাই জর্জের ছোটবেলা এক অর্থে তৎকালীন হলিউড সুপারস্টার চার্লস চ্যাপলিন, ম্যাক্স লিন্ডার, বাস্টার কিটনের কাণ্ডকারখানা দেখতে দেখতে বড় হওয়া, যা পরবর্তীকালে টিনটিনের(Tintin) চরিত্রায়নেও বড় প্রভাব ফেলে। ১৯১৪ সালের মার্কিন কার্টুনিস্ট উইনসর ম্যাকের অ্যানিমেশন ছবি গার্টি দ্য ডাইনোসরও ছোট্ট জর্জের প্রভাব ফেলে।
তবে অবাক হলেও এটা সত্যি যে জর্জের স্কাউট প্রেমই তাঁর অ্যার্জে হওয়ার রাস্তা খুলে দেয়। রেনে ওয়েভারবার্গ ছিলেন একাধারে স্কাউট মাস্টার আর ল্য বয় স্কাউট বেলজে পত্রিকার সম্পাদক। দক্ষ স্কাউট জর্জ যে আঁকাতেও প্রতিভাবান তা বুঝতে রেনের বিশেষ দেরি হয়নি। তিনিই হাতে ধরে শিল্পী দুনিয়ায় নিয়ে যান জর্জকে। নিজের উদ্যোগে ১৯২২ সালে বছর পনোরোর কিশোরের আঁকা ছবি স্কাউট নিউজলেটার সান বনিঁফাঁসে ছাপালেন। শিল্পী অ্যার্জের পথ চলা শুরু হল।
জর্জের ক্যাথলিক হওয়াও তাঁর শিল্পী হওয়ার পথকে সুগম করে তোলে। কিশোর ক্যথলিকদের পত্রিকা ‘ল্য ব্ল্য কি লেভ’ (যার অর্থ হল যে গম বাড়ে) একের পর এক, ছাপা হল তার ছবি। ফলে ১৯২৫ সালে যখন ল্য ভ্যামসিয়েম সেঁকনা পত্রিকায় জর্জ এলেন তখন ছবি নিয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। (Tintin)
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি ও সমকালীন বিশ্ব
এইসময় ১৯২৪ সালে জর্জ তাঁর নাম নিয়ে একটা অভিনব পরীক্ষা চালিয়েছেন। জর্জ রেনি র অদ্যক্ষর জে আর কে উল্টে দিলেন। হয়ে গেল আর জে অর্থ্যাৎ অ্যার্জে। পরবর্তীকালে সব ছবিই অ্যার্জের নামে অঙ্কিত হল। কেন করলেন এটা? ব্যক্তি জর্জ আর শিল্পী অ্যার্জে যে পৃথক স্বত্ত্বা তা বোঝাতে? নাকি ভবিষ্যতের বিতর্কের ঝড় থেকে অ্যার্জে হয়ে টিনটিনকে বাঁচানোই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য?
ল্য ভ্যামসিয়েম সেঁকনাতে স্কাউট ভক্ত জর্জের ঢোকার কারণ সম্ভবত এই পত্রিকা গোষ্ঠীর ল্য বয় স্কাউট বেলজে। অবশ্য শুধু স্কাউট না। তাঁর মাথায় তখন ঘুরছে কোনও চিত্রকাহিনির কথাও। এখান থেকেই জন্ম নিল স্কাউট বয়ের ধাঁচে এক চরিত্র টোটোর। ল্য বয় স্কাউট বেলজেতে প্রকাশিত হতে থাকা এই ধারাবাহক কমিকস কাহিনিতে টোটোর সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ায়, যেখানে অন্যায় দেখে সেখানেই দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করে। অর্থ্যাৎ বছর তিনেক বাদের টিনটিনের(Tintin) বীজ টোটোরই রোপন করেছিল তা বলা যায়।

তৎকালীন নিয়ম অনুসারে তখন বেলজিয়ামে প্রতিটা তরুণের বাধ্যতামূলকভাবে ১৫ মাসের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হত। সেই নিয়ম অনুসারে ১৯২৬ সালে বেলজিয়াম সেনাবাহিনীতে যোগ দেন বছর উনিশের জর্জ। অবশ্য তাতে টোটোর কাহিনিতে ছেদ পড়ল না। ব্যারাক থেকেই দিব্যি আঁকা পাঠাতেন জর্জ।
আরও পড়ুন: ফেসবুকের অক্সিজেন ও কলকাতার জেগে ওঠা
জর্জ রেমি ওরফে অ্যার্জে ১৯২৯ সালে যখন ল্য ভ্যামসিয়েম সেঁকনাতে ফিরে এলেন কাজ করতে, তখন কাগজের সম্পাদক পদে অ্যাবে নরবার্ট ওয়ালেজের, যে নিজে শুধু গোঁড়া ক্যাথলিকই ছিলেন না, কাগজের মাস্টহেডের তলায় বড় বড় করে লিখেও দিয়েছিলেন-যে সেটা ক্যাথলিক সংবাদপত্র। এর উপর আবার তৎকলীন ইতালীয় একনায়ক বেনিতো মুসোলিনীর ভক্ত। নাৎসি সমর্থক হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জেলেও যেতে হয়েছিল। অ্যার্জে নিজেও ক্যাথলিক। তাই কাগজের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে অ্যার্জের বেশি সময় লাগল না। তিনি ঠিক করেন এই কাগজেরই শিশুদের জন্য ল্য পিতি ভ্যামসায়েমা নামে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। ডাকা হল জর্জকে। বলা হল নতুন কোনও হিরোকে নিয়ে নতুন কোনও চিত্রকাহিনি তৈরি করতে। টোটোর কাহিনি আহামরি গোছের না হলেও ওয়ালেজ আস্থা রাখলেন বছর বাইশের তরুণের উপরেই।

কাগজের দফতরে জর্জের বসার জায়গাটা ছিল যাতায়াতের রাস্তার ধারে। তরুণ জর্জ চোখ বড় বড় করে দেখেছেন বিদেশ থেকে রিপোর্টাররা সফর শেষে অফিসে ফিরে এলে সারা অফিস জুড়ে তাদের কী খাতির। খবরের কাগজের জগতে রিপোর্টাররাই আসল হিরো, সব আলো যে আদতে তাদের দিকে তা বুঝতেও বাকি রইল না জর্জের। তাই নতুন যে চিত্রকাহিনি শুরু হল সেই টিনটিন(Tintin) হল রিপোর্টার। সাদা কালো রেখা অঙ্কনে আঁকা বেলজিয়াম সাংবাদিক টিনটিন(Tintin) চেপে বসলেন ট্রেনে। সঙ্গে পোষ্য স্নোয়ি ওরফে কুট্টুস।
তারপর ইতিহাস।
তথ্যসূত্র:
(১) টিনটিন অ্যার্জে অ্যান্ড হিজ ক্রিয়েশন-হ্যারি থম্পসন,
(২) সোভিয়েত দেশে টিনটিন-আনন্দ পাবলিশার্স
(৩) দ্য রিয়েল অ্যার্জে-সিয়ান লি
মূলত শিল্প বাণিজ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতায় ব্যপ্ত বিগত তিন দশক। তবে সুযোগ পেলে ক্যামেরা নিয়ে বেড়িয়ে পড়া বা অন্য ধরনের লেখাতে প্রাণের আরাম খোঁজার চেষ্টাও চলে