(Salim Ali)
বিজয়া, কালী-পুজো, ছট, জগদ্ধাত্রী পুজো পেরিয়ে আবার আমাদের বুড়োদের আড্ডা বসেছে। মধ্যমনি সেই ডঃ বড়াল, আর আমরাও আছি। হঠাৎ “ধ্যাত-তেরিগা” বলে, এক রাশ বিরক্তি নিয়ে পত্রনবীশ চায়ের ভাঁড়টা ছুঁড়ে ফেললেন। আসলে হয়েছে কী, গাছ থেকে কাকের বিষ্ঠা টুপ করে ওঁর ভাঁড়েই পড়েছে। (Salim Ali)
“মাথায় পড়লে তাও বলতাম আপনি রাজা হবেন, কিন্তু এ তো ভাঁড়ে মা ভবানী”, টিপ্পনি কাটেন অনীকবাবু।
“ভাঁড়ামিটা বন্ধ করুন তো। বিরক্তিকর। এইসব সোসাইটির ভেতরে গাছগুলোকে মেইনটেন করে না কেউ, পাখিরা এরকম বাসা বেঁধেছে কী করে। সব ভেঙে দেওয়া উচিত”- পত্রনবীশ স্বভাবতই বিরক্ত। (Salim Ali)
“কী বলছেন, পত্রনবিশ বাবু, এই দেওয়ালীতে কত পশু-পাখি শহরছাড়া হল আপনি তা জানেন? আমাদের ইকোসিস্টেমের দফারফা…” অনীকবাবুর কথা শেষ করতে দেন না পত্রনবীশ- “ছাড়ুন তো! বড় এলেন আমাদের গ্রেটা থুনবার্গ, যত্তসব…”
“তাহলে বরং টিনটিন ছেড়ে আব্দুল্লায় থুড়ি আব্দুলে মন দেওয়া যাক, কি বলেন”, ডঃ বড়াল ভনিতা করেন।
“আজ্ঞে?”, প্রশ্নটা আমি সবার হয়েই করি। (Salim Ali)

“মানে আপনার ঐ ‘কালকের ছোঁড়া’ সৃঞ্জয়ের ভাষায়- জাস্ট কিডিং। গ্রেটা থুনবার্গের মিড্ ল নেম- টিনটিন, আবার টিনটিন কমিক্সের একটা অন্যন্য ক্যারেক্টার আব্দুল্লা, আর সেই খেই ধরেই, আমি আলোচনা করতে চাইছি আরেক প্রবাদপ্রতিম আব্দুলকে নিয়ে, –ডঃ সেলিম আব্দুল আলি, -দা বার্ডম্যান অফ্ ইন্ডিয়া”।
“অ্যাঁ, ব্যাটম্যান এন্ড রবিনের সেই…?” পত্রনবীশ পাজ্ল্ড। (Salim Ali)
“তার মানে আবার ইন্টারনেট থেকে কপি করে জ্ঞানের ভান্ডারের বর্ষণ”, পত্রনবীশ স্বগতোক্তি করেন। বিরক্তিতে গজগজ করতে থাকেন।
“উহুঁ, বার্ডম্যান, -বা পক্ষীবিশারদ, ইংরাজিতে যাকে বলে অর্নিথোলোজিস্ট। আর শুধু রবিন পাখিতে সীমিত থাকা কেন! আরও কত পাখি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিশেষ করে, আজ ১২-নভেম্বর তাঁর ১২৯ তম জন্মদিন” -ডঃ বড়াল সূত্র ধরেন। (Salim Ali)
“তার মানে আবার ইন্টারনেট থেকে কপি করে জ্ঞানের ভান্ডারের বর্ষণ”, পত্রনবীশ স্বগতোক্তি করেন। বিরক্তিতে গজগজ করতে থাকেন।
“না মশাই, শুধু আন্তর্জালের তথ্য বিস্তার নয়, বরং আমি বিশেষ কিছু ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বাকিটা আপনারা উইকিপিডিয়া পড়ে নেবেন না হয়। তাহলে আজকের দিনটাকে মর্যাদা দেওয়াও হল আর হয়তো বা আপনার মুডটাও ঠিক হয়ে গেল শেষে” -ডঃ বড়াল কারণ দর্শান। (Salim Ali)
আমি এবং আরও কয়েকজন সঙ্গে সঙ্গে সায় দিয়ে তাল ঠুকি- “বেশ তো, আজ কি শাম, সেলিম আলি কি নাম”। ডঃ বড়াল শুরু করেন- “আপনারা হয়তো ভাবছেন এত বড়, বিখ্যাত পক্ষীবিশারদ, নিশ্চয়ই বিরাট পশুপাখি-প্রেমি তো হবেনই”। (Salim Ali)
“কেন, তাই নয় কি?” আমি সন্দেহ প্রকাশ করি।
“হাতির দুধ!” অনীকবাবু হাততালি দিয়ে ওঠেন, “সোনার কেল্লায় উটের দুধের চা শুনেছিলাম, আর এ তো হাতির দুধ! বলেন কি মশাই”।
“এমনিতে ওঁর সেন্স অফ হিউমার প্রখর ছিল। উনি বলতেন -ওঁর সুরেলা গলার জন্য নাকি পাখিরা ওঁর কাছে আসে। উনি নাকি ভাল গান গাইতে পারেন। মজা কী না জানিনা, তবে অন্য ‘গান’ বা বন্দুকে যে ওঁর পারদর্শিতা ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুনলে অবাক হবেন হয়তো, ওঁকে বলা হত -ইকোলজিস্ট উইথ আ গান। উনি কিন্তু প্রায়ই শিকারে যেতেন। নিয়মিত মাংস খেতেন। এমন কি বাঘের মাংসও নাকি খেয়েছেন। হাতির দুধও।” (Salim Ali)
“হাতির দুধ!” অনীকবাবু হাততালি দিয়ে ওঠেন, “সোনার কেল্লায় উটের দুধের চা শুনেছিলাম, আর এ তো হাতির দুধ! বলেন কি মশাই”।
“আসলে উনি মুগ্ধ ছিলেন প্রকৃতি, গাছপালা, পাখি সব নিয়ে। কিন্তু কোনওরকম গোঁড়ামি বা ছুঁৎমার্গ ছিল না। আজকে যেটা ভারতপুর বার্ড স্যাঙ্কচুয়ারি, যেটার পেছনে ওঁর পুরো মাত্রায় অবদান, সেখানে, ১৯৩৬ সালে উনিই প্রথম সাইবেরিয়ান ক্রেন দেখেন, এবং দেখামাত্র গুলি করে শিকার করেন ও তার মাংস ভক্ষণ করেন”। (Salim Ali)

“সে কি, শুনেছি তো সাইবেরিয়ান ক্রেন নাকি তিন-চার হাজার মাইল উড়ে আসে এবং বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে পড়ে” -আমিও আফশোস করি।
“তাহলেই বুঝুন”- ডঃ বড়াল যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে তৃপ্তিতে চোখ বোজেন। “ইন ফ্যাক্ট, ওঁর পাখির ব্যাপারে ইন্টারেস্ট শুরুই হয় মাত্র দশ বছর বয়েসে একটি চড়াই শিকার করে, যার গলাটা হলুদ রঙের ছিল। সেই নিয়ে ওঁর আত্মজীবনী আছে -‘দা ফল অফ আ স্প্যারো’। যাকগে সে কথা। পত্রনবীশ বাবুর কথা মেনেই বলা যেতে পারে সেসব তো উইকি পড়লেই জানা যেতে পারে- তাঁর পদ্মভূষণ বা পদ্মবিভূষণ প্রাপ্তির কথা, কয়েক গন্ডা ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন, বিভিন্ন বার্ড-সার্ভের কথা বা নিদেনপক্ষে তাঁর লেখা একাধিক বই বা পাখি-বিষয়ক রিসার্চ পেপার ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য অনেক রাস্তা আছে। তাই আমি ওসব ব্যাপারে আর যাব না। বরং আমি নতুন কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই আপনাদের”। (Salim Ali)
আরও পড়ুন: চা-পানের জার্নাল: কুহকী
এবার আমরা সবাই নড়ে-চড়ে বসলাম।
“আপনারা কি জানেন, ডঃ সেলিম আলির মোটরসাইকেলের প্রতি তীব্র আগ্রহ ছিল। প্রায় ধোনিকেও হার মানাবে”, -হেসে ওঠেন বড়াল, তারপর মোবাইলে নিজের নোট্সে চোখ বুলিয়ে আউড়ে চলেন- “ওঁর কালেকশানে ছিল তিনটি মডেলের হার্লে-ডেভিডসন, একটি ৩.৫ এইচপি এনএসইউ, একটি সানবিম, একটি ডগলাস, একটি স্কট, একটি নিউ হাডসন এবং একটি জেনিথ কোম্পানির বাইক”। মোবাইল বন্ধ করে, আমাদের দিকে তাকিয়ে তারপর বললেন-

“ওঁর আক্ষেপ ছিল যে তিনি কখনও বিএমডব্লিউ বাইক রাখেননি। তিনি প্রায়ই ভারত এবং বিদেশে তাঁর মোটরসাইকেলে দুঃসাহসিক ভ্রমণে বের হতেন। বহুবার দুর্ঘটনায় পড়েছেন। ১৯৫০ সালে, সুইডেনের আন্তর্জাতিক পক্ষীতাত্ত্বিক কংগ্রেসে আমন্ত্রিত হয়ে, তিনি তাঁর প্রিয় সানবিম মোটরসাইকেলটি বোম্বে থেকে ইউরোপে পাঠিয়েছিলেন। তাঁকে তার সম্পূর্ণ লোড করা বাইকে আসতে দেখে, উবাচ হয়ে গেছিল যে তিনি ভারত থেকে পুরো পথ বাইক চড়ে এসেছেন”। (Salim Ali)
“বাহ বা, এ যেন চে গুয়েভারার মোটরসাইকেল ডাইরিজ”, পত্রনবীশবাবু এবারে যেন একটু মজা পেয়েছেন।
“সত্যি, দারুণ ডেয়ারিং লোক তো মশাই”, অনীকবাবুও যোগ করেন- “একাধারে প্রকৃতি-প্রেমিক, পক্ষীবিশারদ, শিকারি, আবার অ্যাডভেঞ্চার-লাভারও। এ তো একেবারে সিনেমার হিরো!” (Salim Ali)
ডঃ বড়াল বেগ পান- “অবিশ্যি সেলিম আলির প্রভাব-প্রতিপত্তির চাপে প্রায় আমরা আমাদের ন্যাশানাল বার্ড হিসেবে ময়ূরকে হারাতে যাচ্ছিলাম আর কি”।
“তবেই তো, তিনি কিংবদন্তি। ওঁর জন্মশতবর্ষে ইন্ডিয়ান পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ওঁর নামে দুটি স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়। ২০১২ তে ‘অমর চিত্র কথা’, সেলিম আলির নামে একটি কমিক্স সিরিজও বের করে। আর এ বছর, আগামী ২৯ নভেম্বরে, ‘২.০’ বলে একটি সিনেমাও রিলিজ হতে চলেছে সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০,০০০ হলে যেটা ওঁর জীবনের দ্বারা কিছুটা অনুপ্রাণিত বলে শোনা যাচ্ছে। কিছুটা বললাম এই কারণে যে, এটি একটি কল্প-বিজ্ঞানের গল্প, তাই কল্পনার জায়গা অনেকটাই রয়েছে। সিনেমায় সুপারস্টার রজনীকান্ত আছেন, তবে অক্ষয়কুমারের চরিত্রটা কিছুটা সেলিম আলির আদলে তৈরি। অন্তত দেখতে তো তাই। চরিত্রের নামও ‘পক্ষীরাজন’।” (Salim Ali)
“আরিব্বাস”, আমিও উচ্ছ্বসিত বোধ করি। “তা আরও কিছু ট্রিভিয়া দিন, ডঃ সেলিম আলির ব্যাপারে।”
ডঃ বড়াল বেগ পান- “অবিশ্যি সেলিম আলির প্রভাব-প্রতিপত্তির চাপে প্রায় আমরা আমাদের ন্যাশানাল বার্ড হিসেবে ময়ূরকে হারাতে যাচ্ছিলাম আর কি”।
“কী রকম”?
““সত্যি আমরা কত কম জানি, তাই না”, পত্রনবীশ হঠাৎ বিনয়ের অবতার হয়ে উঠলেন কেন বুঝলাম না। তবে মুডটা যে একটু ভাল হয়েছে, তা বিলক্ষন বোঝা গেল।”
“ডঃ আলি চেয়েছিলেন- ঘোড়ার বলে একটা পাখিকে ‘জাতীয় পাখির’ মর্যাদা দিতে। রাজাস্থান, গুজরাটের দিকে এই পাখিটি চোখে পড়ে। ইংরাজিতে এর নাম- ‘দা গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড’। এটি একটি বড় উড়ন্ত পাখি যা ভারতীয় উপমহাদেশের শুষ্ক তৃণভূমি এবং ঝোপঝাড়পূর্ণ এলাকায় দেখা যায়। এক্ষেত্রে অবিশ্যি তাঁর সুপারিশ মানা হয়নি আর তাই আমাদের ‘জাতীয় পাখি’ ময়ূর”। (Salim Ali)
“ভাগ্যিস”, -পত্রনবীশ বাবু যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন।
“কিন্তু এত একনিষ্টভাবে এরকম আফগানিস্থান, পাকিস্তান, থেকে শুরু করে একেবারে কেরালা অব্দি আবার সিকিম থেকে শুরু করে গুজরাট অব্দি কভার করে, পাখিদের এত ডিটেলে স্টাডি আর কেউ করেনি। কখনও উটের পিঠে, কখনও ফ্লেমিঙ্গোদের মাঝে, কখনও জঙ্গলে হাতির পিঠে, আবার কখনও ছোট্ট ডিঙি নৌকোয় মাঝ দরিয়ায়- যত্রতত্র সর্বত্র তাঁর যাতায়াত ছিল শুধু পাখির খোঁজে। তবে একটা কথা না বললেই নয়। এতসবের মধ্যে তাঁর ইংরাজি লেখা ও ভাষায় একটা সাংঘাতিক দখল ছিল। মানে এতটাই সাবলীল ছিল তাঁর ইংরাজি রচনা যে ‘ইন্ডিয়ান মাস্টার্স অফ ইংলিশ’ নামে একটি সঙ্কলনে তাঁর লেখা জায়গা করে নিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ও সরোজিনী নাইডুর সাথে। ভাবা যায়!’ (Salim Ali)
পত্রনবীশ আবার এক গাল হেসে রিপিট করলেন নিজেকে- “সত্যি, আমরা কত কম জানি”।
“সত্যি আমরা কত কম জানি, তাই না”, পত্রনবীশ হঠাৎ বিনয়ের অবতার হয়ে উঠলেন কেন বুঝলাম না। তবে মুডটা যে একটু ভাল হয়েছে, তা বিলক্ষন বোঝা গেল। (Salim Ali)

“তবে একটা কথা না বললেই নয়। এই মানুষটি কিন্তু বেশ কৃপণ প্রকৃতির ছিলেন। ভদ্রভাষায় অবিশ্যি লোকেরা বলে মিতব্যায়ি। ওঁর অধিকাংশ প্রোজেক্টই বাজেটের চেয়ে কম টাকায় হয়ে যেত। অযথা টাকা খরচ করা ওঁর ভীষণ অপছন্দ ছিল। রেগে গেলে “Silly” বলে গাল-মন্দ করাও খুব কমন ব্যাপার ছিল। অবিশ্যি অল্পতে রাগ পড়েও যেত। আর অপছন্দ ছিল, কেউ যদি ঘুমের ঘোরে নাক ডাকে। একবার ক্যাম্পের এক সদস্যকে পত্রপাঠ বিদায় করে দিয়েছিলেন শুধুমাত্র সে নাক ডাকত বলে”। (Salim Ali)
যেই না বলা, অমনি, নাক ডাকা নয়, বরং একটা অচেনা পাখি, গাছের ফাঁক দিয়ে দারুণ সুন্দর শিষ দিয়ে উঠল। এবার পত্রনবীশবাবুও তারিফ না করে পারলেন না- “চমৎকার! নিশ্চয়ই কোকিল পাখি টাখি…”
আরও পড়ুন: নিবন্ধ: সুকুমার, শ্রডিঞ্জার ও বেড়াল
“উঁহু, আপনার আর বার্ড-ওয়াচার হওয়া হল না। কোকিল গরমকালে আসে। এই শীতের শুরুতে, গলার আওয়াজটা কিছুটা কোকিল বা ইষ্টিকুটুমের মতন হলেও, এরকম শিষ দেওয়া পাখিটি হল- দোয়েল। বাংলাদেশের ন্যাশানাল বার্ড। শীতকালে মাইগ্রেট করে আসে। আপনার ঐ ‘ব্যাটম্যান আর রবিন’ এর- রবিন পাখি। আরও স্পেসিফিক্যালি বললে, ওরিয়েন্টাল ম্যাগপাই-রবিন”। (Salim Ali)
পত্রনবীশ আবার এক গাল হেসে রিপিট করলেন নিজেকে- “সত্যি, আমরা কত কম জানি”।
আমরাও সকলে হেসে উঠলাম।
মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
অলংকরণ- আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়
‘কুহকী’ তাঁর ছদ্মনাম। এই নামে লেখক এর আগে প্রকাশ করেছেন 'একলব্য অতঃপর ও অন্যান্য গল্প' বইটি যা পাঠকমহলে যথেষ্ঠ প্রশংসা লাভ করেছে । এছাড়াও দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে অভিযান পাবলিশারের 'থ্রীলার অভিযান' সংখাতেও কুহকীর লেখা স্থান পেয়েছে । নবকল্লোল, আনন্দমেলা ও অন্যান্য পত্রিকাতেও গল্প লিখছেন। কুহকীর জন্ম ১৯৭৫-এ কলকাতায়। আইআইটি থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পেশা হলেও দেশবিদেশের সিনেমার বিশেষ অনুরাগী। নেশা, সাহিত্যচর্চা ও ছবি আঁকা।
