(Charlie Chaplin) ‘চার্লি চ্যাপলিন’ এই শব্দ কানে এলেই এক ঝলক মনের মধ্যে উদয় হয় কালো কোট, টুপি পরে হাতে ছড়ি নিয়ে ভবঘুরে এক চরিত্রের কথা। এই চরিত্র হাসির ছলে শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মনের ব্যথা, তাঁদের অসহায় অবস্থা প্রকাশ করে। হতাশাগ্রস্থ জীবনে এই হাসি অমূল্য। তাঁর মৃত্যুর এতগুলো বছর পরও, আজ সমগ্র বিশ্বেই চার্লি চ্যাপলিনের গ্রহণযোগ্যতা গগণচুম্বী।

তাঁর পুরো নাম স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন। চার্লি চ্যাপলিন নামেই তিনি বিশেষ পরিচিত। ১৬ই এপ্রিল ১৮৮৯ সালে, লন্ডনের ইস্ট স্ট্রিটে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মা দুইজনই ছিলেন সংস্কৃতি মনস্ক। তাঁর শৈশব কেটেছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে। ১৯১০ পরবর্তী সময়ে তিনি প্রথম আমেরিকায় এসেছিলেন। যদিও কিছু মাসের ব্যবধানে আবার লন্ডনে ফিরে যান। ছেলেবেলায় গান, নাচ, মূকাভিনয় শিখেছিলেন তাঁর মায়ের কাছেই। পরবর্তী জীবনে এসব কিছুরই ব্যাপক প্রভাব পড়ে তাঁর সমগ্র জীবন জুড়ে। (Charlie Chaplin)
আরও পড়ুন: সংগ্রাহক শিরোমণি পরিমল রায়
বিবিধ গুণের অধিকারী চার্লি চ্যাপলিন, এযাবৎ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও পরিচালক। তিনিই প্রথম ব্যক্তিত্ব, যিনি চলচ্চিত্রকে শিল্পকর্মের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্র ‘দ্যা ট্রাম্প’ এক সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র চরিত্র। ১৯১৪ সালে যার প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে। তাঁর ‘এ ওম্যান অফ প্যারিস’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯২৩ সালে। ‘দি গোল্ড রাস’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯২৫ সালে। ‘দি সার্কাস’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯২৮ সালে। ১৯৩৬ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘মডার্ন টাইমস’, যেখানে চ্যাপলিনের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যদিও এটিকে নির্বাক চলচ্চিত্রের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৪০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘দি গ্রেট ডিক্টেটর’ হল চ্যাপলিনের প্রথম সবাক ছবি। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি অস্কারের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচনা এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। (Charlie Chaplin)

‘গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবির শেষে নাপিত চার্লির যে বক্তৃতা, তাতে রূপ পেয়েছিল গণতন্ত্র সম্পর্কে চ্যাপলিনের প্রবল আস্থা। সে ছবি নির্মিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে। তার পরের ইতিহাস বদলে গেছে অনেকটাই, যুদ্ধের আগেই অবশ্য চ্যাপলিনকে জানতে হয়েছিল, তাঁর প্রিয় ও আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র কী চেহারা নিচ্ছে- ফ্যাসিবাদের সূত্রপাতেই আমেরিকায় তাঁর অভ্যর্থনা সঙ্গীত শুনেছিলেন তিনি। আর যুদ্ধ পরবর্তী আমেরিকা মেনে নিতে পারল না তাঁকে, বিতাড়িত চ্যাপলিনকে নতুন আশ্রয় খুঁজতে হল ইউরোপে। বদলে যাচ্ছিল সেখানকার সমাজও। সেই বদলের স্বীকৃতি আছে ‘এ কিং ইন নিউইয়র্ক’ চলচ্চিত্রের শুরুতেই। (Charlie Chaplin)
আরও পড়ুন: মদিরা ও সত্যজিতের ফিল্মি চরিত্ররা
‘দি গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবিতে ভবঘুরের চরিত্রটি অনেক আস্থা নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে দেখা যায় যে তিনি খামোখা হাসিতে ভরিয়ে তোলেননি, কাঁদিয়েছেন, চিন্তা করিয়েছেন, সব থেকে বড় কথা এই বিশ্বকে পরিবর্তন করার প্রেরণা জুগিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে মুক্তি প্রাপ্ত ‘ওয়ান এ এম’, ‘দি পাওনশপ’, ‘দি অ্যাডভেঞ্চার’ এসকল চলচ্চিত্রেও তিনি যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরিক ক্যাম্পবেল, হেনরি বার্গম্যান, অ্যালবার্ট অস্টিন প্রমুখদেরকে নিয়ে তিনি তাঁর নিজস্ব দলও বানিয়েছিলেন। ১৯১৯ সালে ম্যারি পিকফোর্ড, ডগ্লাস ফেয়ারব্যাঙ্ক, ডি গ্রিফথ প্রমুখ মুষ্টিমেয় বন্ধুদের নিয়ে তিনি ‘ইউনাইটেড আর্টিস্ট’ নামে একটি চলচ্চিত্র কোম্পানি গড়ে তোলেন, যা কেবলমাত্র চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালকদের দ্বারাই সক্রিয় হয়ে ওঠে। (Charlie Chaplin)
তিনি খামোখা হাসিতে ভরিয়ে তোলেননি, কাঁদিয়েছেন, চিন্তা করিয়েছেন, সব থেকে বড় কথা এই বিশ্বকে পরিবর্তন করার প্রেরণা জুগিয়েছেন।
এই কোম্পানির ছাতার তলায় তিনি তাঁর বহুল প্রচারিত চলচ্চিত্র ‘এ ওম্যান অফ প্যারিস’, ‘দি গোল্ড রাস’, ‘দি সার্কাস’, ‘সিটি লাইটস’ এবং ‘দি গ্রেট ডিক্টেটর’ প্রস্তুত করেন। তাঁর চলচ্চিত্রে তিনি কেবলমাত্র অভিনেতা ও পরিচালকই ছিলেন না, এছাড়াও চলচ্চিত্রের ভাষ্যরূপ ও সঙ্গীত সম্পাদনার কাজ নিজেই করেছেন। একথা বহু মুখে ঘুরে বেড়ায়, ১৯৩৬ সালে চ্যাপলিন সৃষ্ট চরিত্র চার্লির মৃত্যু ঘটেছিল। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য। ১৯৩৭ সালে চ্যাপলিন যখন প্রয়োজন অনুভব করলেন যে তাঁর চার্লির পরিবর্তন ঘটানো জরুরি হয়ে উঠেছে তখন তিনি শব্দ ব্যবহার করলেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত সৃষ্টিতে তাঁর অবদান অনন্যতার দাবীদার। (Charlie Chaplin)

চ্যাপলিনের শেষ আমেরিকান চলচ্চিত্র ‘লাইমলাইট’, চরিত্রগত দিক থেকে রাজনীতির থেকে বেশি আত্মজীবনীমূলক ঘটনাতেই সম্পৃক্ত ছিল। ১৯৫২ সালের চলচ্চিত্র ‘লাইম লাইট’-এর কোরিওগ্রাফ ও ১৯২৮ সালের চলচ্চিত্র ‘দি সার্কাস’-এর সঙ্গীত সৃষ্টিকর্তাও তিনিই। তাঁর চিত্র সম্বলিত আত্মজীবনী ‘মাই লাইফ ইন পিকচার্স’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। তাঁর এই বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে রয়েছেন দুনিয়ার চার্লি চ্যাপলিন। (Charlie Chaplin)
চার্লি চ্যাপলিনের ব্যক্তিগত জীবনও বেশ বর্ণময়। প্রেমিক চার্লি তৎকালীন সময়ের মহিলা মহলের যে মন জয় করেছিলেন তা আজ ইতিহাস। তাঁর প্রেমিকা, বান্ধবী, স্ত্রী এসবের তালিকা বেশ দীর্ঘ। হেট্টি কেল্লির, এডনা পারভিয়ান্সি, মিলডারড হ্যারিস, পোলা নেগ্রি, ম্যারিওন ডেভিস, লিটা গ্র্যে, ম্রেনা কেনেডি, জর্জিয়া হ্যালে, লুইস ব্রুক্স, পলিট্টি গোডড্র্যাড, জোয়ান ব্যারি প্রমুখ মহিলার সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রণয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর একাধিক বিবাহ সম্পর্ক থাকলেও ১৯৪৩ সালের ১৬ই জুন ওনা ও’নেইল –এর সঙ্গে, তিনি শেষ বিবাহ বন্ধনে জড়িয়ে পড়েন। নিজে স্বীকারও করেছেন ওঁর ভালোবাসায় তিনি পরিপূর্ণতা লাভ করেছিলেন। তাঁর মতো সৃষ্টিশীল প্রেমিক পুরুষের সঙ্গে জড়িয়ে সবকিছুই আজ ইতিহাস। (Charlie Chaplin)

সমগ্র বিশ্ব জুড়ে তিনি যে সম্মান ভালোবাসা পেয়েছেন তাতে তাঁর জীবনকাল ঋদ্ধ হয়ে উঠেছিল। যদিও কম অপমান ও প্রত্যাখানের সম্মুখীন তিনি হননি। সবকিছুকেই জীবনে হাসি মুখে গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড সম্মানে সম্মানিত হন। চ্যাপলিন তাঁর জীবদ্দশায় তিনটি অ্যাকাডেমিক পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে তাঁর জীবনের ৮৫ বছর বয়সে ব্রিটিশ মহারাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের থেকে নাইট কম্যান্ডার সম্মানে সম্মানিত হন। তিনি চলচ্চিত্রকে একটি মূকাভিনয় শিল্পকলা হিসাবে প্রতিপন্ন করেছিলেন। সম্মানের সঙ্গে সঙ্গে অসম্মান প্রাপ্তিযোগও জীবনে কম হয়নি। একটা সময় তাঁর চলচ্চিত্র ‘লাইম লাইট’ আমেরিকায় প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার প্রথম যুদ্ধকালীন সময়কালে ব্রিটিশ সংবাদপত্র কর্তৃক সমালোচিত হয়েছিলেন, সেনাদলে যোগদান না করার জন্য। (Charlie Chaplin)
আরও পড়ুন: সিনেমা যখন মানুষতন্ত্রের আয়না
ষাটের দশকের শেষ সময় থেকেই তাঁর শরীরস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। চ্যাপলিনের জীবনে বিবিধ স্রোতের সমাহার থাকলেও ওনা-ই তাঁর শেষ জীবনে প্রকৃত আনন্দ বয়ে এনেছিলেন। তাঁদের আট সন্তান ছিল। কিন্তু তাঁর জীবনের আরও একটি ভয়ঙ্কর মোড় ছিল। কমিউনিস্ট চিন্তাধারার সমর্থক হওয়ার দরুণ তাঁকে অভিযুক্ত হতে হয় এবং তাতে তাঁকে জীবনে বিভিন্ন সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। তাঁর গগণচুম্বী সাফল্য ও খ্যাতি স্বত্বেও আমেরিকা ছেড়ে যেতে হয়। শেষ জীবন, স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডেই কাটান। ১৯৭৭ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের ভেভেইতে ঘুমের মধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে চিরনিদ্রা লাভ করেন পৃথিবীর অন্যতম এই নক্ষত্র। উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালের ১লা মার্চ তাঁর মৃতদেহ চুরি করে একদল সুইস চোর। যদিও ঘটনার এগারো সপ্তাহ পর জেনেভা লেকের কাছে থেকে তা উদ্ধার করা হয়। তারপর মাটির ছয় ফুট গভীরে কংক্রিটের গাঁথুনি দিয়ে তাঁকে আবারও সমাধিস্থ করা হয়। (Charlie Chaplin)

সমগ্র পৃথিবী জুড়েই ‘চার্লি চ্যাপলিন’ এই নামে যে উন্মাদনা আছে তাতে তাঁকে নিয়ে বিবিধ স্মারক এযাবৎ প্রকাশিত হবে তাই স্বাভাবিক। ক্ষেত্র বিশেষে এসব স্মারক আবার দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্য। অ্যাঙ্গোলা, তুর্কিমিনিস্তান, কঙ্গো, রায়োণ্ডা, কিরঘিজিস্থান, গুয়ানা, মর্ডোভিয়া, চিলি, ট্রুভালু, ইটালি, রোমানিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, অ্যান্টিগুয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া, স্পেন, নিকারাগুয়া, সোমালি রিপাব্লিক, মোন্যাকো, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশের ডাক বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বিবিধ ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় ডাক ও তার বিভাগ কর্তৃক ১৯৭৮ সালের ১৬ই এপ্রিল চার্লি চ্যাপলিন স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়। (Charlie Chaplin)
ইণ্ডিয়া সিকিউরিটি প্রেসের নক্সায় ও মুদ্রণে বহু রঙিন এই ডাকটিকিটটি ত্রিশ লক্ষ্য সংখ্যায়, ২৫ পয়সা মূল্যের হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৩১ সালে লন্ডনে চার্লি চ্যাপলিন ও গান্ধীজির সাক্ষাৎকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে ভারতীয় ডাক বিভাগ থেকে একটি প্রথম দিবসীয় ডাক খামও প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। চার্লি চ্যাপলিন জন্মশতবর্ষ প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে সিনে সেন্ট্রাল ক্যালকাটার পক্ষ থেকে ১৯৮৯ সালের ১৬ই এপ্রিল একটি বিশেষ ডাকখাম প্রকাশ করা হয়েছিল। এসব কিছুই আজ গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহবস্তু। তাঁকে নিয়ে কত যে খেলনা, তাস, চাবির রিং, পোস্টার, পত্রিকা, বিজ্ঞাপন, পোস্টকার্ড ও অন্যান্য স্মারকদ্রব্য প্রকাশিত হয়েছে তার তালিকা অনন্ত। চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে গড়ে ওঠা সুইজারল্যান্ডের ‘চ্যাপলিন ওয়ার্ল্ড’ বিশ্বের পর্যটকদের কাছে, এক অনন্য পর্যটনস্থল। (Charlie Chaplin)

একথা সত্য চার্লি চ্যাপলিনের শিল্প চিন্তা যত বিকশিত হয়েছে, চলচ্চিত্র স্রষ্টা হিসাবে তিনি যত সার্থকতার পথে এগিয়েছেন, ততই তাঁকে বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর চেতনা ছিল ভয়ঙ্কর শক্তিশালী। মেকি নিরপেক্ষতার ভান করে তিনি বাস্তব কে অস্বীকার করেননি। তাঁর চলচ্চিত্রে ক্ষুধা একটা বড় জায়গা জুড়ে থেকেছে। কথা না বলেও যে কত কথা বুঝিয়ে দেওয়া যায় তার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন চার্লি চ্যাপলিন। নিজেকে বিশ্ব নাগরিক হিসাবে ঘোষণা করা চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন- “আসুন আমরা অসম্ভবের জন্যই চেষ্টা করি। মনে রাখবেন ইতিহাসে মহৎ কৃতিত্বগুলো সবই হল যা অসম্ভব মনে হয়েছিল তাকে সম্ভব করা।” (Charlie Chaplin)
সংগ্ৰাহক ও সুন্দরবন বিষয়ক গবেষক,
ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।