Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

অজন্তা ইলোরা

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

Ajanta Ellora
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close
Ajanta Ellora

দশমীর দিন সকালে সপরিবারে মুম্বাইগামী দুরন্ত এক্সপ্রেসে চেপে আমাদের যাত্রা শুরু হল ভুসওয়ালের উদ্দেশে। পরদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ভুসওয়াল পৌঁছলাম। গাড়ির ব্যাপারে আগেই কথা হয়েছিল। ড্রাইভার ষ্টেশনের বাইরেই অপেক্ষা করছিল। গ্রামের মধ্য দিয়ে খারাপ রাস্তা ধরে চলা। আকাশে তখন আলো ফুটছে, ঘড়ির কাঁটা বলছে সকাল ৬টা।অজন্তা টি – জংশনে মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের রিসর্টে পৌঁছলাম। অসাধারণ পরিবেশ, এখানে বসেই দুদিন কাটিয়ে দেওয়া যায়। রিসর্টের পিছনদিকে জল জমে একটা সুন্দর লেক তৈরি হয়েছে, সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর, স্নান প্রাতরাশের পালা চুকিয়ে বাসে চেপে চললাম বহুশ্রুত অজন্তার দিকে। আপনি যে ভাবেই আসুন না কেন, শেষ ২ কিমি এই বাসে চড়তেই হবে। অন্য কোনও যানবাহন এই অঞ্চলে যেতে দেওয়া হয় না।

Ajanta Ellora
মন্ত্রণাকক্ষে রাজা, গুহাচিত্র, অজন্তা

টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকে প্রথমেই গাইড নেবেন না, প্রত্যেক গুহার সামনে যারা গার্ড আছেন তারাই আপনাকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে সেই গুহার বিষয়ে বলে দেবেন। কালের নির্মম কশাঘাতে অধিকাংশ ছবিই ধ্বংসের পথে, পাথরের ফাঁক দিয়ে চুঁইয়ে আসা জল, এই সম্পদকে কীভাবে নষ্ট করছে, তা অনুভব করবেন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, নাম লিখে বহু ছবি নষ্ট করা হয়েছে। রঙের ঔজ্জ্বল্য চলে গেছে, গোটা একটা ছবি পাওয়া কঠিন। তবু ভাবতে অবাক লাগে কী অপরিসীম দক্ষতায় সেই যুগে পাহাড় কেটে এই কর্মযজ্ঞ সম্ভব হয়েছিল! ছবিগুলিকে বাঁচাতে ভিতরে টিমটিমে আলো। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
রাণী সখীদের সঙ্গে, গুহাচিত্র, অজন্তা

অনেকেরই ধারণা অজন্তা মানেই শুধু গুহাচিত্র, আমারও অনেকটা সেই রকমই ধারণা ছিল। কিন্তু এত অসাধারণ কিছু পাথর কুঁদে তৈরি মূর্তি রয়েছে, যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। রয়েছে উপাসনা গৃহ, এর ছাদের গঠন অদ্ভুত, অনেকটা মানুষের পাঁজরের মত। হীনযান বৌদ্ধরা বুদ্ধমূর্তিতে বিশ্বাসী নন, তারা স্তুপে উপাসনা করেন। আর মহাযান বৌদ্ধরা বুদ্ধমূর্তির উপাসনায় বিশাসী। এই উপাসনা গৃহে দুটোরই উপস্থিতি রয়েছে। সবচেয়ে অদ্ভুত ধ্যান গৃহের শব্দ প্রেক্ষণ পদ্ধতি। অতি সামান্য শব্দও কী অদ্ভুত অনুরণন তোলে। কল্পনা করতে চেষ্টা করলাম, যখন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মন্ত্রোচ্চারণ করতেন, তখন কী অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হত। শেষ গুহায় রয়েছে বুদ্ধের শেষ শয়ান। বিরাট সেই শায়িত বুদ্ধমূর্তির নীচে বিলাপরত ভক্তরা আর উপরের সারিতে দেবলোকে আনন্দ, এক মহাপুরুষ তাদের মধ্যে আসছেন বলে। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
অবলোকিতেশ্বর, গুহাচিত্র, অজন্তা

কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। খেয়াল হল ঘড়ির কাঁটা ৪টে ছুঁই ছুঁই। প্রায় ৬ ঘন্টা কেটে গেছে, অথচ লাঞ্চ হয়নি। টের পেলাম, পা জোড়া বিদ্রোহ করার পথে। কাজেই ফিরতি পথ ধরলাম। গেটের মুখে মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের রেস্তোরাঁয় বিকেলে লাঞ্চ সেরে আবার বাসে চেপে হোটেল, ঘরে একটু বিশ্রাম। অবশ্য বিশ্রাম নেব তার উপায় কী! আকাশ লাল করে পাহাড়ের পিছনে সূর্যদেব তার সেদিনের মত ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে বিদায় নিচ্ছেন। সেদিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। পাখির ডাক আস্তে আস্তে বদলে গেল ঝিঁঝিঁর ডাকে, আমিও চললাম ঘরের আশ্রয়ে, কাল ইলোরার পথে যাত্রা। গাড়ি আসবে সকাল ৮টায়। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
প্রসাধনে ব্যস্ত রাণী, গুহাচিত্র, অজন্তা

বন্ধ ঘরের ফাঁকফোকর গলে কীভাবে যেন পাখির ডাক জানিয়ে দিল ভোর হয়েছে। বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। সামনে অনুচ্চ পাহাড়শ্রেণী, যেখানে অজন্তার গুহাচিত্র। ভোরের আলো পড়ছে পাহাড়ের মাথায়। অন্যান্য পাখির ডাক ছাপিয়ে মাঝে মাঝে ভেসে আসছে তীব্র ময়ূরের ডাক। ভোরের দিকে নাকি পিছনের লেকের কাছেটাতে ওরা আসে, তাই একবার ক্যামেরা বাগিয়ে গেলাম। কিন্তু ময়ূরের দেখা মিলল না, ডাক শুনেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। ইতিমধ্যে ড্রাইভার জানান দিল, সে পৌঁছে গেছে। সুতরাং পেটে কিছু দানাপানি দিয়ে ছুটলাম ইলোরার পথে। (Ajanta Ellora)


আরও পড়ুন: জঙ্গল পাহাড়ের গল্প


বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ পৌঁছলাম ইলোরা। হোটেল কৈলাসে ঘর বুক করা ছিল। পৌঁছেই নাকে মুখে গুঁজে চললাম গুহার দিকে। হোটেল থেকে মেরেকেটে ১৫০ মিটার। আগেই শুনেছিলাম, এখানে অজন্তার মত গুহার মুখে গাইড নেই, তাই টিকিট কাটার সময়েই ১৬০০ টাকার বিনিময়ে গাইড নিয়ে নিলাম। প্রবীণ মানুষটি পরবর্তী ঘন্টা তিনেক ভারী সুন্দর করে আমাদের গুহাগুলির বিবরণ দিয়েছেন। (Ajanta Ellora)

কী অপরিসীম কারিগরি জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে এরকম শিল্পকর্ম বানানো যায়, তা অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মূল মন্দিরের গঠনশৈলী বিস্ময়কর। হাতি, সিংহ এবং এক অজানা প্রাণী যেন মন্দিরের ভার বহন করছে। বিশ্বাস হতে চায় না, একটি মাত্র পাহাড় কেটে এই বিস্ময়কর সৃষ্টি।

ইলোরার প্রধান বৈশিষ্ট্য, গোটা পাহাড় কেটে একটি স্থাপত্য, মন্দির। কোনো পাথর এনে বসানো নয়। আরও একটি বিষয়, এর পুরো নির্মাণ পাহাড়ের উপর থেকে কাটতে কাটতে নীচে নামা হয়েছে। গাইড বলছিলেন, পাহাড়ের সামনের অংশ চেঁছে ফেলে দেওয়া হয়েছে ভাল পাথর পাওয়ার জন্য, যা দিয়ে সামনের অংশ ভরাট করা হয়েছে। প্রথমেই ১৬ নম্বর গুহা, যা কৈলাস গুহা নামে খ্যাত। হতবাক করে দেওয়া কারিগরি জ্ঞান, শিল্পবোধ। মূল মন্দিরে দুপাশে শিব ও বিষ্ণুর বিভিন্ন রূপ পাথরের বুকে শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। অবাক করবে ৭০ মিটার লম্বা ক্যান্টিলিভার বারান্দা। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
ইলোরা কৈলাস গুহা

কী অপরিসীম কারিগরি জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে এরকম শিল্পকর্ম বানানো যায়, তা অনুভব করার চেষ্টা করলাম। মূল মন্দিরের গঠনশৈলী বিস্ময়কর। হাতি, সিংহ এবং এক অজানা প্রাণী যেন মন্দিরের ভার বহন করছে। বিশ্বাস হতে চায় না যে, একটি মাত্র পাহাড় কেটে এই বিস্ময়কর সৃষ্টি। গাইড জানালেন যেহেতু আলাদা পাথর দিয়ে কোনো বিগ্রহ তৈরি হয়নি, তাই এই মন্দিরে কোনো পূজা হয় না। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
অধ্যয়ন গুহা, ইলোরা

এরপর ১৪, ১২, ১০, ৯ নম্বর গুহা দেখে বাসে চেপে চললাম জৈন গুহার দিকে। এর মধ্যে ১০ নম্বর গুহাটি চৈত্য অর্থাৎ সেখানে উপাসনা হত। আসলে ইলোরাতে ১৭টি হিন্দু দেবদেবীর গুহা, ১২টি বৌদ্ধ গুহা ও ৫টি জৈন গুহা। ১ থেকে ১২ বৌদ্ধ গুহা, ১৩ থেকে ২৯ হিন্দু গুহা এবং ৩০ থেকে ৩৪ নম্বর জৈন গুহা। জৈন গুহাগুলি কেন প্রায় ২ কিমি দূরে, সেই প্রশ্নের উত্তরে গাইড জানালেন, উপযুক্ত মানের পাথরের অভাবেই এত দূরে যেতে হয়েছিল। উনি দেখালেন, কিছু গুহার কাজ শুরু করার পর পাথরের মান ঠিক না হওয়ায়, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপূর্ব কারুকার্য এদের, বিশেষত ৩১ নম্বর যা মিনি কৈলাস নামে খ্যাত। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
পঞ্জরাস্থির মত উপাসনা গুহা, ইলোরা

গাইডের সঙ্গে ৩ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছে, তাকে তার দক্ষিণা দিয়ে বিদায় জানিয়ে এবার নিজেদের মত ঘুরে বেড়ালাম। উনি শুধু উল্লেখযোগ্য গুহাগুলি দেখিয়েছিলেন, আমরা চললাম বাকিগুলো দেখতে। এবার নিজের মত করে ভাবনার পালা। দেখলাম বৌদ্ধভিক্ষুদের থাকার কক্ষ, খাওয়ার কক্ষ, পাঠদানের কক্ষ। ১৬, ১০ ও ৩০ নম্বর গুহাগুলো বেশি সময় নিয়ে দেখলাম। এলোমেলো ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ৫.৩০ বেজে গেল, এবার ফেরার পালা। পরপর দুদিনের ধকল সামলাতে পায়ের হাল খারাপ। পরদিন দৌলতাবাদ দুর্গ দেখে ঔরঙ্গাবাদ যাওয়ার পালা। ঠিক করলাম বেলা ১০টার আগে রওনা দেবো না। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
জৈন গুহা, ইলোরা

গত দুদিনের হাড়ভাঙা ভ্রমণসূচী, সাথে দীর্ঘদিনের লালিত অজন্তা-ইলোরা দেখার ইচ্ছাপূরণ, আরামদায়ক ঘর ও বিছানা, সব মিলিয়ে নিঃসাড়ে ঘুম দিয়ে সকালে যখন উঠলাম, শরীর আবার দৌড়ের জন্য প্রস্তুত। কটেজ সংলগ্ন বারান্দায় বসে ইলোরার গুহাগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। বারান্দা থেকে অনেকগুলো গুহা ভালোভাবেই দেখা যায়। আসলে পরিকল্পনা ছিল যদি আগেরদিন পুরোটা দেখা না যায়, তবে আজ আবার যাব। গুহা খুলে যায় সকাল ৬টায়, কিন্তু আজ বসে থাকতেই বেশি ভালো লাগছে। এর সাথে যোগ হল একপাল বাঁদরের বেজায় বাঁদরামি। বেশ মজাই লাগছিল তাদের কাণ্ড কারখানা দেখে। (Ajanta Ellora)

যদি তাজমহল না দেখে থাকেন, তবে এটি আপনাকে মুগ্ধ করবে। নইলে আর পাঁচটা সাধারণ সৌধের মত না হলেও, অবাক করার মত কিছু না। ঔরঙ্গজেবের পুত্র আজম শাহ তার মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই সৌধটি নির্মাণ করান। তাজমহলের অনুকরণ, তবে পুরোটা মার্বেল নয়, প্লাস্টার অফ প্যারিস এর আস্তরণ অনেক জায়গায়।

স্নান, প্রাতঃরাশ সেরে ঠিক দশটায় রওনা হলাম। এবার চললাম ঔরঙ্গজেবের সমাধির দিকে। এই মানুষটির নিজের অনাড়ম্বর জীবন সম্বন্ধে যত শুনেছি, তাতে ওনার সমাধি দেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। অবাক লাগবে প্রবল পরাক্রান্ত এই মুঘল সম্রাটের নিতান্ত সাধারণ সমাধিস্থল দেখে। ওনার পাশে ওনার গুরু এবং পুত্র আজম শাহ’র সমাধি অনেক জমকালো লাগবে। সমাধিস্থলের বাইরে যে দরগা রয়েছে, তা ছবি তোলার পক্ষে বেশ, ফলে সেখানে খানিকটা সময় গেল। আমাদের আজকের প্রধান আকর্ষণ ঔরঙ্গজেবের সমাধি, দৌলতাবাদ দুর্গ ও বিবি কা মকবারা। এবারে চললাম দৌলতাবাদ দুর্গ অভিমুখে। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
চাঁদ মিনার

২০০ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড়ের মাথায় এই দুর্গ। গাইড অবশ্যই নেবেন, নইলে ইতিহাস কথা বলবে না যে। ১১৮৯ সালে প্রথম যাদব রাজা ভিল্লমা এটি স্থাপন করেন। তখন এর নাম ছিল দেবগিরি। পরে ১৩০৮ সালে আলাউদ্দিন খিলজি দখল করেন দুর্ভেদ্য এই দুর্গ। ১৩২৭ সালে মহম্মদ বিন তুঘলক দিল্লি থেকে এখানে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন এবং এর নাম দেন দৌলতাবাদ। পরে জলকষ্ট ও অন্যান্য নানা কারণে আবার দিল্লি ফিরে যান। বিস্মিত করবে এর গঠন।

সাতস্তরের নিরাপত্তা ছিল এই দুর্গে। প্রথমে কাঁটা দেওয়া গেট, যাতে হাতি দিয়ে ভাঙা না যায়। প্রতিটি গেট বাঁকের মুখে, যাতে ভারী কিছু দিয়ে গতি বাড়িয়ে গেট না ভাঙা যায়। এরপর প্রথম দেওয়াল, যার প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তারপর এক সারি কামান। তারপর পরিখা, যেখানে কুমির, সাপ থাকত। এরপর ভুলভুলাইয়ার গোলোকধাঁধা পথ, সেখানে ৭০ ফুট গভীর কূপ, তারপর খাড়া দেওয়াল। সাধে কি এই দুর্গ দুর্ভেদ্য ছিল! (Ajanta Ellora)


আরও পড়ুন: লেপচাজগত চটকপুর


এই পথেই দেখে নিন জলের গভীর কূপ বা বাওড়ি, ভারতমাতা মন্দির যার কারুকার্য মুগ্ধ করবে, আর দূর থেকে যাকে দেখতে পাবেন সেই গেরুয়া রঙের চাঁদ মিনার। ১৪৪৫ সালে আলাউদ্দিন বাহমনি এই দুর্গ জয়ের স্মারক হিসাবে এই বিশাল গম্বুজটি বানিয়েছিলেন। দিল্লির কুতুব মিনারের অনুকরণে তৈরি এই মিনারে হিন্দু ইসলামিক কাজের ধারার মিশ্রণ আছে। ভুলভুলাইয়ার গোলোকধাঁধা পথের পরে ৪৫০টি সিঁড়ি ভেঙে একদম মাথায় দরবার হল, প্রায় ১৫০ মিটার উঁচু। ওঠার ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই সঙ্গে জল নেবেন। (Ajanta Ellora)

Ajanta Ellora
বিবি কা মকবারা

প্রায় ৩.৫ ঘন্টায় দুর্গ দেখার পালা সাঙ্গ করে চললাম বিবি কি মকবারা দেখতে। যদি তাজমহল না দেখে থাকেন, তবে এটি আপনাকে মুগ্ধ করবে। নইলে আর পাঁচটা সাধারণ সৌধের মত না হলেও, অবাক করার মত কিছু না। ঔরঙ্গজেবের পুত্র আজম শাহ তার মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই সৌধটি নির্মাণ করান। তাজমহলের অনুকরণ, তবে পুরোটা মার্বেল নয়, প্লাস্টার অফ প্যারিস এর আস্তরণ অনেক জায়গায়। কাজের গুণগত মান বা শৈল্পিক মানও তাজমহলের ধারে কাছে আসে না। স্টেশনের উল্টোদিকে এক সাধারণ হোটেলে ঔরঙ্গাবাদের বিখ্যাত কাবাব খেয়ে নিদ্রা। (Ajanta Ellora)

সকাল ৬টায় জন শতাব্দী এক্সপ্রেস ধরে দাদার হয়ে মুম্বাই সেন্ট্রাল। এবার ফেরার পালা, অধিক রাতের ফ্লাইট।কলকাতা পৌঁছতে সকাল। আবার চেনা শহর। মাথার মধ্যে অজন্তার গুহাচিত্র, ইলোরার অতিমানবীয় শিল্পকলা, দৌলতাবাদ দুর্গের কৌশল আর ক্যামেরার কার্ড ভর্তি ছবি। এই সমস্ত স্মৃতি যেন কাজের জগতের একঘেয়েমি কাটানোর রসদ, পরের দৌড়ের শক্তি সঞ্চয়। (Ajanta Ellora)

ছবি সৌজন্য: লেখক

 
Author Pradipta Chakraborty

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর।পেশায় শিক্ষক। বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ফোটোগ্রাফির ডিপ্লোমা। ভালোবাসেন বেড়াতে, ছবি তুলতে আর পুরোনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।

Picture of প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর।পেশায় শিক্ষক। বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ফোটোগ্রাফির ডিপ্লোমা। ভালোবাসেন বেড়াতে, ছবি তুলতে আর পুরোনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।
Picture of প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতকোত্তর।পেশায় শিক্ষক। বেলুড় বিদ্যামন্দিরের ফোটোগ্রাফির ডিপ্লোমা। ভালোবাসেন বেড়াতে, ছবি তুলতে আর পুরোনো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

সংস্কৃতি

আহার

অমৃতা ভট্টাচার্য
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়
অমৃতা ভট্টাচার্য

বিহার

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

কলমকারী

কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায়
রূপায়ণ ভট্টাচার্য

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

বিতস্তা ঘোষাল
বিতস্তা ঘোষাল

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com