Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

বুলবুলি (গল্প)

ঈশানী রায়চৌধুরী

নভেম্বর ১১, ২০২০

Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

বুলবুলি ভারী লক্ষ্মী মেয়ে। তার বয়স বছর সাতেক, এমনিতে নিজের মনেই থাকে। আলাদা করে তেমন কোনও বায়নাবাটি নেই। অবিশ্যি বায়না করার উপায়ও নেই। বাড়িতে লোক বলতে সদ্য-রিটায়ার্ড দাদু, একটা খুব নামকরা মেয়েদের ইস্কুলের দাপুটে হেডমিস্ট্রেস ঠাম্মা, মাসের মধ্যে আঠেরো দিন দেশবিদেশে ট্যুরে যাওয়া বাবা আর একটা পেল্লায় মাপের নামী বিদেশি কম্পিউটারের আপিসে চাকরি করা মা। কাজেই ইস্কুলের সময়টুকু বাদ দিলে বুলবুলির সঙ্গী বলতে তার দাদু, বাড়ির সারাক্ষণের কাজের মানুষ মিনতিপিসি, ড্রাইভার সুভাষকাকু আর বাগানের দিকে একটেরে ঘরে থাকা মালি হারাধনদাদা আর তার বউ আশাদিদি। তাও আবার আশাদিদি সাতসকালে নিজের সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে ঠাম্মার সঙ্গে ইস্কুলে চলে যায়; সেখানে আয়ার চাকরি করে কিনা! বুলবুলিও নিজের ইস্কুলের বাসেই যাওয়া-আসা করে; বড়দের হুকুম। পাঁচজনের সঙ্গে মিলেমিশে ইস্কুলে যাওয়া নাকি ভাল; ছোটবেলা থেকেই বেশি গাড়ি চড়ার অভ্যেস থাকলে নাকি ছেলেপুলের স্বভাব খারাপ হয়ে যায়। সুভাষকাকু তাই মা-ঠাম্মাকে পৌঁছে দেয় আর ফেরত নিয়ে আসে; বাবা নিজেই নিজের গাড়ি চালায়।

ইস্কুল থেকে ফিরে বুলবুলি মিনতিপিসির তদারকিতে হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসে যখন, দাদু এসে বসে টেবিলে; অনেক গল্প হয় দু-জনের। তারপর দাদু বাগানে গিয়ে পায়চারি করে, বুলবুলি ছুটোছুটি করে খেলা করে, মিনতিপিসির চোখের আড়ালে মাটি আর আগাছা ঘাঁটে। ঠাম্মা ফিরে চা-জলখাবার খেয়ে নাতনিকে নিয়ে বসে হোমওয়ার্ক করাতে। মা-বাবা ফিরতে ফিরতে বুলবুলির সব লেখাপড়া সারা হয়ে যায়। দাদু যতক্ষণ পায়চারি করে আর বুলবুলি বাগানে থাকে, পিছুপিছু ঘোরে হারাধনদাদা। সে বুলবুলিকে ফুল, পাতা, গাছ সব চেনায়। পাখিও চেনায়। একবার তো গাছের ওপরের বাসা থেকে একটা শালিখপাখির ছানা পড়ে গিয়েছিল টুপ করে। তার মুখের ভেতরটা কী লাল! আর গায়ে কেমন রোঁয়া রোঁয়া। হারাধনদাদা আবার গাছে উঠে তাকে বাসায় রেখে এল। যতক্ষণ ধরে গাছে উঠছিল, মা শালিখটা কিচমিচ করে বকাবকি করছিল। বুলবুলি ভাবছিল বকছে কাকে? ছানার গায়ে হাত দিয়েছে বলে হারাধনদাদাকে, নাকি দুষ্টু ছানা মায়ের কথা না শুনে বাইরে এসে ধুপ করে পড়ে গেছে বলে তাকে?

বুলবুলির খুব ইচ্ছে করে কিছু একটা পুষতে। লাল-নীল মাছ, ফুরফুরে সাদা লোমওয়ালা নীলচোখো বেড়ালছানা বা ভুলভুলে উলের কোটপরা কানঝোলা ভুটিয়া কুকুর। কিন্তু সে তো হওয়ার নয়! তার মা আর ঠাম্মা কিচ্ছুই পুষতে দিতে রাজি নয়। সে নাকি মেলা হ্যাপা! দাদু যদিও তদ্বির করেছিল বুলবুলির হয়ে, কোনও-ই লাভ হয়নি। হারাধনদাদাকেও বলেছিল বুলবুলি; যদি একটা বেড়ালছানা বা কুকুরছানা জোগাড় করা যায়। একটু ঘেয়ো, লোমওঠা হলেও সে ঠিক মানিয়ে গুছিয়ে নেবে। তাতে হারাধনদাদা প্রায় রাজিও হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু যেই তারপর বুলবুলি বলল যে লুকিয়ে লুকিয়ে পোষা তো… তাই হারাধনদাদার ঘরেই রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে; হারাধনদাদা শুনেই কাঁপতে কাঁপতে বলল — “বুলিদিদি, অমন কতা ভুলেও মনে এনোনি। তোমার আশাদিদি আমারে আস্ত রাকবেনিকো। কত্তামাকে বলে আমার চাগ্রিটি খাবে।” বুলবুলি তো হাঁ! হারাধনদাদারও এত ভয়?

রোজ রোজ বুলবুলির ঘ্যানঘ্যানানিতে অতিষ্ঠ হয়ে শেষে হারাধন একদিন তাকে  নিয়ে এল বাগানের পেছনে দাদুর শখের গন্ধরাজ গাছের কাছে। সেখানে সবুজ পাতার ওপরে গম্ভীর মুখে বসে বসে মিঠে রোদে শরীর সেঁকছিল একটা গাবলুগুবলু মস্ত বড় কালচে রঙের শুঁয়োপোকা। নড়াচড়া করছিল না। বাবার টেবিলে একটা বুদ্ধদেবের মূর্তি আছে, বাবা বলে ‘ধ্যানী বুদ্ধ’। ঠিক সেইরকম স্থির। বুলবুলি বুঝল, শুঁয়োপোকারাও তার মানে  ধ্যানট্যান করে!

হারাধনদাদা বলল — ‘বুলিদিদি, এটা পুষবে?’
— ধরব কী করে ?
—কাঠি দিয়ে তুলে দেব অখন।
—রাখব কোথায়?
–কেন, চিলেকোঠার ঘরে একটা ছোটমতো কাচের বাস্কো আচে, তাইতে নাকি এককালে তোমার বাবা মাচ পুষেছেল, তা সে তো এক্কেরে খালি আর শুগনো হয়ে পড়েই আচে। আমি পোস্কার করে নীচে বেশ মোটা করে পাতার গদি করে দেব; তাতে ব্যাটা শুয়ে থাগবে আর গাণ্ডেপিণ্ডে গিলবে।
—রাখবে কোথায় ?
—পাম্পঘরে। রেতের বেলায় পাম্পঘরে থাগবে, দিনে এই বাগানের এককোণে আড়াল করে রেকে দেব।
—তারপর এর থেকে প্রজাপতি হবে?
—হবে তো!

ব্যস! বুলবুলি তো এক পায়ে খাড়া। পরদিন সকলে যে যার মতো বেরিয়ে গেছে, বুলবুলিও ইস্কুলে; হারাধন চিলেকোঠা থেকে মাছের কাচঘর নামিয়ে এনে ভাল করে সাফসুতরো করে রাখল। বাগানে শুঁয়োপোকাটার দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে যাতে এদিক-সেদিক চলে না যায়।

বুলবুলি বিকেলে হারাধনের সঙ্গে এসে দাঁড়াল গন্ধরাজ ফুলের গাছের কাছে। মাটিতে নামিয়ে রাখা আছে কাচের বাক্সটা। এখন কেমন ঝকঝক করছে। ভেতরে বিছিয়ে রাখা আছে কুলগাছের পাতা, শিউলিপাতা। ঠিক যেন সবুজ সাটিনের লেপ-কম্বল। হারাধনের হাতে একটা মোটা কাঠি। সে সন্তর্পণে কাঠিটা ধরল শুঁয়োপোকার মুখের দিকটায়। বুলবুলি তাজ্জব হয়ে দেখল পোকাটা কেমন গুল্লি পাকিয়ে পেঁচিয়ে ধরল কাঠিটাকে। কাঠিটা এবার আস্তে করে কাচের বাক্সে রাখতেই শুঁয়োপোকাটা ধীরেসুস্থে নিজেকে কাঠির গা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে সবুজ বিছানায় আয়েস করে শুয়ে পড়ল। কাঠিটা বার করে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বুলবুলির হারাধনদাদা কাচঘরের ওপরের ঢাকনাটা বন্ধ করে দিয়ে বলল –ব্যস, বুলিদিদি, কেল্লা ফতে!
— এটা কী হল, হারাধনদাদা? শুঁয়োপোকাটা তো দমবন্ধ হয়ে মরে যাবে!
—কী যে বল! এই তো ঢাকনিটায় দু-পাশে দিব্যি সরুমতো ফোকর আচে। এইটেই ভাল; ব্যাটা পালাতে পারবেনিকো।
—খাবে কী?
—কেন, পাতাগুলান। খেয়ে ফেললে আরও দিয়ে দিব। তাপ্পর তো গুটি বাঁদবে, ত্যাখুন আর কিচ্চুটি দাঁতে কাটবেনিকো।
—আর প্রজাপতি?
—সবে তো পুষলে! কিচুদিন যাক!

এরপর থেকে বুলবুলির কাজ হল রোজ বিকেলে শুঁয়োপোকার তদারক করা। সে ব্যাটা খেয়েদেয়ে দিব্যি গায়েগতরে এখন। আরও পাতার জোগান দেওয়া হয়েছে তাকে। বাক্সের সামনে উবু হয়ে বসে রোজ শুঁয়োপোকাটার সঙ্গে নিজের মনে বকবক করে বুলবুলি। শুঁয়োপোকাটাও কি চিনে নিয়েছে বুলবুলিকে?

বুলবুলির একটাই দুঃখ, শুঁয়োপোকাটার গায়ে হাত দিতে পারে না। তবে যতই হোক, একেবারে নিজস্ব সম্পত্তি বলে কথা! তাতে এমন অন্যরকম আনন্দ! বেশ ক’দিন পরে শুরু হল গুটি বাঁধা। শুঁয়োপোকাটা প্রথমে কেমন স্থির হয়ে গেল। এদিকে গায়ে হাত দিয়ে দেখাও যাচ্ছে না ব্যাটার জ্বর হল, নাকি অত অত খেয়ে পেটের অসুখ! হারাধন নিশ্চিন্ত করল বুলবুলিকে; বলল এবার গুটি বাঁধা শুরু হবে। ও মা, একদিন ইস্কুল থেকে ফিরে বুলবুলি দেখেল সত্যিসত্যিই শুঁয়োপোকাটা ঢুকে গেছে খোলসে। আর তারপরই শুরু হল আশ্চর্য এক রংবদলের পালা।

গুটি বাঁধছে। প্রথমে পুরোটা পাতিলেবু রঙের। তারপর শরীরটা লেবু-হলুদ, মাথায় সবুজ টুপি। কিছুদিন পরে গা-টা কমলা, মাথাটা লাল। তারপর গা-টা লাল, মাথাটা মেরুন। ধীরে ধীরে পুরো শরীর আর মাথা… সব কিছুই কালচে খয়েরি রঙের হয়ে গেল। বুলবুলি অবাক হয়ে দেখে এই রঙবাহার। তারপর একদিন বিকেলে ছুটতে ছুটতে বাগানে যেতেই হারাধনদাদা উত্তেজিত গলায় খবর দিল, গুটি কেটে নাকি  প্রজাপতি বেরিয়েছে। কী বিরাট একটা বাহারি প্রজাপতি! কাচের বাক্সে ডানা গুটিয়ে বসে আছে। এবার তো ওকে ছেড়ে দিতেই হবে; আর সে কথা তো জানাই ছিল বুলবুলির। সে কাচের গায়ে আঙুল ছুঁইয়ে ফিসফিস করে বলল– যা তুই। আবার  কখনও দেখা হলে আমাকে চিনতে পারবি তো?

কাচের বাক্সর ডালাটা হাট করে খুলে দিল বুলবুলি। প্রজাপতিটা কয়েক মুহূর্ত স্থির থেকেই উড়ে গেল ডানা মেলে। প্রথমেই গিয়ে বসল… যেখান থেকে ওকে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল, সেই ঝুপসি গন্ধরাজ ফুলের গাছে। তারপর উড়তে উড়তে চলে গেল চোখের আড়ালে।

সেই রাতেই এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখল বুলবুলি। ওই  প্রজাপতিটা তার কাঁধে এসে বসেছে। জিগ্যেস করছে — তোমার মনে কি কোনও দুঃখ আছে বুলবুলি? তাহলে আমি সেটা মুছিয়ে দেব।
— আছে তো! এই যে সামনের শনিবার ইস্কুলে স্পোর্টস; ফ্ল্যাট রেসে নাম দিয়েছি আমি; কিন্তু জানো প্রতিবারই লাস্ট হয়ে যাই। বন্ধুরা বলে ‘কেবলি’, মা বলে ‘আনফিট’। এবার নাকি ফার্স্ট প্রাইজ আছে একটা বিলিতি অ্যাকোয়েরিয়ামে এক ডজন রঙিন মাছ! ওটা পেলে তো আর  আমার মা, ঠাম্মা বারণ করতে পারত না যে কিচ্ছু পুষতে দেবে না!
—ব্যস, এটুকুই দুঃখ? কিচ্ছু ভেব না, এবার তুমিই ফার্স্ট হবে। আমি তোমার সঙ্গে আছি।
—কী করে ?
—শোনো বুলবুলি, মহাভারতের অর্জুনের গল্প জানো তো? সেই যে মাছের চোখ আর লক্ষ্যভেদ ?
—জানি তো! দাদু বলেছে ওটাই নাকি একাগ্রতা, না কী যেন একটা কঠিন শব্দ, যার মানে হল মন স্থির করে কোনও কাজ করলে ঠিক ফার্স্ট হওয়া যায়।
—দাদু একদম ঠিক বলেছেন। মন দিয়ে শোনো এবার। যেই ফটাস করে পিস্তল ফাটবে আর সব্বাই ছুটবে, তুমি দেখবে তোমার ঠিক সামনে সামনে উড়ে যাচ্ছি আমি। কোনও দিকে আর তাকাবে না তখন। শুধু আমার দিকে চোখ রেখে দৌড়বে। মনে করবে, তুমি আসলে ছুটছ না, উড়ছ! আর সেই উড়তে উড়তেই ঠিক ছুঁয়ে ফেলবে ওদিকের নীল সিল্কের মোটা ফিতেটা। কী, মনে থাকবে ?
মস্ত করে ঘাড় নাড়ল বুলবুলি। মনে তো থাকতেই হবে। ফুরফুর করে উড়ে গেল স্বপ্নে আসা চেনা প্রজাপতি।

স্পোর্টসের দিন ইস্কুলের মাঠে উপচে পড়েছে ভিড়। বুলবুলির দাদু আর ঠাম্মাও এসেছে। বাবা ট্যুরে, মা আসেনি। মা বলেছে –দূর, প্রতিবার সেই এক কাণ্ড! আমার মেয়েটা লাস্ট হচ্ছে। আচ্ছা, ভাল লাগে আমার, বল তো তোমরা? হ্যাঁ, মানছি, ও পড়াশুনোয় ফার্স্ট প্রাইজ আনে বরাবর; কিন্তু আমি তো  চাই আমার মেয়ে শুধু বই মুখে করে বসে না থেকে সবদিকেই চৌকস হোক! কী যে ল্যাকপ্যাক করে দৌড়য়! নাঃ, এই বছরেই ওকে সাঁতার আর কারাটে ক্লাসে ভর্তি করতে  হবে!

মেয়েরা দাঁড়িয়েছে সার বেঁধে। সাদা চকখড়ির দাগ ছুঁয়ে আছে পায়ের বুড়ো আঙুল। দশজন। সাদা ধবধবে স্কার্ট-ব্লাউজ, মাথায় সাদা সাটিনের রিবন, সাদা জুতো-মোজা। অন্য সববার ভয়ে ছোট্ট বুকটা তিরতির করে কাঁপে বুলবুলির। এইবার কিন্তু অনুভূতি একেবারে আলাদা! পি টি স্যার আকাশের দিকে উঁচিয়ে ধরেছেন কালো রঙের পিস্তল।  ‘গুড়ুম’ করে শব্দ হতেই দৌড় শুরু করল দশজোড়া খুদে খুদে পা।

চোখের সামনে একটা মস্ত বড় ঝলমলে উড়ন্ত প্রজাপতি ছাড়া আর কিচ্ছুই দেখতে পাচ্ছিল না বুলবুলি। প্রজাপতিটা উড়ছিল, আর ডাকছিল তাকে। বলছিল –এস বুলবুলি, তাড়াতাড়ি এস। আমার মতো উড়ে উড়ে এস। কেউ যেন তোমার নাগাল না পায়।

হরিণ-পায়ে ছুটছিল বুলবুলি। হরিণ-পায়ে অথবা একজোড়া রঙবেরঙের অদৃশ্য ডানায় ভর করে। মাঠের সকলে অবাক হয়ে দেখছিল সেই অলীক দৃশ্য। একটা খুব চেনা, ল্যাকপ্যাকে, এতদিন ধরে সকলের শেষে এসে পৌঁছনো মেয়েটা কেমন বাতাসে ভর করে ছুটে আসছে। সে যত এগোচ্ছে, ততই যেন এ প্রান্তের গাঢ় নীল সিল্কের ফিতেটাও আকুলিবিকুলি করছে তাকে ছুঁয়ে ফেলার জন্য।

সত্যিসত্যিই সকলের আগে পৌঁছে গিয়ে নীল ফিতেটা আঁকড়ে ধরল বুলবুলি| অমনি কাচঘরে খলবল করে উঠল রঙিন মাছেরা; এবার  তাদের সময় হয়েছে নতুন বাড়িতে যাওয়ার; চিনে নিয়েছে নতুন বন্ধুকে। ঠিক তক্ষুনি ঝিরঝির করে বৃষ্টি নামল। আকাশ নিজের গায়ে জড়িয়ে নিল রুপোরং রোদ্দুরের জরির সরু পাড় বসানো শৌখিন ধূপছায়া জমিনের মেঘের ওড়না। আর দুটো বিশাল রঙিন ডানায় রেণু রেণু বৃষ্টি মেখে উড়তে উড়তে শূন্যে মিলিয়ে গেল স্বপ্নের সেই প্রজাপতি। সকলের চোখের আড়ালে। বুলবুলিরও।

Author Ishani Roychowdhury

ইলেকট্রনিক্সের ছাত্রী ঈশানী রায়চৌধুরী তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাষান্তরের কাজে যুক্ত। নিজস্ব লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে পছন্দ রম্য গদ্য আর ছোট গল্প | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ফ্রিডা কাহলো, খলিল জিব্রান, আর কে নারায়ণ প্রমুখ লেখকদের কাজ ভাষান্তর করেছেন। 'কৃষ্ণচূড়া আর পুটুস ফুল', 'আবছা অ্য়ালবাম', 'বাবু-টাবুর মা', ওঁর কয়েকটি প্রকাশিত বই।

Picture of ঈশানী রায়চৌধুরী

ঈশানী রায়চৌধুরী

ইলেকট্রনিক্সের ছাত্রী ঈশানী রায়চৌধুরী তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাষান্তরের কাজে যুক্ত। নিজস্ব লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে পছন্দ রম্য গদ্য আর ছোট গল্প | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ফ্রিডা কাহলো, খলিল জিব্রান, আর কে নারায়ণ প্রমুখ লেখকদের কাজ ভাষান্তর করেছেন। 'কৃষ্ণচূড়া আর পুটুস ফুল', 'আবছা অ্য়ালবাম', 'বাবু-টাবুর মা', ওঁর কয়েকটি প্রকাশিত বই।
Picture of ঈশানী রায়চৌধুরী

ঈশানী রায়চৌধুরী

ইলেকট্রনিক্সের ছাত্রী ঈশানী রায়চৌধুরী তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভাষান্তরের কাজে যুক্ত। নিজস্ব লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে পছন্দ রম্য গদ্য আর ছোট গল্প | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, ফ্রিডা কাহলো, খলিল জিব্রান, আর কে নারায়ণ প্রমুখ লেখকদের কাজ ভাষান্তর করেছেন। 'কৃষ্ণচূড়া আর পুটুস ফুল', 'আবছা অ্য়ালবাম', 'বাবু-টাবুর মা', ওঁর কয়েকটি প্রকাশিত বই।

4 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস