(Sanjay Bhattacharya)
পৃথিবী
যাদের সূর্য আসেনি আকাশে, আনেনি দিন
এই সূর্যের দিনগুলি জ্বালে যাদের চিতা—
পৃথিবী, তোমার রক্তে কি নেই তাদের ঋণ—
আঁচলে তাদের বাঁচায়ে হবে না শুচিস্মিতা?
ভুলেছ ফুলের আর ফসলের অশ্রুজল,
মাটিতে জমেছে ধূসর ধূলির পঙ্কিলতা—
পৃথিবী, তোমার যাত্রার পথ অনুজ্জ্বল—
মুছে ফেল স্মৃতি, ইতিহাস, যত ব্যথার কথা।
অন্ধ সূর্য অন্ধকারেই মৃত্যু চায়
এবার তোমার বন্ধন খোলো যা ছিল মনে,
নতুন সূর্য এসেছে সুদূর নীহারিকায়
ডাকে সে তোমারে তার অপরূপ আকর্ষণে।
সেই সূর্যের আকাশ বুঝি বা অনেক নীল,
অনেক আলোর প্রভাত, রাত্রি অনেক কালো—
পৃথিবী, তোমার দেহে যৌবন বিসর্পিল—
ভুলেছ যাদের তাদেরি কেবল বাসিবে ভালো।।

(Sanjay Bhattacharya)
পুনশ্চ
তোমার ছায়ায়
পুরোনো অনেক রোদ পাখির মতন উড়ে যায়,
পুরোনো অনেক মেঘ নিয়ে আসে অগাধ আকাশ
হয়তো দাঁড়ায় এসে কাছে ঘেঁষে নীল-নীল বন।
আবার আমার মন
খানিক আলস্য চায়, মনের খানিক অবকাশ।
এ-আকাশ ভেঙে গেছে কত
কত রোদ মুছে গেছে-উড়ে গেছে মেঘ,
হৃদয়ের ক্ষত
মুঠোমুঠো অন্ধকার ফেলে গেছে জীবনের আলোর উপর—
মুঠোমুঠো মৃত্যু ঢেলে গেছে।
ধূসর স্মৃতির ছায়া হৃদয়েরে ধূসর করেছে;
ছায়া-ছায়া সময় তখন,
হৃদয়ের নীড় ছেড়ে রোদের পাখিরা যাযাবর,
ছায়া-ছায়া আকাশের রঙ,
ছায়া-ছায়া মন।
ছায়া ছিল, শুধু ছায়া, জানিনি তোমার ছায়া আছে
পুরোনো ছায়ার কাছে
যে ছায়া তারার মতো আলো।
সে-আলোয় ছায়ারা হারালো,
হারালো হৃদয়
আবার নূতন করে দিতে সে পুরোনো পরিচয়।
আবার জীবন এল, ছিল তার আরেক আকাশ
সেখানে পাখিরা আসে রোদের মতন,
চোখে ঝিলমিল করে নীল-নীল বন
পাখা মেলে দিতে চায় মনের পুরোনো ইতিহাস॥
(Sanjay Bhattacharya)

সবুজ মেয়ে
সবুজ মেয়েরা আসে বারেবারে এখনো আষাঢ়ে
সবুজ মেয়েরা দলে-দলে।
সবুজ ফুলের রঙ গালে
কচি চুল সবুজের ছায়া
সবুজ মেয়েরা আসে আলিসায়,
জানালায়, আরো যে কোথায়!
কোথায়- কোথায় আসে?
জুঁইফুলে?
কাঁচা রোদে?
মাঠভরা ঘাসে?
একটি সবুজ মেয়ে ভেঙে গেছে কাচের মতন
হয়তো কখন!
সবুজ আলোর কাচ মিশে গেছে আষাঢ়ের রোদে—
তারপর সেই আলো এখন অনেক—
অনেক সবুজ মুখ জানালায়, আলিসায়, মাঠে,
আকাশে তাকায় একা, একা-একা হাঁটে॥

জন্মদিনে
সূর্যের সোনার নীড়
আলোর পাখিরা ফিরে যায়।
রাত্রি আসে।
রাত্রি এসে আমারে শুধায়:
“কী দিয়েছ পৃথিবীরে?”
কী দিয়েছি! দিইনি কিছুই।
বরং নিয়েছি তুমি যা রেখেছ পাশে—
সন্ধ্যার রজনীগন্ধা, ভূঁইচাপা, জুঁই।
নক্ষত্রের আগুনের নীলে
তেমনি জিজ্ঞাসা:
“আকাশে কি দিলে?”
দিইনি। গিয়েছি ভুলে
হৃদয়ের ছিল কোনো ভাষা—
মালা-গাঁথা হবে কোন্ ফুলে!
বানান অপরিবর্তিত
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।