Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

কৈশোরের গান

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

অক্টোবর ১৩, ২০২৫

Kishore Kumar
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close
(Kishore Kumar)

মুকুলের বন্ধু নীলু কিডন্যাপ হয় পুজোর আশেপাশেই। বোধহয় ১৯৭১ সাল হবে। এর কয়েক দিন বাদে এক সকালে রজনী সেন রোডের ২১ নম্বর বাড়ির বৈঠকখানায় মিত্র পরিবারে চলছিল জিওমেট্রির জটিলতা নিয়ে ভারী ইন্টারেস্টিং এক আলোচনা। খানিক দূরে নীহার পিন্টুদের বাড়িতে সেবার দুর্গা পুজো। প্যান্ডেল থেকে ভেসে এল ‘কটি পতঙ্গ’ সিনেমার ‘ইয়ে জো মুহব্বত হ্যায়’ গানটা। (Kishore Kumar)

খানিক পরে আবার শোনা গেল ‘জনি মেরা নাম’ এর কী একটা গান। এই দুটো হিন্দি ছবি সেই সময় বাজার মাত করেছে। চল্লিশ দশকের শেষ ভাগ থেকে যে কণ্ঠ হয়ে উঠছিল বলিউডি ফিলম সঙ্গীতের এক ব্যতিক্রমি গায়কি আইকন, সেই গলার নেশায় দেশের মানুষ তখন বুঁদ। সুতরাং সত্যজিৎ রায়ের গপ্পে তাঁর গানের উল্লেখ মোটেই অস্বাভাবিক নয়। (Kishore Kumar)

আরও পড়ুন: ‘শুধুই উত্তম’

আমাদের শৈশবে কিশোরকুমারের গলার ম্যাজিক বয়ে এনেছিল “ইনা মিনা ডিকা” আর “শিঙ নেই তবু নাম তার সিংহ”। বেশিটাই বেতারের সৌজন্যে। বাকিটা উৎসবে পার্বণে গ্রামোফোন আর মাইকের দৌলতে। তখন কানে এই আফ্রো আমেরিকান তাল ছন্দ নতুন ঠেকেছিল। অনেক পরে সাদা-কালো টেলিভিশনের কল্যাণে জেনেছিলাম আদ্যোপান্ত এই “নন সেন্স” লিরিকের গানের শিল্পী আর অভিনেতা একই লোক। (Kishore Kumar)

বাংলা ছবি “পাশের বাড়ি” মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫২ সালে। ষোল বছর পর বোম্বাই তেল মশলা ঝালে ঝোলে নতুন আঙ্গিকে “পরোসন”। সেখানেও কিশোরকুমারের গান এবং অভিনয়। কোনও এক মধ্যবিত্ত পাড়ায় দুই পড়শি বাড়ির মাঝে গড়ে ওঠা মজাদার প্রেম কাহিনির সেতু বাঁধে “মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে” এবং “মেরে প্যায়ারি বিন্দু”! (Kishore Kumar)

Kishore Kumar
আমাদের শৈশবে কিশোরকুমারের গলার ম্যাজিক বয়ে এনেছিল “ইনা মিনা ডিকা” আর “শিঙ নেই তবু নাম তার সিংহ”

সত্তরের দশক থেকে আমৃত্যু সতেরটা বছর দাপিয়ে বেড়ান কিশোর আমাদের শৈশব আর কৈশোরের আঙিনায়। ১৯৭১-এ ডিসেম্বরে দেব আনন্দের “হরে রাম হরে কৃষ্ণ”। জিনাত আমানের খোলা মেলা উদ্দাম যৌবনের মায়ায় যখন দর্শক আচ্ছন্ন, কোথা দিয়ে যেন ঢুকে পড়ে “ফুলো কা তারো কা সবকা কেহেনা হ্যায়” – যা আজও ভাই আর বোনের মধুর সম্পর্কের মিষ্টি এন্থেম। ১৯৭৩ এ “হীরা পান্না”। এখানেও দেব আনন্দ এর নায়িকা জিনাত আমান। আবার কিশোর, সঙ্গে লতা মঙ্গেশকর– “পান্না কি তামান্না”! দেখতে দেখতে ১৯৭৫। ৫ই জুন দেশে জরুরি অবস্থার কালো ছায়া নামে। আশেপাশে কীরকম যেন এক অবিশ্বাসের অচলায়তন। (Kishore Kumar)

“ছেদ পড়ল “কি আশায় বাঁধি খেলাঘর” আর “দিল এইসা কিসি নে মেরা তোরা” এর ভাগ্যে। কে আবার রটালো, “বিপিনবাবুর কারন সুধা” গাইতে গিয়ে “শা-” অপশব্দ উচ্চারণ করাতেই নাকি শিল্পীর এই নির্বাসন!”

১৫ই অগাস্ট রিলিজ করল “শোলে”! ৭০ মিলিমিটার প্রশস্ত পর্দা সঙ্গে স্টিরিও ফোনিক শব্দ প্রক্ষেপণ। লেনিন সরণীর জ্যোতি হলের সামনে ট্রাম বাস চলা বন্ধ হওয়ার যোগাড়। শো এর পর শো হাউজফুল। “শোলে” ভারতীয় ছবির পরম্পরায় এক মাইলস্টোন তো বটেই, সঙ্গে কিশোর কুমারের গলার জাদুতে এবার আবার তৈরি হল অচ্ছেদ্য বন্ধুত্বের এক সাঙ্গীতিক রূপ। মুখে মুখে ছড়িয়ে গেল “ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে!” ৪ঠা মে ১৯৭৬, সঞ্জয় গান্ধীর হাতযশে কিশোর কুমার বেতার, দূরদর্শন থেকে নির্বাসিত হলেন। (Kishore Kumar)

বিবিধ ভারতীর গানের অনুষ্ঠান, সদ্য শুরু হওয়া দূরদর্শনের “চিত্রমালা”-য় কিশোরের গান ব্রাত্য। ১৯৭৪ আর ১৯৭৫ এ “অমানুষ” বাংলা ও হিন্দি ভারশান তৈরি হয়েছিল। ছেদ পড়ল “কি আশায় বাঁধি খেলাঘর” আর “দিল এইসা কিসি নে মেরা তোরা” এর ভাগ্যে। কে আবার রটালো, “বিপিনবাবুর কারন সুধা” গাইতে গিয়ে “শা-” অপশব্দ উচ্চারণ করাতেই নাকি শিল্পীর এই নির্বাসন! (Kishore Kumar)

Kishore Kumar
বাংলা আধুনিক এবং ছায়াছবির গানেও কিশোরকুমার রাজত্ব করেছেন সত্তর আর আশির দশক জুড়ে

১৯৭৭এ শেষ হয় নিষেধাজ্ঞা। শুরু হয় নতুন যাত্রা। “ত্রিশুল”, “ঘর”, “বেমিসাল”, “সিলসিলা”, “ইয়ারানা”, “দর্দ”, “থোড়িসি বেওফাই”– ছবির তালিকা বাড়ে, হৃদয় চলকে কখনও সুখ কখনও বিষাদ নামে কিশোরের গানে। খাতার ছেঁড়া পাতায় লেখা হয় লাল কালিতে গানের দু’কলি। উদাস পাগল মনের প্রতিভূ হয়ে তারা উড়ে বেড়ায় এদিক সেদিক! আমরা মুখিয়ে থাকি পুজো পার্বণের আসা যাওয়ার পথের দিকে চেয়ে– আহা, মাইকে কি একবার কেউ বাজাবে না কিশোরের গান? অন্তাক্ষরীর সূত্রে, কি একবার আসবে না “মেরা জীবন কোরা কাগজ” অথবা “আপ কি আখো মে কুছ” গেয়ে ওঠবার সুযোগ খানিক কিশোর ভঙ্গিমায়! (Kishore Kumar)

রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে কিশোরকুমারের পরের ধাপ তৈরি হয় সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। ১৯৬৪ সালে “চারুলতা”–এ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ঠোঁটে ব্যতিক্রমী কণ্ঠের খোঁজ করেন সত্যজিৎ- তৈরি হয় “আমি চিনি গো চিনি!”

বাংলা আধুনিক এবং ছায়াছবির গানেও কিশোরকুমার রাজত্ব করেছেন সত্তর আর আশির দশক জুড়ে। “এ কী হল” (রাজকুমারী), “ঢলে যেতে যেতে” (লালকুঠি ), “আরও কাছাকাছি” (ত্রয়ী) আর “আধো আলো ছায়াতে” (কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী) গানগুলোর মধ্যে নেই কোনও অবাঞ্ছিত সুরক্ষেপ, কিন্তু আছে এক অদ্ভুত মোহময়তা। ফিল্মি তকমার বাইরে “নয়ন সরসী কেন”, “একদিন পাখি উড়ে যাবে”, “সে তো এল না”, “এই যে নদী”– বহু যুগ পেরিয়ে রয়ে গেছে আমার মতো বাঙালির হৃদয়ের গান হয়ে। (Kishore Kumar)

কিশোরকুমারের, দীর্ঘ এই যাত্রাপথ জুড়ে আছেন আরও অসংখ্য সহ শিল্পী, সঙ্গীতকার, গীতিকার এবং বাদ্যযন্ত্রী। সেইসব উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কদের কারও হাতে লেখা হয়েছে গানের কথা, তৈরি হয়েছে মন কেমন করা সুর। যদিও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কিশোরকুমারের সখ্য খুব একটা গড়ে ওঠেনি তাঁর ছোটবেলায়। খান্ডোয়ার বাড়িতে ৭৮ স্পিডের রেকর্ডের মধ্যে বাংলা গানের কমতি ছিল না– আর তার মধ্যে আবার রবি ঠাকুরের গান সংখ্যাধিক্য। কিন্তু হলে হবে কী, কে এল সাইগল তখন মাথার ভেতরে তোলপাড় করে চলেছেন। সুতরাং একমাত্র সাইগল সাহেবের রেকর্ড বাজলেই কিশোর কান পাতেন– রবি ঠাকুর তাঁর কানে ব্রাত্য! (Kishore Kumar)

আরও পড়ুন: আমি সেই যাযাবর

রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে কিশোরকুমারের পরের ধাপ তৈরি হয় সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। ১৯৬৪ সালে “চারুলতা”–এ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ঠোঁটে ব্যতিক্রমী কণ্ঠের খোঁজ করেন সত্যজিৎ- তৈরি হয় “আমি চিনি গো চিনি!” এর ঠিক কুড়ি বছর পরে– আবার সত্যজিতের ছবি– এবারেও সৌমিত্র, শত সহস্র ব্যস্ততার মধ্যেও কিশোর গেয়েছিলেন রবি ঠাকুরের গান “বিধির বাঁধন” এবং “বুঝতে নারি নারী কি চায়”! বিজয়া রায়ের স্মৃতিচারণে বারবার উঠে আসে কিশোরকুমার সম্পর্কে সত্যজিতের মোহময়তা এবং ভরসার কথা। দুটি ছবির ক্ষেত্রেই বোম্বেতে গিয়ে গান গুলি তিনি রেকর্ড করিয়ে নিয়েছিলেন কিশোর কুমারকে দিয়ে। (Kishore Kumar)

কলকাতা এবং বোম্বের চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া বহু দিনের। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে সেই আদানপ্রদান সম্ভবত সর্বাধিক। সিনেমা সবাক হওয়ার কাল থেকে বিভিন্ন শিল্পী, সুরকার, গীতিকারদের হাত ধরে একটা দীর্ঘ সময় বাঙলার সুর গেছে পশ্চিমে, ফিল্মি সঙ্গীতের স্বরলিপি বেয়ে শোনা গেছে যার মূর্ছনা। সেখানে মিশেছে মূলত দুটি ধারা– প্রথমটি লোকগানের এবং দ্বিতীয়টি অবশ্যই রবীন্দ্রসঙ্গীতের। ফিরে তাকালে দেখা যাবে বহু গানে প্রকাশ পেয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের মূল সুর, কখনও বা প্রচ্ছন্ন থেকে অলংকৃত করেছে গানের ভাবটিকে। (Kishore Kumar)

Kishore Kumar
কখনও একা, কখনও সহশিল্পীর সঙ্গে জোট বেঁধে দরাজ গলায় গেয়েছেন কিশোর

১৯৭১ থেকে ১৯৮৫ এই সময়ের মধ্যে কিশোরকুমারের গলায় তৈরি হয়েছিল এরকমই বেশ কিছু গান। “পঞ্ছি  হুঁ ম্যাঁয়” (১৯৭১ দূর কা রাহি / পথের শেষ কোথায়, কি আছে শেষে), “তেরে মেরে মিলন কি ইয়ে” (১৯৭৩ অভিমান / যদি তারে নাই চিনি), “নানহা সা পঞ্ছি”(১৯৭৮ টুটে খিলোনে / ভেঙে মোর ঘরের চাবি), “ছুকর মেরে মন কো” (১৯৮১ ইয়ারানা / তোমার হল শুরু), “রোশন রোশন” (১৯৮৪ হাম রহে না হাম / পুরানো সেই দিনের কথা), “চন্দা দেখে চন্দা” (১৯৮৫ ঝুঠি / আমি তোমায় যত) ইত্যাদি। (Kishore Kumar)

“সন্দীপ রায়ের ডকুমেন্টারি “জিন্দেগি কা সফর”-এ দেখা যায় কিশোরের স্বীকারোক্তি– “লোকে যতটা ভাবে আমায় পাগল, আমি ঠিক ততটা নই”! আর নন বলেই “দূর গগন কি ছাও মে” এর মতো একটি ছবি বানাতে পারেন তিনি।”

পরবর্তীকালে হিন্দুস্থান রেকর্ডস থেকে কিশোরকুমারের বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রকাশিত হয় যা হয়তো রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ন রীতির বিশুদ্ধতার নিরিখে ফুল মার্কস পায়নি কিন্তু, তাঁর গলার যাদুতে হয়ে উঠেছিল মনোগ্রাহী। যে রবি ঠাকুর একদিন তাঁর শ্রবণে ছিলেন ব্রাত্য– তিনিই ক্রমশ বাঙময় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর কণ্ঠে।(Kishore Kumar)

কখনও একা, কখনও সহশিল্পীর সঙ্গে জোট বেঁধে দরাজ গলায় গেয়েছেন কিশোর। আসলে কিশোর কুমার মানেই এমন এক ম্যাজিক বা মায়াজাল যার হিসেবনিকেশ হয় না। ধনীর বিলাসবহুল গাড়িতে যেমন বাজে তাঁর গান, তেমনই ছাপোষা অটোও ভেসে যায় তাঁর সুরের ঢেউয়ে। কিশোরের গানের এমনই বিস্তার। এমনই বিস্তীর্ণ আবেদন। আর এই বিস্তীর্ণ আবেদনের এপারে আমাদের মতো কিছু কিশোর পাগল শ্রোতা যাদের নেশা ছিল তাঁর গান সংগ্রহ করবার। এই আবেগ অবশ্য নতুন কিছু নয়, অনেকেরই থাকে। কলেজ ফেরা ক্লান্ত শরীরে গ্রামোফোন রেকর্ডের খোঁজে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, নিউ মার্কেট চত্বর, লেনিন সরণি, জানবাজার, চাঁদনীচকের গলি তস্য গলি জুড়ে চলে খোঁজার কাজ। কিশোর কুমারের গানের খোঁজ। (Kishore Kumar)

Kishore Kumar
কিশোরকুমারের জীবনাবসানের তিন দশক অতিক্রান্ত

সন্ধ্যা পেরিয়ে পুরোনো রেকর্ড ঘাঁটা এক হাত কালি আর পেট ভর্তি খিদে নিয়ে বাড়ি ফেরা। খবরের কাগজে মোড়া প্যাকেটের ভিতরে ঝিকমিক করে ওঠে রেকর্ডের কভারগুলো। এক আবিষ্কারের বিস্ময় আর ভাল লাগা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। রাতের গভীরে বেজে ওঠে রেকর্ড প্লেয়ার। তৈরি হয় সুরের মায়াজাল সেই অপূর্ব কণ্ঠের। মুগ্ধ হয়ে শুনি। ক্লান্তি ক্লান্ত হয় সেই মুগ্ধতার আবেশে। আসলে সহজিয়া সুরের সাধনায় কিশোর কুমার যেন সেই অলৌকিক ফকির, যাঁর সংগীত ঐশ্বর্যে ধনী হয়েছে যুগের পর যুগ। (Kishore Kumar)

আরও পড়ুন: আসলেই শোলে: ঘটনার ঘনঘটা

কিশোরকুমারের জীবনাবসানের তিন দশক অতিক্রান্ত। ১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর তাঁর চলে যাওয়া। মাত্র ৫৮ বছরের শিল্পী জীবনে তিনি আমাদের যা দিয়ে গেছেন সঙ্গীতের ক্ষেত্রে, তার সঠিক মূল্যায়ন বোধহয় এখনও বাকি রয়ে গেছে। কিশোর ভালিচা তাঁর প্রিয় শিল্পীর জীবনী “Kishore Kumar The Definitive Biography” তে লিখেছেন “extraordinarily prolific, Kishore Kumar created for the record and cassette buying public a veritable treasure house of melody and rhyme, with myriad fans willing to defend him to their death as the most inventive and versatile singer in Indian film music history ….he breathed life into the songs he sang ,and, in the process, celebrated the marvel of life in his own unique way.” (Kishore Kumar)

এক অদ্ভুত পাগলামির মুখোশের আড়ালে থেকে গেছে এই মানুষটির মুখ। সন্দীপ রায়ের ডকুমেন্টারি “জিন্দেগি কা সফর”-এ দেখা যায় কিশোরের স্বীকারোক্তি– “লোকে যতটা ভাবে আমায় পাগল, আমি ঠিক ততটা নই”! আর নন বলেই “দূর গগন কি ছাও মে” এর মতো একটি ছবি বানাতে পারেন তিনি। তাঁর অন্তরের অন্দরমহলে সযত্নে লালিত হয়েছে বিচিত্র অনুভূতির রামধনু রঙ যার ছোঁয়া এসে লেগেছে আমাদের অনুভবের পর্দায়। আর এখানেই কিশোরকুমার সফল! আগামী দিনেও বেঁচে থাকুক এই গান আর এক খাপছাড়া মানুষের জীবনস্মৃতি, আর আমাদের মতো যাঁরা এখনও এই পাগলামির শিকার- তাঁরাও! (Kishore Kumar)

মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Author Saptarshi Roy Bardhan

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।

Picture of সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।
Picture of সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধন

সপ্তর্ষি রায় বর্ধনের জন্ম, কর্ম এবং বর্তমান ঠাঁই তার প্রাণের শহর কলকাতায়। প্রথাগত ছাত্রজীবন কেটেছে কলকাতার পাঠভবন স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। লেখাজোকা, ছবি তোলা, নাট্যাভিনয় আর হেরিটেজের সুলুক সন্ধানের নেশায় মশগুল। সঙ্গে বই পড়া, গান বাজনা শোনা আর আকাশ পাতাল ভাবনার অদম্য বাসনা। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিন- "রূপকথার মতো- স্মৃতিকথায় প্রণতি রায়", "খেয়ালের খেরোখাতা" এবং "চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়"।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

আলোলিকা মুখোপাধ্যায়
বিতস্তা ঘোষাল
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

সংস্কৃতি

আহার

অমৃতা ভট্টাচার্য
শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
অমৃতা ভট্টাচার্য

বিহার

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

বিতস্তা ঘোষাল
বিতস্তা ঘোষাল
বিতস্তা ঘোষাল
[adning id="384325"]
[adning id="384325"]

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com