Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

পথের দাবীর প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র সম্পর্ক

দিলীপ কুমার ঘোষ

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫

Pather Dabi
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close
(Pather Dabi)

‘পথের দাবী’কে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রাজনৈতিক উপন্যাস বলা হলে অত্যুক্তি করা হয় না। গ্রন্থটি যে কেবলমাত্র তৎকালীন সরকার বাহাদুরকে বিব্রত করেছিল তা-ই নয়, গ্রন্থকারকেও তা কম বিড়ম্বনায় ফেলেনি। গ্রন্থটি নিয়ে তৎকালীন সময়ে কম জলঘোলা হয়নি। ভারতে ব্রিটিশ শাসনে আর কোনও গ্রন্থকে নিয়ে জনমানসে এমন আলোড়ন তৈরি হতে দেখা যায়নি। এই গ্রন্থ এবং এই গ্রন্থের সঙ্গে জড়িত রাজনীতি একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এবং সুভাষচন্দ্রের মতো ব্যক্তিত্বের মননেও আন্দোলন তৈরি করেছিল। (Pather Dabi)

”বঙ্গবাণী’ মাসিক পত্রিকায় ১৩২৯ ফাল্গুন-চৈত্র সংখ্যা (মার্চ ১৯২৩) থেকে শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ উপন্যাস প্রকাশিত হতে আরম্ভ করে, যা অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে ১৩৩৩-এর বৈশাখ সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। ‘পথের দাবী’ গ্রন্থাকারে প্রকাশের জন্য এম সি সরকার অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আগ্রহী হলে কথাবার্তা কিছুদূর অগ্রসর হয়। কিন্তু রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় উক্ত প্রকাশনা সংস্থার স্বত্বাধিকারী সুধীরচন্দ্র সরকার দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন ৭৭ নং আশুতোষ রোড, ভবানীপুর, কলকাতা থেকে উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাদ্র ১৩৩৩ সনে (৩১ অগস্ট ১৯২৬) গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করেন। কটন প্রেস, ৫৭ হ্যারিসন রোড, কলকাতা থেকে সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংস্করণের গ্রন্থ মুদ্রণ করেন। প্রকাশের একমাসের মধ্যেই প্রথম সংস্করণের গ্রন্থ নিঃশেষিত হয়। (Pather Dabi)

আরও পড়ুন: প্যাকার যা পারেননি

দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপার পরিকল্পনার মাঝেই জোর গুজব রটে যায় যে, ‘পথের দাবী‘র লেখক, প্রকাশক রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। অবশ্য এর পিছনে যথেষ্ট কারণ ছিল। প্রকাশের কিছুকাল পরেই বঙ্গীয় সরকার, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অগ্রসর হয়। গুজবের কিছুটা সত্য প্রমাণিত হয় যখন ১৯২৭-এর ৪ জানুয়ারি ‘পথের দাবী’ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়। ১২ বছর পর শরৎচন্দ্রের মৃত্যু পরবর্তী সময়ে ১ মার্চ, ১৯৩৯ বঙ্গীয় সরকার ‘পথের দাবী’র উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে ২৯ এপ্রিল, ১৯৩৯ (বৈশাখ ১৩৪৬) উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ই দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন। (Pather Dabi)

সুভাষচন্দ্র বসু ‘স্বদেশপ্রমিক শরৎচন্দ্র’ রচনায় লিখেছেন, “তাঁহার ‘পথের দাবী’ নামক গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হইয়াছিল— তিনি যে কারারুদ্ধ হন নাই, ইহাই বিস্ময়ের বিষয়।” (Pather Dabi)

Pather Dabi
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

‘বাতায়ন’ পত্রিকার সম্পাদক অবিনাশচন্দ্র ঘোষালের লেখা থেকে জানা যায়— শরৎচন্দ্র নিজের রিভলবারের লাইসেন্স বদলানোর কাজে প্রতিবছর পুলিশের কাছে যেতেন। কথা প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্র জানিয়েছিলেন, শুধু লাইসেন্স বদলানো নয়, পুলিশ কমিশনার টেগার্ট সাহেবের সঙ্গেও তাঁকে একবার দেখা করতে হয়েছিল। টেগার্টের ধারণা ছিল শরৎচন্দ্র যেহেতু ‘পথের দাবী’ লিখেছেন, বাংলার বিপ্লবীদের নাড়ির খবর তিনি জানেন। শরৎচন্দ্র টেগার্টের মত বদলানোর চেষ্টা করলেও তিনি কিছুতেই তাঁর মত বদলাতে রাজি হননি। শরৎচন্দ্র তখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাহলে তাঁকে ধরা হচ্ছে না কেন; যা শুনে সাহেব খুব হেসে উঠেছিলেন। (Pather Dabi)

অবিনাশচন্দ্রের লেখা থেকে আরও জানা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞার শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত ‘পথের দাবী’কে ছাড়াবার জন্য প্রকাশ্য সভা থেকে প্রস্তাব মঞ্জুর করে প্রতিবাদের আবেদন করতে বলেছিলেন শরৎচন্দ্র। তাঁর মনে হয়েছিল এতে সরকারের টনক নড়বে। (Pather Dabi)

“শরৎচন্দ্র যে অনেকটা এই একই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথকেও ‘পথের দাবী’ দিয়ে এসেছিলেন, তা তাঁর আশ্বিন ১৩৩৪ (১০ অক্টোবর, ১৯২৮)-এ শ্রীমতী রাধারাণী দেবীকে লেখা চিঠি থেকে জানা যায়।”

শরৎচন্দ্র যে অনেকটা এই একই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথকেও ‘পথের দাবী’ দিয়ে এসেছিলেন, তা তাঁর আশ্বিন ১৩৩৪ (১০ অক্টোবর, ১৯২৮)-এ শ্রীমতী রাধারাণী দেবীকে লেখা চিঠি থেকে জানা যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন— “পথের দাবী যখন বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল তখন রবিবাবুকে গিয়ে বলি যে আপনি যদি একটা প্রতিবাদ করেন ত একটা কাজ এই হয় যে পৃথিবীর লোকে জানতে পারে যে গভর্ন্মেন্ট কি রকম সাহিত্যের প্রতি অবিচার করছে। অবশ্য বই আমার সঞ্জীবিত হবে না। ইংরাজ সে পাত্রই নয়, তবু সংসারের লোকে খবরটা পাবে। তাঁকে বই দিয়ে আসি।” (Pather Dabi)

রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে ২৭ মাঘ ১৩৩৩ ‘কল্যাণীয়েষু’ সম্বোধন করে শরৎচন্দ্রকে চিঠিতে লেখেন— “তোমার পথের দাবী পড়া শেষ করেছি। বইখানি উত্তেজক। অর্থাৎ ইংরেজের শাসনের বিরুদ্ধে পাঠকের মনকে অপ্রসন্ন করে তোলে।” চিঠির ছত্রে ছত্রে রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্রকে ইংরেজ শক্তিকে আঘাত করার যে বিপদ এবং সেই বিপদের জন্য সর্বতোভাবে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। ইংরেজের কাছ থেকে কোনও শাস্তি প্রত্যাশা না করাটা ইংরেজকে পুজো করার নামান্তর বলেই রবীন্দ্রনাথ মনে করেছেন। তাঁর মনে হয়েছে ইংরেজ রাজশক্তি সহিষ্ণু বলেই ‘পথের দাবী’র লেখক শরৎচন্দ্রকে শাস্তি না দিয়ে কেবল গ্রন্থটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চিঠির শেষে তিনি পরিষ্কার লিখেছেন— “শক্তিকে আঘাত করলে তার প্রতিঘাত সইবার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই কারণেই সেই আঘাতের মূল্য, আঘাতের গুরুত্ব নিয়ে বিলাপ করলে সেই আঘাতের মূল্য একেবারেই মাটি করে দেওয়া হয়।” (Pather Dabi)

আরও পড়ুন: অম্লান ইউটোপিয়া

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফাল্গুন ১৩৩৩ সামতা বেড় থেকে ‘শ্রীচরণেষু’ সম্বোধন করে শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথকে একটা চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি বলেন— “নানা কারণে বাঙলা ভাষায় এ ধরণের বই কেউ লেখে না। আমি যখন লিখি এবং ছাপাই তার সমস্ত ফলাফল জেনেই করেছিলাম। সামান্য সামান্য অজুহাতে ভারতের সর্ব্বত্রই যখন বিনা বিচারে অবিচারে অথবা বিচারের ভান ক’রে কয়েদ নির্ব্বাসন প্রভৃতি লেগেই আছে আমিই যে অব্যাহতি পাবো, অর্থাৎ রাজপুরুষেরা আমাকেই ক্ষমা করে চলবেন এ দুরাশা আমার ছিল না। আজও নেই।… (Pather Dabi)

আমার প্রতি আপনি এই অবিচার করেছেন যে আমি যেন শাস্তি এড়াবার ভয়েই প্রতিবাদের ঝড় তুলতে চেয়েছি এবং সেই ফাঁকে নিজে গা ঢাকা দেবার চেষ্টা করেচি। কিন্তু বাস্তবিক তা’ নয়। দেশের লোক যদি প্রতিবাদ না করে আমাকে করতেই হবে।”
লেখার পর— শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে— চিঠিটা তিনি আর রবীন্দ্রনাথকে পাঠাননি। চিঠিটা পরবর্তীতে উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে রক্ষিত হয়। (Pather Dabi)

Pather Dabi
শরৎচন্দ্র ‘শিক্ষার বিরোধ’ প্রবন্ধ লিখে রবীন্দ্রনাথের ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধের প্রতিবাদ করেন

অবশ্য ৬ ফাল্গুন তিনি উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানাতে ভোলেননি— “শ্রীযুক্ত রবিবাবুর চিঠি পেয়েছি। তাঁর অভিমত মোটের উপর এই যে বইখানি পড়লে ইংরাজ গভরর্মেন্টের প্রতি পাঠকের মন অপ্রসন্ন হয়ে ওঠে। এবং তাঁর অভিজ্ঞতা এই যে স্বদেশে বিদেশে যত রাজশক্তি আছে ইংরাজের মত ক্ষমাশীল আর কেউ নয়। মাত্র বইখানি চাপা দিয়ে আমাকে কিছু না বলা আমাকে ক্ষমা করা। অর্থাৎ এটুকু বোঝা গেল এ বই পড়ে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন।” (Pather Dabi)

“শরৎচন্দ্র ‘শিক্ষার বিরোধ’ প্রবন্ধ লিখে রবীন্দ্রনাথের ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধের প্রতিবাদ করেন। ১৮ অগস্ট আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যালফ্রেড থিয়েটারের সভায় রবীন্দ্রনাথ আবার ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধটি পাঠ করেন।”

পূর্বে উল্লেখিত ১৩ আশ্বিন ১৩৩৪-র চিঠিতে শ্রীমতী রাধারাণী দেবীকে রবীন্দ্রনাথের ‘পথের দাবী’ সংক্রান্ত চিঠির কথা উল্লেখ করে শরৎচন্দ্র আরও লিখেছিলেন— “ভাবতে পারো বিনা অপরাধে কেউ কাউকে এত বড় কটূক্তি করতে পারে? এ চিঠি তিনি ছাপাবার জন্যেই দিয়েছিলেন কিন্তু আমি ছাপাতে পারিনি এই জন্যে যে কবির এত বড় সার্টিফিকেট তখুনি স্টেটসম্যান প্রভৃতি ইংরাজি কাগজওয়ালারা পৃথিবীময় তার করে দেবে। এবং এই যে আমাদের দেশের ছেলেদের বিনা বিচারে ছেলে বন্ধ করে রেখেচে এবং এই নিয়ে যত আন্দোলন হচ্চে সমস্ত নিষ্ফল হয়ে যাবে।
‘পথের দাবী’ নিয়ে মান-অভিমানের পালা সাঙ্গ হওয়ার পূর্বেই অবশ্য রবীন্দ্রনাথের একটি প্রবন্ধ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। (Pather Dabi)

Pather Dabi
পথের দাবী

মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন আরম্ভ হওয়ার সময় (১৯২০-২১) রবীন্দ্রনাথ ভারতের বাইরে ছিলেন। আমেরিকা ও ইউরোপ ভ্রমণ করে তিনি ১৯২১-এর ১৬ জুলাই শান্তিনিকেতনে ফিরে ১০ অগস্ট ‘শিক্ষার মিলন’ নামে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন। কলকাতায় এসে ১৫ অগস্ট ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে আহূত এক সভায় তিনি একই প্রবন্ধ আবার পাঠ করেন। প্রবন্ধে অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি কটাক্ষপাত থাকায় কংগ্রেসি মহলে প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হয়। হাওড়া জেলা কংগ্রেসের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ছিলেন শরৎচন্দ্র। দেশবন্ধুর নেতৃত্বে সুভাষচন্দ্রের সহকর্মী শরৎচন্দ্র হাওড়া জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতিরূপে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই বৎসরেই। সুভাষচন্দ্রের প্রাগুক্ত ‘স্বদেশপ্রেমিক শরৎচন্দ্র’ রচনায় পাওয়া যায়— “শরৎচন্দ্র শুধু সাহিত্যিকই ছিলেন না, রাজনীতিক্ষেত্রেও তাঁহার দান ছিল এবং সেই সুবাদেই ১৯২১ খ্রীষ্টাব্দে শরৎচন্দ্রের সহিত আমার প্রথম পরিচয় ঘটিয়াছিল। (Pather Dabi)

মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন প্রবর্তিত হইলে শরৎচন্দ্র এই আন্দোলনে যোগদান করেন।…
 …বহু বৎসর যাবৎ তিনি নিখিল ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতির সদস্য এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন।” (Pather Dabi)

আরও পড়ুন:স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা: রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের পারস্পরিক মূল্যায়ন

শরৎচন্দ্র ‘শিক্ষার বিরোধ’ প্রবন্ধ লিখে রবীন্দ্রনাথের ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধের প্রতিবাদ করেন। ১৮ অগস্ট আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যালফ্রেড থিয়েটারের সভায় রবীন্দ্রনাথ আবার ‘শিক্ষার মিলন’ প্রবন্ধটি পাঠ করেন। শুধু তা-ই নয় তাঁর মনের কথা স্পষ্ট করে জানাবার জন্যে রবীন্দ্রনাথ ‘সত্যের আহ্বান’ বলে আর একটি প্রবন্ধ লেখেন। প্রবন্ধটিতে ছিল এক দিকে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন, অন্য দিকে তাঁর কর্মধারার প্রতি অবিমিশ্র অশ্রদ্ধেয় উক্তি। (Pather Dabi)

রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র সম্পর্কে যেন ছিল মেঘ ও রৌদ্রের খেলা। আর সেটা যেভাবে ‘পথের দাবী’কে কেন্দ্র করে তাঁদের পারস্পরিক চিঠিপত্রে এবং ঘনিষ্ঠজনকে লিখিত চিঠিচাপাটিতে উঠে এসেছে তা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। মনে হয় সাহিত্যস্রষ্টা এই দুই প্রাজ্ঞপুরুষ, নিজেদের অজান্তেই ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের মধ্য দিয়ে তাঁদের ধারাবাহিক চড়াই-উতরাই সম্পর্কের রেখাচিত্র অঙ্কন করে গিয়েছেন। (Pather Dabi)

তথ্যঋণ:
) শরৎচন্দ্রের চিঠিপত্র; কার্তিক ১৩৬১, শ্রীগোপালচন্দ্র রায় সঙ্কলিত সম্পাদিত, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স্
শরৎচন্দ্র; আশ্বিন ১৪১৭, মদনমোহন কুমার সম্পাদিত, বঙ্গীয়সাহিত্যপরিষৎ
) শরৎ স্মৃতি; বৈশাখ ১৩৯৬, বিশ্বনাথ দে সম্পাদিত, সাহিত্যম্
) রবীন্দ্র রচনাবলী

মুদ্রিত ও ডিজিটাল মাধ্যমে সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Author Dilip Kumar Ghosh

পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।

Picture of দিলীপ কুমার ঘোষ

দিলীপ কুমার ঘোষ

পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।
Picture of দিলীপ কুমার ঘোষ

দিলীপ কুমার ঘোষ

পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

অর্কপ্রভ ভট্টাচার্য
আইভি চট্টোপাধ্যায়
প্রমথ চৌধুরী

সংস্কৃতি

আহার

শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
অমৃতা ভট্টাচার্য
শমিতা হালদার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

বিতস্তা ঘোষাল
বিতস্তা ঘোষাল
বিতস্তা ঘোষাল
[adning id="384325"]
[adning id="384325"]

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com