একটা সিংহ জঙ্গলে থাকত। ও ঘুম দিচ্ছিল। আর ওর চারপাশে একটা ছোট্ট ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। জঙ্গলের মধ্যে।
ইঁদুরটা যতবার সিংহর কাছে যাচ্ছে, সিংহটা ঘুমের মধ্যে ঘ্র্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁওওও করে উঠছে। আর ইঁদুরটা লাফিয়ে সরে যাচ্ছে।
কিন্তু ও খালি সিংহটার গোঁফ ধরে টানছে আর সিংহটা ঘ্র্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁওওও করছে। তারপর ইঁদুরকে বলছে, ‘অ্যাই তুমি আমাকে ঘুমের মধ্যে ডিসটার্ব করছ কেন?’ ওমনি ইঁদুরটা বলছে ‘আই সরি।’ সিংহ বলল, ‘প্রমিস তো? আর আমার ঘুমের ডিসটার্ব করবে না?’ ইঁদুর বলল, ‘তুমি রোজ ঘুমাও। দ্যাখো একদিনও ডিসটার্ব করব না।’ তখন সিংহ বলল, ‘আচ্ছা তুমি চলে যাও।’ ইঁদুর চলে গেল।
তাপ্পর একদিন একটা হান্টার নেট দিয়ে রেখেছে জঙ্গলে। সিংহর পা-টা আটকে গেল। তখন ইঁদুরটা এসে কুটকুট করে দাঁত দিয়ে নেটটা কেটে দিল। তখন সিংহ খুব খুশি হয়ে বলল, ‘থ্যাঙ্ক ইউ।’ ইঁদুর বলল, ‘আমাকে থ্যাঙ্কিউ বলতে হবে না। আমি তোমাকে বাঁচালাম।’ তখন সিংহ বলল, ‘তুমি কি নিজের বাড়ি যাবে?’ ইঁদুর বলল যাব।
তখন সিংহ কাঁধে করে ইঁদুরটাকে বাড়িতে নিয়ে গেল। কী মজা!
* যশোমিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুলিখন করেছেন পল্লবী মজুমদার।
যশোমিতার বয়স পাঁচ এবং আদরের নাম গুটুনবুড়ি। তিনি কারমেল স্কুলে লোয়ার কেজিতে পড়েন। ফুটবল খেলাটা বেশ পছন্দের। আর পছন্দ গান শুনে শুনে তালে তালে নাচ করা, ইচ্ছেমতো। চকোলেট আর আইসক্রিম পেলে সকলের সঙ্গে ভাব করে নেন চট করে।