আজ যদি ও বুদ্ধি করে না-আসে, তবেই রক্ষে! কিন্তু ওর কি আর বুদ্ধির সেই জোর আছে! বেচারার যত জোর তো দাঁতে। কুটুস কুটুস করে সর্বক্ষণ কিছু-না-কিছু কেটেই চলেছে। বিস্কুট, সুজি, চাউমিন সব কিছুর প্যাকেট কুটকুট করে কেটে কুচিকুচি করা ওর প্রিয় অভ্যেস। আলু, খবরের কাগজ, বইপত্র, এসবেও অরুচি নেই।
এই করে ভালই চলছিল। কিন্তু কাল হল মায়ের সিল্কের দামি শাড়িটা কেটে। দোষটা অবশ্য মায়েরই। অত দামি শাড়িটা আলমারিতে না-রেখে যদি চেয়ারে ফেলে রাখে, বেচারার আর কী দোষ! না-কেটে ও থাকে কী করে! ওর দাঁত সুড়সুড় করে না বুঝি! কিন্তু মা তারপর থেকে ধনুর্ভঙ্গ পণ করেছে, ওর শেষ দেখে ছাড়বে।
অথচ অভির সঙ্গে ওর বেশ অনেকদিনের বন্ধুত্ব। দিনের নয় অবশ্য, রাতের। মাসকয়েক আগের কথা। পরীক্ষা শেষ। স্কুল দু’তিন দিন ছুটি। দুপুরে মায়ের সঙ্গে ল্যাপটপে একটা হরর ফিল্ম দেখছিল। রাতে মায়ের পাশে শুয়ে শুয়ে সেই ফিল্মের কথা মনে পড়ায় খুব ভয় করছিল। বিছানায় মাকে জড়িয়ে ধরছিল বারবার। অন্যদিন শোওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। সে-রাতে কিছুতেই ঘুম আসছিল না। ভেবেই পাচ্ছিল না কী করবে। কেন যে দুপুরে মায়ের কথা শোনেনি! মা তাকে অনেক করে বলেছিল,
– তুই এসব দেখিসনি। ভয় পাবি। রাতে ঘুমোতে পারবি না।
অভি মাকে বলেছিল,
– আমি কি ভিতুর ডিম নাকি? আর রাতে বুঝি ভূত আসবে!
অথচ এখন চোখ বুজলেই খালি ফিল্মের সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্যগুলো ফিরে ফিরে আসছে, আর বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠছে।
আলতো একটু তন্দ্রামতো এসে থাকবে। হঠাৎ একটা অচেনা আওয়াজে তন্দ্রাটা কেটে গেল। ভয় পেয়ে অভি মাকে চেপে ধরল। এবার স্পষ্ট শুনল, কোথা থেকে কিছু যেন নেমে আসছে! কিন্তু কী নামছে, কোথা থেকে নামছে বুঝতে পারল না। মাকে ডাকতে চেয়েও ডাকতে পারছে না। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ! মাকে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ঠেলতে শুরু করল অভি। হলে কী হবে, মায়ের ঘুম ভীষণ গাঢ়। সহজে ভাঙতে চায় না। দিদা তো বলে, ‘মোষের ঘুম’। বলার কারণ আছে। তার মতো বয়সে মা দুপুরে একবার এমন ঘুমিয়ে পড়েছিল যে, দরজার লক ভেঙে মাকে ঘুম থেকে তুলতে হয়।
ভয়ে মাকে আরও চেপে জড়িয়ে ধরল অভি। পাশ ফিরে বাবার দিকে ঘুরতেও সাহসে কুলোল না। কী যে করা যায় এখন! হে গণেশ, হে শিব, হে কৃষ্ণঠাকুর তোমরা তো কার্টুন ছবিতে অনেকভাবে অনেককে সাহায্য কর। আমাকেও যদি সাহায্য করো এখন!
– কী ব্যাপার বল তো অভি? সেই শোওয়ার পর থেকেই খেয়াল করছি তুই কেমন উশখুশ করছিস। মাকে জড়িয়ে জড়িয়ে ধরছিস! কী হয়েছে কী তোর? অন্যদিন তো সাড়া পাওয়া যায় না।
অভি যা কোনওদিন করে না, তাই করে বসল। পাশ ফিরে বাবাকে জড়িয়ে ধরে ‘ভ্যাঁ’ করে কেঁদে ফেলল। বাবা তাকে বুকে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আস্তে করে জিজ্ঞাসা করল,
– কী হয়েছে বলবি তো? এত কান্নারই বা কী আছে? নাক টানতে টানতে ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে অভি বলল,
– বাবা, আমার খুব ভয় করছে!
– কেন? কী হয়েছে? ভয় করছে কেন?
আসল কারণটা বলবে কিনা ঠিক করার আগেই সেই আওয়াজটা আবার শুনতে পেয়ে অভি আতঙ্কিত গলায় বলল,
– বাবা, ওই দেখো! আবার…!
– কী, কী? কী ‘ওই দেখো আবার’?
– আওয়াজটা শুনতে পেলে না তুমি…!
বাবা এবার ‘হা হা’ করে হেসে উঠল।
– ওহ্, এই জন্য তোর এত ভয়! দূর দূর, ও কিছুই নয়। ভেন্টিলেটর দিয়ে কেবল লাইনের যে-তারটা টিভির সেট টপ বক্সে লাগানো আছে, সেটা দিয়ে নেংটি ইঁদুর ওঠানামা করছে। এই তুই বীরপুরুষ! নেংটির ভয়ে কিনা কুপোকাৎ?
– তুমি ঠিক জানো বাবা, ওগুলো নেংটি?
নিশ্চিত হতে চায় অভি।
– হ্যাঁরে বাবা, হ্যাঁ। এই দেখ নিজের চোখেই দেখ…
বলে বাবা সোজা টর্চের আলো ফেলে কেবলের তারের ওপর। বাবার বুক থেকে মুখ তুলে অভি দেখে সত্যিই একটা নেংটি সেটা বেয়ে সড়সড় করে নেমে যাচ্ছে নীচে, টিভির পিছনে অন্ধকারে।
হঠাৎ একটা অচেনা আওয়াজে তন্দ্রাটা কেটে গেল। ভয় পেয়ে অভি মাকে চেপে ধরল। এবার স্পষ্ট শুনল, কোথা থেকে কিছু যেন নেমে আসছে! কিন্তু কী নামছে, কোথা থেকে নামছে বুঝতে পারল না। মাকে ডাকতে চেয়েও ডাকতে পারছে না। ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ! মাকে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ঠেলতে শুরু করল অভি। হলে কী হবে, মায়ের ঘুম ভীষণ গাঢ়। সহজে ভাঙতে চায় না। দিদা তো বলে, ‘মোষের ঘুম’।
এর দু’দিন পর একটা বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে শুতে বেশ রাত হয়ে গেল অভিদের। বিয়েবাড়িতে অভির প্রিয় ডিশ চিলিচিকেন আর আইসক্রিম হয়েছিল। অভি তারিয়ে তারিয়ে খেয়েছিল। আইসক্রিম তো একটার বদলে দুটো। ভরপেট্টা খেয়ে সহজে ঘুম আসতে চাইছিল না। মা অবশ্য বিছানায় পড়েই ঘুমিয়ে কাদা। বাবারও আজ খুব পরিশ্রম গেছে। তাই ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু অভি জেগে শুয়ে রয়েছে।
হঠাৎ সেই আওয়াজ! অভি প্রথমে একটু চমকে গিয়েছিল। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে সামলে নিয়েছে। নেংটিদের আনাগোনা শুরু হল তাহলে! বালিশের পাশ থেকে টর্চটা নিয়ে কেবলের ওপর আলো ফেলতেই দেখল একটা নেংটি কেবল বেয়ে উঠে যাচ্ছে। বেশিক্ষণ আলো জ্বেলে রাখতে ভরসা পেল না অভি। বাবার ঘুম ভেঙে যাবে। তবে যতক্ষণ আলো জ্বালা ছিল সে খেয়াল করেছে কোনও নেংটি কেবল দিয়ে আর ওঠানামা করেনি।
এটা বুঝতে অবশ্য অভির বেশ কয়েকরাত সময় লেগেছিল যে, নেংটি আসলে একটাই এবং আলো না-নেভা পর্যন্ত সে বেচারা কিছুতেই ভেন্টিলেটর থেকে তার বেয়ে নীচে নামে না। আর আলো জ্বললেই সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়। কোনও রাতে একই সময়ে দু’জায়গায় কোনও কিছু কাটার আওয়াজ যে পাওয়া যায় না, সেটা অভি খেয়াল করেছে। টর্চের আলোয় সে কখনওই একটার বেশি নেংটি দেখতে পায়নি। সাত-আটদিন পর অভি নিশ্চিত হল, একটা নেংটিই ঘরে আসে এবং এটা দেখে নিজেই অবাক হয়ে গেল যে এখন নেংটিটাকে দেখলে সে চিনতেও পারে! এখন যখনই নেংটিটাকে দেখে, সে আরও নিশ্চিত হয় যে, প্রথমদিন থেকে এই নেংটিকেই সে দেখে আসছে।
বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে শুতে বেশ রাত হয়ে গেল অভিদের। বিয়েবাড়িতে অভির প্রিয় ডিশ চিলিচিকেন আর আইসক্রিম হয়েছিল। অভি তারিয়ে তারিয়ে খেয়েছিল। আইসক্রিম তো একটার বদলে দুটো। ভরপেট্টা খেয়ে সহজে ঘুম আসতে চাইছিল না। মা অবশ্য বিছানায় পড়েই ঘুমিয়ে কাদা। বাবারও আজ খুব পরিশ্রম গেছে। তাই ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু অভি জেগে শুয়ে রয়েছে।
এখন প্রতি রাতেই অভি নেংটির সাড়া পায়। নেংটি ঘরে ঢুকলেই তার ঘুম ভেঙে যায়। কেবলের তার বেয়ে ওঠানামার আওয়াজ, কোনওকিছু কাটার কুটকুট শব্দ শোনার জন্য যেন অভি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে, বন্ধু বাড়িতে এলে যেমন ভাল লাগে, মজা হয়, তেমন নেংটি ঘরে এলেই তার মনে একটা অদ্ভুত আনন্দ হতে থাকে। নেংটিকে বড় ভাল বন্ধু মনে হয়। তার তো তেমন কোনও ‘ক্লোজ় ফ্রেন্ড’ নেই, যা আছে সব মামুলি ব্যাচমেট। স্কুল, চেস ক্লাব, ড্রয়িং ক্লাস, ড্যান্স ফ্লোরের সেইসব বন্ধুরা যত না ফ্রেন্ড, তার থেকে বেশি কম্পিটিটর। আশপাশের কোনও বাচ্চা তার সঙ্গে খেলা করে না, কোনও বাচ্চা আসেই না তাদের বাড়ি। সে-ও কারও বাড়ি খেলতে যায় না। আর একসঙ্গে খেলা না-করলে বন্ধুত্ব হয় নাকি!
বাড়িতেও সে একা। তার দাদা-দিদি ভাই-বোন কেউ নেই। যাক, এতদিন পর নেংটিকে পেয়ে তার প্রকৃত বন্ধুর অভাব মিটেছে। হোক না নেংটি, বন্ধু তো! সেই নেংটি বন্ধু প্রতি রাতে নিয়ম করে অভির কাছে আসে, ঘুম ভাঙিয়ে খেলায় মাতে, আবার খেলার শেষে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এখন বন্ধু নেংটির উপস্থিতিতে দিনের থেকে রাত বেশি ভাল লাগে তার। তার সেই নেংটি বন্ধুকে কিনা মা ধরে মারতে চাইছে! সে মাকে অনেক করে বারণ করলেও, মা কিছুতেই শুনতে চাইছে না। মা ভীষণ জেদি।
অভি ভেবে পাচ্ছে না আজ রাতে কী হবে! আজ যদি মায়ের পাতা ইঁদুরকলে নেংটি একবার আটকায়, তাহলে আগামীকালই তার জীবনের শেষ সকাল। কী করে অভি বাঁচাবে নেংটিকে! প্রথমে ভেবেছিল, শরীর খারাপ বলে বিছানায় শুয়ে ছটফট করবে, তাতে যদি বাবা-মা চিন্তায় পড়ে সারারাত লাইট জ্বালিয়ে রাখে! আগের বছরেই তো জ্বর কিছুতেই কমছিল না বলে মা সারারাত জেগে কপালে জলপটি লাগাচ্ছিল আর বাবা ঘণ্টায় ঘণ্টায় থার্মোমিটারে জ্বর মাপছিল। আলোটা সারারাত জ্বালা ছিল। কিন্তু এখন জ্বর সে কী করে আনবে!
আর অভি নিজেও জানে, জ্বর ছাড়া আর কোনও কিছুই তাকে সেরকম কাবু করে না। অথচ লাইট অফ করলেই যে নেংটি আসবে! মা ঘি মাখানো রুটির টুকরোটা কলের মধ্যে আটকে রেখেছে। এই গন্ধ নেংটির নাকে গেলে ও কলের মধ্যে রুটি খেতে ঢুকবেই। আর রুটি খেতে ঢুকলেই…! অভি আর ভাবতে পারে না। চোখে জল এসে যায়। হয়তো কেঁদেই ফেলত। এমন সময় সেই মিষ্টি খুদের মতো গন্ধ তার নাকে এসে লাগে। বুঝতে পারে, নেংটি এসেছে।

নেংটির চিন্তায় অভি এত বিভোর হয়ে পড়েছিল যে, নেংটির নেমে আসার শব্দ শুনতেই পায়নি। সে ভেবে রেখেছিল নেংটি ঢুকলেই টর্চের আলো সোজা কলের ওপর ফেলবে। আলো পড়া জায়গায় নেংটি যায় না। তাই কলের মধ্যে আলো পড়লে নেংটি নির্ঘাত কলের মধ্যে ঢুকবে না! কিন্তু অভি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেচারা ঘরে ঢুকে পড়েছে! টর্চ অবশ্য অভি চাইলেও বেশিক্ষণ জ্বালিয়ে রাখতে পারত না, বাবার ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে। কুকুর-বিড়ালের মতো নেংটির চোখ জ্বলে না-বলে সে বুঝে উঠতে পারল না নেংটি এখন কোথায়!
জ্বালবে বলে টর্চটা সবে হাতে নিয়েছে এমন সময় খুট করে কলের দরজা পড়ার শব্দ এবং তীক্ষ্ণ কিচকিচ ও ছটফটানির শব্দ! আর রক্ষে নেই! নেংটি বেচারা কলে আটকেছে। আসন্ন বন্ধুবিচ্ছেদের যন্ত্রণা অভিকে এমন বেকুব বানিয়ে দিল, সে টর্চটা জ্বালতেই ভুলে গেল! বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়েছিল। অবশেষে উঠল। সিদ্ধান্ত সে নিয়েই ফেলেছে। যেমন করে হোক নেংটিকে বাঁচাতেই হবে। মনে জেগে ওঠা অদ্ভুত সাহসে ভর করে সে খাট থেকে নীচে নেমে কলের ওপর টর্চের আলো ফেলে এগিয়ে গেল। নেংটি কি তাকে দেখতে পাচ্ছে! এত কাছ থেকে অভি কোনওদিন নেংটিকে দেখেনি! নেংটির চোখগুলো যে আলো পড়লে এত ঝকঝক করে এবং এত দ্রুত এদিক-ওদিক ঘোরে তার জানা ছিল না। সে দেখে মুগ্ধ হল। তার মনে হল নেংটি বেচারা তাকেই খুঁজছে।
– তোর চিন্তা নেই নেংটি, তোকে আমি বাঁচাবই।
মনে মনে উচ্চারণ করল অভি। এখন নেংটিকে বাঁচানোর একটাই উপায়! যেন তেন প্রকারেণ কলের দরজাটা তোলা। দরজা তোলার একটা কায়দা আছে। মা কেমন ঝট করে তুলে রুটির টুকরোটা ভিতরে লাগাচ্ছিল। তখন যদি সে ভাল করে দেখে রাখত! এখন কি সে তুলতে পারবে দরজাটা? এদিকে টর্চ জ্বেলে রাখার বিপদ আছে! কিন্তু টর্চ না-জ্বেলে অন্ধকারে সে কীভাবেই বা দরজা তোলার চেষ্টা করবে! এ যে উভয় সঙ্কট!
টর্চটা জ্বেলে রেখেই কলটা ধরে অভি দরজাটা তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই পারছে না! এদিকে নেংটি যেন খুব আশা নিয়ে তার মুখের দিকেই তাকিয়ে। টর্চের আলো ক্রমশ কমে আসছে। নভেম্বরের হালকা শীতেও অভি একটু একটু করে ঘামছে। টর্চের আলোটা মিনমিন করতে করতে অবশেষে নিভে গেল। এতক্ষণ উবু হয়ে বসেছিল। আলোটা নিভে যেতেই অভি হতাশ হয়ে ধপাস করে বসে মুখ ঢাকল।
কতক্ষণ যে এভাবে মুখ ঢেকে বসেছিল, অভি জানে না। হঠাৎ জোরালো আলোর অনুভূতিতে চোখ চেয়ে দেখল ঘরে টিউবলাইট জ্বলছে। মা তার পাশে বসে কলের দরজাটা তুলে দিয়ে নেংটিকে পালিয়ে যেতে দিচ্ছে। বাবা বিছানা থেকে তাকিয়ে সব দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। এসবই স্বপ্ন মনে হয় অভির! মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। মা অভিকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ‘খুশি তো? এবার ঘুমিয়ে পড়।’
*ছবি সৌজন্য: wallpaperflare, fineartamerica
পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।
2 Responses
naam dekhe monta ektu khunt khunt korchilo…bacchader jonyo lekha,kamon lagbe ke jane!
kintu porar por galpota bhalo laglo…aro likhben …dhonyobad O nomoskar
আন্তরিক ধন্যবাদ গল্পটির পাঠ-প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার জন্য। পরবর্তী ফেব্রুয়ারিতে ‘কিশলয়’ বিভাগে রয়েছে আমার লেখা দু’টি শিশুতোষ ছড়া। পড়লে আনন্দিত হব।