আমি যে অতজন খদ্দেরের ভিড়ে বিশেষ এক রকমের আপ্যায়ণ পেতাম, তাইতেই বেশ মন ভালো হয়ে যেত। পাড়ার দাদা-কাকা-জেঠুরা দিব্যি যেমন-কে-তেমন নড়বড়ে চেয়ারে বসে কাজ সেরে উঠে পড়ছে, আমার বেলায় কিন্তু তা নয়। এক তো এই যে, ছোট বলে খদ্দেরদের ক্রমিক সংখ্যা ভেঙেই ডেকে নেওয়া হত আমাকে। আর দুই, যেটা ওই ভাললাগার কারণ, আমাকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে কোত্থেকে যেন একখানা কাঠের বসনচৌকি বার করে চেয়ারের ওপর আড়াআড়ি করে পেতে দেওয়া হত। খানিকটা সিংহাসন ধরনের ব্যাপার আর কী, অন্যদের চেয়ে উপরে বসবার রাজকীয় ব্যবস্থা। আমি নিজে চেষ্টা করবার আগেই দু’খানা শক্তপোক্ত হাত আমাকে বগলদাবা করে সটান ওই চৌকির ওপর বসিয়ে দিত। আর কানের কাছে মিষ্টি স্বরে বলত, ‘একদম নড়বে না, কেমন?’
এই মানুষটির নাম অশোকদা। ওই পোক্ত হাত আর মিষ্টি গলার যুগপৎ অধিকারী যিনি। তাঁরই সেলুন, আমাদের পুরনো পাড়ার এক কোণে। তখন, অবিশ্বাস্য হলেও, মাথাভর্তি ঘন চুল আমার। এতটাই তাদের বাড়বৃদ্ধি, যে অনেক সময়ে মাসে দু’বারও অশোকদা’র দ্বারস্থ হতে হয়। বেঁটেখাটো চৌকোনো চেহারার মানুষ। ঠোঁটের ওপর চওড়া গোঁফ, মাথায় খোঁচা খোঁচা চুল, চোখে কালো ফ্রেমের চশমা আর মুখে সারাক্ষণ হাসি। এই আমাদের অশোকদা। ‘আমাদের’-ই বলব, কেননা এ ধরনের মানুষ দেখতে দেখতে সকলেরই আত্মীয় হয়ে ওঠেন। পাড়ার বড়রা তাঁকে নাম ধরে ডাকতেন, তুই তোকারি করতেন, খোঁজখবর নিতেন, বিড়ি সিগারেট ভাগ করে খেতেন। অশোকদাও তাঁদের সকলের হাঁড়ির খবর জানত দিব্যি। সেই অর্থে বলতে গেলে, অশোকদার ছোট্ট সেলুন ছিল পাড়ার চলতি আড্ডাখানা। অনেককেই দেখেছি, যাঁরা সারাবেলা আড্ডা দিয়ে, উল্টেপাল্টে খবরের কাগজ পড়ে, চার ভাঁড় চা শেষ করে, ‘আজ যাই রে অশোক, কাল আবার আসব’ বলে বাড়ি যাচ্ছেন। চুল কাটানোটা স্রেফ বাহানা। অশোকের দোকানে জড়ো হয়ে আর পাঁচজনের সঙ্গে একটা চনমনে সকাল বা সন্ধে কাটানোটাই আসল।
এহেন ভিড়ভাট্টার দোকানে, বাবা আমাকে বসিয়ে রেখে চলে যেতেন নানা কাজে। পাড়ার দাদা-কাকারা চিনতেন সকলে। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটত আমারও। তারপর অশোকদা’র সেই মিষ্টি গলার ডাক এবং তাঁর শক্ত হাতের বেষ্টনীতে আমার রাজকীয় উত্থান। চুল কাটাতে যে ভারী ভাল লাগত, এমন নয়। ওইসব কাঁচি ক্ষুর দেখলে ভয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসত ঠিকই। কিন্তু একইসঙ্গে ওই টুলে চড়ার যে-মজা, সেটা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ভালো লাগত না বেশি দিন। আরও একখানা ব্যাপার ছিল অবশ্য। আর সে-মজার কোনও তুলনা ছিল না।

আগে বলি, পাড়ার এসব ছোটখাটো সেলুন যেমন হয়, অশোকদার দোকানও ছিল ঠিক তাই। সরুমতো ঘুপচি একখানা ঘর, রোদও যেখানে ঢোকার ইচ্ছেপ্রকাশ করে না, সেইখানেই কোনওমতে পাশাপাশি দুটো চেয়ার লাগিয়ে ব্যবসা চালানো। সামনে কয়েকখানা ড্রয়ার। তার ভেতরে ব্লেডের প্যাকেট, চিরুনি, এইসব থাকে। আর ড্রয়ারের ওপরে সার বেঁধে দাঁড় করানো নানা কোম্পানির তেল, স্নো, পাউডার, এসব। তাদের অবশ্য অন্য কোনও দোকানে বিশেষ বিক্রি হতে দেখা যেত না, তেমন নামডাক ছিলও না। অশোকদা হোলসেল মার্কেট থেকে সস্তায় এসব তুলে আনত। আর এই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যেটা ছিল, সেটা হল, দেয়ালজোড়া আয়না। এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত টানা আয়না। সেদিকে তাকালেই নিজেকে বসে থাকতে দেখা যায়। আর একখানা আমি। ঠিক আমারই মতো যেন।
অশোকদার ছোট্ট সেলুন ছিল পাড়ার চলতি আড্ডাখানা। অনেককেই দেখেছি, যাঁরা সারাবেলা আড্ডা দিয়ে, উল্টেপাল্টে খবরের কাগজ পড়ে, চার ভাঁড় চা শেষ করে, ‘আজ যাই রে অশোক, কাল আবার আসব’ বলে বাড়ি যাচ্ছেন। চুল কাটানোটা স্রেফ বাহানা।
কিন্তু শুধু কি তাই? উল্টোদিকেও লাগানো একই রকমের আয়নাচাতাল, এদিকের আয়নার মুখোমুখি। ফলে যেটা হতো, আয়নার মধ্যে আয়না, তার মধ্যে আয়না, এইভাবে প্রতিবিম্বের একখানা গভীর সুড়ঙ্গ তৈরি হত। আর আমি দেখতাম, একখানা আমির দিকে পিছন ফিরে বসে আছে আর একখানা আমি, আবার তার দিকে মুখ করে বসে আছে আর একজন আমি। এইভাবে অসংখ্য আমির এক আশ্চর্য সমাহার ফুটে উঠত এক লহমায়। মজা পেতাম খুব। অশোকদা হয়তো চায়ে চুমুক দিতে থেমেছে, আমি ওমনি ঘাড় হেলিয়ে দেখতাম, সব ক’জন আমির ঘাড় হেলছে কিনা। মাথা ঝাঁকিয়ে খেয়াল করতাম, সব ক’জন আমি মাথা ঝাঁকাচ্ছে তো? ঠিক এই কারণেই, চুল কাটানোর গ্লানির চেয়ে ভালোলাগা আমার কাছে বড় হয়ে থাকত। আর সেই ভালোলাগার দোকানদার ছিল অশোকদা।
অশোকদা। পদবি জানি না, জানতে চাইওনি কখনও। কেবল এটুকু জানি, হিন্দিভাষী মানুষ। বিহারের দ্বারভাঙ্গা সংলগ্ন এক গ্রামে তার দেশ। সেখান থেকেই ছোট বয়সে কলকাতায় চলে আসা, পেটের তাগিদে। আছে কিছু জমিজিরেত দেশগাঁয়ে, কিন্তু তার শরিকও কিছু কম নয়। তাই নিজের সব সম্বল উজাড় করে শহুরে মানুষদের জন্য সেলুন খোলা। কেননা ছোট বয়স থেকেই অশোকদার হাতে কাঁচি আর চিরুনি কথা বলত। সেই কথা অবশ্য আজও শুনতে পাই। চিরুনির চিকের আড়াল থেকে কাঁচির খচমচ এমন এক স্মৃতির বসত উসকে দেয়, যার উচ্ছেদ ঘটে গেছে সেই কবেই, কে জানে।
হ্যাঁ, আজও অশোকদার কাছে যাই। যাই বলা ভুল হবে। বলতে পারি, ফিরে যাই। সেলিমপুর থেকে গড়িয়া পৌঁছতে গেলে আমাকে কেবল শহরের যানজট ঠেলতে হয় না, পেরতে হয় অনেকগুলো দশক। সেই সব ভারী সময়স্রোত ঠেলে যখন পৌঁছই, অশোকদা হয়তো সন্ধের প্রথম চায়ে চুমুক দিচ্ছে। ‘তোমার জন্য আনাই একটা, ভাই?’ আমি সম্মতি দিলে অশোকদা অন্য একখানা গ্লাস নিয়ে পাশের মোড়ে চলে যায়, চিনি-সহ লাল চা নিয়ে আসতে। অশোকদা জানে, আমার মুখে কী রোচে। আর সন্ধের টিউবজ্বলা ছোট্ট সেলুনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমি ভাবি, এই একজন মানুষই আমাকে ভাই বলে ডাকে আজও। যে-ডাকের মধ্যে কোথাও কোনও খাদ নেই।
অশোকদা হয়তো চায়ে চুমুক দিতে থেমেছে, আমি ওমনি ঘাড় হেলিয়ে দেখতাম, সব ক’জন আমির ঘাড় হেলছে কিনা। মাথা ঝাঁকিয়ে খেয়াল করতাম, সব ক’জন আমি মাথা ঝাঁকাচ্ছে তো?
সকালে ইদানীং যাওয়া হয় না, লেখার কাজ থাকে বলেই। তবে মাসে একবার অন্তত, সন্ধের পুরনো পাড়ায় পৌঁছই আমি, অশোকদার সেলুনে সময় কাটাব বলে। এই পর্যন্ত পড়ে সকলে নিশ্চয়ই ভাবছেন, এ আবার কেমন কথা? ওই তো চুলের দশা। তাও সেলুনে যেতে হয়? খোদ অশোকদাও মাঝেমধ্যে বলে, ‘কী কাটব ভাই, এরপর তো ন্যাড়া করে দিতে হবে’। তবু আমি যাই। চুল কাটাতে নয়। সময় কাটাতে। অশোকদার সঙ্গে, পুরনো পাড়াটার সঙ্গে, নিজের সঙ্গেও।
এখন দোকানে নতুন চেয়ার হয়েছে। খদ্দেরদের পরানোর জন্য কায়দার তোয়ালে এসেছে। অশোকদার সহকারী হিসেবে এসেছেন তার জামাই মহাশয় আর জুটেছে একখানা রেডিও, যে সারাক্ষণ গান বাজানোর চেয়ে খরখরই করে বেশি। তাকে চাপড় দিয়ে বিচ্ছু ছেলের মতো বাগে আনতে হয়। সে হোক। এদিকে অশোকদার চেহারা কিন্তু একচুলও বদলায়নি। হ্যাঁ, গোঁফ আর চুলে কলপ করে ঠিকই, কিন্তু দেখলে কেউ বলবে না, এই অশোকদাই আমাকে কোলে করে চৌকিতে বসিয়ে চুল কেটে দিত। এখন অশোকদা আর আমার বয়স সমান। ক’দিন পর আমি অশোকদা’র চেয়ে বয়েসে বড়ো হয়ে যাব, এও জানি।
আমি যখন গিয়ে বসি, অচেনা মানুষজন সন্দেহের চোখে তাকান বারেবারে। ‘এও চুল কাটাতে এসেছে? নাকি অন্য মতলব আছে?’ চাহনিটা এরকম। সে সব এড়িয়েই অশোকদার ডাকে সাড়া দিয়ে লাল চেয়ারে হেলান দিয়ে বসি। ছোটবেলার রাজকীয় সিংহাসন আর নেই, নেমে এসেছি সকলের মাঝখানে। আমি ধোঁয়া ওঠা লাল চা শেষ করি, অশোকদা ততক্ষণ হাতের তালুতে খৈনি পেষে। আমাদের খোশগল্প চলে। আমি জানতে চাই, অশোকদার মেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা, জমিজিরেতের হাল-হকিকত কী। কখনও শুনি ছোটটা নাইনে উঠল, বড়টা বোর্ড দেবে সামনেই। কখনও শুনি, শরিকি ঝামেলায় জমিজিরেত খোওয়া যাচ্ছে হাত থেকে। এসবের জন্যে মাঝেমধ্যে অশোকদা দেশেও চলে যায়। ওর জামাই তখন একা হাতে দোকান সামলান। আমি গিয়ে শুনতে পাই, জমি নিয়ে ঝামেলা, বাড়ির দখল নিয়ে কোর্ট কাছারি। ফিরে আসি। ফোন করি বাড়ি থেকে, অশোকদাকে। ‘কবে ফিরবে গো? সব ঠিক আছে?’ ওপার থেকে সেই মিষ্টি গলায় উত্তর আসে, ‘আর বোলও না ভাই, কী যে অবস্থা এখানে। দেখি, সব মিটলে যাব। তুমি ভাল তো?’ নিজের শত দুর্দশাতেও এ-প্রশ্ন করতে ভোলে না অশোকদা।
ছোট বয়স থেকেই অশোকদার হাতে কাঁচি আর চিরুনি কথা বলত। সেই কথা অবশ্য আজও শুনতে পাই। চিরুনির চিকের আড়াল থেকে কাঁচির খচমচ এমন এক স্মৃতির বসত উসকে দেয়, যার উচ্ছেদ ঘটে গেছে সেই কবেই, কে জানে।
ফিরে এলে আবার সেই টিউবজ্বলা এক খুপচি ঘর, চা আর খৈনির নেশা-চালান, আর খোশগল্প। মাঝেমধ্যে দেশের বাইরে যখন যাই, অশোকদাকে বলি, ‘অশোকদা, যত পারো ছোট করে দাও। দেড় মাসের জন্যে বিদেশ যাচ্ছি।’ অশোকদা বলে, ‘আর কত ছোট করব ভাই? আচ্ছা, তুমি যে এত বিদেশ যাও, ওখানে কর কী? কামধান্দা আছে?’ বোঝাই অশোকদাকে, আমার কাজের ধরন। অশোকদার যেমন হাতের কাজ, আমারও হাতের কাজ। খদ্দের আলাদা। অশোকদার দোকান স্থাণু, আমার বিপণি ভ্রাম্যমাণ। এইসব কথা চলতে থাকে।
মাঝেমধ্যে অশোকদা জিগ্যেস করে ফ্যালে, ‘আচ্ছা ভাই, বিদেশটা ঠিক কেমন? ওখানে সেলুন নেই?’ দেশ বুঝতে না-পারা আমি অশোকদাকে বিদেশ বোঝাতে থাকি তখন। মিটে গেলে, ‘মা ভাল আছেন তো তোমার? আর বৌমা?’ অশোকদা জানতে চায়। আমি কুশল জানিয়ে পাড়ার লোকজনের খবর জিগ্যেস করি। কে রিটায়ার করল, কার ছেলের বিয়ে হল, কে বাড়ি বদল করল, আর কে-ই বা চলে গেল অকালে। পুরনো পাড়া নতুন মোড়কে আমার সামনে এনে হাজির করে অশোকদা। কাঁচি চলতে থাকে, ক্ষুর নেমে আসে, চিরুনি বয়ে যায়। আর চলতে থাকে সময়। যার ওপর
কোনও কাঁচি চলে না কারও।
আমি আয়নার দিকে তাকাই এখন কেবল একবার। অশোকদার কাজের শেষে আমি ঘাড় হেলাই। একা আমার ঘাড় হেলে যায়। বাকি প্রতিবিম্ব স্থির হয়ে থাকে। একজন আমিও আর নড়ে ওঠে না, আগের মতো। এও এক ম্যাজিক। অতীতের ছায়া বর্তমানের ডাকে সাড়া দেয় না কখনও। অশোকদা চল্লিশ টাকা নেয় এখন। আমি খুচরো গুনে গুনে দাম মিটিয়ে উঠে পড়ি গাড়িতে। ‘চলি গো অশোকদা, ভাল থেকো…।’ কথাটা বলবার সময়ে নিজেরই গলা অচেনা মনে হয়। শহরটাও তো কত বদলে গেল এই ক’দশকে। দেখতে দেখতে প্রতিবিম্বের মসৃণ কারখানা হয়ে উঠল অগুনতি সালোঁ। অনেক মুদ্রার বিনিময়ে, শীতাতপ স্পর্শে সেখানে নিজের চেহারা শুধরে নেয় মানুষ এখন। আমি আর শুধরোব না কেবল। ওই গরমে, ছোট্ট পাখার হাওয়ায়, রেডিওর খরখরে মৌতাতে আমি শেষ দিন অবধি ফিরে যাব অশোকদার কাছে। চল্লিশ টাকার বিনিময়ে সমগ্র অতীত আমাকে আর কেই বা ফিরিয়ে দেবে আজ?
শ্রীজাত জাত-কবি। লেখা শুরু করেছিলেন নব্বইয়ের দশকের শেষাশেষি। ২০০৪-এ এসেই কাব্যগ্রন্থ 'উড়ন্ত সব জোকার'-এর জন্য আনন্দ পুরস্কার। গীতিকার হিসেবেও জনপ্রিয়তার শিখরে। পাওয়া হয়ে গিয়েছে ফিল্মফেয়ারও। ২০১৯-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বই 'যে জ্যোৎস্না হরিণাতীত', গদ্যসংকলন 'যা কিছু আজ ব্যক্তিগত' এবং উপন্যাস 'যে কথা বলোনি আগে'। এ যাবৎ প্রকাশিত বাকি কাব্যগ্রন্থের তালিকা এপিকসদৃশ দীর্ঘ। ট্রোলিংয়ের তোয়াক্কা না-করেই ফেসবুকে নিয়মিত কবিতা লিখে পাঠকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পছন্দ করেন টেক স্যাভি কবি।
9 Responses
মুগ্ধতা একরাশ। কবি তো! গদ্য লেখাও কাব্যিক।
আবেশ এখনও কাটেনি…. ঝিম ধরেছি
ভালো লাগলো,,,,নিশীথ ষড়ংগী,,,,
বারবার পড়েও নতুন লাগছে। স্মৃতি সবসময় বেদনার হয় না।তাকে ছাড়িয়ে আরও কয়েকটা রেখা পেরিয়ে যায়।
একরাশ মুগ্ধতা
তোমার অতীতের আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব চাক্ষুষ করলাম|
তোমার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
দারুণ লেখা
উফফ অনবদ্য সাবলীল স্মৃতি রোমন্থন, যা অনেকের স্মৃতিতে অমলিন ।
এই অনুভবে তো কাঁচি চালানো অসম্ভব।সমৃদ্ধ।চরৈবতি।
অতীত কে ভুলতে না পারা আমি।
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমার মেয়েবেলা।
বাবার সাইকেল এ চেপে যেতাম ‘উত্তরা সেলুন’ এ।অরূপ কাকু।
একটা চকলেট দিয়ে বসাতো। চুল কাটতো।
চকলেটের লোভ ক ছিল।
সময় পেরিয়ে যায় ট্রেনের জানালার গাছের মত।
মানুষ ও আবছা হয়।
বাবা আজ নেই।
বাবার হাত ধরে যে মেয়েবেলা হাঁটতে শিখেছিল সেও আজ বড় হয়ে গেছে।