Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

নাও ছাড়িয়া দে

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

এপ্রিল ২৯, ২০২৫

Boat
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close
(Boat)

ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন, “বদর বদর গাজী, মুখে সদা বলে মাঝি।” বদর পীর হলেন জল আর নাওয়ের অভিভাবক। মাঝিমাল্লারা নদী কিংবা গভীর সমুদ্রে তাঁর নাম করে পাড়ি জমায়। কার্ত্তিক মাসের সকালে সেই “ছোট্” নৌকো যখন ভাসল রূপনারায়ণ নদীর জলে, শক্ত হাতে পঞ্চানন ধরলেন তার হাল। বর্ষার জলে ভরা ছল ছলাৎ পাগলী নদীর ঢেউ। আরও চার জোড়া হাত টান দেয় বৈঠায়। গোমরা আকাশের ছায়া বুকে নিয়ে পড়ে থাকা গভীর জল বৈঠার ধাক্কায় চলকে ওঠে। পঞ্চাননের নির্দেশে উড়ান দেয় নৌকার সাদা পাল। অপ্রশস্ত খাঁড়ির আগল পেরিয়ে এবার সে ভেসে যায় নদীর দিগন্ত ছোঁয়া বিস্তৃতির মাঝে। আনন্দ, উল্লাশে ফেটে পড়ে কচিকাঁচার দল। পঞ্চাননের শক্ত চোয়াল বেয়ে নামে খানিক হালকা হাসি। মনে মনে স্মরণ করেন তিনি বদর পীরকে। অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে আসে “দরিয়ার পাঁচ পীর বদর বদর”! (Boat)

ছবি বদলের ছবি: সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

পঁচিশ তিরিশ বছর আগে পঞ্চানন শেষ বানিয়েছিলেন ছোট্ নৌকা। তারপর রূপনারায়ণ দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। নদীমাতৃক দেশে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী পারাপারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বাঙলার নদী, খাল, বিল, সাগরে যে সব জলযান ভেসে বেড়াত একসময়, কমেছে তার সংখ্যা। একেবারেই দেশজ পদ্ধতিতে, লোকপ্রযুক্তির প্রয়োগে তৈরি এসব জলযানের অঞ্চল ভেদে যেমন ছিল আকৃতিগত পার্থক্য, তেমনই নাম বৈচিত্র্য- পানসি, পাতিলা, ডোঙা, বজরা, সালতি, উলাখ, হোলা, বালাম, ছিপ, ছোট্, ময়ূরপঙ্খী, গয়না, গুদারা, গুস্তি এরকম আরও কত কী! আধুনিক প্রযুক্তির ঘাড়ে চেপে বদলে গিয়েছে তাদের চেহারা অথবা অশ্বশক্তির কাছে পরাস্ত হয়ে দিনে দিনে শেষ হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয়তা। (Boat)

ছোট্ নৌকো হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে হারিয়ে গেছে সেই নৌকো বানানোর কারিগর

ছোট্ নৌকো হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে হারিয়ে গেছে সেই নৌকো বানানোর কারিগর, তার মেরামতের মিস্তরিরা। বেশিরভাগ চলে গেছে দীঘা, মন্দারমনি, শঙ্করপুরের সাগরপারে কাজের খোঁজে আর নতুন করে বাঁচবার তাগিদে। অতএব রূপনারায়ণের পশ্চিম পাড়ে ডিহিমন্ডলঘাট গ্রামে পঞ্চাননের কাছে যেদিন এসেছিল নতুন এক ছোট্ নৌকা গঠনের বরাত, ছেলে অমল, মণিমোহন, দিলীপ আর দীপক এবং গাঁয়ের বাসিন্দা দু’একজন দক্ষ কারিগরকে নিয়ে দলবল বানিয়ে ফেলতে সময় লাগেনি তাঁর। ছোট্ নৌকো আর নতুন করে বানানো হয় না| তাই পুরনো নৌকায় জোড়াতালি দিয়ে মেরামতি কাজের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বকর্মার বরপুত্রদের কাছে এ যেন “হেন ডিঙ্গা গঠিবে বিলম্ব নাহি সহে”! (Boat)

Boat
নৌকা বানানোর কাজ শুরু করবার আগে যন্ত্র দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো দেবেন প্রধান কারিগর

রীতি অনুযায়ী নৌকা বানানোর কাজ শুরু করবার আগে যন্ত্র দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো দেবেন প্রধান কারিগর। এই পুজোকে বলা হয় “আহ্নিক পুজো” বা “নৌকো গঠন”-এর পুজো। বাংলা পঞ্জিকা ঘেঁটে এবার নৌকা গঠনের শুভারম্ভের সময় দেখবার পালা। দিন আর তিথি নক্ষত্রের অমৃতযোগে মণ্ডল বাড়ির উঠোনে আজ সাজো সাজো রব। তুলসীতলায় পুব-পশ্চিমমুখো করে রাখা হয়েছে যে কাঠটা, সেটা দিয়ে জলযানের আগা গলুই তৈরি হবে- মুড়িকাঠ নাম তার। অমল নৌকা গঠনের প্রধান কারিগর আর পঞ্চানন ওস্তাদ– দু’জনে পুকুরের জলে স্নান করে নতুন বস্ত্র ধারণ করেন। কাষ্ঠবুড়ির আরাধনায় পুরোহিত অমল নিজেই। কাঠের আগায় সরষের তেল মাখিয়ে সিন্দুরে আঁকলেন পরমেশ্বর পুত্তলিকার পবিত্র চিহ্ন। আম্রপল্লব রেখে তার উপরে ছেটালেন পুকুর থেকে আনা জল। পান সুপারি, ফুল বেলপাতা দিয়ে ছড়ানো হ’ল খানিক ভাত। লাল কাপড়ে কড়ি, হলুদ আর সুপুরি মুড়ে সেই পুঁটুলি বেঁধে দেওয়া হ’ল কাঠের আগায়। কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খ উলুধ্বনি আর ধুপ ধুনো দিয়ে পুজো সমাপনে ছোট একটা কুড়ুল দিয়ে অমল তিনবার কোপ দিলেন কাঠের গায়ে। “জয় গুরু, জয় বাবা বিশ্বকর্মা” ধ্বনি উঠল। (Boat)

Boat
নৌকা তৈরির জন্য সাধারণত নিম, শিরীষ, বাবলা, অর্জুন, সাইবিলাতি গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয়

ওদিকে ডিহিমন্ডলঘাটের দক্ষিণে আমবেড়িয়া ফুটবল খেলার মাঠে তখন এক চাঁদোয়ার নীচে পৌঁছে গেছে নানা মাপের কাঠ, করাত কল থেকে। নৌকা তৈরির জন্য সাধারণত নিম, শিরীষ, বাবলা, অর্জুন, সাইবিলাতি গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয় এই অঞ্চলে। কোনওটা নৌকার দাঁড়া, কোনওটা বা গলুই, কোনওটা হাল, কোনওটা বা পানিতরাস (খোল) বানানোর কাজে লাগবে। শুরু হয় নির্মাণের কাজ। (Boat)

ছোট্ নৌকো দু’মুখো। পরিভাষায় একে খোল গড়নের নৌকো বলে। যেহেতু প্রথমে এই নৌকোর খোল তৈরি হয় তাই নৌকার ভেতরের বাঁক-বরাস লাগানো হয় শেষে। এই নৌকোর আর একটা বৈশিষ্ট্য হল নৌকোর দাঁড়া বরাবর অন্যান্য তক্তা আগা-পাছার দিকে সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে চলে। প্রথমে দাঁড়া বাঁধতে হবে। তক্তা মাপ মতো কেটে ভুসির আগুনের তাপে সেগুলো বাঁকিয়ে জোড়া দেওয়া হল আগা গলুই (stempost বা prow), পাছা গলুই (sternpost)-এর সঙ্গে। ছোট্ নৌকার শরীরের প্রথম অবয়ব বোঝা যায় এবার। শুরু হয় দাঁড়ার সঙ্গে তক্তা জোড়ার কাজ। খোলের মাপ অনুযায়ী দাঁড়ার দুদিকে দৈর্ঘ্য বরাবর খাঁজ কেটে তক্তা জোড়া হয়। প্রথমে জাঁত দিয়ে (lever) তক্তা আর দাঁড়া কাছাকাছি এনে তার মধ্যে দু’ফলা পেরেক “জোলই” দিয়ে হয় জোড়ার কাজ (stapling)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় বেড়া জোলইয়ের জোড়া মজবুতির কথা মাথায় রেখে। এভাবেই একটু একটু করে তৈরি হবে খোল। (Boat)

Boat
ছোট্ নৌকোর আধাগড়া শরীরখানা পড়ে থাকে নদীর পাড়ে

প্রতিদিনের কাজ শেষে ঘরে ফেরা। আশ্বিনের আকাশ জুড়ে এখনও চলেছে বর্ষার মেঘের খেলা। তার সঙ্গে মেশে গোধূলির আলো। রূপনারায়ণের জলে তার ছায়া পড়ে। সাঁঝবেলায় নৌকা তৈরির কারখানা ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করে, গলুই আর খোলের গায়ে ধুপকাঠি জ্বেলে প্রণাম করে কারিগরের দল বাড়ি ফিরে যায়। ছোট্ নৌকোর আধাগড়া শরীরখানা পড়ে থাকে নদীর পাড়ে আরেক ভোরের অপেক্ষায়। (Boat)

দাঁড়ার দুপাশে ছয় নম্বর তক্তার জোড় হওয়ার পর শুরু হয় প্রয়োজন মতো খাদি মারা অর্থাৎ শক্ত কড়িকাঠ লাগানো দুদিকের খোলের ভিতরের দেওয়ালে ভাশান ফুলির সীমা অবধি অর্থাৎ জলযানের যতটা অংশ জলে ডুবে থাকে। এটা দরকার নৌকার দ্বিপ্রতিসমতা বজায় রাখবার জন্য যাতে জলে ভাসবার সময় যেন তার ভরকেন্দ্র ঠিক থাকে। নৌকা একদিকে হেলে গেলেই বিপদ। ছোট্ নৌকোর আর একটা বৈশিষ্ট্য হল নৌকোর দাঁড়া বরাবর অন্যান্য তক্তা আগা ও পিছনের দিকে সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলে। প্রতিটি তক্তার দু’প্রান্ত (মাথা ও পিছন দিকে) উন্মুক্ত থাকে এবং একদম ওপরের দুটো তক্তার সার যাকে ডালি এবং নব ডালি বলে, এই উন্মুক্ত তক্তার মাথাগুলোকে স্পর্শ করে দাঁড়ার মাথার ওপর দিয়ে ঘিরে রাখে। দশম তক্তার গড়নের পরও নবডালি ও ডালি থাকে। ১২ তম তক্তার সার অন্যান্য তক্তার থেকে বেশি পুরু হয় এবং আগাপাছার দাঁড়ার তক্তাকে বিশেষ ধরনের সাঁদ দিয়ে (খাঁজ কেটে) জোড়া থাকে। (Boat)

Boat
তৈরি হয় সামনের আর পিছনের “বিছানি” যা আসলে যাত্রী ও মাঝি মল্লাদের বসবার জায়গা

একেই বলে লোকপ্রযুক্তি। আমরা যা পড়ি গণিত, পদার্থবিদ্যা, বলবিজ্ঞান বা গতিবিজ্ঞান বইয়ের পাতায়, এরা তার পাঠ নেয় প্রকৃতির কাছে, ব্যবহারিক জীবনে। অধীত সেই জ্ঞান এক প্রজন্ম দিয়ে যায় পরের প্রজন্মকে জীবিকার প্রয়োজনে। প্রযুক্তির তত্ত্ব আসে গুরুমুখি বিদ্যার হাত ধরে। মাত্রা, আয়তন, ভর, ওজন প্রভৃতি পরিমাপের জন্য কাজে লাগে community mathematics এর সহজ সরল হিসেব অথবা চোখের আন্দাজ। (Boat)

আশ্বিনের মাঝে আসে দুর্গা পুজো। ছোট্ এর কাজ এগিয়ে চলে। নৌকার খোলের ভিতর দিকে ২৫ ইঞ্চি ব্যবধানে প্রস্থ বরাবরতক্তা (গুরা) লাগানো চলেছে। গুরার সংখ্যা নির্ভর করে নৌকার দৈর্ঘ্যের উপরে। গুরার মাঝে মাঝে খোলের দেওয়াল থেকে মেঝেতে লাগানো হয় অর্ধচন্দ্রাকৃতি কাঠ (বাড়া) আর তার ফাঁকে ফাঁকে তলদেশের সঙ্গে লাগানো হয় কাঠের খণ্ড (বাঁক)। তৈরি হয় সামনের আর পিছনের “বিছানি” যা আসলে যাত্রী ও মাঝি মল্লাদের বসবার জায়গা। একদিন তৈরি হল কাঠ খোদাই করে দুই কুমিরের মুখ- ‘মকর আকার মাথা/ গজেক অন্তর বাতা/ মাণিকে করিল চক্ষুদান’। বসল তারা নৌকার সামনে দুদিকে, গলুইয়ের পাশ ঘেঁষে। সারাদিন হাতুড়ির ঠুক ঠাক আওয়াজ জানান দিয়ে যায় “বন্দরের কাল হল শেষ”- এবার “তরী নিয়ে দিতে হবে পাড়ি”! শেষ পর্যায়ে আসেন গাওনি মিস্ত্রি- রঞ্জন, আশীষ আর ধীরেন। নৌকার তক্তার জোড়ের মাঝখানে যে অজস্র ফাঁক থেকে গেছে, তা ভরাট করা হয় তুলোর পটি দিয়ে আর তার ওপরে তুলি দিয়ে লাগানো হয় গাবের আঠার আস্তরণ। সাদা মোটা কাপড়ের পাল সেলাই করে দেন পাল নির্মাতা কৃষ্ণ চন্দ্র ও শ্যামসুন্দর। (Boat)

Boat
এবার তাকে সম্প্রদানের পালা তার মালিকের হাতে

খাতার পাতায় নক্সা কেটে, ছবি এঁকে তৈরি হয়েছিল যে কল্পনায় আজ বাস্তবে সেই ছোট্ নৌকো দাঁড়িয়ে বাঁশ আর কাঠের গুঁড়ির উপরে। একটু একটু করে সেজেছে সে তাদের হাতে; পেয়েছে তার রূপ, যৌবন। এবার তাকে সম্প্রদানের পালা তার মালিকের হাতে। কয়েকদিন আগে এক শুভ সময়ের সন্ধিক্ষণে ‘নৌকা চলন’ এর পুজো করে সে কাজটি সেরে ফেলেছেন অমল। আজ নৌকা জলে ভাসবে। গ্রামবাসীরা তাকে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ের কিনারায় টেনে নিয়ে যায়। ক্রমশ নৌকা নেমে আসে ঢাল বেয়ে; ঠেলা খেয়ে এবার সে তরতরিয়ে নেমে যায় জলের উপরিভাগে। (Boat)

হিন্দুদের বিশ্বাস জলযানের বৈঠা ধরেন ব্রহ্মা, হাল ধরেন মহেশ্বর আর জলযানে বসে নজর রাখেন বিষ্ণু। যাত্রারম্ভে তাই নৌকা পুজো করবার রীতি। যাদের হাতে তৈরি হল এই জলযান তারা স্নান করে নতুন বস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে উপস্থিত। প্রধান কারিগর হিসেবে পুজো হবে অমলের পৌরোহিত্যে। সামনের গুলুই গঙ্গাজলে ধুয়ে তাতে তেল-সিন্দুর গোলা দিয়ে আঁকা হয় “ওঁ” চিহ্ন। আম্রপল্লব রেখে লাল পার সাদা শাড়িতে জড়িয়ে দেওয়া গলুইয়ের মাথা। লাল জবার মালা দিয়ে সাজানো হয় তাকে। শাঁখা, পলা, সিন্দুর, আলতা, চিরুনি, আয়না করা হয় উৎসর্গ। পিতলের কলসি থেকে কাঁচা দুধ আর ডাবের জলে ভিজিয়ে দেওয়া হয় আগা গলুই আর নৌকার মাঝখানের খানিক অংশ। এ যেন ঘরের মেয়েকে বিদায় দেওয়ার বেলা। ধুপ ধুনোর গন্ধে আর শাঁখ, কাসর-ঘণ্টার আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। এক মাস দশ দিনের মাথায় ছোট্ নৌকো পাল তুলে ভাসে টইটুম্বুর রূপনারায়ণের জলে। (Boat)

এক মাস দশ দিনের মাথায় ছোট্ নৌকো পাল তুলে ভাসে টইটুম্বুর রূপনারায়ণের জলে

অমল, পঞ্চানন এবং তার দলবল যদি এই ছোট্ নৌকার কারিগর হন, তবে স্বরূপ এর কাণ্ডারি। ডাঃ স্বরূপ ভট্টাচার্য পেশায় প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং এক দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নৌ- ইতিহাস, গঠনতন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন। ছোট্ নৌকা গঠনের এই প্রোজেক্টটি আসলে ইংল্যান্ডের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং অর্থানুকূল্যে হয়েছিল। তিনি ছাড়াও আরও দু’জন ছিলেন এই গবেষণা নির্ভর প্রোজেক্টে। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আর্কিওলজি ও আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর জন পি.কুপার এবং সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজির স্নাতক ডঃ জিশান আলী শেখ। প্রত্যেকেরই ভারত মহাসাগরীয় নটিক্যাল হেরিটেজ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে গবেষণায় আগ্রহ। তারই ফলশ্রুতি হারিয়ে যাওয়া ছোট্ নৌকার ইতিহাসকে আরেকবার নতুন করে ফিরে দেখা। (Boat)

কথা ছিল, ডিহিমন্ডলঘাটের পিত্রালয় থেকে ছোট্ যাবে গুজরাটের লোথালে– যা সিন্ধু সভ্যতাকালের অন্যতম বন্দর নগরী। সেখানে নির্মীয়মান ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্সে সে সংরক্ষিত হবে আগামীর জন্য। অনেক সময় পেরিয়ে অবশেষে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে নৌকাটিকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ কলকাতায় নিয়ে এসেছেন স্থলপথে।
এবার তার অপেক্ষার দিন গোণা! (Boat)

ছবি এবং তথ্য ঋণ: ডাঃ স্বরূপ ভট্টাচার্য

Author Saptarshi Roy Bardhan

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।

Picture of সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।
Picture of সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com